চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে চলতি অর্থ বছরে ক্যান্সার-কিডনীসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত সাতশত রোগীর মধ্যে সাড়ে তিন কোটি টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ২৫ জুন রবিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনে কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ৫৬জন রোগীর প্রত্যেকের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।
সমাজসেবা অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক আবু আবদুল্লাহ মোঃ ওয়ালী উল্লাহ’র সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ রুহুল আমিন এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া কঠিন দূরারোগ্য ব্যাধি। এসব রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে এসব রোগীদেরকে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সমাজসেবা অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক আবু আবদুল্লাহ মোঃ ওয়ালী উল্লাহ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ৫৬জন রোগীর হাতে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম অনুদানের চেক তুলে দিয়েছেন। বাকী রোগীদেরকে স্ব-স্ব উপজেলায় অনুদানের চেক দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার তিতাসের বুকভরা ঢেউ আর প্রাণের উচ্ছাসে তিতাস নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি গাঁওগেরাম পয়েন্ট থেকে মেড্ডা মেড্ডা সরকারি শিশু পরিবার পয়েন্ট পর্যন্ত তিতাস নদীতে এই নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুুপুর পৌনে তিনটার দিকে শিমরাইলকান্দি গাঁওগেরাম পয়েন্টে নৌকা বাইচ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। প্রতিযোগীতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলার ১৫টি নৌকা অংশ গ্রহন করে।
এর মধ্যে ছিলো সদর উপজেলার ৪ টি নৌকা (ভাড়াকৃত), বিজয়নগর উপজেলার ৫টি নৌকা, সরাইল উপজেলার ১টি নৌকা, আশুগঞ্জ উপজেলার ২টি নৌকা (ভাড়াকৃত) নবীনগর উপজেলার ২টি নৌকা (ভাড়াকৃত) ও নাসিরনগর উপজেলার ১ টি নৌকা ( ভাড়াকৃত) প্রতিযোগীতায় নবীনগর উপজেলার নৌকা প্রথম, সরাইল উপজেলার নৌকা দ্বিতীয় এবং সদর উপজেলার নৌকা তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
বিকেল ৫টায় মেড্ডা সরকারি শিশু পরিবার পয়েন্টে তিতাস নদীর পাড়ে অনুষ্ঠিত পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রথম স্থান অর্জনকারী নবীনগর উপজেলার নৌকাকে নগদ ১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী সরাইল উপজেলার নৌকাকে ৫০ হাজার ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী সদর উপজেলার নৌকাকে ৩০ হাজার টাকা পুরষ্কার দেয়া হয়। এছাড়াও নৌকা বাইচে অংশ নেওয়া ১৫ টি নৌকাকেই ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, যত দিন বাঙ্গালি ও বাংলা সংস্কৃতি থাকবে তত দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, তিতাসপাড়ে আজ হাজার হাজার মানুষ। এতেই বুঝা যায় মানুষ নৌকা বাইচকে কত ভালোবাসে। তিনি নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠানের সাথে জড়িত সকলকে ধন্যবাদ জানান।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, মহামারি করোনার কারনে গত দুই বছর ২০২০ এবং ২০২১ সালে নৌকা বাইচ বন্ধ ছিলো। করোনার পর ২০২২ সালে আবার নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। আগামীতেও এই নৌকা বাইচ অব্যাহত থাকবে।
এদিকে নৌকা বাইচকে কেন্দ্র করে দুপুরের পর থেকে শহরে মানুষের ঢল নামে। নৌকা বাইচ উপভোগ করতে শহরের শিমরাইলকান্দি থেকে মেড্ডা পর্যন্ত তিতাস নদীর তীরে জন¯্রােতে পরিনত হয়। নদীর পাড় ছাড়াও মানুষ নদীর পাড়ের বহুতল বিশিষ্ট ভবনের ছাদে উঠে, শেখ হাসিনা সড়কের ব্রীজে উঠে নৌকা বাইচ উপভোগ করে। আবার অনেকেই নৌকা বাইচ উপভোগ করতে ছোট ছোট নৌকা ভাড়া করে পরিবার পরিজন নিয়ে তিতাস নদীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়।
এদিকে নৌকা বাইচ উপলক্ষে প্রতিযোগীতাস্থলে পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও নৌ-পুলিশের কয়েকটি টীম নিয়োজিত থাকে। এছাড়াও ছিল ডুবুরী দল, ফায়ার সার্ভিস ও মেডিকেল টীম। পাশাপাশি নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা সুন্দরভাবে করার জন্য জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের নেতৃত্বে ৮টি টীম কাজ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতে পালিয়ে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, ‘চট করে ঢুকবেন, ফট করে জেলে যাবেন। গর্ব করে তিনি বলতেন, শেখ হাসিনা পালায় না। এখন শেখ হাসিনা মাথা নিচু করে পালিয়ে যান।’
আজ ২৬ অক্টোবর শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে আয়োজিত খেলাফত মজলিসের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ নিয়াজী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ‘বিগত সময়ে আমাদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। গ্রেপ্তার, হয়রানি, গুম সব করা হয়েছে। ১৬ বছরে অত্যাচারের ষোলো কলা পূর্ণ হওয়ার পর শেখ হাসিনা আর সময়ই পায়নি। তাকে পালাতে হয়েছে।’ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে আমার-আপনার ভাই মারা গেছেন। শেখ হাসিনার পরিবারের কেউ মারা যায়নি। শেখ হাসিনার বাবা স্বাধীনতার ঘোষক নন, কিংবা স্বাধীনতাসংগ্রামীও নন। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় তার বাবা পাকিস্তানে বন্দি ছিল।’
ইসলামী দলগুলোকে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে আহমদ আবদুল কাদের আরো বলেন, ‘ঐক্যের বিকল্প নাই। একেকটি আসনে ইসলামী দলের একেকজন প্রার্থী দিতে হবে। যে স্বপ্ন বাঁচার, যে স্বপ্ন এগিয়ে যাওয়ার সেটা নস্যাৎ করতে দেওয়া যাবে না। আমরা প্রভাবমুক্ত রাষ্ট্র চাই। আমরা বলতে চাই, বাঙালির কণ্ঠরোধ করা যায়, দমিয়ে রাখা যায় না। শুধু প্রয়োজন হলো জেগে ওঠার।’
এ সময় তিনি এই সরকারকে সব কাজে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের টাউনখালে অবৈধ স্থাপনা ও ভরাট বন্ধে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৪ মার্চ সোমবার বিকেলে শহরের কাজীপাড়া ও মৌলভীপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশরাফ হোসেন।
এ সময় শহরের মৌলভীপাড়ায় সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত অ্যাডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চুর নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের মাটি খালে ফেলে ভরাট করার সত্যতা পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান আল হেরা লিমিটেড বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান সৈয়দ আনোয়ার আহমেদ লিটনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি আগামী সাত দিনের মধ্যে খাল থেকে ভরাট করা মাটি সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এছাড়াও কাজীপাড়া এলাকায় টাউন খালের মধ্যে টিনশেড ঘরের একটি অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়। এ সময় জড়িত কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সতর্ক করা হলে তারা স্বেচ্ছায় সেটি সরিয়ে নেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশরাফ হোসেন বলেন, টাউন খালে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও মাটি ভরাট করা হচ্ছে এমন দুটি অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। ঘটনার সত্যতা থাকায় আল হেরা লিমিটেট বিল্ডার্সের চেয়ারম্যানকে পরিবেশ আইনে অর্থদণ্ড ও খালের ওপরে নির্মিত অবৈধ স্থাপনাটি উচ্ছেদ করা হয়েছে।
অভিযান চলাকালে ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর মোহাম্মদ শাহীন, নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক সংগঠন তরী বাংলাদেশের আহ্বায়ক শামীম আহমেদসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “আমাদের নার্স, আমাদের ভবিষ্যৎ। অর্থনৈতিক শক্তি, নার্সিং সেবার ভিত্তি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ ১২ মে রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল পৃথক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল নয়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তারের নেতৃত্বে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্সের শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অংশ গ্রহনে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর সালাউদ্দিন মাধবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা ও প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার শাহাদৎ হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রতীকি ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসরাত জাহান।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহকারী জেলা পাবলিক হেলথ নার্স মোঃ সাইজুদ্দিন ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আকাশ মিয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, নার্সিং এখন শুধুই পেশা নয়, সেবা। ছোটবেলায় নার্সিং এর প্যারাগ্রাফ মুখস্ত করতাম। কিন্তু এর গুরত্ব এখন বুঝতে পারি। পুলিশের কাজের সঙ্গে নার্সদের কাজের মিল রয়েছে। রাস্তায় বা বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা কোনো মৃত মানুষ বা পচন ধরা মৃতদেহকে কেউ না ধরলেও পুলিশকে ধরতে হয়। একইভাবে কোনো রোগীকে কেউ হাত না দিলেও নার্সকে ধরতে হয়। নার্সরা সেবার মহান কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের জন্য শুভ কামনা রইল।
পরে বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমিতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।