অনলাইন ডেস্ক :
এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়ক জায়েদ খান। সেখানে একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
অনুষ্ঠান থেকে বের হতেই নিউইয়র্কের রাস্তায় জায়েদ খানকে দেখে তাকে ঘিরে ধরেন বেশ কয়েকজন তরুণী।
এ বিষয়ে নায়ক জায়েদ খান বলেন, ‘অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান থেকে বের হতেই অনেক মেয়ে আমাকে ঘিরে ধরে। সবাই প্রবাসী বাঙালি। আমার সঙ্গে ছবি তুলতে চায়। তারা ছবি তুলল। একজন তো ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আমাকে মেসেজ করেছে। সেখানে আমার সঙ্গে ছবি দিয়ে লেখা, মাই রিয়েল হিরো।’
অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে বলে কিছু গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে। এ সম্পর্কে জায়েদ বলেন, ‘এসব একদম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ভুয়া ভুয়া বলে চিৎকার করেছে কিছু উঠতি যুবক। কিন্তু সেটা যে আমাকে দেখে এমনটা নয়, তারা জেমস ভাই, এমনকি কাবিলা পলাশ মঞ্চে উঠতেও একইভাবে চিৎকার করেছে। বরং অনেকের অভিযোগ, আমরা আগে কেন মঞ্চে উঠলাম না।’
‘এখানে আসলে আমাদের পারফর্ম করার কথা ছিল না। তারপরও অনুরোধে আমি গান শুনিয়েছি। নিউইয়র্কের বাংলাদেশিদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে তারা আমাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন’, বলেন জায়েদ খান।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ ও নিউ জিল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বৃষ্টিতেই ভেসে গেল। কার্টেল ওভারে খেলা গড়ানোর সম্ভাবয়ান নেই জেনে প্রায় ৩০ মিনিট আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন দুই আম্পায়ার। মাউন্ট মঙ্গানুইতে বৃষ্টি থামেনি এখনো। আর থামলেও এ সময়ের মধ্যে মাঠ প্রস্তুত হবে না।
১১ ওভারে ২ উইকেটে কিউইরা ৭২ তোলার পর নেমেছিল বৃষ্টি। রানরেট ছিল ৬.৫৪। ফলে বাংলাদেশের সামনে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে মোটামুটি সহজ লক্ষ্য পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ১০ ওভারে ৮৫ রান কিংবা নিদেনপক্ষে ৫ ওভার করা গেলেও ৪৬ তাড়া করার সুযোগ ছিল টাইগারদের।
কিন্তু অনেকটা সময় অপেক্ষার পরও আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়ায় ম্যাচটি আর মাঠে গড়ানো যায়নি। ফলে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের সুবাদে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রইলো বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচ একই ভেন্যুতে ৩১ ডিসেম্বর।
মাউন্ট মুঙ্গানুইতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের মিশনে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শেখ মেহেদী হাসানের স্পিন দিয়ে আক্রমণ শুরু করেন তিনি। প্রথম ওভারে মেহেদী দেন ৯ রান।
দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়েই সাফল্য শরিফুল ইসলামের। এবারও বাংলাদেশকে শুরুতে ব্রেক থ্রæ এনে দেন বাঁহাতি এই পেসার। দলীয় ৯ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ওভারের দ্বিতীয় বলে শরিফুলের ওপর চড়াও হতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে রিশাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফিন অ্যালেন (২)।
তবে ওপেনিং সঙ্গী হারালেও মারকুটে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ শিবিরকে তটস্থ রাখছিলেন টিম শেইফার্ট। এগিয়ে যাচ্ছিলেন ঝোড়ো ফিফটির দিকে। তবে তার সে আশা পূরণ হতে দেননি তানজিম হাসান সাকিব।
টাইগার পেসারের ওপর চড়াও হতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন শেইফার্ট। অনেক ওপরে উঠা বল দৌড়ে এসে মিডঅফে দারুণভাবে তালুবন্দী করেন শান্ত। ২৩ বলে ৬ চার আর ১ ছক্কায় ৪৩ রান আসে শেইফার্টের ব্যাট থেকে।
অনলাইন ডেস্ক :
গত বছর প্রথমবার নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। চলতি সফরে ওয়ানডেতেও ১ম জয় পেয়েছে টাইগাররা। তাসমান সাগর পাড়ের এই দেশটাতে এতদিন টি-টোয়েন্টিতেও জয়হীন ছিল বাংলাদেশ। আজ সেই আক্ষেপ ঘুচেছে। ৫ উইকেটের জয়ে ইতিহাস গড়ে সিরিজ শুরু করেছে টাইগাররা।
আজ ২৭ ডিসেম্বর বুধবার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান এসেছে জিমি নিশামের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের হয়ে ২৬ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম। জবাবে ১ ওভার ২ বল হাতে রেখে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। এলো-মেলো ব্যাটিংয়ে উইকেট বিলিয়ে দেন রনি তালুকদার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মিলনেকে পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন এই ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ১০ রান।
তিনে নেমে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। উইকেটে এসে শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করেন তিনি। কিন্তু থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৪ বলে ১৯ রান করে মিড অফে সহজ ক্যাচ দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন সৌম্য। ওয়ানডের ফর্মটাই যেন টি-টোয়েন্টিতে টেনে এনেছেন তিনি। দারুণ ছন্দে থাকা এই ব্যাটার ঝোড়ো শুরু করেছিলেন। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। নবম ওভারে বেন সিয়ার্সের ‘ইউ মিস আই হিট’ টাইপের বলে লাইন মিস করেন সৌম্য, বল আঘাত হানে সরাসরি স্টাম্পে। সৌম্যের ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ২২ রান।
সৌম্য ফিরলে তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে দেখে-শুনে ব্যাটিং করেন লিটন দাস। প্রয়োজনীয় রান রেট বজায় রেখে ব্যাটিং করছিলেন তারা। ক্রমশই ম্যাচ থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছিলেন কিউইদের। ১৪তম ওভারে হৃদয়কে ১৯ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন স্যান্টনার। পরের ওভারেই ফেরেন আফিফ হোসেনও। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
সেই চাপ পাকা হাতে সামাল দেন লিটন। শেখ মেহেদি তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন। শেষ পর্যন্ত লিটন অপরাজিত ছিলেন ৩৬ বলে ৪২ রান করে। আর মেহেদির ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ১৯ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা কিউই ইনিংসের প্রথম ওভারেই আঘাত হানে বাংলাদেশ। চতুর্থ বলে টিম সেইফার্টকে সাজঘরের পথ ধরান শেখ মেহেদি। অফ স্টাম্পের ওপর খানিকটা খাটো লেন্থে সোজা বল করেছিলেন এই অফ স্পিনার, টার্নের আশায় খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেন সেইফার্ট।
দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে রীতিমতো আগুন ঝরান শরিফুল। ওভারের দ্বিতীয় বলটি লেন্থ ডেলিভারী ছিল এই বাঁহাতি পেসারের। সেখানে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে সৌম্যের হাতে ধরা পড়েন ফিন অ্যালেন।
পরের বলেও উইকেট পান শরিফুল। এই বাঁহাতি পেসারের লেগ স্টাম্পের ওপর করা বল ভেতরের দিকে ঢোকার সময় ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন গ্লেন ফিলিপস। ব্যাটে খেলতে পারেননি, বল আঘাত হানে তার প্যাডে। তবে লেগ বিফোরের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তাতে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন আম্পায়ার। গোল্ডেন ডাক খেয়ে ফিলিপস ফিরে গেলে ১ রানেই ৩ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের বোলিং ইউনিটের অসাধারণ এক পারফরমেন্স!
শুরুর ধাক্কা সামলে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন ড্যারিল মিচেল ও মার্ক চ্যাপম্যান। কিন্তু টপ অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে দায়িত্ব নিতে পারেননি মিচেলও। এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেন মেহেদি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বোল্ড হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ১৪ রান।
ইনিংসের দশম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আসেন রিশাদ হোসেন। আক্রমণে এসেই উইকেটের দেখা পান এই লেগ স্পিনার। রিশাদের ফুল লেন্থের বলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ কভার পয়েন্টে সহজ ক্যাচ দেন চ্যাপম্যান।
এরপর স্যান্টারকে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটির পথে এগোচ্ছিলেন নিশাম। ১৫তম ওভারে স্যান্টনারকে ফিরিয়ে ৪১ রানের জুটি ভাঙেন শরিফুল। অবশ্য সেখানে বড় অবদান সৌম্যের। মিড উইকেটে সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন তিনি। খালি চোখে আম্পায়ার বুঝতে পারেননি, আসলে কী ঘটেছে। এরপর থার্ড আম্পায়ার বেশ কয়েকবার দেখে আউটের সিদ্ধান্ত দেন।
৯১ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরও কিউইদের আশার আলো হয়ে এক প্রান্তে জ্বলছিলেন নিশাম। ৪৮ রানে তাকে ফেরান মুস্তাফিজ। নিশাম ফেরার পর রানের গতি কমে যায় স্বাগতিকদের। শেষ পর্যন্ত ১৩৪ রানের বেশি করতে পারেনি তারা।
অনলাইন ডেস্ক :
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্ণামেন্টে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আজ ৩ জুন সোমবার মিরপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে নেপালকে ৪৫-৩১ পয়েন্টে হারিয়ে টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিক বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ ট্রফি ঘরে তুলল চ্যাম্পিয়নরা।
বাংলাদেশ এই টুর্ণামেন্টে প্রতিটি ম্যাচই সহজে জিতেছে। ফাইনালও তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি। নেপাল সেমিফাইনালে কেনিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়াই করে জিতলেও বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। আজ ম্যাচের কোনো মুহূর্তেই নেপাল বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি।
এদিন শুরুতে ১-০ পয়েন্টে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। নেপাল পরক্ষণে ১-১ স্কোর করে লড়াইয়ের আভাস দেয়। ধারাবাহিকতায় ২-১ স্কোরে এগিয়ে যায় হিমালয়ের দেশটি। তবে স্বাগতিকরা বেশিক্ষণ তাদের রাজত্ব করতে দেয়নি। ঘুরে দাঁড়িয়ে একের পর এক পয়েন্ট নিতে থাকে। একপর্যায়ে ১৬-২ স্কোরে এগিয়ে প্রতিপক্ষকে ব্যাকফুটে ফেলে দেয়।
প্রথমার্ধে ২৪-১০ পয়েন্টে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকে। এই সময়ে একবার অলআউট করে লোনাও পায় মিজান-আল আমিনরা। স্বাগতিকদের পয়েন্ট নেওয়ার অভিযানে নেপালও কম যায়নি। গ্রুপ পর্বের চেয়ে আজ পয়েন্ট বেশি পেলেও বড় ব্যবধানে হার এড়াতে পারেনি।
বিরতির পর এগিয়ে চলা অব্যাহত থাকে বাংলাদেশের। দ্বিতীয়বার প্রতিপক্ষকে অলআউট করার সময় স্কোর দাঁড়ায় ২৯-১১ তে। শেষ দিকে এসে বাংলাদেশ একবার অলআউট হয়। ৪৩-২৮ পয়েন্টে নেপাল পিছিয়ে থাকে। ম্যাচ শেষ হতেই দর্শকদের আনন্দ-উল্লাস বলে দিচ্ছিল, ট্রফি জেতা কতটা সার্থক হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার বোর্ডে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন তিনি। বিসিবির একজন পরিচালক সুজনের দায়িত্ব ছাড়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
লম্বা সময় ধরে বিসিবিতে একাধিক কমিটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন সুজন। সর্বশেষ তিনি গেম ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। একই সঙ্গে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিসিবি পরিচালকের পদে থাকার সময়ে জাতীয় দলের সাথেও কাজ করেছেন সুজন। বিভিন্ন সময় টিম ডিরেক্টর, অন্তর্বর্তীকালিন কোচ, টিম ম্যানেজারের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের জের ধরে দেশের নানা অঙ্গনে চলছে পরিবর্তনের হাওয়া। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদেও বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এসেছে। সুজনের আগে বিসিবি পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জালাল ইউনুস, আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও নাইমুর রহমান দুর্জয়ের মতো প্রভাবশালী পরিচালকরা।
এদিকে, বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়লেও পরিচালক পদে এখনও বহাল আছেন নাজমুল হাসান পাপন। রাজনৈতিকভাবে ব্যাকফুটে চলে যাওয়ায় তিনি এমন সিদ্ধান্ত নেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরপরই আত্মগোপনে চলে যান পাপন। তার পদত্যাগের পর বিসিবির নতুন সভাপতি হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি পথে সড়কের ধারে হঠাৎ দৃষ্টি আটকে যায় পথিকের। থমকে দাঁড়িয়ে দেখেন জাতীয় পতাকার আদলে সাজানো হয়েছে ধানক্ষেত। আগ্রহ নিয়ে তারা এ সৌন্দর্য উপভোগ করেন।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রুপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নের দেবিপুর গ্রামের সৌখিন কৃষক রনজিৎ সাহার ধান ক্ষেতে এমন চিত্রের দেখা মেলে।
চলতি বোরো মৌসুমে নিজের প্রায় ৬০ শতাংশ জমিতে সবুজ ও বেগুনি রঙের ধানের চারা দিয়ে তৈরি করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রতিকৃতি। পার্থক্য শুধু লালের জায়গায় বেগুনি বৃত্ত। নতুন জাতের এ ধানের নাম ‘পার্পল লিফ রাইস’।
কৃষক রনজিৎ সাহা বলেন, প্রথমে সুতা দিয়ে মেপে জমিতে জাতীয় পতাকার গঠন তৈরি করি। এরপর সে অনুযায়ী রোপণ করি দুই জাতের ধানের চারা। দেশ ও পতাকার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতেই আমার এই আয়োজন।
পথচারী আলমগীর হোসেন বলেন সবুজ-বেগুনিতে এতো সুন্দর ধানের জমি আর দেখিনি। লোক মুখে শুনে জমি দেখতে এখানে আসা। যিনি এই জাতীয় ধান আবাদ করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
পথচারী সিরাজুল ইসলাম রুবেল বলেন, ফসলের মাঠে সবুজ-বেগুনিতে জাতীয় পতাকা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। কাকলী আক্তার বলেন, ধানক্ষেতের চারপাশে সবুজ রঙের ধান আর মাঝখানে বেগুনি রঙের ধান রোপণ করায় দেশের জাতীয় পতাকার আদল হয়েছে। দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, একজন কৃষক দেশের প্রতি ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে তার জমিতে জাতীয় পতাকার প্রতিকৃতি ধান ক্ষেতে ফুটিয়ে তুলেছেন। কাজটি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার জানিয়ে তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এ উপজেলায় বেগুনি রঙের ধানের আবাদ শুরু হয়। সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এ ধানের নাম পার্পল লিফ রাইস। এ ধানের গাছের পাতা ও কাণ্ডের রঙ বেগুনি। তাই এটি রঙিন ধান হিসাবে পরিচিত।