চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেতু থেকে তিতাস নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে অজ্ঞাত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স আনুমানিক ৩২ বছর।
২২ জুন বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে শেখ হাসিনা সড়কের শিমরাইলকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, রাতে সেতু থেকে তিতাস নদীর পানিতে এক যুবক ঝাঁপ দেন। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে ওই যুবককে নদী থেকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। হাসপাতালে ভর্তি করার কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান।
সি জানান, নিহত যুবকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তার পরিচয় জানতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অবগত করা হয়েছে। তারা এসে সার্ভারে যুবকের ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলিয়ে তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করবেন। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৩০ নভেম্বর শনিবার এসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল সার্ভিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট (এসসাড) এর আয়োজনে এবং বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন (বিএফএফ) এর সহযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে “ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষার বর্তমান পরিস্থিতি এবং করণীয়” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মোঃ আবুল বসার মোল্লার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আঃ কাইয়ুম।
বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক বিভূতি ভূষণ দেবনাথ, চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ একেএম শিবলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু মিয়া, জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাজিদুল ইসলাম, জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি ফজিলাতুন নাহার, নাওঘাট মাদরাসার সুপার মোঃ আবুদর রউফ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেহেরুন্নেছা মুনিয়া, শাহ আলম পালোয়ান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আঃ কাইয়ূম বলেন, এই মুহুর্তে সবচেয়ে বড় সংকট বিজ্ঞানে পড়াশোনার পর যোগ্য সম্মানের। দেখা যায় যারা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হয় অথবা গবেষণা করে তাদের যথাযোগ্য মর্যাদা প্রদান করা হয়না। প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাদের চাকুরি করতে হয়। দেশে সুযোগ সুবিধাও নেই পর্যাপ্ত। হয়তো তাদের বিদেশ পাড়ি দিতে হয়, অথবা প্রশাসনের দিকে ঝুঁকতে হয়। তাই দরকার গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো এবং বিজ্ঞান চর্চায় উৎসাহিত করা যায় এমন প্রকল্প হাতে নেয়া। এই জায়গা থেকে এসসাডের কার্যক্রম সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।
আজ ১ এপ্রিল শনিবার দুপুরে পৌর শহরের দক্ষিণ মৌড়াইলে বিএনপির এই অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী।
জেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক সাঈদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন জসিম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক ও সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।
অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের ১০ দফা দাবির অন্যতম দাবি দেশ নেত্রী খালেদার মুক্তি। আমাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা লাখো লাখো মামলা প্রত্যাহার করা। তিনি বলেন, পৃথিবীব্যাপী এখন সমর্থন আমাদের পক্ষে। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন দিতে হবে। বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন হবে না।
তিনি বলেন, গতকালও আওয়ামীলীগের এক নেতা বলেছেন শহীদ জিয়া মুক্তিযুদ্ধ করে নাই। মুক্তিযুদ্ধ শহীদ জিয়াসহ আমরা আপামর জনতা করেছি। মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না, যাতে মুক্তিযুুদ্ধ প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতা পরিহার করে শান্তি-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার আহ্বানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৮ আগস্ট রোববার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্বরে মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দরা ছাড়াও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সহ-সভাপতি আবু কাউসার খানের সভাপতিত্বে ও সাঈদ হাসান সানীর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এ.বি.এম. মোমিনুল হক।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন ও সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, এবং সাবেক সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, অধ্যাপক জিয়াউল হক লাভলু, অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, সমীর চক্রবর্তী প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে- যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এদেশে চমৎকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। এটিকে কোনোভাবেই নষ্ট করা যাবে না। তাই দল-মত ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ ধরনের সহিংসতা পরিহার করে শান্তি-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৩টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন (আনারস) প্রতীক ৯২,৫৫২ ভোট পেয়ে বে-বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪১৪ ভোট।
বিজয়নগর উপজেলায় জাবেদ আহমেদ (আনারস) প্রতীক ৪৫ হাজার ১৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৯৮৫ ভোট।
নবীনগর উপজেলায় মো. ফারুক আহম্মেদ (আনারস) প্রতীক ৫৮ হাজার ৩৪৭ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬৮১ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্রটি জানায়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃংখলা বাহিনী ছিলো তৎপর। বিভিন্ন অভিযোগে ১০৭ মামলায় ৩ লাখ ৮২ হাজার ৯ শত টাকা জরিমানা ও ৩৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুই মাদ্রাসার ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার নিহত নাইমা আক্তারের বাবা বিল্লাল মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে, গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রাম থেকে নাইমা আক্তার (১৩) ও মাইমুনা আক্তার (১৫) নামের দুই মাদ্রাসার ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলায় সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসার দুই শিক্ষক হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার (২৮) ও হাফেজ রায়হান খন্দকার (২৬) সহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার ও হাফেজ রায়হান খন্দকার সদর উপজেলার পয়াগ গ্রামের আব্দুল খায়ের খন্দকারের ছেলে।
মামলার পর পর পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসায় গত ৬ মাস যাবত নাইমা আক্তার ও ২০২১ সাল থেকে মাইমুনা আক্তার পড়াশুনা করে আসছে। অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার পর মাদ্রাসা এক সপ্তাহের জন্যে বন্ধ থাকায় তারা দুইজন বাড়িতে চলে যায়। মাদ্রাসা খোলার পর গত ২৩ আগস্ট তাদের দুইজনকে যার যার পরিবারের সদস্যরা মাদ্রাসায় এনে শিক্ষকদের কাছে দিয়ে যায়। কিন্তু পরদিন ২৪ আগস্ট সকালে মাদ্রাসা থেকে মোবাইলের মাধ্যমে জানানো হয় নাইমা ও মাইমুনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই খবরে মাদ্রাসায় গিয়ে সিসি টিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে তা দেখানো হয়নি। তাদের দুইজনকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এই অবস্থায় গত ২৭ আগস্ট ভোরে সাদেকপুরে নাইমা ও মাইমুনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর দুইজনের স্পর্শকাতর স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। মরদেহের অবস্থা ও বর্ণিত আলামতের প্রেক্ষিতে বাদী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন দুই মাদ্রাসার ছাত্রীকে দুই শিক্ষক সহোদর হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার ও হাফেজ রায়হান খন্দকার ধর্ষণের পর হত্যা করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন জানান, হত্যা মামলার পর মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।