চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ বালক (অনুর্ধ্ব-১৭) এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকাল ৪ টায় স্থানীয় লক্ষীপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ফাইনাল খেলায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার।
এ সময় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
খেলায় নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন দল বনাম ধরমন্ডল ইউনিয়ন দল অংশ গ্রহন করে। এসময় ৩-০ গোলে ধরমন্ডল ইউনিয়ন দলকে পরাজিত করে নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন দল জয়লাভ করে।
নাসিরনগরে তথ্যকেন্দ্রের আয়োজনে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৩ ডিসেম্বর সোমবার সকালে নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কাহেতুরা গ্রামে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় জাতীয় মহিলা সংস্থার অধীনে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প(২য় পর্যায়) এর উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
নাসিরনগর তথ্য সেবা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বিপাশা জাহান কনার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কর্মকর্তা মো: শাহ আলম।
বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের উপজেলা কো-অর্ডিনেটর মো: আজাহারুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: জামাল মিয়া, সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করতে নারীর অধিকার,নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, মাদক, বাল্যবিবাহ রোধে, যৌতুক নিরোধ আইন এবং নারী নীতি,গ্রাম আদালত কি, কোন ধরণের মামলা নেয়া হয়, কিভাবে নিষ্পত্তি করা হয়,মামলা কিভাবে করতে হয়, কোথায় গিয়ে করতে হয়, মামলা নিষ্পত্তির সময়সীমা সম্পর্কে মুক্ত আলোচনা করা হয়। উঠান বৈঠকে কুন্ডা ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের শতাধিক নারী উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা পাক হানাদার মুক্ত দিবস ৭ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে নাসিরনগর উপজেলাকে শত্রুমুক্ত করেন। জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলন করে মুক্তিবাহিনীরা।
১৯৭১ সালের ১৫ নভেম্বর পাক হানাদার বাহিনী নাসিরনগর উপজেলায় তাদের বিপুল সংখ্যক সৈন্য ও দেশীয় দোসর, রাজাকার, আলবদর ও আলসামস বাহিনীর সহযোগিতায় গ্রামবাসীর উপর চালায় নিষ্ঠুর অত্যাচার ও নির্যাতন। উপজেলার ফুলপুর, নুরপুর, কুলিকুন্ডা, সিংহগ্রাম ও তিলপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের ঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। পাকবাহিনীর অমানবিক নির্যাতনে বহুলোক নিহত ও আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও সংগ্রামী জনতা পাক-বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস লড়াই করে ৭ ডিসেম্বর থানা অভ্যন্তরে (পুলিশ স্টেশন) স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে নাসিরনগরকে পাক-হানাদার মুক্ত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে জয়ী হয়েছেন কলার ছড়া প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ একরামুজ্জামান। তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯১ ভোট।
৭ জানুয়ারি রবিবার রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে ৫৪ দশমিক ৬১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান তিনি।
একরামুজ্জামান বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন। নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এরআগে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপর শুরু হয় গণনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে মোট ভোটার দুই লাখ ৫২ হাজার ৫৪৭ জন। ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসসহ মার্চ মাসে অনুষ্ঠিতব্য বিভিন্ন দিবস উদযাপন ও সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ণের লক্ষ্যে আজ ৩ মার্চ রবিবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নাসিরনগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মো: রাফি উদ্দিন আহমেদ, সহকারী কমিশনার ভূমি মোনাব্বর হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল-হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সোহাগ রানা, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) জামিল ফোরকান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: ইকবাল মিয়া, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দাস, গুনিয়াউক ইউপি চেয়ারম্যান মো: জিতু মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবদুল বাকি, সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ।
এসময় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, এনজিও প্রতিনিধি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে অসহায়, গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে পাঁচ টাকায় ইফতার দিয়েছে অবহেলিত পথশিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজ মাঠে পাঁচ টাকার বিনিময়ে এই ইফতার দেওয়া হয়। এ ইফতার সামগ্রীর মধ্যে ছিল ছোলা বুট, মুড়ি, পিঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, বুরিন্দা, লেবু ও শসা।
অবহেলিত পথশিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা উম্মে খাদিজা তালুকদার জানান, প্রতি বছরই আমি আমার এলাকায় রোজার মাসে গরীব ও দুঃস্থ মানুষের জন্য কিছু করতাম। এই পরিধিটা একটু বড় পরিসরে ইউনিয়নে করার জন্য আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে এই সংগঠনটা গঠন করি। আজ মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে ৭০ জন গরীব মানুষের মাঝে ইফতার দেওয়া হয়। পাশাপাশি যাদের পাঁচ টাকা দেওয়ার মতো ক্ষমতা নেই, তাদেরকে বিনামূল্যে খাদ্যপণ্য দেওয়া হয়। গরীব ও অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যই আমাদের এই প্রচেষ্টা।
তিনি আরো জানান, আমি পড়াশোনার পাশাপাশি প্রাইভেট পড়াই। এছাড়া বন্ধু ও স্বজনদের কাছ থেকে নেওয়া টাকার পাশাপাশি ফেসবুকে পোস্ট করে অর্থ সংগ্রহ করি।
তিনি বলেন, তার এই সংগঠন বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজ করে থাকে। গতকাল ২২ মার্চ শুক্রবার সংগঠনের মাধ্যমে একটি এতিমখানায় ১০০ জনের ইফতার (বিরিয়ানি) দেওয়া হবে। সমাজের বিত্তবানরা যদি যার যার অবস্থান থেকে গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় তাহলে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে উঠবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ১৯ অক্টোবর মাসে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী উম্মে খাদিজা তালুকদারসহ চারজন বন্ধু মিলে ফাউন্ডেশনটির কাজ শুরু করেন। বর্তমানে এ ফাউন্ডেশনে প্রায় তিনশ’র অধিক সদস্য রয়েছে।