চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আপওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের সংগঠন। জন্ম নেয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ গণমানুষের অধিকার আর স্বাধীনতা নিয়ে মাঠে-ময়দানে সোচ্চার থেকেছে। মহান ভাষা আন্দোলন, সামরিক সরকার বিরোধী আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন, গণঅভুত্থান, ৭০ এর নিবাচন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাকমীরা নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বাধীন বাংলাদেশে গণমানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগই বাতিঘরের ভূমিকা পালন করেছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই বাংলাদেশ আজ সারা বিশে^ উন্নয়নের রুল মডেল। প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক ও উন্নত বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আজ ২৩ জুন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টায় শহরের হালদারপাড়াস্থ দলীয় কাযালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কী উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ গৃহীত দু’দিনের কমসূচির অংশ হিসাবে কেককাটা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মো.হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহবুবুল আলম খোকন,পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা সৈয়দ মিজানুর রেজা, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তানজিল আহমেদ, শেখ মো. আনার, মাহমুদুর রহমান জগলু, জাহাঙ্গীর আলম, স্বপন রায়, মো. মনির হোসেন, আবদুল খালেক বাবুল, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড. শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা কৃষকলীগ আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ,যুগ্ম-আহবায়ক সেলিম ভূঞা, জেলা শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা পরিবহন শ্রমিকলীগ সভাপতি বারীন্দ্রনাথ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান তানিম, জেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি রাবেয়া খাতুন রাখী, জেলা তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহ পরান, জেলা ওলামা সমন্বয় পরিষদ সভাপতি মাও ক্বারী আনিসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাও. আবদুল্লাহ, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসে শোভন।
এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আপওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি ও সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের নেতৃত্বে জেলা আপওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে সকাল ৮ টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অপণ করা হয়।
দুলাল মিয়া:
উড়শিউড়ায় মাটির চুলায় রান্না করার সময় ধোঁয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে বড় ভাই ও ভাতিজার মারধরে মনির হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ ১৫ জুন রবিবার রাতে শহরের সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত মনির ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার উড়শিউড়া এলাকার মোল্লাবাড়ির মৃত খুরশিদ মিয়ার ছেলে। পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন তিনি। তার সাত ও দেড় বছরের দুই ছেলে রয়েছে।
নিহতের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, আজ দুপুরে মনিরের ঘরের সামনে তার বড় ভাই বাবুল মিয়ার স্ত্রী দু’বেলা বেগম মাটির চুলায় রান্না করছিল। এ সময় মাটির চুলার ধোঁয়া মনিরের ঘরে ঢুকে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এ নিয়ে ভাবির সঙ্গে মনিরের কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে মনিরের বড় ভাই বাবুল ও ভাতিজা শাওন মনিরকে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে লাঠি ও ইট দিয়ে তার মাথায় গুরুতর আঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার উন্নতি না হলে বিকেলে পার্শ্ববর্তী সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্তরা গাঢাকা দেয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জানান, লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ১৮তম শিশু মেধাবৃত্তি ও শিশু মেলা আজ ০১ মার্চ বুধবার অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা সাড়ে ১১টায় সদর উপজেলার চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত, বুদ্ধিজীবী ও ইতিহাসবিদ, সাবেক সচিব সিরাজ উদদীন আহমেদ। মেলা উদ্বোধন করেন বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডঃ আবদুল মান্নান চৌধুরী।
চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের সভাপতি, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেজারার ও মাউশির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শিশু মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মকবুল আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মোঃ ইকবাল হোসেন। বক্তব্য রাখেন অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন ও কসবার ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সচিব সিরাজ উদদীন আহমেদ বলেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের দেশের কর্ণধার। তারাই দেশের নেতৃত্ব দেবে। তাই শিশুদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে। তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি প্রতিযোগীতা দেশের একটি মডেল। তিনি বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে তৈরী করতে পারবে। তিনি এই মেধাবৃত্তি চালু করায় আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ জানান।
আলোচনা সভা শেষে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির নগদ টাকা ও সাটিফিকেট তুলে দেয়া হয়। চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৭৭৮ জন শিক্ষার্থী (প্রথম শ্রেনী থেকে পঞ্চম শ্রেনী) মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৯৮জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পায়। এদের মধ্যে ৫৭জন ট্যালেন্টপুলে, ১৩৬জন সাধারণ গ্রেডে ও উপজেলা কোটায় ৫জন বৃত্তি পায়।
ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদেরকে নগদ ৩ হাজার টাকা, সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তদেরকে নগদ ২ হাজার ৫০০টাকা ও উপজেলা কোটায় বৃত্তিপ্রপ্তদেরকে নগদ ১হাজার ৫০০ টাকা করে প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, জেলার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে রড, চাপাতি, রামদা, রড কাটার ব্লেডসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
আজ ২ মে মঙ্গলবার ভোরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে পুনিয়াউট প্রজেক্ট এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কাজীপাড়ার (সরকার হাটি) মোঃ ইমন মিয়া (৩০), কাজীপাড়ার সোলেমান (২২), একই এলাকার রতন মিয়া (৩০), পশ্চিম মেড্ডার প্রেম জয় (২৩), একই এলাকার মোস্তাকিম (২০),ভাদুঘর গ্রামের মোঃ জাবেদ (৩০), উত্তর মৌড়াইলের ইতিহাস মিয়া (১৮), একই এলাকার আদনান ইসলাম (২৭), একই এলাকার আল-আমিন (২০), কান্দিপাড়ার পিয়াস মিয়া (৩২), একই এলাকার মুন্না-(২০), গোকর্ণঘাট গ্রামের সুজন মিয়া-(২০), উত্তর পৈরতলার মোঃ আল-আমিন (৩৮), বিরাসার গ্রামের মোঃ রুবেল (৩০), সদর উপজেলার সুহিলপুর গ্রামের রোমান (১৯) ও হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার মনতলা গ্রামের মোঃ রাসেল (২৩)।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, ভোরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশী অস্ত্রশস্ত্র সহ ১৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে রড, চাপাতি, রামদা, রড কাটার ব্লেডসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে পিয়াসের বিরুদ্ধে ২০টি, ইতিহাস মিয়ার বিরুদ্ধে ১৩টি, মোঃ আল আমিনের বিরুদ্ধে ১০টি, সোলেমানের বিরুদ্ধে ৮টি, রতন মিয়ার বিরুদ্ধে ৭টি, আল আমিনের বিরুদ্ধে ৬টি ও সুজন মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ২টি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুপুরে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামীসহ একাধিক মামলার ২জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। ১৬ অক্টোবর বুধবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ভাদুঘর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে মোঃ অলিউল্লাহ (৬৬) এবং রূপসদী গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মোঃ কামাল মিয়া- (৫৯)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি রাম দা, ৩টি টেটা, ২টি ছুরি, ৩ টি বল্লম, ৪৫০ ইউরো, ১২২ ইউএস ডলার ও নগদ ৭ লাখ ৩০ হাজার ৮শত টাকা উদ্ধার করা হয়।
আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। যৌথ বাহিনীর দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী বুধবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের জমি সংক্রান্ত মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী মোঃ অলিউল্লাহকে গ্রেফতার করে।
একই সময়ে যৌথ বাহিনীর অপর একটি টিম বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী গ্রামে অভিযান চালিয়ে একাধিক মামলার আসামী ও সন্ত্রাসী মোঃ কামাল মিয়াকে গ্রেফতার করে।
এ সময় তার কাছ থেকে ৫টি রাম দা, ৩টি টেটা, ২টি ছুরি, ৩ টি বল্লম, ৪৫০ ইউরো, ১২২ ইউএস ডলার ও নগদ ৭ লাখ ৩০ হাজার ৮শত টাকা উদ্ধার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লি. এ কর্মচারী নিয়োগে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অবিলম্বে নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।
আজ ১২ মার্চ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতলীর বিরাসারে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লি. এর প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। সচেতন ছাত্র সমাজের ব্যানারে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন কাজী খায়রুল আলম, মো. নুরুজ্জামান, আব্দুল আলিম, কাজী নুরুল আমিন আকাশ ও আতাউর রহমান রিপন মিয়া।
এ সময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গ্যাস ফিল্ডস-এর কিছু কর্মকর্তা ২০২১ সালে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানিতে এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে রাষ্ট্রদ্রোহী ও বিস্ফোরক মামলার আসামিদের অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে ও প্রশ্নপত্র ফাঁস করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
তারা আরো বলেন, এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা উপেক্ষা করাসহ যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে কর্মকর্তারা তাদের আত্মীয় স্বজনদের নিয়োগ দিয়েছেন। তারা অবিলম্বে এ নিয়োগ বাতিল করে নতুনভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়েব, জিএম ও এডমিন মাহমুদুন নবী মিলনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।