অনলাইন ডেস্ক :
চীনের দক্ষিণপশ্চিম অঞ্চলের চংকিংয়ে প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে চারজন।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বুধবার চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রবল বৃষ্টিতে চীনের দক্ষিণপশ্চিম অঞ্চলে দেখা দেওয়া বন্যার কারণে চংকিংয়ের চারটি অঞ্চলে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বন্যায় গত সোমবার থেকে বুধবারের মধ্যে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চীনের জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় যে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল তার মাত্রাও ইতোমধ্যে বাড়ানো হয়েছে।
চংকিংয়ের পার্শ্ববর্তী সিচুয়ান প্রদেশেও বন্যা দেখা দিয়েছে। প্রাদেশিক সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেখানে প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা ৪ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। তবে সেখানে এখন পর্যন্ত প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিচুয়ান প্রদেশের ৮৫ হাজারের বেশি বাসিন্দা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, বন্যায় আটকে পড়াদের উদ্ধার ও জরুরি ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য অন্তত চারশ’টি দল এই এলাকায় কাজ করছে।
অনলাইন ডেস্ক :
স্থানীয় সময় ভোর ৫ টায় দিকে নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত ভোটের ফলে পার্লামেন্টে বড় জয় পেয়েছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের দল একে পাটি। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এখনো তিনি ৫০ %-এর বেশি ভোট পাননি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি ৪৯.৪৪ % ভোট পেয়েছেন। অন্য দিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বি পেয়েছেন প্রায় ৪৫% ভোট।
গতকাল রবিবার এশিয়া ও ইউরোপের দেশ তুরস্কে ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারারাত ভোট গণনার পর দেখা যায় পার্লামেন্টের ভোটে বড় জয় পেয়েছে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের দল একে পার্টি ও তার জোট পিপলস অ্যালায়েন্স। তবে এরদোয়ান প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন কি না সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এখনো ২ % ভোট গণনা বাকী রয়েছে।
বেসরকারি প্রাপ্ত ভোটের ফলাফলে দেখা গেছে, সংসদে ৬০০ আসনের মধ্যে পিপলস অ্যালায়েন্স জোট পেয়েছে ৩২২ আসন। এর মধ্যে এরদোয়ানের দল একে পার্টি পেয়েছে ২৬৬ সিট। এছাড়া বিরোধী নেসন্স অ্যালায়েন্স জোট পেয়েছে ২১২ সিট। এছাড়া অন্যান্য দলগুলো পেয়েছে ৬৬ সিট।
এদিকে তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সি ভোটের ফলাফল প্রকাশ করছে। সেখানের হিসাবে সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ৯৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ ব্যালট গণনা হয়েছে। এতে এরদোয়ান পেয়েছেন ৪৯.৪৩ শতাংশ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারুগলু পেয়েছেন ৪৪.৯৮ শতাংশ।
কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে রানঅফ বা দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে ২৮ মে। তবে এরদোয়ান আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ফাইনাল রেজাল্টে তিনি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাবেন।
প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছেন উল্লেখ করে এরদোয়ান বলেন, ‘প্রথম দফা ভোটে নির্বাচন শেষ হবে কি না আমরা এখনো তা জানি না।কিন্ত দেশের মানুষ ইচ্ছায় দ্বিতীয় দফায় লড়তে প্রস্তুত রয়েছি আমি।’
সাধারণত ইস্তাম্বুলে থেকে ভোটের ফল জানেন তিনি। তবে এবার ভোটের ফল প্রকাশের আগেই রাজধানী আঙ্কারায় পৌঁছে গেছেন এরদোয়ান। দলের সদরদফতের বারান্দায় সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতাও দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় জাতীয় ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়েছি। এই নির্বাচন ও আগামী নির্বাচনেও আমরা জাতীয় ইচ্ছাকেই সম্মান জানাব।’
এদিকে ফল ঘোষণায় বিলম্বের অভিযোগ তুলেছেন কামাল কিলিচদারুগলু। তার দাবি, ভোটগণনা এতক্ষণে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্ত নির্বাচন কমিশন ফল ঘোষণায় বিলম্ব করছে। বিশেষ করে যেসব কেন্দ্রে তার জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
কিলিচদারুগলু বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। খুব শিগগিরই ভোটের ফল জানা যাবে। দেশের জনগণ আর বেশিক্ষণ এ অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকতে চায় না। ভোটে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন নিয়ে কেউ শঙ্কিত হবেন না।’
এবারের নির্বাচনে তুরস্কের নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৪১ লাখ। এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫ কোটি ৩৯ লাখের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছে। মোট হিসাবে এটি ৮৮.৮৩ শতাংশ। সব মিলিয়ে গ্রহণযোগ্য ভোট পড়েছে ৫ কোটি ২৮ লাখ ৯৬ হাজারের বেশি। ব্যালট বক্স ছিল ১ লাখ ৯২ হাজার ২১৪টি।
অপরদিকে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৫ কোটি ৪৩ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ১৩ লাখ ভোট বাতিল হয়েছে। ব্যালট বক্স ছিল দুই লাখের বেশি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮৮.১০ শতাংশ।
তুরস্কে নির্বাচন। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। কতটা এগিয়ে এরদোয়ান। কত ভোট পেলেন এরদোগান, এরদোয়ান। জিততে পারবেন কি এরদোয়ান। তুর্কি ভোট। তুরস্কে নির্বাচনের ফলাফল। সূত্র: আনাদুলু, টিআরটি
অনলাইন ডেস্ক :
সুইডেনের স্টকহোমে অনুষ্ঠিতব্য এ বছরের নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে রাশিয়া, বেলারুশ ও ইরানের রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে আয়োজক নোবেল ফাউন্ডেশন। ওই তিন দেশের রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ জানানোয় ক্ষোভ সঞ্চার হলে এই সিদ্ধান্ত নেয় ফাউন্ডেশন।
এর আগে ২০২২ সালে নোবেল ফাউন্ডেশন নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ও ভোজ সভায় রাশিয়া ও বেলারুশের রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানায় ফাউন্ডেশন।
যদিও গত বৃহস্পতিবার ফাউন্ডেশন জানিয়েছিল, তারা তাদের পুরোনো রীতি অর্থাৎ সুইডেনে প্রতিনিধিত্বকারী সব দেশকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্তে ফিরে যাবে। তবে এই সিদ্ধান্ত ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়।
আজ শনিবার ফাউন্ডেশন জানায়, নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধ রক্ষায় নোবেল পুরস্কার যে বার্তা বহন করে তা তুলে ধরতে।
এক বিবৃতিতে ফাউন্ডেশন জানায়, ‘আমরা গত বছরের ব্যতিক্রমকে সাধারণ চর্চা হিসেবে আবারও গ্রহণ করতে যাচ্ছি। আর এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রাশিয়া, বেলারুশ ও ইরানকে স্টকহোমে অনুষ্ঠিতব্য নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি না।’
অনলাইন ডেস্ক :
রাশিয়ার মস্কো শহরের পশ্চিমে একটি শপিং মলে আজ ২২ জুলাই শনিবার গরম পানির পাইপ ফেটে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে বলে শহরের মেয়র জানিয়েছেন। এ ছাড়াও ৭০ জন আহত এবং ২০ জন আটকা পড়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে।
মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেছেন, আহতদের মধ্যে কয়েকজন দগ্ধ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছি।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পুরো ভবনজুড়ে পানি ও একটি দরজা দিয়ে বাষ্প প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের মতে, ফুটন্ত পানি মলের একটি অংশ প্লাবিত করেছে। এতে কমপক্ষে ৭০ জন আহত এবং প্রায় ২০ জন আটকা পড়েছে।
পাইপ বিস্ফোরণের সঠিক কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।
জরুরি পরিষেবার কর্মীরা ঘটনাস্থলে কাজ করছে বলে মেয়র জানিয়েছেন। রাশিয়ান তদন্ত কমিটি মারাত্মক এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
২০০৭ সালে চালু হওয়া ছয়তলা শপিং মলটি ভ্রমেনা গোদা (দ্য সিজনস) নামে পরিচিত। এতে ৬২ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে দেড় শতাধিক দোকান রয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স, আরটি
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মুক্তি না দিলে সীমান্তে সনাতনীরা ধ্বজ নিয়ে অবরোধ করবে বলে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী হুমকি দিয়েছেন। এমনকি কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে বিক্ষোভ করা হবে বলেও তিনি জানান। ২৫ নভেম্বর রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
পরে ইসকনের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাতে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করছে। এমনকী বাংলাদেশে হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে ইউনূস সরকার গ্রেফতার করেছে।
শুভেন্দু বলেন, সোমবার রাতের মধ্যে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি না দিলে মঙ্গলবার থেকে সীমান্তে সনাতনীরা অবরোধ করবে। ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে কোনও পরিষেবা বাংলাদেশে ঢুকতে দেব না।
শুভেন্দুর কথায়, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যেভাবে ‘দমন-পীড়ন’ শুরু হয়েছে, তাতে আমরা চিন্তিত, ব্যথিত। এই জিনিস আর বরদাস্ত করা হবে না।
অনলাইন ডেস্ক :
চীনের তিব্বতে ইয়ারলুং জাংবো নদে (ভারত-বাংলাদেশে যার পরিচিতি ব্রহ্মপুত্র) বেইজিংয়ের বাঁধ নির্মাণের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেছেন, এ বিষয়ে ভারতের মতামত ও উদ্বেগের কথা চীনকে জানানো হয়েছে। অভিন্ন নদীর ক্ষেত্রে ভাটির দেশেরও কিছু অধিকার আছে।
৩জানুয়ারি শুক্রবার চীনের বাঁধ নির্মাণ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। রণধীর জয়সোয়াল বলেন, রাজনৈতিক ও বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে সেই অধিকারের কথা বারবার জানানো হয়েছে। সেই অধিকার ও স্বার্থের বিষয়ে ভারতের পর্যবেক্ষণ জারি আছে। সরকার সেইমতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করবে।
জানা গেছে, এই বাঁধ নির্মাণে চীনের খরচ হবে আনুমানিক ১৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। দেশটির ‘থ্রি গর্জেস’ বাঁধের চেয়ে বড় প্রস্তাবিত এই বাঁধ। এটি নির্মিত হলে তা হবে পৃথিবীর বৃহত্তম বাঁধ। প্রস্তাবিত বাঁধ নিশ্চিতভাবেই দুই ভাটির দেশ ভারত ও বাংলাদেশের নদীপ্রবাহে প্রভাব ফেলবে। দুই দেশই এ বিষয়ে চিন্তিত।
এ নিয়ে জয়সোয়াল বলেন, ওই তল্লাটে চীনের দখলদারি ভারত কখনো মেনে নেয়নি, নেবেও না। তাদের ওই ঘোষণা ভারতের সার্বভৌমত্বের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। ওই এলাকা ভারতের ছিল, ভারতেরই থাকবে। কূটনৈতিক পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হবে। সূত্র : এনডিটিভি