চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মারা গেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। দুই মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রীসহ অনেক গুনগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
তিনি সেনাবাহিনীর একজন দক্ষ সৈনিক ছিলেন। অবসর নেওয়ার পরে ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপির ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করেন। তিনি আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত নেতা ছিলেন। মরিচাকান্দি ডিটি একাডেমির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হিসেবে ৩ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
তার মৃত্যুতে স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৬ বাঞ্ছারামপুর আসনের সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি মরহুমের শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আবদুল আহম্মদ ওরফে রুবেল নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শকসহ (তদন্ত) তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
গতকাল রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রুবেলের মা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার মামলাটি আদেশের জন্য রেখেছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে, এএসআই আল আমিন মানিক ও উপজেলার মধ্যপাড়ার রবি উল্লাহকে। ভুক্তভোগী রুবেল বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চরশিবপুর গ্রামের লিল মিয়ার ছেলে।
মামলার আর্জি সূত্রে জানা যায়, মামলার তিন নম্বর আসামি রবি উল্লাহর সঙ্গে রুবেলের পরিবারের লোকজনের আগে থেকে বিরোধ ছিল। রবি উল্লাহর বিরুদ্ধে তারা আদালতে মামলাও করেছেন, যা চলমান রয়েছে। ১৪ মার্চ বিকাল ৪টার দিকে তারই প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় কোনো কারণ ছাড়াই এক নম্বর আসামি এএসআই আল আমিন অপর ৪ পুলিশ সদস্যকে নিয়ে বাড়ি থেকে রুবেলকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুসি, লাথিসহ লাঠি দিয়ে মারধর করে তারা। থানায় নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে ও এএসআই আল আমিন আবারও তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। এতে রুবেলের পুরো শরীর মারাত্মক জখম হয়। থানায় নির্যাতনের বিষয়ে রুবেলের মা আমেনা বেগম সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিলে ১৬ মার্চ দুপুর ২টায় রুবেলকে একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
রুবেলের মা আমেনা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে ১৪ মার্চ বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয় অথচ ১৬ মার্চ আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার বেশি হেফাজতে রেখে আমার ছেলেকে নির্যাতন করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদুর রহমান বলেন, বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের ধারায় দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আদেশ দেওয়ার জন্য রেখেছেন। ২০ মার্চ সোমবার আদেশ দিতে পারেন। এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম বলেন, শুনেছি আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে আমাদের পুলিশের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা। এএসআই আল আমিন মানিক বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দূর্গারামপুরে বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৬৭তম সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান স্বাভাবিক রাখতে এভাবে ঋণ বিতরণ করে যাচ্ছে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন।
আজ ৭ আগস্ট সোমবার বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ঋণ বিতরণের অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ও ইষ্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক, ইষ্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক এবং দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন।
এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমূন কবির, কালেরকণ্ঠ শুভ সংঘের পরিচালক মো. জাকারিয়া জামান, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো, চাঁন মিয়া সরকার, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. মোশারফ হোসেন, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র অফিসার মো. আমির হোসেন আনোয়ার, অফিসার মো. শাহজাহান, আলমগীর হোসেন, মুজিবুর রহমান, মো. অলি উল্লাহ, মো. কবির হোসেন ও মো. বাছির মিয়া।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ইমদাদুল হক মিলন বলেন, পৃথিবীর কোথাও সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ করা হয় বলে আমার জানা নেই। মানুষের কল্যাণের জন্য এভাবে সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ করছে বাংলাদেশের সুনামধন্য ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। মানুষের কল্যাণ হউক এইটাই বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের চিন্তাধারা।
তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বলদের এই ঋণ দিয়ে সচ্ছল করে তোলাই একমাত্র লক্ষ ও উদ্দেশ্য। অর্থনীতির মূল ধারায় বরাবরই অবহেলিত ও পিছিয়ে থাকা, সেসব তৃণমূল মানুষকে সামনে এগিয়ে নিতে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে পাল্টে যাচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্র। বাংলাদেশে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ একটি মডেলের নাম। এভাবে ধনাঢ্য ব্যক্তিরা যদি বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের মতো গরিব লোকদের কাছে এগিয়ে আসতেন, তাহলে হয়ত হতদরিদ্র লোকগুলো অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে উঠতে পারতেন।
সভাপতি ময়নাল হোসেন চৌধুরী বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে। দেশের অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে বিভিন্ন ক্লান্তিকালে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় বসুন্ধরা গ্রুপ।
সেখানে উপস্থিত সব মা-বোনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই ঋণের টাকা দিয়ে যাতে অসামাজিক ও অবৈধ কোনো ব্যবসায় কাজে বিনিয়োগ না করা হয়। আজ পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার ৩৪৪ জন হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত লোক বসুন্ধরা গ্রুপের সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ পেয়ে ৩৩টি স্কিমের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এর জন্য দোয়া চান যাতে করে বসুন্ধরা গ্রুপ সব অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত লোকদের সেবা করতে পারে।
তিনি আরও জানান, সোমবার ৪৩১জন উপকারভোগীর মাঝে ৬৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ১৮৭ জনের প্রত্যেককে ১৫ হাজার করে ২৮ লাখ ৫ হাজার, দ্বিতীয় ধাপে ২৪৪ জনকে ১৫ হাজার করে ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এই ঋণ শুধু নারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এর মাধ্যমে তারা হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল এবং শাক-সবজি চাষসহ ৩২ ধরনের কাজে এই ঋণের অর্থ বিনিয়োগ করে উপকার পাচ্ছেন। ২০০৫ সাল থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নিয়মিত ঋণ দিয়ে যাচ্ছে। এই ঋণের পরিধি প্রথমদিকে শুধু বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে তা পার্শ্ববর্তী উপজেলা হোমনা ও নবীনগরে বিস্তার লাভ করেছে।
বাহেরচর গ্রামের নার্গিস আক্তার (৪০) বলেন, ৫ হাজার টাকার ঋণ পেয়ে দুইডা ছাগল কিন্না এহন বেশি হইতে হইতে প্রায় ২ লাখ টাকার ছাগল বেচ্চি। বসুন্ধরা আমারে ৩ বার টেহা দিছে। বসুন্ধরার হগল মালিকগনের লাইগা দোয়া করি আল্লায় যেন ভালো রাহে।
কমুলপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী ফুল মালা (৪০) জানান, আমার জামাই মাছের ব্যবসা করেন। আমি বসুন্ধরার ঋণের টাকা আমার জামাইয়ের কাছে দিয়ে মাছের ব্যবসায়ে লাগিয়েছি। এখন আমরা লাভে আছি।
দূর্গারামপুর গ্রামের রুপা (৩২) বলেন, আমি এই টেহা নিয়া সেলাই মেশিন কিনছি। আমি এবং আমার মাদরাসা পড়ুয়া মেয়ে হেইডা চালাই। যা দিয়া আমার পরিবারের খাওনের চাহিদা মিডাইয়া মাইয়ার মাদরাসার পড়ালেহার খরচ জোগাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়ন ও আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র মূসা মার্কেটের সামনে থেকে এ মিছিল শুরু হয়ে উপজেলার প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি একেএম মূসা, সহ-সভাপতি মো. মাসুম মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএইচজেড শুকরী সেলিম চিশতী, পৌর বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক সালেহ মূসা, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক হারুন আকাশ, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সেন্টু মিয়া, কৃষক দলের আহ্বায়ক ওয়াসে উদ্দিন মেহেদী, সদস্য সচিব রুবেল আহমেদ, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আবু কালাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব হাসান, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, সদস্য সচিব লিটন সরকার, কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক শাহাদত হোসেন, ছাত্রনেতা আশিকুর রহমান অন্তু, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি শারমিন আক্তার রুমা, পৌর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক বিউটি আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২১ মার্চ শুক্রবার বিকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর ইউনিয়ন রাধানগর মাদ্রাসা মাঠে এ দোয়া ও ইফতার মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভুইয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম, হোমনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক ও সিনিয়র সহসভাপতি আহ্বায়ক লিয়াকত আলী ফরিদ বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আবু লাঈম, সহসভাপতি হাজী আব্দুল মতিন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক একেএম মূসা, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তৈয়বুর রহমান মাসুম, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএইচজেড শুকরী সেলিম, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সাংগঠনি সম্পাদক হারুন আকাশ, বাঞ্ছারামপুর পৌর বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক সাঈদ, পৌর বিএনপি সদস্য সচিব সালে মূসা, বাঞ্ছারামপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদ্য সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন সরকার রাজিব, উপজেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাঈদ, পৌর বিএনপির সহসভাপতি শামিম আহমেদ, বাঞ্ছারামপুর পৌর যুবদলের সদস্য সচিব ফয়সাল বিন ইউসূফ, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু কালাম, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বাঞ্ছারামপুর বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব লিটন সরকার, উপজেলা ছাত্রদল নেতা আশিকুর রহমান অন্তু, কলেজ ছাত্রদল নেতা সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন এবং ইফতি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরের অসচ্ছল পরিবারের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ৩০০ বান্ডিল ঢেউটিন, নগদ অর্থ ও শুকনো খাবারের ২০০০ প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১৫০ পরিবারের মাঝে ২বান্ডিল করে ঢেউটিন ও প্রতিজনকে নগদ ৬ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়। এছাড়াও ২ হাজার শুকনো খাবার প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরে ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাঞ্ছারামপুর উপজেলার অসচ্ছল পরিবারের মাঝে এসব খাদ্য সামগ্রী ও ঢেউটিন বিতরণ করা হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন ব্যক্তিগত স্বার্থকে উপেক্ষা করে জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করবে। সেই লক্ষ্যে আমরা সারা বাংলাদেশে জনগণের ভাগ্যে উন্নয়নের জন্যে কাজ করে যাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী আতিকুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাইয়েদুল ইসলাম ভূঁইয়া বকুল, পৌরসভার মেয়র তফাজ্জল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আহাদ খোকন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) পবিত্র চন্দ্র মণ্ডল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভুঁইয়া, সোনারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদ, তেজখালি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুল হক বাবুল, দরিয়াদৌলত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান উজ্জ্বল, ছলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জালাল মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা সমবায় সহকারী পরিদর্শক সাবিহা সুলতানা।