চলারপথে রিপোর্ট :
বিগত ২০২২ – ২০২৩ অর্থ বছরের সার্বিক বিশ্লেষণে ‘সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা’ গড়ার প্রত্যয়ে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অভিলক্ষ্যে পেশাগত জ্ঞান, দক্ষতা, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ সহ ৭ টি ক্যাটাগরিতে বিচার বিবেচনায় বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ কে উপজেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে শুদ্ধাচার পুরষ্কার ২০২২-২০২৩ প্রদান করা হয়।
২৫ জুন রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত শুদ্ধাচার পুরষ্কার ২০২২-২৩ বিতরন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম এ পুরস্কার হস্তান্তর করেন।
এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বিজয়নগর উপজেলায় যোগদান করেন। তার কর্মদক্ষতায় বদলে গেছে উপজেলার সার্বিক চিত্র।
উপজেলার প্রতিটি দপ্তরের কর্মকান্ডে পূর্বের চেয়েও ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। বিজয়নগর উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক উপজেলা গড়তে তিনি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে ইউএনও এএইচ ইফরান উদ্দিন আহমেদ অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, প্রিয় বিজয়নগরবাসীর জন্য এই পুরষ্কার অর্জন। এর প্রকৃত মালিক বিজয়নবাসী। সকলের সেবায় নিয়োজিত থেকে যেন সরকার আরোপিত সকল সিদ্ধান্ত সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি সেজন্য সকলের দোয়া চাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর সীমান্ত থেকে মনিকা রায় (৫৬) নামে এক ভারতীয় নাগরিক আটক করেছে বিজিবি। ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে বিজিবির হাতে আটক ওই নারী বাংলাদেশের নোয়াখালীর হাতিয়ায় তার মেয়ের বাড়িতে চার মাস বেড়ানো শেষে ফিরে যাচ্ছিলেন। এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় বিপ্লব চক্রবর্তী (৩৫) নামে এক মানবপাচারকারীকে আটক করেন বিজিবি সদস্যরা। ভারতে যাওয়ার সময় উপজেলার হাফপুর নামে সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
২৫ বিজিবি অধিনায়ক কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, মনিকা রায় ভারতের পূর্ব বর্ধমান জেলার পারুলিয়া গ্রামের প্রেম লাল রায়ের স্ত্রী। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, চার মাস আগে ফেনী সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসে নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেয়ের বাড়িতে অবস্থান করেন।
মঙ্গলবার ট্রেনযোগে আখাউড়া রেলস্টেশনে এসে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে দুই বাংলাদেশি মানব পাচারকারী দালালের সহযোগিতায় পূর্ব কালাছড়া নামক এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তার কাছ থেকে একটি ভারতীয় আধার কার্ড, ভারতীয় ৫৩৫ রূপি, বাংলাদেশি ৬০০ টাকা, একটি স্বর্ণের চেইন, এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, দুটি স্বর্ণের আংটি ও একটি কাপড়ের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। তাকে বিজয়নগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, বাংলাদেশি মানব পাচারকারি কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার রনাইতলা গ্রামের মতিলাল চক্রবর্তীর ছেলে বিপ্লব চক্রবর্তী (৩৫) কে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কসবা বিওপির টহল দল সীমান্ত এলাকায় টহল পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হাফপুর নামক স্থান থেকে তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ২-৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে পাচারে সহায়তা করার জন্য যাচ্ছিলেন তিনি। তাকে কসবা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদনের অভিযোগে এক কারখানা মালিককে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১১ জানুয়ারি শনিবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বৈশামুড়া গ্রামে পলিথিন তৈরির কারখানায় সরাইল ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সাজাপ্রাপ্ত কামাল মিয়া (৪০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার আবদুল গফুরের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সরাইল ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন জানান, উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বৈশামুড়া গ্রামে অবৈধভাবে পলিথিন প্রস্তুত করা হচ্ছিল। এমন সূত্রের ভিত্তিতে ভিত্তিতে দুপুরে কারখানায় অভিযান চালিয়ে কারখানার মালিক কামাল মিয়াকে আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ৬ (ক) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ১৫ ধারায় এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা না দিলে আরো ১৫ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় সরাইল থানা পুলিশ উপস্থিত ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৯ মার্চ শনিবার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চকবাজার এলাকায় আয়োজিত ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি।
কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ হোসেন আহামেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এ বি এম মমিনুল হক, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোঃ জসিম উদ্দিন রিপন, বিজয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জমির হোসেন দস্তগীর, সদস্য মামুনুর রশীদ, আব্দুল জলিল সরকার, সিরাজুল ইসলাম, রেহান উদ্দিন, মোঃ বাচ্চু মিয়া,কামাল উদ্দিন,বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সামসুল আলম সরদার, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক তালাত মাহমুদ পলাশ ভুঁইয়া, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহামেদ।
আলোচনা সভা শেষে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনাসহ কেন্দ্রীয় বিএনপি’র অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল এর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া পরিচালনা করেন কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মৌলানা বিল্লাল হোসেন।
সভা পরিচালনা করেন বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস ভূঁইয়া ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মাতলুব সরকার।
বিজয়নগরে ৩৮টি ভারতীয় মহিষ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোররাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এই মহিষগুলো উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোররাতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকায় দুটি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে ৩৮টি ভারতীয় মহিষ উদ্ধার করা হয়। এ সময় মহিষ পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।
উদ্ধারকৃত মহিষের আনুমানিক মূল্য ৭৬ লাখ টাকা। এসব মহিষ আখাউড়া কাস্টমসে জমা দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখী সংঘর্ষে ১৪জন আহত হয়েছেন। আজ ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বীরপাশা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহতদেরকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪ জনের নাম জানা গেছে। এরা হচ্ছে- রামিম (১৬), জিহান (১৬), নোমান (১৬), সামিয়া (৮), তামিম (১৫), রাহুল (১৪), হোসাইন (১৫), শফিকুল (১৭), তানভীর (১৭), রাতুল (১৭), ফাহিম (১৫), আতিক (১৭), শরীফ (১৬) ও জাহেদ আলী (৬০)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, বিকেলে দিগন্ত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর যাওয়ার পথে বীরপাশা এলাকায় পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এ সময় মাইক্রোবাসের চালকসহ ১৪ যাত্রী আহত হয়।
তিনি বলেন, মাইক্রোবাসের যাত্রীরা সবাই শিক্ষার্থী। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে পিকনিক করার জন্য হবিগঞ্জ জেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
পরবর্তীতে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বেশ কয়েকজন আহতকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তিনি বলেন, বাসটিকে আটক করা হলেও এর চালক পালিয়ে যায়।