চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের ঐচ্ছিক তহবিল থেকে উপজেলার ৯৫জন হতদরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মধ্যে ৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
আজ ২৪ জুন শনিবার সকালে স্থানীয় ডাকবাংলো অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম অনুদানের এইসব চেক বিতরণ করেন।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অসিম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ লতিফ হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস, জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া হাকিম রাজা, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রায়হান আলী ভূঁইয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ৯৫ জন অসহায় দুঃস্থ মানুষের মাঝে ৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে শিশু হত্যা মামলার বাদী ও সাক্ষীদের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওরসে যাওয়ার কথা বলে প্রতিবেশী রিফাত মিয়া (১৩) ও লিটনের (১৭) সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় কুলিকুন্ডা গ্রামের মোঃ রনি মিয়া (৭)। ঘটনার তিনদিন পর একটি পুকুর থেকে শিশু রনির মরদেহের খোঁজ মেলে। পরিবারের লোকজন এর সাথে রিফাত ও লিটনের সম্পৃক্ততার কথা তুললে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন তারা। এ ঘটনায় আটককৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনজনকে আসামী করে গত ২ মার্চ নাসিরনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত রনির মা ছুলেমা বেগম।
পরবর্তীতে আসামীদের বাচাঁতে বাদী, স্বাক্ষীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গত ২৬ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে লুটপাটের একটি মামলা দায়ের করেন আসামী রিফাতের বড় ভাই আলমগীর মিয়া।
মামলারবাদী ও নিহত রনির মা ছুলেমা বেগম জানান, তারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। হত্যার পর ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দীও দিয়েছে তারা। এখন আমার ছেলেকে হত্যা করে আবার উল্টো আমার মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধেই করা হয়েছে মিথ্যা মামলা। হত্যাকারী রিফাতের মামা সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়ার বাসিন্দা আলাল মিয়া হুমকি দিচ্ছে আদালতে গেলে মেরে লাশ গুম করে ফেলা হবে।
রনি হত্যা মামলার সাক্ষী রাসেল মিয়া বলেন, আসামীরা আমাকে হুমকি দিচ্ছে স্বাক্ষী না দেওয়ার জন্য। আদালতে যেতে চাইলে সরাইল বিশ্বরোড পার হবার আগেই গুম করার হুমকি দিচ্ছে আসামীর মামা আলাল মিয়া। এখন আমি ভয়ে আছি।
আসামীদের করা মামলার বাদী আলমগীর মিয়া জানান, আমরা কাউকে হুমকি দেইনি। আমাদের বিরুদ্ধে করা এসব অভিযোগ মিথ্যা।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ওরসে গিয়ে নিখোঁজ রনির মরদেহটি একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্তেই বের হবে সত্য ঘটনাটা কি, কোন ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানি করার সুযোগ নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ প্রকল্পের ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১৬ মে মঙ্গলবার দুপুরে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়নে উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে ট্যাবলেট বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমেদ, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া ও নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পুতুল রাণী দাস প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অফিসের উদ্যোগে নিষিদ্ধ চায়না জালের বিরুদ্ধে সপ্তাহব্যাপী অভিযান শুরু হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে আজ ২৬ জুলাই বুধবার পর্যন্ত এক সপ্তাহের অভিযানে প্রায় ২০ হাজার মিটার নিষিদ্ধ চায়না জাল আগুনে পুড়ানো হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় অর্ধ কোটি টাকা।
নাসিরনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৫ দিন হলো বর্ষার পানি নাসিরনগরের বিভিন্ন হাওর ও বিলে ঢুকতে শুরু করেছে। ফলে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মা মাছ নুতন পানি পেয়ে প্রজনন শুরু করেছে। এতে ডিম থেকে শুরু করে সব ধরণের মা মাছ সহজেই চায়না জালে ধরা পড়ছে। আর হুমকিতে পড়েছে হাওরের দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন।
মৎস্য কর্মকর্তা শুভ্র সরকার বলেন, হাওরের দেশীয় মাছের প্রজনন ধরে রাখতে মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে গত সাত দিন উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালানো হয় বিভিন্ন হাওর-বিল ও স্থানীয় অসাধু ব্যবসায়ীর গোডাউনে। সবশেষ আজ চাতলপাড় ইউনিয়নের বড় বাজারে অভিযান চালিয়ে পাঁচটি গোডাউন থেকে ১০ হাজার মিটার চায়না জাল ও দুই হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে আগুনে পোড়ানো হয়। এরপর গুডোউনগুলো সিলগালা করে দুই ব্যক্তিকে পাঁচ হাজার করে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নাসিরনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোনাব্বর হোসেন বলেন, হাওরের মাছকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। যারা নিষিদ্ধ চায়না জাল ব্যবহার করে মাছের প্রজননে বাধা প্রদান করবে তাদেরই মৎস্য আইনের আওতায় আনা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে শিউলি আক্তার (৪৫) নামের এক নারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ২৪ মে শুক্রবার দুপুরে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শিউলি আক্তার উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়ার দুবাইপ্রবাসী আব্দুর রহমানের স্ত্রী। পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রায় ১৮ বছর আগে উপজেলা সদরের আব্দুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় শিউলির। বিয়ের কিছুদিন পর প্রবাসে চলে যান তার স্বামী। ঘটনার আগের দিন বৃহস্পতিবার তার একমাত্র মেয়ে চাঁদনী উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের পূর্বভাগ গ্রামে তার মামার বাড়ি চলে যান।
শুক্রবার সকালে চাঁদনী স্বজনদের মাধ্যমে জানতে পারেন, তার মায়ের লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। চাঁদনীর অভিযোগ, তার মাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে পারছেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আজদু মিয়া বলেন, ঘরের কোনো মালপত্র, টাকাপয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার খোয়া যায়নি।
নাসিরনগর থানার ওসি মো. সোহাগ রানা সাংবাদিকদের বলেন, এটি হত্যা নাকি অন্য কিছু, ময়নাতদন্ত করার পরই বলা যাবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাইশা আফরিন সুবর্ণা (১৪) নামের এক কিশোরী বিয়ের তিনমাসের মাথায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরীর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাইশা আফরিন সুবর্ণা উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বীরপাশা গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে। নাসির উদ্দিন বলেন, তার কিশোরী মেয়ে সুবর্ণা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পার্শ্ববর্তী বিন্নিঘাট এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২২) তার মেয়েকে পছন্দ করতেন। পরে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য তার মেয়ে সুবর্ণাকে অত্যাচার করতো মনির। বিয়ের সময় মনিরকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার পর সে আরও যৌতুককের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তার মেয়েকে তালাক দিবে একথা বলেন মনির। সে কথা শুনে সুবর্ণা শনিবার বিকেলে শোবার ঘরের বাশের তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি আরও বলেন, মনিরের চাপের কারণে তার মেয়ে সুবর্ণাকে বিয়ে দিতে হয়। মনিরের কারনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।