চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক, অনলাইন গেমসসহ বিভিন্ন ধরনের নেগেটিভ কাজ থেকে যুবসমাজকে দূরে রাখার প্রয়াসে নবীনগর পৌরসভা সহ ২১ টি ইউনিয়নের আলাদা আলাদা ফুটবল টীমের সমন্বয়ে শুরু হওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নবীনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উক্ত খেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী সাহান, ওসি তদন্ত মো. সোহেল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামস আলম, পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর আজম, নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সেলিম এলাহী, মাদকমুক্ত নবীনগর চাই সংগঠনের সভাপতি মো. আবু কাওসার, কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড ইসহাক মিয়া, প্রেষক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ সহ রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নবীনগর ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সাগরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পশ্চিম ইউনিয়ন ও সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
খেলায় সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন ২-০ গোলে জয় লাভ করেন।
খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন প্রভাষক আবু সাইদ রনি সার্জেন্ট অবসরপ্রাপ্ত জহিরুল হক, ডাক্তার শ্যামল ও অবসরপ্রাপ্ত কর্পোরাল দুলাল মিয়া।
সমাপনী বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও টুর্নামেন্টের সভাপতি সুন্দরভাবে টুর্ণামেন্টের আয়োজন করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান, এবং জেলা পর্যাযয়ে নবীনগর উপজেলা যাহাতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করতে পারে সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য সকলকে বলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে সুশান্ত সরকার (৩০) নামের এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুনের খবর পাওয়া গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নাসিরাবাদ গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নিতাই চন্দ্র সরকারের ছেলে সুশান্ত। তার দুই মাস বয়সী একটি পুত্র সন্তান আছে। পরিবারের অভিযোগ, গ্রামের আশিক নামের এক যুবক ১৮ আগস্ট রবিবার রাতে সুশান্তকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যান।
পরে আজ ১৯ আগস্ট সোমবার সকালে গ্রামের পাশে থাকা মেঘনা নদীর পাড়ে সুশান্তের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সুশান্ত সরকারের সঙ্গে একই গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে আশিক মিয়ার বন্ধুত্ব ছিল। ঘটনার দিন গত রবিবার রাতে আশিক সুশান্তের বাড়িতে আসেন। এরপর আশিক সুশান্তকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে চলে যান।
সুশান্তের মা রূপালী সরকার পুত্রশোকে বাড়ির উঠোনে বিলাপরত অবস্থায় বলেন, ‘আমার ছেলে একটি পুরনো মোটর সাইকেল আশিকের কাছে বিক্রি করেছিল। কিন্তু আশিক সেই টাকা পরিশোধ না করায়, এ নিয়ে সম্প্রতি আশিকের সাথে সুশান্তের একাধিকবার ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে আশিক গতকাল রবিবার রাতে সুশান্তকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে। পরে মেঘনার পাড়ে আমার ছেলের লাশ ফেলে রেখে যায়।
নবীনগর থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, ‘ঘটনার সংবাদ পেয়েই পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। এ বিষয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার হল রুমে আজ ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল শিক্ষার্থীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ১৩ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করেন এবং তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে দাবি গুলো সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন। দাবি গুলো কয়েকটি হলো-
(১) নবীনগর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেশ করে আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে প্রত্যাহারের দাবি তুলেন একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
(২) এখন থেকে নবীনগর থানার ওসির অফিস রুম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস রুম ও ভূমি অফিসে বিনা প্রয়োজনে এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় কোন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী ও কোন সাংবাদিক অবস্থান করতে পারবে না।
(৩) ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের শনাক্ত করে তাদের সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
(৪) নবীনগরের সকল সরকারি অফিস কে দালাল মুক্ত করতে হবে এবং সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে।
(৫) জিপির নামে পরিবহণ সেক্টরের সকল চাঁদা বন্ধ করা সহ আরো অন্যান্য ১৩টি দাবি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মো: ফারুক আহমেদ, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সালেহ আহমেদ তানভীর, নবীনগর থানার নবাগত ওসি আফজাল হোসেন, সমাজকর্মী ও সাংবাদিক বৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়নের বাঙ্গরা বাজার এলাকায় আজ ১৫ জুলাই সোমবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩ শতাধিক অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
নবীনগর উপজেলা প্রশাসন ও সড়ক বিভাগের উদ্যোগে অভিযানকালে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জমি ও খালের উপর অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল নবীনগর থেকে কোম্পানীগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশের জায়গাগুলো দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মান করেছিল। উচ্ছেদের সময় ২০০ শতাধিক টিনের দোকান ও শতাধিক একতলা, দুইতলা বিশিষ্ট মার্কেট উচ্ছেদ করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবু মুছা। এ সময় সড়ক ও জনপদ বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজামুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান সম্পর্কে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল নবীনগর থেকে কোম্পানীগঞ্জ চলাচলের রাস্তার উভয়পাশের জায়গাগুলো দখলে রেখেছিলো। তাদেরকে বারবার বলার পরও তারা তাদের স্থাপনা গুলো সেচ্ছায় অপসারণ করেন নি। যার কারণে পূর্বে থেকে অবগত করে সোমবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযান কালে দুই শতাধিক টিনের দোকান ও শতাধিক পাকা আধাপাকা স্থাপনা, দুতলা মার্কেট উচ্ছেদ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
মামুনুল হকসহ সকল কারাবন্দী আলেমদের মুক্তির দাবিতে নবীনগরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৪ আগস্ট শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর থানা গেইটের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে মুফতি বেলায়েতুল্লাহ কাসেমীর সভাপতিত্বে ও মাওলানা মেহেদী হাসান এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম নবীনগর উপজেলার সভাপতি মাওলানা আমিরুল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল কাঈয়্যুম ফারুকী, নবীনগর দাওয়াতুল হক পরিষদের সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা মাকবুল হোসাইন, মাওলানা ফোরকান উদ্দিন নবীপুরী, হাফেজ মাওলানা সানাউল্লাহ, মাওলানা মুমিনুল হক ভূইয়া, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা মোকতার হোসাইন আমিনী, মাওলানা ফরহাদ হোসাইন ফরিদী, মাওলানা আব্দুর রউফ, হাফেজ সাদ-উল্লাহ, মুফতি আবু সুফিয়ান, মাওলানা মোফাজ্জল, হাফেজ রাকিবুল ইসলাম তাজ, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, মোঃ নিয়ামুল হুদা, মাওলানা কাউছার, হাফেজ কামরুল ইসলাম, মাওলানা রবিউল্লাহ, মাওলানা খালিদ সায়ফুল্লাহ প্রমুখ।
বক্তারা আল্লামা মামুনুল হক সহ মাজলুম কারাবন্দি আলেমদের মুক্তির দাবি সহ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে পথচারী হাফেজ রেজাউল করিমকে নির্মমভাবে পিঠিয়ে হত্যার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান, অভিলম্বে অপরাধীদের কে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ব্যবসায়ী সুশান্ত সরকার হত্যার বিচার ও খুনীদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ ২০ আগস্ট মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। সকাল ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নাসিবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে ব্যবসায়ী সত্যজিত দেবের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান খাঁন মাসুম, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আশকর আলী, স্থানীয় মেম্বার মেহেদী হাসান জালাল, মেম্বার আক্তার হোসেন, সাবেক মেম্বার মালেক মিয়া, সৈয়দ মিয়া, নিহতের চাচা সুব্রত সরকার, আব্দুর রহিম প্রমুখ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন নিহতের মা রূপালী সরকার ও স্ত্রী রূপা সরকার। বক্তারা হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবী করেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে ইউনিয়নের সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
উল্লেখ্য, শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নাসিরাবাদ গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সুশান্ত একটি পুরনো মোটর সাইকেল বিক্রির টাকা নিয়ে বিরোধ চলছিল ক্রেতা আশিকের সাথে। এরই জের ধরে আশিক রবিবার (১৮ আগষ্ট) রাতে তার দলবল নিয়ে এসে সুশান্তকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে মেঘনা নদীর পাড়ে লাশ ফেলে রেখে যায়। এই ঘটনায় নিহত সুশান্তের মা রূপালী সরকার বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।