চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে সিএনজি চালিত অটোরিক্সার ধাক্কায় ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। নিহত ওই বৃদ্ধার নাম শাহেরা খাতুন। তিনি উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামের মৃত খালেক মিয়ার স্ত্রী।
আজ ৪ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার কুড়িঘর বাজারে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শাহেরা খাতুন কুড়িঘর বাজারের পশ্চিম পাশের রাস্তা পার হওয়ার সময় সিএনজি চালিত অটোরিক্সার ধাক্কায় আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, সিএনজির ধাক্কায় এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কুড়িঘর রোডে নান্দুরা অবস্থিত প্রভাতী ব্রিক্স। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গোকর্ণ হয়ে নবীনগর এর সঙ্গে মূল সংযোগ সড়কের পার্শ্বে অবস্থিত এবং আশে পাশে জনবসতী ও লক্ষ্য করা যায়।
জানা যায়, প্রভাতী ব্রিক্স এর নামে জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তর এর ছাড়পত্র নিয়ে মালিক পক্ষ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু ২০১৮ ইং সনে তাদের অনুমোদিত সকল কাগজপত্র মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়, তারপর থেকে মালিক পক্ষ কোন রকম সরকারি অনুমোদন বা ছাড়পত্র ছাড়াই আজ অবদী নির্বিঘ্নে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। দেখা যায় ব্রিক্স ফিল্ডের পার্শ্বে একাধিক জনবসতী যেখানে ছোট ছোট বাচ্ছা ও মহিলা বৃদ্ধসহ অনেক পরিবার বসবাস করে। কয়লা দিয়ে ইট পোড়ানো হলে পরিবেশের উপর সরকারি মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতে বায়ু দূষণ, মাটি দূষণ এবং জলজ পরিবেশের ক্ষতি ও জনস্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে। যা আশে পাশে অবস্থিত জনবসতিকে সরাসরি প্রভাবিত করে এবং নবীনগর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিআরডি প্রধান সড়ক এর নিকটবর্তী হওয়ায় ব্রিক্স ফিল্ডের যাতায়াতকৃত যানবাহন এর দ্বারায় সড়কটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ছাড়পত্র বা সরকারি অনুমোদনের ব্যাপারে প্রভাতী ব্রিক্স এর একজন পরিচালক আমলগীর হোসেনের সঙ্গে মুটোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাদের আগে অনুমোদন ছিল কিন্তু ২০১৮ইং সনের পরে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। এখন কিভাবে ব্যবসা পরিচালনা করচেন অনুমোদন ছাড়া জানতে চাইলে তিনি অপর একজন পরিচালকের নাম এবং নাম্বার দিয়ে ওনার সাথে বিস্তারিত জানতে বলেন এবং পরবর্তী অপর একজন পরিচালক শাহিন মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ২০১৮ ইং সনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর আমরা পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে পুণরায় ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করলে তারা দেয়নী। তার প্রেক্ষিতে আমরা হাইকোর্ট একটি রিট করি তার প্রেক্ষিতে ব্যবসা পরিচালনা করিতেছি। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বিবেচনায় পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ব্রিক্স ফিল্ডের পরিচালনার ছাড়পত্র না দিলে হাইকোর্ট রিট করে ব্যবসা পরিচালনা করা যায় কিনা এই ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর এর পরিদর্শক মোঃ রাকিবুল হাসানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
২০১৯ইং সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে একটি গেজেট পাস হয়। যার ৩নং অনুচ্ছেদে বলা আছে, ২০১৩ সনের ৫৯নং আইনের ধারা ৪এর প্রতিস্থাপন উক্ত আইনের ধারা ৪এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা প্রতিস্থাপন হইবে। যথা:- ৪। লাইসেন্স ব্যতীত ইটভাটা স্থাপন ও ইট প্রস্তুত নিষিদ্ধ:- আপাদত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ইটভাটা যে জেলায় অবস্থিত সেই জেলার জেলা প্রশাসকের নিকট হইতে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত কোন ব্যক্তি ইটভাটা স্থাপন ও প্রস্তুত করিতে পারিবে না। এখন সচেতন মহলের প্রশ্ন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় যথাযথ কর্তৃপক্ষ সঠিক ব্যবস্থা নিবেন কী না?
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় চাকার সঙ্গে গলায় থাকা উড়নার প্যাচ লেগে সাইমা আক্তার (১৩) নামে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সাইমা উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের শেমন্তঘর গ্রামের শহিদুল আলমের মেয়ে। সে শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। আজ ২৮ জানুয়ারি রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে শিবপুর আফতাব উদ্দিন খাঁ মাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সাইমা ও তার সহপাঠি চাচাতো বোন মারিয়া টিফিন পিরিয়ডে ঝালমুড়ি কিনে স্কুল থেকে ইজিবাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে অজান্তেই তার গলায় থাকা উড়না ইজিবাইকের মোটরের সঙ্গে প্যাচ লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় ইজিবাইক চালক আশিক দ্রুত নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নবীনগর থানার এসআই আবুল কাসেম জানান, কোন অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর ঢেঁড়স চাষ করে বেকারত্ব ঘুঁচিয়েছেন শিবপুর ইউনিয়নের কাজুলিয়া গ্রামের খাইরুল বাসার ও ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামের (দ. পাড়া) জয়নাল মিয়া। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে তাঁরা এখন তাদের পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন। স্বল্প সময় ও অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় আরও অনেকেই এখন ঢেঁড়স চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, খাইরুল বাশার এ বছর ৪০ শতক এবং জয়নাল মিয়া ২০ শতক জমিতে ঢেঁড়স চাষ করেন। তাঁরা নিজেরাই জমি থেকে ঢেঁড়স উত্তোলন করছেন। আলাপ কালে জয়নাল মিয়া জানান- তার বাবা অসুস্থ্য হওয়ায় ২০২০ সালে চাকরি ছেড়ে চলে আসেন গ্রামের বাড়িতে। এরপর আর ভাল কোন চাকরি না পাওয়ায় বাড়ীর পাশের জমিতে শুরু করেন সবজি চাষ। তিনি এক বিঘা জমি নিয়ে শুরু করেন ঢেঁড়সের চাষ। স্বল্প সময়ে এই ঢেঁড়স চাষ করে বেশ লাভবানও হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন- এখানকার মাটি বেশ উর্বর থাকায় তার উৎপাদন খরচও অনেক কম হয়েছে। তার এক বিঘা জমিতে ঢেঁড়স চাষ করতে ৬/৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৪০ হাজার টাকার বিক্রি করেছেন। একদিন পরপর জমি থেকে ঢেঁড়স উত্তোলন করতে হয়। এতে তেমন কোন শ্রমিকের (লেবার) প্রয়োজন হয় না। জমি থেকেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন- “ আমি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে বারি উদ্ভাবিত ‘বারি ঢেঁড়স-১’ জাতের ঢেঁড়সের চাষ করেছি। বাজারে ঢেঁড়সের দাম ভাল থাকায় লাভবানও হচ্ছি। এ বছর ঢেঁড়সের পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় খরচও কম হয়েছে ”।
এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার জগলুল হায়দার বলেন- “এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ঢেঁড়সে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম হয়েছে। আর ঢেঁড়সের বিভিন্ন জাতের মধ্যে ‘বারি ঢেঁড়স-১’ এর ফলন ভাল। এটা চাষ করা লাভ জনক। তবে তার মত শিক্ষিত অনেক যুবকরাই এগিয়ে আসছে। আমরা কৃষি অফিস তাদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করব”।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর থানার কম্পাউন্ডে ছাত্রলীগরে দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ছাত্রলীগের ৪জন আহত হয়েছে। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন পৌর ছাত্রলীগরে যুগ্ম আহবায়ক হিমেল পিয়াস রনি ও সাইফুল ইসলাম, ছাত্রলীগ কর্মী ও নবীনগর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগরে সভাপতি প্রাথী রোম্মান মিয়া ও ছাত্রলীগ কর্মী আল আমিন।
স্থানীয় সূত্র, দলীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে জরার্জীণ অবকাঠামো দেখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল নবীনগর থানায় যান। সেসময় ছাত্রলীগের কর্মী আল আমিনও থানায় যান। উপজেলা ছাত্রলীগরে আহবায়ক আবু সাঈদ ছাত্রলীগ কর্মী আল আমনিকে থানা চত্বর থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে চান। পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য বের হবার আগেই উপজলো ছাত্রলীগরে আহবায়ক আবু সাঈদ ও তার লোকজন থানা চত্বরে ভেতরে ছাত্রলীগের কর্মী ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগরে সভাপতি প্রাথী রোম্মানকে এলোপাথারি মারধর করেন। তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে পৌর ছাত্রলীগ যুগ্ম আহবায়ক হিমেল পিয়াস রনি ও সাইফুল ইসলাম এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর করনে তারা।
পৌর ছাত্রলীগরে যুগ্ম আহবায়ক হিমেল পিয়াস রনি বলেন, উপজলো ছাত্রলীগরে আহবায়ক আবু সাঈদ ছাত্রলীগ কর্মী আল আমিনকে ধাক্কা দিয়ে থানা থেকে বের করে দিতে চান। এনিয়ে ছাত্রলীগরে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। চারজন আহত হয়েছে।
নবীনগর উপজেলা ছাত্রলীগরে আহবায়ক আবু সাইদ বলনে, শুক্রবার ছাত্রলীগ কর্মী আল আমিন আমাকে নিয়ে একটি মন্তব্য করেন। সকালে থানার ভেতরে তাকে দেখতে পেয়ে গেইটের বাহিরে আসতে বলি। থানার ফটকের বাইরে আসার পরই উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
অতরিক্তি পুলশি সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম বলনে, জরার্জীণ অবকাঠামো দেখতে সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য থানায় এসছেলিনে। তিনি বের হয়ে যাবার সময় থানা চত্বরের ভেতরেই উপজেলা ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের কেদেরখলা খালের ওপর নির্মিত কাঠের সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে ভেঙে গেছে। চার গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তায় অবস্থিত সেতুটি ভেঙে পড়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
কাঠের সেতু ব্যবহার করে জেলা ও উপজেলা সদরে বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াত করে থাকেন বিল এলাকায় অবস্থিত কেদেরখলা, শুভারামপুর, তিলকিয়া ও দুর্গারামপুর গ্রামের বাসিন্দারা। এছাড়া বীরগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বীরগাঁও সোবহানিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্থানীয় বাশমৌজা বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা ও মালিক ভরসার মাজারের ভক্তদের সেতুটি পারাপার হতে হয়।
এলাকাবাসী জানান, পাঁচ বছর আগে উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের ওই চার গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘবে সরকারি ও স্থানীয় ব্যক্তিদের যৌথ উদ্যোগে কেদেরখলা খালের ওপর একটি কাঠের সেতু তৈরি করা হয়। ৪ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি চার গ্রামের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দার যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। কয়েক মাস আগে সেটি ভেঙে পড়লে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে জনসাধারণকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কেদেরখলা খালের ওপর ভেঙে যাওয়া কাঠের সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, নারী-শিশু ও বৃদ্ধদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আলাপকালে দুর্গারাম গ্রামের স্কুল শিক্ষক নুরুল ইসলাম, ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম, সরদার মোছেন মিয়াসহ কয়েকজন জানান, সেতুটি ভেঙে পড়ায় এলাকাবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ভাঙা সেতু পার হতে গিয়ে নিচে পড়ে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত কাঠের সেতুটি সংস্কার ও খালের ওপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির বলেন, বর্ষাকালে কচুরিপানা এসে কাঠের পুলের নিচে জমা হয়ে যাওয়ায় এটি নড়বড়ে হয়ে পড়ে। মেরামত করা হলেও ভেঙে যায়। জনদুর্ভোগ কমাতে সেখানে উঁচু একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।