অনলাইন ডেস্ক :
চীনে বারবিকিউ রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৩১ জন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। ২১ জুন বুধবার রাতে চীনের উত্তর-পশ্চিম নিংজিয়া অঞ্চলে একটি রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণের জেরে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
আজ ২২ জুন বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চীনের উত্তর-পশ্চিম নিংজিয়া অঞ্চলে বুধবার রাতে একটি বারবিকিউ রেস্তোরাঁয় গ্যাস বিস্ফোরণে ৩১ জন নিহত হয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে। এই ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সংশ্লিষ্ট স্থানগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
নিংজিয়া অঞ্চলের রাজধানী ইনচুয়ানের একটি বারবিকিউ রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণটি তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস ট্যাংক লিক হওয়ার কারণে হয়েছে বলে সিনহুয়া বৃহস্পতিবার জানিয়েছে।
সিনহুয়া আরো জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে এবং ভাঙা কাঁচের আঘাতে আহত সাতজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আহতদের চিকিৎসার জন্য কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে বলেছেন এবং শিল্পসহ এই ধরনের প্রধান প্রধান সেক্টরে নিরাপত্তা তদারকি জোরদার করতে হবে বলে জানিয়েছেন।
রয়টার্স বলছে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য বছরের পর বছর চেষ্টা করা সত্ত্বেও গ্যাস এবং রাসায়নিক বিস্ফোরণের কারণে চীনে এই ধরনের দুর্ঘটনা অস্বাভাবিক নয়।
এর আগে ২০১৫ সালে চীনের উত্তরাঞ্চলীয় বন্দরনগরী তিয়ানজিনে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ১৭৩ জন নিহত হয়েছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বের লড়াই এক ধাপ এগিয়ে গেল। কেননা, আজ ২২ জানুয়ারি সোমবার মশাবাহিত এই রোগের বিরুদ্ধে বিশ্বে প্রথমবারের মতো রুটিন টিকা কর্মসূচি চালু করেছে মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন। এই টিকা আফ্রিকাজুড়ে হাজার হাজার শিশুর জীবন বাঁচাতে সহায়ক হবে বলে আশাবাদী ক্যামেরুন কর্তৃপক্ষ।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে ক্যামেরুন প্রথম দেশ, যারা নিয়মিতভাবে শিশুদের ম্যালেরিয়ার নতুন একটি টিকা দেবে। দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আজ সোমবার থেকেই শুরু হওয়া এই ভ্যাকসিন প্রকল্পকে আফ্রিকা মহাদেশে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে কয়েক দশকের দীর্ঘ প্রচেষ্টার একটি মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিশ্বে ম্যালেরিয়া রোগে যত মানুষের মৃত্যু ঘটে তার ৯৫ শতাংশ ঘটে আফ্রিকায়।
টিকাটি ১৯৮৭ সালে উদ্ভাবন করে ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জিএসকে। ঘানা, কেনিয়া ও মালাবিতে ২০১৯ সাল থেকে পরিচালিত একটি পাইলট কর্মসূচির ফলাফলের ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২১ সালে এটি অনুমোদন করে।
ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনার বৈশ্বিক জোট গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভের (গ্যাভি) তথ্যমতে, ঘানা ও কেনিয়ায় সফল পরীক্ষার পরে, ক্যামেরুন হলো প্রথম দেশ যারা ম্যালেরিয়ার নিয়মিত টিকা কর্মসূচি শুরু করেছে। চলতি বছরে আফ্রিকার আরও ১৯টি দেশে এই কর্মসূচি চালু করা হবে। এই দেশগুলোর প্রায় ৬৬ লাখ শিশুকে ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়ার টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
গাভি’র প্রধান প্রোগ্রাম অফিসার অরেলিয়া নুগুয়েন বলেছেন, “ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী টিকার নিয়মিত ডোজ হাজার হাজার শিশুর জীবন বাঁচাবে। এটি পরিবার ও দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বড় ধরনের স্বস্তি দেবে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভ ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে একটি যৌথ অনলাইন ব্রিফিংয়ে আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বলেছেন, “দীর্ঘদিন ধরে, আমরা এমন একটি দিনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।”
এবিসি নিউজের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন চলতি বছর ও আগামী বছর প্রায় আড়াই লাখ শিশুকে ম্যালেরিয়ার টিকা দেওয়ার আশা করছে।
গাভি বলেছে, এই টিকা নিয়ে আফ্রিকার আরও ১৯টি দেশের সঙ্গে তারা কাজ করছে। দেশগুলো ২০২৫ সালের মধ্যে ৬০ লাখের বেশি শিশুকে ম্যালেরিয়ার টিকা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ক্যামেরুন সম্প্রতি অনুমোদিত ম্যালেরিয়ার দুটি টিকার মধ্যে প্রথমটি ব্যবহার করবে, যা ‘মসকিউরিক্স’ নামে পরিচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দুই বছর আগে এই টিকা অনুমোদন করেছিল। সংস্থাটির মতে, টিকাটির প্রভাব যদিও অসম্পূর্ণ, তবু এর ব্যবহার নাটকীয়ভাবে গুরুতর সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কমিয়ে দেবে। সূত্র: ইউএস নিউজ, এবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে করে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনি উচ্ছেদ করে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মতো পরিস্থিতি ফের গাজায় তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছে বিভিন্ন মহল। এরই মধ্যে দেশটি অধিকৃত পশ্চিম তীরে ২২টি নতুন অবৈধ বসতি স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, এসব বসতির কিছু ইতিমধ্যেই অনুমোদন ছাড়াই নির্মিত হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এবং অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বসতি সম্প্রসারণের এ ঘোষণা দেন। কাটজ বলেন, জুডিয়া এবং সামারিয়ায় আমাদের নিয়ন্ত্রণ জোরালো করতেই এ উদ্যোগ।
ইসরায়েল ইতিমধ্যেই পশ্চিম তীরে ১০০টিরও বেশি বসতি নির্মাণ করেছে, যেখানে পাঁচ লাখের বেশি বসতি স্থাপনকারী রয়েছেন। এসব অঞ্চলে ৩০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি সামরিক শাসনের অধীনে জীবনযাপন করছেন।
এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপের ৯ দেশ—বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া, স্পেন ও সুইডেন—ইউরোপীয় কমিশনকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তাব তৈরির আহ্বান জানায়।
রয়টার্সের অনুসন্ধান অনুযায়ী, এসব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা কালাসকে লেখা গোপন চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চলে অবৈধ বসতি স্থাপন করছে। এমন কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। ফলে এ অঞ্চলে পণ্য ও সেবার বাণিজ্য বন্ধ করা জরুরি।
ইইউ বর্তমানে ইসরায়েলের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। ২০২৪ সালে উভয় পক্ষের পণ্য বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ইউরো। এই বাণিজ্যের কতোটা অংশ অধিকৃত অঞ্চল সংশ্লিষ্ট, তা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) মতে, অধিকৃত এলাকায় বসতি স্থাপন ও তা টিকিয়ে রাখতে সহায়তাকারী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বন্ধ করতে রাষ্ট্রগুলোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাক্সিম প্রিভোট রয়টার্সকে বলেন, ইউরোপের বাণিজ্যনীতি আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া উচিত। বাণিজ্য আমাদের নৈতিক ও আইনি দায়িত্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে না।
আগামী ২৩ জুন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কের বিষয়টি পর্যালোচনা করবেন। সেখানে মানবাধিকার নীতির প্রতি ইসরায়েলের আনুগত্য নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের ইইউ মিশন আল জাজিরার অনুরোধের পরও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
সূত্র: রয়টার্স, আল জাজিরা
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্য আনোয়ারুল হক কাকারকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। আজ ১২ আগস্ট শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও জাতীয় পরিষদের (এনএন) বিদায়ী বিরোধীদলীয় নেতা রাজা রিয়াজ বেলুচিস্তান প্রদেশের সিনেটর কাকারকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করার পর বহুল প্রত্যাশিত এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আনোয়ারুল হক কাকারকে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পরামর্শ দিয়ে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। শনিবার শেহবাজ শরিফের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা শেষে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেন রাজা রিয়াজ।
রাজা রিয়াজ বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম, ছোট কোনও প্রদেশ থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত। বেলুচিস্তানের সিনেটের আনোয়ারুল হক কাকার তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দেশটির বিরোধী দলীয় এই নেতা বলেন, ‘আমি তার নাম দিয়েছিলাম এবং প্রধানমন্ত্রী তার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন… আমি এবং প্রধানমন্ত্রী সারসংক্ষেপে স্বাক্ষর করেছি।’
আগামীকাল ১৩ আগস্ট রবিবার অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাকার শপথ নেবেন বলে জানিয়েছেন রাজা রিয়াজ। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সাথে বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়নি।
পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার তিন দিন আগে গত ৯ আগস্ট রাতে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই যদি জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়, তাহলে ভেঙে দেওয়ার দিন থেকে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন করতে হবে। তবে জাতীয় পরিষদের মেয়াদ পূর্ণ হলে সাধারণ নির্বাচন ৬০ দিনের মধ্যে করার বিধান আছে।
এর আগে, দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেতা রাজা রিয়াজকে ১২ আগস্ট শনিবার এর মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী পদে একজন ‘যোগ্য ব্যক্তির’ নাম সুপারিশ করার পরামর্শ দেন।
প্রেসিডেন্টের এই চিঠি পাওয়ার পর শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও বিরোধী দলীয় নেতা রাজা রিয়াজ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে কাকারের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ এবং রিয়াজের কাছে লেখা চিঠিতে প্রেসিডেন্ট জানান, সংবিধানের ২২৪-এ অনুচ্ছেদের অধীনে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার তিন দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করার বিধান রয়েছে।
সূত্র: ডন, জিও নিউজ।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়ায় আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার কারিমা রেষ্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারে ভারত ত্রিপুরা রাজ্যের ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদ’র কমিটি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গেয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।
অনুষ্ঠানে আখাউড়া যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মমিন বাবুল’র সভাপতিত্বে ও ছাত্র নেতা মনির হোসেন’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদ’র সভাপতি ড. দেবব্রত দেবরায়, সাধারণ সম্পাদক ড. মুজাহিদ রহমান, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনির হোসেন বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আবদুল্লাহ ভূইয়া বাদল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু।
বিশেষ করে, ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদ’র কমিটি দিয়ে দুই দেশে সু-সম্পর্ক হবে বলে বক্তরা মনে করেন।
ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদ’র পক্ষ থেকে দুই দেশের মধ্যে বই সহ উপহার সামগ্রী আদান-প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদ’র বিশিষ্ট শিল্পী ও সহ সম্পাদক স্বর্ণিমা রায়, বিশিষ্ট চিত্র শিল্পী ও কোষাধ্যক্ষ নির্মল দেব, কবি গীতিকার ও কার্যকরী সম্পাদক গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেবনাথ, সমাজসেবী কবি ও সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী, বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী কুশল দেব, বিশিষ্ট ব্যাচিক শিল্পী শ্বেতা দেবরায়, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ইন্সা আক্তার, কবি গীতিকার ও সহ-সম্পাদক শ্যামল কান্তি দে, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী মনিদীপা দে, বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী শ্যামলীমা দে, বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী সাগরীমা দে, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী অমর ঘোষ, আখাউড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছরীন সফিক আলিয়া, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাওছার ভূঁইয়া, সাবেক দক্ষিণ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল পারভেজ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন নয়ন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ তজিবুর রহমান, আখাউড়া যুব মহিলা লীগের সভাপতি রোকসানা আক্তার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন, সাজ্জাদ মাস্টার, সেলিম মিয়া, ক্রিড়াবিদ মো: সাগর হোসেন, আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অমিত হাসান অপু, কার্যকরী সদস্য শাহাবুদ্দিন রিফাত প্রমুখ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
গাজা উপত্যকার বৃহত্তম হাসপাতালে ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছে ১৩ জন। অঞ্চলটির শাসনগোষ্ঠী হামাস সরকার আজ ১০ নভেম্বর শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সরকারি বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় গাজা শহরের আল-শিফা কম্পাউন্ডে এদিন ইসরাইলি হামলায় ১৩ জন নিহত এবং ডজন খানেক আহত হয়েছে। তবে এ পরিসংখ্যান তাৎক্ষণিকভাবে স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেছেন, ইসরাইলি ট্যাংকগুলো আল-শিফা হাসপাতালে আক্রমণ চালায়। তবে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
৩২ বছর বয়সী আবু মোহাম্মদ ১৫ জন আত্মীয়সহ হাসপাতালটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। গাজা শহরের উত্তর-পূর্ব অংশে তার আশপাশের এলাকায় বোমা হামলার শিকার তিনি।
আবু বলেন, কোনো নিরাপদ জায়গা অবশিষ্ট নেই। সেনাবাহিনী আল-শিফায় আঘাত হানে। আমি জানি না কি করা উচিত। হাসপাতালে গুলি চলছে…আমরা বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, ট্যাংকগুলো গাজা শহরের আরো কিছু হাসপাতাল ঘেরাও করেছিল। কয়েক সপ্তাহ ধরে কয়েক হাজার লোককে অঞ্চলটির দক্ষিণে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে ইসরাইল।
এএফপিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, ভোরবেলা শহরের ওপর দিয়ে আগুনের গোলা ও ধোঁয়া উঠছে। শুক্রবারের প্রথম দিকে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
ইসরাইল বৃহস্পতিবার হাসপাতালের কাছে ভারী লড়াইয়ের খবর দিয়ে বলেছে, তারা কয়েক ডজন যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং সুড়ঙ্গ ধ্বংস করেছে, যা হামাসের লড়াইয়ের ক্ষমতার চাবিকাঠি।
এদিকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী বারবার হামাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে হামলার সমন্বয় সাধনে হাসপাতাল, বিশেষ করে আল-শিফা ব্যবহার করে হামাস। পাশাপাশি এটি হামাস কমান্ডারদের আস্তানা হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগও করেছে তারা। হামাস কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরাইলে হামলা চালালে এক হাজার ৪০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়। সেই সঙ্গে তারা প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। এরপর ইসরাইল যুদ্ধ ঘোষণা করে। হামাসকে ধ্বংস করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইসরাইল বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালিয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক এবং তাদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে।