অনলাইন ডেস্ক :
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে তিন স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৫ জুন রবিবার দুপুরে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের হোরগাও এলাকায় পুকুরে পানিতে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়।
মৃত স্কুল শিক্ষার্থীরা হলো-রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার গন্ধব্যপুর এলাকার রুকন উদ্দিনের মেয়ে আফসানা আক্তার মারিয়া, নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর এলাকার সালাম মিয়ার মেয়ে সুবর্না আক্তার, হবিগঞ্জ জেলার নবিগঞ্জ উপজেলার রোমান মিয়ার মেয়ে মারিয়া।
তারা সবাই বর্তমানে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের হোরগাও এলাকার আক্তার মিয়া ও সোমা বেগমের বাড়ির ভাড়াটিয়া এবং হোরগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন।
মৃতের পরিবারের বরাত দিয়ে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দুপুরে গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের হোরগাও এলাকার একটি পুকুরে তিনজন স্কুল শিক্ষার্থী গোসল করতে যায়। তাদের কেউই সাঁতার না জানায় পুকুরের পানিতে ডুবে যায়।
পরে স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে স্কুল শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম সজলের (৪১) লাশ দেখে তার মামা আবু সাইদের (৫০) মৃত্যুবরণ করার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর এবং সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত্যুবরণ করা রাশেদুল ইসলাম সজল মৃত বজলুর রহমানে ছেলে। তিনি গোদনাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। আর আবু সাঈদ মৃত ফজলুল হকের ছেলে। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। তারা দুজনই সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকার বাসিন্দা। সম্পর্কে তারা মামা-ভাগ্নে।
পরিবারসূত্রে জানা যায়, রাশেদুল ইসলাম সজল তার বন্ধুদের সঙ্গে আজ সকালে ফরিদপুরে বেড়াতে যান। সেখানে দুপুর আনুমানিক ২টার সময়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। পরবর্তীতে তার সঙ্গে থাকা বন্ধুরা তার মৃতদেহ তার নিজ বাসায় নিয়ে আসে। মরদেহ দাফনের কার্যক্রমের জন্যে গোসল করানোকালে হঠাৎ তার ছোট মামা আবু সাইদ লাশটি দেখা মাত্রই হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
মৃত ওই স্কুল শিক্ষকের বন্ধু রিপন মাহমুদ আকাশ বলেন, তাদের মামা-ভাগ্নের মধ্যে অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। তাই তার ভাগ্নের এমন মৃত্যু মামা সহ্য করতে পারেননি। আজ রাত ১০টায় ওই এলাকার কেন্দ্রীয় ধনকুন্ডা জামে মসজিদের সামনে জানাযা শেষে একসঙ্গে দুজনের লাশ দাফন করা হয়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এই ঘটনায় আমি মর্মাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
৯০ জন নারীকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে প্রত্যেককে একটি করে সেলাই মেশিন দিয়েছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক)। আজ ২৪ মে বুধবার দুপুরে নগরীর শহীদ শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে এসব সেলাই মেশিন তুলে দেন সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মসিক মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভাতা, প্রশিক্ষণ, অর্থিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সেলাই মেশিন দেয়া হলো। সেলাই মেশিন ব্যবহার করে আত্মকর্মসংস্থান ও নিজের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। তবেই আজকের এই আয়োজন স্বার্থক হয়ে উঠবে।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মসিকের প্যানেল মেয়র-৩ সামীমা আক্তার, সমাজকল্যাণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি শীতল সরকার, সচিব মো. আরিফুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানাসহ অন্যান্য ও বিভিন্ন নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
উচ্চ মাত্রায় হাইড্রোলিক হর্ন বাজিয়ে শব্দদূষণ সৃষ্ঠি করার অপরাধে ছয়টি যানবাহনকে জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদফতর শেরপুর। আজ ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের গৌরিপুর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় গাড়ির শব্দদূষণ রোধে ছয়জনকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দ করা হয় ১১টি হর্ন এবং অভিযুক্তদের সাবধানও করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর শেরপুর জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক সুশীল কুমার দাস এই তথ্য জানিয়েছেন।
সুশীল কুমার দাস জানান, শব্দদূষণের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে। উচ্চমাত্রায় হাইড্রলিক ব্যবহার পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। বৃহস্পতিবার শেরপুর শহরের গৌরিপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে ও শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালায় এই শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন শেরপুর জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মো. আশরাফুল আলম রাসেল।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সবসময় দেশে ও বিদেশে মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
আজ ৫ জুলাই বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের সদর দপ্তরে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন। খবর বাসসের
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি বাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি সবসময় জনগণের পাশে দাঁড়ায়।’
তিনি বলেন, বাহিনীর সদস্যরা পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সাথে তাদের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শুধু দেশেই জনগণের পাশে দাঁড়ায় না, অধিকন্তু বিদেশে শান্তিরক্ষা মিশনেও কাজ করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের মানবিক সদিচ্ছার কারণে, তারা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সম্মান পায়। আমি খুব গর্ব বোধ করি, যখন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা তাদের দেশে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা করেন।’
প্রধানমন্ত্রী রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গার্ডগুলোর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি পিজিআরকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। তাদের কাজ, দায়িত্ব ও নিষ্ঠা দেখে তিনি মুগ্ধ।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, তিনি জানেন যে রেজিমেন্টের সদস্যরা সর্বদা পেশাদারিত্ব, আনুগত্য, শৃঙ্খলা ও আন্তরিকতার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করে।
তিনি আরো বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টিসহ সকল প্রতিকূল আবহাওয়া মোকাবিলা করে দায়িত্ব পালনে আপনাদের আন্তরিকতা অত্যন্ত প্রশংসিত। এই সুনাম ধরে রাখতে আপনারা সততা ও দেশপ্রেমের সাথে কাজ করবেন‒ এটাই আমার প্রত্যাশা।’
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার ঝুঁকিপূর্ণ রক্ষীদের ঝুঁকি বিবেচনা করে প্রথমে পিজিআর-এর জন্য ঝুঁকি ভাতা চালু করে। ইতোমধ্যেই সরকার গণভবন সংলগ্ন ব্যারাক তৈরি এবং গার্ডদের পরিবারের জন্য ১৪ তলা ভবন নির্মাণের মাধ্যমে আবাসন সমস্যার সমাধান করেছে।
প্রসঙ্গত, জাতির পিতা ১৯৭৫ সালের ৫ জুলাই পিজিআর গঠন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর নিজস্ব উদ্যোগে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের জন্য উপযুক্ত সমর শক্তি গড়ে তুলেছিলেন।
সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে তাঁর সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সব বাহিনীকে আন্তর্জাতিক মানের ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করেছি।
তিনি আরো বলেন, বাহিনীগুলোকে সক্ষম করা হয়েছে, যাতে করে তারা বৈশ্বিক বাহিনীগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে বিদেশে শান্তিরক্ষা মিশনে, যেখানে তারা অন্যান্য বিশ্ব বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতি-১৯৭৪-এর সাথে সঙ্গতি রেখে ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়ন করছে।
বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগের উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশকে এমনভাবে গড়ে তুলছি, যাতে কখনো অন্যের ওপর নির্ভর করে এগিয়ে যেতে না হয়। আগামী দিনেও দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে এই কামনা করি।’
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের পর উন্নয়ন সহযোগীরা এখন আর আগের বছরগুলোর মতো অনেক শর্ত দেয় না।
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
এর আগে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং পিজিআর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খালেদ কামাল প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশে হেঁটে সকল অফিসার এবং জুনিয়র কমিশনড অফিসারদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী পিজিআরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটেন।
তিনি ভিভিআইপি দায়িত্ব পালনের সময় গুরুতর আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং পিজিআর সদস্যদের মধ্যে উপহার বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সংশ্লিষ্ট সচিব এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নরসিংদীর বেলাবোতে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দু’জন।
আজ ৬ অক্টোবর শুক্রবার উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ফায়জুর রহমান (৪০) সুনামগঞ্জ উপজেলার বিরাই উপজেলার ছৌয়ব আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সিলেটের সুনামগঞ্জ থেকে একটি মালবাহী ট্রাক ঢাকা যাচ্ছিল। ট্রাকটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার নারায়ণপুর এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি ট্রাক রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে উভয় ট্রাকের চালক ও হেলপার আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে ট্রাক চালক ফয়জুল মারা যান।
বেলাবো থানার ওসি তানভীর আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনায় একজন ট্রাক চালক মারা গেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।