চলারপথে রিপোর্ট :
‘বাংলাদেশের অগ্রগতিতে দুর্নীতি প্রধান অন্তরায়’ এ বিষয়কে সামনে রেখে আখাউড়ায় দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২১ জুন বুধবার দুপুরে পৌরশহরের নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদালয়ের কক্ষে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ওই বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণী ও ১০ শ্রেণীর শিক্ষার্থীর দুটি দল বিতর্কে অংশ গ্রহণ করে। দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে আখাউড়া উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী।
আখাউড়া উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এস.এম. শাহজাদা খাদেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার মোঃ কফিল উদ্দিন মাহমুদ, জাহানারা হক মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মুহ. শাহজাহান মিয়া, নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বনিক, শিক্ষিকা কাজী সাফিয়া খাতুন, শিখা বনিক ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল আওয়াল প্রমুখ।
বিষয়ের পক্ষে বক্তব্য প্রধানকারী ১০ শ্রেণীর দল বিতর্কে জয়লাভ করে। পরে অতিথিরা শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কারের ক্রেস্ট ও বই তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আখাউড়া স্থলবন্দরে পাঁচদিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে আজ ২১ এপ্রিল শুক্রবার থেকে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্দর দিয়ে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
তবে এ সময়ে বন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে পাঁদিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে ভারতীয় ব্যবসায়ী ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ছুটি শেষে আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে যথারীতি পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয় উত্তর-পূর্ব ভারতে। রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে হিমায়িত মাছ, প্লাস্টিক, রড, সিমেন্ট, ভোজ্য তেল, তুলা ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ইত্যাদি।
চলারপথে ডেস্ক :
আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুর মাজার মার্কেটে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে মার্কেটের একটি হোটেলের রান্নাঘর, একটি মোমবাতির কারখানা এবং মাজার শরীফের অতিথি কক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করছে ভূক্তভোগীরা। আজ ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আখাউড়া ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে হোটেলের রান্নান চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারনা করছে ফায়ার সার্ভিস।
জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে খড়মপুর মাজার সংলগ্ন দ্বিতল বিশিষ্ট মাজার মার্কেট কাম রেষ্ট হাউজের জাহাঙ্গীর ভূইয়ার হোটেল লাগোয়া খালপাড়ে বাঁশ ও কাঠের তৈরি রান্নাঘরে আগুণ লাগে।
মুহুর্তের মধ্যে আগুন হোটেলের পাশের বাঁশ ও কাঠের তৈরি মোমবাতির কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। আগুণের লেলিখান শিখা মাজার কমপ্লেক্সের দুতলার অতিথি কক্ষে পৌছে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন খড়মপুর মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খাদেম মিন্টুকে খবর দেয়। মাজার কমিটির সম্পাদক মিন্টু খাদে নিজে ফায়ার সার্ভিস অফিসে গিয়ে বিষয়টি জানালে তাৎক্ষনিক ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আধ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে হোটেলের মাচা, মোমবাতির কারখানা, কমপ্লেক্সের অতিথির কক্ষের ২টি এসি, ২টি ফ্যান, ২টি জানালার থাই গ্লাস পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে তাপে মার্কেটের দেয়ালের কিছু অংশের আস্তর খসে পড়ে যায়।
মোমবাতির কারখানার মালিক রুবেল খাদেম বলেন আগুনে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
হোটেল মালিক জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া বলেন রাত ১০টার দিকে হোটেল বন্ধ করে চলে যাই। সকাল আগুন লাগার খবর পেয়ে দোকানে আসি। কিভাবে আগুণ লেগেছে বলতে পারছি না। আগুনে হোটেলের রান্নার সরঞ্জাম, মসলা পুড়ে গছে।
জানতে চাইলে খড়মপুর মাজার কমিটির সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম খাদেম মিন্টু বলেন সকাল আটটার দিকে মোবাইল ফোনে মার্কেটে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে গিয়ে খবর দেই। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভায়। অগ্নিকান্ডে মাজার শরীফ অতিতি কক্ষের ২টি এসি, ২টি ফ্যান, ২টি জানালার থাই গ্লাস পুড়ে গেছে এবং বিল্ডিংয়ের আস্তর খসে পড়েছে। এতে মাজার কমিটির ৪ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আখাউড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফিন্সেরর স্টেশন অফিসার মুনিম সারোয়ার বলেন, সকাল আটটার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করি। হোটেলের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারনা করছি।
উল্লেখ্য, এরআগেও মাজার মার্কেট কমপ্লেক্সে ২ বার আগুন লেগেছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে রাসেল মিয়া নামে এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় স্ত্রী, শাশুড়ি, স্ত্রীর ভাই-বোনসহ ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আখাউড়া) আদালতে নিহতের মা আরজু বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। রাসেল আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রামের মো. আবুল খায়ের মিয়ার ছেলে।
মামলার আসামিরা হলেন রাসেলের স্ত্রী শামীমা আক্তার (২৬), শামীমার মা হালিমা (৬০), বড় ভাই বেদন ভূঁইয়া (৪৫), সুমন ভূঁইয়া (৪০), রাজন ভূঁইয়া (৩৫), বড় বোন দিপালী (৩০) ও বড় কুড়িপাইকা গ্রামের সুরুজ ভূঁইয়ার ছেলে সাকিন ভূঁইয়া (৩৫)।
৯ জুলাই রবিবার বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হিরাপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে আত্মহত্যা করেন রাসেল মিয়া।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ৭ বছর আগে শামীমাকে বিয়ে করেন রাসেল মিয়া। তাদের ৬ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। কিন্তু শামীমা নানান জায়গায় বিচরণ করতেন। এছাড়াও একাধিক পর পুরুষের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমালাপ ও ব্যভিচারসহ ইত্যাদি অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকতেন। স্বামী রাসেলের আদেশ-নিষেধ না মেনে তার খেয়াল-খুশিমত উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন শুরু করে। শামীমাকে বুঝিয়ে ভালোভাবে ঘর-সংসার করতে অনুরোধ জানালে সে বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ধামকি প্রদান করতো। বহু চেষ্টা করেও শামীমাকে ভালো পথে ব্যর্থ হয় রাসেল।
রাসেল তাকে বুঝালেও উল্টো শামীমা তার মা, ভাই ও বোনের কু-প্ররোচনায় বিনা অনুমতিতে বাবার বাড়িতে চলে যায়। বাবার বাড়িতে থেকে রাসেলকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কটূকথা ও অযৌক্তিক দাবি-দাওয়া উত্থাপন করে মানসিক যন্ত্রণা দিতে থাকে। রাসেল মিয়া নিজ সন্তানের ভবিষ্যৎ ও পরিবারের মান সম্মানের কথা চিন্তা করে শামীমার সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রেখে আসছিল। তারপরও রাসেলকে কারণে-অকারণে মিথ্যা অপবাদ রটিয়ে আত্মহত্যা করতে মানসিক অত্যাচার নির্যাতন করে আসছিল। অবশেষে শামীমা, তার মা, ভাই ও বোনের মানসিক নির্যাতনে রাসেল আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদি পক্ষের আইনজীবী ড. আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল জানান, রাসেলের মা বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলাটি করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আখাউড়া) আদালতে বিচারক ফরহাদ হোসেন মামলাটি আমলে নিয়েছেন। পাশাপাশি আখাউড়া থানায় এ সংক্রান্ত আর কোন মামলা আছে কি না, তা জানাতে বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় পৃথক স্থানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় ২ আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌর শহরের ১নং দুর্গাপুর এলাকার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে মো. মোসলেম মিয়া ও উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃত ফায়েজ মিয়ার ছেলে আলফাজ মিয়া।
গ্রেফতারকৃতদের আজ ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে থানা পুলিশ এ তথ্য জানায়। পুলিশ জানায়, পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল হাসিম গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতাকৃতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে এক হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মো. রাব্বি মিয়া (২০) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আজ ৪ নভেম্বর শনিবার সকালে ওই যুববকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার রাতে উপজেলার মনিয়ন্দ এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে আটক করে। আটক রাব্বি মিয়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ মিনারকোট গ্রামের মৃত কবির মিঞার ছেলে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার মনিয়ন্দ সীমান্তবর্তী গ্রাম দক্ষিণ মিনারকোট এলাকায় ইয়াবা কেনবেচার সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোঃ রাব্বি নামক এক যুবককে আটক করে। তার প্যান্টের পকেট থেকে বিশেষ ভাবে রক্ষিত এক হাজর ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।