অনলাইন ডেস্ক :
নিজ ঘরের মানুষের বিদ্রোহে সব উলট-পালট করে দেয়। যেমনটি ঘটেছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের ক্ষেত্রে। তার দীর্ঘদিনের সঙ্গী ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন হঠাৎ বিদ্রোহ করে বসে। আর এতে সব হিসাব পাল্টে যেতে থাকে। দ্রুত ঘুরে যেতে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে মোড়। রাশিয়া যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে নিজ ঘর রক্ষায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে ২৪ ঘন্টা পার না হতে সেই ভয়ঙ্কর পরিস্তিতি থেকে বেরিয়ে আসছে পেরেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। বলা চলে বেঁচে গেলে তিনি।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে রাশিয়ার একচ্ছত্র ক্ষমতায় রয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। দিন দিন বেড়েছে সেই ক্ষমতা। রাজনৈতিক জীবনে বহু বাধা আর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি পড়তে হয়েছে তাকে। সেসব উৎরেই এই পর্যন্ত এসেছেন তিনি। ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পর থেকে নানা সংকট তাকে নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। তবে সেই পরিস্থিতি হঠাৎ করে কালবৈশাখীতে রুপ নেয় বেসরকারি আধা-সামরিক বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহ।
ভয়ংকর এক দিন পার করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। বলা হচ্ছে, ক্ষমতাসীন পুতিনকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করে এত বড় হুমকিতে এর আগে ফেলতে পারেনি কেউ। তবে এই যাত্রায় ‘বেঁচে’ গেলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
জানা গেছে, রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন ‘রক্তপাত এড়াতে’ তার অনুগতদের মস্কোমুখী যাত্রা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তিনি নিজে বেলারুশে নির্বাসিত জীবনযাপন করতে রাজি হয়েছেন। এর মাধ্যমে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের রাজনৈতিক জীবনে নেমে আসা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্চের অবসান হলো বলে ধারণা করা হয়েছে।
নতুন কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায় যে প্রিগোঝিন ও তার বাহিনী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় রোস্তভ-অন-ডন ত্যাগ করছে।
এদিকে বেলারুশের প্রেসিডেন্টের সাথে করা চুক্তির ব্যাপারে ক্রেমলিন খুব বেশি কিছু বলছে না। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেছেন, প্রিগোঝিনকে প্রেসিডেন্ট পুতিন ‘কথা দিয়েছেন’ যে তিনি বেলারুশে যেতে এবং সেখানে বসবাস করতে পারবেন। আর তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রত্যাহার করা হবে।
এর আগে রাশিয়ার রাজধানী দখলের উদ্দেশে লিপেৎস্ক থেকে ২০০ কিলোমিটার এগিয়ে গিয়েও আচমকা থমকে যায় প্রিগোঝিনের ভাড়াটে সেনাবাহিনী। কারণ হিসাবে জানানো হলো, রক্তপাত এড়াতেই আপাতত মস্কো অভিযান স্থগিত। ভাড়াটে সেনাবাহিনীর প্রধান প্রিগোঝিন নিজের টেলিগ্রামে জানিয়েছেন, রক্তপাত এড়াতেই মস্কো দখলের পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি, বিবিসি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বেলারুসের নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সাথে এ বিষয় নিয়ে কথা হয় ভাড়াটে সেনাবাহিনীর প্রধান প্রিগোঝিনের। তার পরেই প্রিগোঝিন মস্কোর দিকে ধাবমান সেনাসদস্যদেরকে ফিরে আসার নির্দেশ দেন।
চলতি সপ্তাহেই ইউক্রেনের সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে বড় অভিযান শুরু করে বিদ্রোহী ওয়াগনার বাহিনী। প্রিগোজিনের মালিকানাধীন ভাড়াটে যোদ্ধারা শনিবার সকালে ইউক্রেন সীমান্তের অদূরে পশ্চিম রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহর ভোরোনেজ দখল করে বলে কয়েকটি পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে। এর আগে ওয়াগনার বাহিনী শুক্রবার ইউক্রেন সীমান্ত লাগোয়া রোস্তভ-অন-ডন শহরের দখল নিয়েছিল। প্রিগোজিন দাবি করেছেন, একটি গুলি খরচ না-করেও রোস্তভ-অন-ডন শহরে সেনার সদর দফতর দখল করে তার বাহিনী। আর এতে সহায়তা করেছেন স্থানীয়েরা। তিনি একটি অডিও-বার্তা দিয়ে জানিয়েছিলেন, গোটা দেশের তার বাহিনীকে সমর্থন করা উচিত। কারণ তার বাহিনী ‘ন্যায়ের পদযাত্রায় নেমেছে। রোস্তভ-অন-ডন থেকে মস্কোর দূরত্ব প্রায় হাজার কিলোমিটার। এর পর মস্কোর দিকে আরো ২০০ কিলোমিটার এগিয়ে যায় তারা। কিন্তু তার পরেই আচমকা বন্ধ অভিযান।
কিন্তু আচমকা কেন মন বদল হলো একদা পুতিনের সহচর প্রিগোঝিনের? তার একাধিক ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে। বিবিসির নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাবিষয়ক সাংবাদিক ফ্রাঙ্ক গার্ডনারের দাবি, মস্কো অভিযান অসমাপ্ত রাখার চাপের উৎস রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনই। লুকাশেঙ্কোকে কাজে লাগিয়ে তিনি ভাড়াটে বাহিনীকে ঘোল খাইয়ে দিলেন। পাশাপাশি, গার্ডনারের বক্তব্য, প্রিগোঝিন মস্কো দখলের অভিযানে যোগ দিতে যে প্রকাশ্য বার্তা দিয়েছিলেন জনসাধারণের কাছে, তা-ও কাজে আসেনি। রাশিয়ার সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহ তো দূরঅস্ত , সাধারণ মানুষকেও খুব বেশি সংখ্যায় ভাড়াটে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে দেখা যায়নি। তাই সম্ভবত দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থা থেকেই মস্কো অভিযান বাতিল করার ভাবনা প্রিগেঝিনের। মস্কো অভিযান বাতিল হলো বটে, কিন্তু এর পর কী হবে প্রিগোঝিনের? তার রাজনৈতিক বা সামরিক ভবিষ্যৎ কিন্তু এখন পুতিনের মুঠোবন্দি, এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একটি অংশ।
একদা পুতিন-ঘনিষ্ঠ হোটেল ব্যবসায়ী প্রিগোঝিনের ওই ভাড়াটে বাহিনী রুশ সেনাবাহিনীর অংশ নয়। কিন্তু গত দেড় বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে তারা রুশ বাহিনীর সহযোগী হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। অতীতে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে গৃহযুদ্ধেও লড়েছে এই পেশাদার ভাড়াটে বাহিনী। ইউক্রেন যুদ্ধের কৌশল নির্ধারণ নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং সেনাপ্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভের সাথে মতবিরোধ চলছিল প্রিগোঝিনের। রুশ সেনাবাহিনী পরিকল্পিতভাবে ওয়াগনার যোদ্ধাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছিল বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এ বার সরাসরি মস্কোর বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে ধরেছে প্রিগোজিনের ভাড়াটে যোদ্ধারা।
ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে প্রায় ২০ হাজার ওয়াগনার যোদ্ধা মস্কো দখলের অভিযানে নেমেছিল বলে একাধিক সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছিল। তাদের রুখতে রুশ ‘চপার’ (যুদ্ধ হেলিকপ্টার) ধারাবাহিক আক্রমণ চালাচ্ছিল। এমনকি, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সাধারণ নাগরিকদের প্রাণহানির ঝুঁকি সত্ত্বেও আকাশপথে হামলা চালানো হয়। প্রেসিডেন্ট পুতিন শনিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেন, ‘বিশ্বাসঘাতকেরা সমুচিত জবাব পাবে।’ প্রিগোঝিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেন তিনি।
শনিবার সন্ধ্যায় যখন রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর দিকে এগিয়ে আসছিল প্রিগোঝিনের ভাড়াটে বাহিনী, এই পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের শহরে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে সতর্ক করছিলেন মস্কোর মেয়র সেরগেই সোবিয়ানিন। তিনি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন, ‘পরিস্থিতি কঠিন। আমি বলব, যতটা সম্ভব শহরে ঘুরে বেড়ানো বন্ধ করুন।’ তিনি এ-ও জানিয়েছিলেন, শহরের বেশ কিছু রাস্তা বন্ধ থাকবে। রাশিয়ার রোস্টভ শহর দখল করেছে ওয়াগনার যোদ্ধারা। ইউক্রেন-সংলগ্ন দক্ষিণ রাশিয়ার রোস্টভ অঞ্চলের গভর্নরও বাসিন্দাদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু ভারতীয় সময় মধ্যরাতেই নাটকীয় পালাবদল!
একদা পুতিন-ঘনিষ্ঠ
প্রিগোজিন একদা পুতিন-ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন। পেশায় হোটেল ব্যবসায়ী। তার ওই ভাড়াটে বাহিনী রুশ সেনার অংশ নয়। কিন্তু গত দেড় বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে তারা রুশ বাহিনীর সহযোগী হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। অতীতে লিবিয়া, সিরিয়া, মোজাম্বিক, সুদানের মতো দেশে গৃহযুদ্ধেও লড়েছে প্রায় ৪০ হাজার যোদ্ধার এই পেশাদার ভাড়াটে বাহিনী। ইউক্রেন যুদ্ধের কৌশল নির্ধারণ নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং সেনাপ্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভের সাথে মতবিরোধ চলছিল প্রিগোজিনের। রুশ সেনাবাহিনী পরিকল্পিতভাবে ওয়াগনার যোদ্ধাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছিল বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এবার সরাসরি মস্কোর বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে ধরেছে প্রিগোঝিনের ভাড়াটে যোদ্ধারা।
‘ন্যায়ের পদযাত্রা’
চলতি সপ্তাহেই ইউক্রেনের সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে বড় অভিযান শুরু করেছিল বিদ্রোহী ওয়াগনার বাহিনী। প্রিগোঝিনের মালিকানাধীন ভাড়াটে যোদ্ধারা শনিবার সকালে ইউক্রেন সীমান্তের অদূরে পশ্চিম রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহর ভোরোনেজ দখল করে বলে কয়েকটি পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছিল। এর আগে ওয়াগনার বাহিনী শুক্রবার ইউক্রেন সীমান্ত লাগোয়া রোস্তভ-অন-ডন শহরের দখল নিয়েছিল। প্রিগোজিন দাবি করেছেন, একটি গুলি খরচ না-করেও রোস্তভ-অন-ডন শহরে সেনার সদর দফতর দখল করেছে তার বাহিনী। আর এতে সহায়তা করেছেন স্থানীয়েরা। তিনি একটি অডিও-বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, গোটা দেশেরই তার বাহিনীকে সমর্থন করা উচিত। কারণ তার বাহিনী ‘ন্যায়ের পদযাত্রা’য় নেমেছে। রোস্তভ-অন-ডন থেকে মস্কোর দূরত্ব প্রায় হাজার কিলোমিটার। এর পর মস্কোর দিকে আরো কয়েক শ’ কিলোমিটার এগোয় তারা। তার পরেই অভিযান বাতিল ঘোষিত হয়। সূত্র : আল জাজিরা, সিএনএন, বিবিসি ও অন্যান্য।
অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ার কেদাহ রাজ্যে অভিযান চালিয়ে ২২২ জন বাংলাদেশি প্রবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। অভিযানে বাংলাদেশি ছাড়াও ৫ জন চীনা ও ১ জন ভারতীয় নাগরিক আটক হয়েছে।
আজ ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার কেদাহ রাজ্যের কুলিমে বিদেশি কর্মী নিয়োগকর্তা পরিবর্তনের পরিষেবা প্রদানকারী অফিসে সমন্বিত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে কেদাহ ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর মোহাম্মদ রিদজুয়ান মোহাম্মাদ জেইন বলেন, ‘কেদাহ জিআইএম এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড অপারেশনস ইউনিটের ইমিগ্রেশন অফিসারদের একটি দল এই অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ২২৮ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়। যাদের মধ্যে ২২২ জন বাংলাদেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযানের সময় তদন্তে দেখা গেছে, জড়িত কর্মসংস্থান সংস্থাগুলো একটি নির্দিষ্ট ফি দিয়ে বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা পরিবর্তনের পরিষেবা দিয়ে আসছিল।
এজেন্সিটি সব সেক্টরে কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রচারের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আসছিল। আটকদের ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আলোর সেতার ইমিগ্রেশন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসীদের আরও সর্তক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে কেদাহ ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর বলেন, ‘কোনো কর্মসংস্থান সংস্থা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ওই সংস্থাটি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধিত কি না তা নিশ্চিত হয়ে সেখানে যেতে হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বরেকর্ড গড়তে কতরকম অদ্ভুত ঘটনাই না ঘটান লোকজন। টানা সাত দিন কেঁদে সাময়িক দৃষ্টি হারিয়ে এমনই এক অদ্ভুত কাজ করেছেন টেম্বু এবেরে নামের এক নাইজেরিয়ান যুবক।
বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এবেরে গিনেস রেকর্ডে নাম উঠাতে জোর করে এক সপ্তাহ কান্না করেন। পরে তার মাথাব্যথা শুরু হয় ও চোখ-মুখ ফুলে যায়। এ ঘটনার পর ৪৫ মিনিট দৃষ্টিহীন ছিলেন এবেরে।
তবে রেকর্ড গড়তে ঝুঁকি নিয়ে নাইজেরিয়ানদের এমন কাজ না করার পরামর্শ দিয়েছে জিডব্লিউআর।
টেম্বু বিবিসিকে জানান, যেহেতু গিসেস বুকে নাম লেখানোর জন্যে তিনি আবেদন করেননি, তাই তার এই রেকর্ড গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ আমলে নিচ্ছে না।
অনলাইন ডেস্ক :
ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল। তীব্র তাপ এবং প্রবল বাতাসের কারণে দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অ্যাডহক কমান্ড সেন্টারে জরুরি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলের কয়েকটি এলাকায় হঠাৎই ভয়াবহ দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে। বিমান, হেলিকপ্টার মোতায়েন করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং তীব্র বাতাসের কারণে বেশ কয়েকটি জায়গায় বুধবার (২৩ এপ্রিল) আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় শহর খালি করে দিয়েছে।
প্রতিবেদন মতে, বেইত শেমেশ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ফলে এশতাওল, বেইত মেইর এবং মেসিলাত জিওন থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে এবং পুলিশ ওই এলাকা থেকে জেরুজালেমে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা (রুট ৩৮) বন্ধ করে দিয়েছে।
জানা যায়, আগুন প্রথমে শহরের কেন্দ্রস্থলের কাছে মোশাভ তারুমের কাছে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নেভানোর কাজ শুরু করার সময় প্রবল বাতাসের কারণে তা আরও বেড়ে যায়।
ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ অথরিটির একজন মুখপাত্র টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, এ আগুনে ৯ জন সামান্য আহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাতজন দমকলকর্মী এবং দু’জন বেসামরিক ব্যক্তি রয়েছেন।
অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কর্তৃপক্ষ আগুন নেভানোর জন্য ছয়টি জেলা থেকে অগ্নিনির্বাপকদের তালিকাভুক্ত করেছে এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফও যোগ দিয়েছে আগুন নেভানোর কাজে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর তলিয়ে গেছে। পানি উঠেছে আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রামে। পানির তোড়ে একটি অস্থায়ী সেতু ভেঙে আখাউড়া-আগরতলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত থেকে আখাউড়ায় ভারি বর্ষণ শুরু হয়।
সকাল থেকে বন্দরের পাশ বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে। এক পর্যায়ে স্থলবন্দর, বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেবনগরসহ অন্তত ১০টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। ভেঙে যায় গাজীরবাজার এলাকার অস্থায়ী সেতু। এর আগে গতকাল ২০ আগস্ট মঙ্গলবার খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর বাধের কিছু অংশ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছেন।
দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন জানান, সকালে তীব্র বেগে ভারতীয় পাহাড়ি পানি ঢুকতে থাকে। এতে কয়েকটি গ্রামে পানি ওঠার পাশাপাশি আখাউড়া-আগরতলা সড়কের অস্থায়ী সেতু ভেঙে যায়। পুরো বন্দর এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
ইউএনও গাজালা পারভীন জানান, বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এলাকাবাসী মিলে বাঁধের অংশ মেরামত করেছেন। সেতুটি মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে, দ্রুত যান চলাচলের উপযোগী করা যাবে না।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথের নির্দেশনা অনুযায়ী, বর্তমান সিডিপ্যাপ সেবাগ্রহীতারা আগামী ১ এপ্রিলের মধ্যে তাদের কেস পিপিএলে স্থানান্তর করতে পারবেন। যারা একবারেই নতুন, তারা ১ মার্চ থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ থেকে বারবার বর্তমান সেবাগ্রহীতাদের নিবন্ধন পিপিএলের সঙ্গে করার জন্য বলা হয়েছে। যারা এই স্থানান্তর করবেন না, তারা পরবর্তী সময়ে কী ধরনের সমস্যায় পড়বেন, তা এখনো স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে না। তবে এই মুহূর্ত পর্যন্ত এটাই নিয়ম, সিডিপ্যাপের সেবাগ্রহীতারা তাদের একই রকম সেবা ও সুযোগ ধরে রাখতে চাইলে তাদেরকে পিপিএলের অধীনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এখন পর্যন্ত অন্য কোনো বিকল্প নেই। ডেডলাইন ১ এপ্রিল ধরেই কাজ চলছে। তবে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ হাজার সিডিপ্যাপ সেবাগ্রহীতা রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ। সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতাকে পিপিএলের সঙ্গে যাওয়ার জন্য কিছু নথিপত্রে সাইন করতে হবে। এখন যারা রেজিস্ট্রেশন করছেন, তাদের সেবা প্রদানের বিষয়টি ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থেকে যারা হোম কেয়ার সেবা দিচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগই সেবাগ্রহীতাদের পরামর্শ দিচ্ছেন এখনই পিপিএলে স্থানান্তর না করতে। তারা অপেক্ষা করার জন্য বলছেন। সে হিসেবে অনেক সেবাগ্রহীতাই সিদ্ধান্ত নিতে অপেক্ষা করছেন। যেসব সেবাগ্রহীতা সিডিপ্যাপের মাধ্যমে সেবা পাচ্ছেন, তাদের পরিবার-পরিজনের মাধ্যমে সেবা নিচ্ছেন, তারা চাইছেন পিপিএল হোক বা এখন তিনি যেভাবে সেবা পাচ্ছেন ও তার সেবাদাতা যে সুবিধা পাচ্ছেন, সে ধরনের সেবা ও সুবিধা বহাল রাখতে। বাংলাদেশি মালিকানাধীন হোম কেয়ার এজেন্সিগুলোর বেশির ভাগই বলছে, ২৮ মার্চ থেকে ১ এপ্রিলের মধ্যে স্থানান্তর করলেই হবে। একটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশি মালিকানাধীন হোম কেয়ার এজেন্সিগুলো তাদের রোগীদের নিয়েই পিপিএলের অধীনে যাবে। সে ক্ষেত্রে একেকটি এজেন্সি তাদের মতো করে পিপিএলের সঙ্গে সমঝোতা করবে।
২৫ জানুয়ারি নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ থেকে নতুন একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। সেখানে পিপিএলের অধীনে সেবাগ্রহীতাদের কেস স্থান্তান্তর করার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ থেকে নিউইয়র্কার্স স্টেটওয়াইড সিডিপ্যাপের ট্রান্সজিন প্রোগ্রেসের বিষয়ে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ মেডিকেড কনজিউমার নির্দেশিত ব্যক্তিগত সহায়তা প্রোগ্রামকে (সিডিপিএপি) একক আর্থিক মধ্যস্থতাকারীতে (এফআই) স্থানান্তরিত করছে। নতুন এফআই হলো পাবলিক পার্টনারশিপ এলএলসি (পিপিএল)। কেস স্থানান্তরের বিষয়ে বলছে, পিপিএলে রূপান্তর শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এবং সব গ্রাহককে অবশ্যই এপ্রিলের মধ্যে স্থানান্তর করতে হবে। নিবন্ধনকরণ বিষয়ে বলছে, নতুন গ্রাহক এবং ব্যক্তিগত সহকারীরা ১ মার্চ থেকে পিপিএলের সঙ্গে নিবন্ধন করতে পারেন। ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষার বিষয়ে বলা হচ্ছে, স্বাস্থ্য অধিদফতর জোর দেয়, সমস্ত ব্যক্তিগত ডেটা স্থানান্তর প্রক্রিয়াজুড়ে সুরক্ষিত থাকবে। তদারকির বিষয়ে বলছে, একক স্টেটব্যাপী এফআই কাঠামো প্রোগ্রামটির তদারকি উন্নত করবে, জালিয়াতি হ্রাস করবে এবং আইনগুলোর সঙ্গে সম্মতি উন্নত করবে। রূপান্তর সুবিধার বিষয়ে বলছে, একক এফআই কাঠামো প্রোগ্রামে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিয়ে আসবে। আর একক এফআই কাঠামো আরও ভালো প্রতিবেদন এবং আইনগুলোর সঙ্গে সম্মতি সক্ষম করবে।
নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ আপডেটস নিউইয়র্কারদের স্টেটব্যাপী সিডিপ্যাপ ট্রানজিশন প্রগ্রেসে দেখা যাচ্ছে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ হাজারেরও বেশি গ্রাহক হয়েছেন, যারা নিবন্ধনকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বা শেষ করেছেন। নিবন্ধনকরণ উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত হতে থাকবে। ১ এপ্রিল লক্ষ্যপূরণের জন্য নিউইয়র্ক ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ বিষয়গুলো মনিটরিং করবে।
স্টেট স্বাস্থ্য কমিশনার ডা. জেমস ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন, এই রূপান্তরটি পরিকল্পনা অনুসারে এগিয়ে চলছে এবং আমরা ১ এপ্রিল সময়সীমা পূরণের জন্য ট্র্যাকে রয়েছি। পাবলিক পার্টনারশিপস এলএলসির সঙ্গে আমাদের অংশীদারির মাধ্যমে ১১টি ইন্ডিপেডেন্ট লিভিং সেন্টারসহ ৩০টিরও বেশি ফ্যাসিলেটর রয়েছে। আমরা নিউইয়র্কারদের জন্য আরও শক্তিশালী, আরও টেকসই ভোক্তা নির্দেশিত ব্যক্তিগত সহায়তা কর্মসূচি সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। যারা তাদের প্রয়োজনীয় যত্ন নেওয়ার যোগ্য, তারা যত্ন নেওয়ার উপযুক্ত সেবা পাবেন তাদের বাড়িতে।
নিবন্ধন করার জন্য ফোন করা যাবে ১-৮৩৩-২৪৭-৫৩৪৬ বা টিটিওয়াই : ১-৮৩৩-২০৪-৯০৪২-এ। পিপিএলের সমর্থন কেন্দ্রকে কল করতে হবে এবং পিপিএলের সদস্য প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে সহায়তা করবেন। কেউ চাইলে পিপিএলএফআরএসটি.কম/সিডিপ্যাপ-তে পিপিএলের ওয়েবসাইটে গিয়ে পিপিএল@হোম অ্যাক্সেস করা যাবে। পিপিএল বা আইএলসিএসসহ অন্য কোনো অনুমোদিত সিডিপ্যাপ সুবিধার্থীর সঙ্গে কাজ করতে পারবেন, যারা প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে গাইড করতে পারে। অনুমোদিত সিডিপ্যাপ সুবিধার্থীদের একটি তালিকা রয়েছে সিডিপিএপি ফ্যাসিলেটর পিপিএল ফার্স্ট, সেখানে যে যার পছন্দ সেসব এফআইকে বেছে নিতে পারেন।