অনলাইন ডেস্ক :
নতুন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ঢাকাসহ দেশের ১০ জেলায় । আজ ৬ জুলাই বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।
জনা গেছে, গাজীপুরের ডিসি আনিসুর রহমানকে ঢাকার ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনকে রাঙ্গামাটির, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের একান্ত সচিব শাহ মোজাহিদ উদ্দিনকে বান্দরবানের, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের একান্ত সচিব মো. কায়ছারুল ইসলামকে টাঙ্গাইলের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব মু. আসাদুজ্জামানকে পাবনার, পানিসম্পদ উপমন্ত্রীর একান্ত সচিব আরিফুজ্জামানকে শরীয়তপুরের, অর্থবিভাগের উপসচিব সুরাইয়া জাহানকে লক্ষ্মীপুরের, দুর্যোগ ব্যবস্থা প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানকে কুমিল্লার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারকে ফেনীর ও বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামকে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
অনলাইন ডেস্ক :
কয়েকটি দেশ বন্ধু হলে শত্রু লাগে না, মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা চায়, বাংলাদেশে এমন সরকার আসুক, যারা তাদের পদলেহন করবে।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ ৩০ আগস্ট বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে কেউ কেউ চায়, এখানে এমন একটা সরকার আসুক যারা তাদের পদলেহন করবে।
তিনি বলেন, বড় দেশ মোড়লিপনা সব জায়গায় করে থাকে। এরা যাদের বন্ধু হয়, তাদের তো আর শত্রু লাগে না। ইউক্রেন বন্ধু হয়েছিল, আজ ইউক্রেনের অবস্থাটা কী দাঁড়িয়েছে?’
শেখ হাসিনা বলেন, সেখানকার (ইউক্রেন) মেয়েরা, বাচ্চারা আজকে কষ্ট পাচ্ছে। এমনই বন্ধুত্ব, সেই বন্ধুত্বের কারণে তাদের দেশও শেষ এবং সেখানে নারী-শিশু, তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে।
নাম উল্লেখ না করে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তৎপর দেশগুলোকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী কিছু আছে, কয়েকটি দেশ, তারা নাকি খালি গণতন্ত্র খুঁজে বেড়ায়।
শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমাদের শুনতে হয়, তারা গণতন্ত্রের খোঁজ করে, ভোটের অধিকার খোঁজ করে। এই ভোটের যে অবস্থা ছিল, সেটা তো তারা দেখেনি। এরা দেখতেও পারে, জানতেও পারে।
তিনি বলেন, মানবাধিকার, গুম-খুনের কথা বলে। আমার বাবা-মায়ের হত্যাকারী সেই খুনি রাশেদ এখনও আমেরিকায়। বার বার অনুরোধ করি যে তাকে ফেরত দেন, কারণ আমার দেশের বিচার ব্যবস্থায় সে সাজাপ্রাপ্ত। সেখানে তাদের হাত দেওয়ার কী অধিকার আছে? এই খুনিকে তারা লালনপালন করে কেন? আরেকজন নূর, সেই নূর তো এখন কানাডায়। তাদের তারা ফেরত দেয় না।
বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে আওয়ামী লীগের অবদানের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগেরই উদ্যোগে আমরা মহাজোট করি। আমাদেরই প্রস্তাব ছিল ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, নির্বাচন স্বচ্ছ করা।
তিনি বলেন, আইন করে নির্বাচন কমিশন আমরা করেছি। নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করে দেওয়া হয়েছে অর্থনৈতিকভাবে।
নির্বাচন ও গণতন্ত্র বিষয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, নির্বাচনকে স্বচ্ছ করা, জনগণের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছে আওয়ামী লীগ। রক্ত দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। রক্ত দিয়েই এই অধিকার আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি।
আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী প্রমুখ।
সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম বজলুর রহমান।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুড়িগ্রামের উলিপুরে একটি অটোরিক্সার চাপায় পড়ে এক শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। নিহত শিশুর নাম ফাহিমা বেগম (৬)। ঘটনাটি ঘটেছে দুপুরে উপজেলার ধরনী বাড়ী ইউনিয়নের কেকতির পাড় নামক গ্রামে। নিহত ফাহিমা ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের কেকতির পাড় গ্রামের ফুল মিয়ার কন্যা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ও স্থানীয়রা জানান,ওই গ্রামের অটো রিক্সা চালক আব্দুল হামিদ বাড়ীর পাশে রাস্তায় তার রিক্সাটি রেখে তার নিজ বাড়ীতে প্রবেশ করেন। এ সময় রিক্সাটি ভুলক্রমে চাবি অন করে রেখে যান।এরপর ওই অটোরিক্সায় শিশু ফাহিমাসহ কয়েকজন শিশু চরে বসে।কিছুক্ষণ পর তারা একে অপরে অটো রিক্সার চাবি ঘুরাঘুরি করতে থাকলে অটো রিক্সাটি চলতে গিয়ে উল্টে যায়।এসময় রিক্সার নিচে শিশুটিকে পড়তে দেখে এলাকার লোকজন দৌড়ে এসে তাকে উদ্ধার করে । তবে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে জানান স্থানীয়রা।
ঘটনার পর উলিপুর থানার এসআই আতিকুল ইসলাম ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। পারিবারিকভাবে কোন অভিযোগ না থাকায় তার স্বজনকে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মর্তুজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের পূবাইলে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়ায়ে চালককে অচেতন করে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যার পর লাশ ডোবায় ফেলে তার অটোরিক্সাটি নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। প্রায় সোয়া তিনবছর পর ক্লুলেস এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে জড়িত তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ ৮ জুন গাজীপুর পিবিআই’র পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থানার মাওয়া এলাকার মৃত মজিদ হাওলাদারের ছেলে মোঃ শাহীন (৪৭), ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর থানার ছয়আনি এলাকার মোঃ মিলনের ছেলে মোঃ সালাম ওরফে চঞ্চল (৪০) ও ফরিদপুর জেলার সালতা থানার ফুলবাড়িয়া এলাকার মৃত হোসেন মজুমদারের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর (৪০)। তারা সবাই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় থাকতো।
গাজীপুর পিবিআইর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পূবাইল থানাধীন তালটিয়া পূর্বপাড়া এলাকার মৃত নবাব আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম (৪০) এলাকায় অটোরিক্সা চালাতেন। প্রতিদিনের মতো ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ বিকেলে যাত্রী বহনের জন্য তিনি তার অটোরিক্সা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর নিখোঁজ হন তিনি। স্বজনরা বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান পায় নি। নিখোঁজের পর ১৩ এপ্রিল বিকেলে স্থানীয় বিন্দান এলাকার জহিরুল ইসলামের দোকানের পিছনের খাল থেকে রবিউলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি থানা পুলিশ।
তিনি জানান, থানা পুলিশ তদন্তকালে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পিবিআই গাজীপুরকে দেওয়া হয়। এরপ্রেক্ষিতে পিবিআইর তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ জামাল উদ্দিন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকার মিরপুর পল্লবী এলাকা থেকে শাহীনকে গ্রেফতার করেন। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে খিলক্ষেত এলাকা থেকে চঞ্চল ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা ভিকটিম রবিউল ইসলাম হত্যার সঙ্গে নিজেদেরক জড়িয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এর প্রেক্ষিতে ঘটনার সোয়া তিন বছর পর চাঞ্চল্যকর অটোরিক্সা চালক রবিউল ইসলাম হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একে এম নাজমুল হাসান বলেন, মাদক চোরাচালান সহ সীমান্ত হত্যা কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমাদের জিরু টলারেন্স।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পক্ষে থেকে চেষ্টা করছি মাদক যেন সীমান্ত দিয়ে কোনভাবে আমাদের দেশে প্রবেশ করতে না পারে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন মাদকের মাধ্যমে ধ্বংস না হয়ে যায় সেইটি আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে। সীমন্ত দিয়ে মাছের বিনিময়ে মাদক আসে এই বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা চাই কোন অবস্থাতে যেন কোন মাদক না আসে।
আজ ০১ মার্চ বুধবার দুপুরে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সীমান্ত হত্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, সীমান্ত হত্যা কারোর ই কম্য না, কখন কোন পরিস্থিতি কোন ঘটনা ঘটছে, কারোর কাঙ্খিত না একটা জীবন মেরে ফেলুক, তারাও চাই না আমরাও চাই না। তারাও চাই আমরাও চাই সীমান্ত হত্যা যতটুকু নিচে নামিয়ে আনা যায়।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনি (বিএসএফ) এর বাধার মুখে কসবা রেলস্টেশন ও সালদা নদীর ব্রিজের কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, ২০১৬ সালে কাজটি শুরু হেেয় ২০২০ সালে কাজটা বন্ধ হয়ে পরেছিল। এখন আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত যেন সমাধান হয়ে যায়। আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমার পক্ষে থেকে বিএসএফ সহ সংশ্লিষ্ট সবার সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ হয়েছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত একটি পজিটিভ ফলাফল আসবে এবং কসবা ও সালদা নদীর রেলওয়ে যে প্রজেক্ট আছে সেগুলোতে খুব দ্রুত এর কর্যক্রম শুরু হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কে এম আজাদ ব্যুরো চিফ বিএসবি, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল, মোহম্মদ আমির মজিদ পরিচালক বিএসবি, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল তসলিম এহসান, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল, মহিউদ্দিন পিএস টু ডিজি, মেজর, ফা – মিম আদনান এডিসি, সুলতানপুর ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, ২৫ বিজিবি সরাইলের রিজিওন কমান্টার ব্রিঃ জেঃ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
ডেস্ক রিপোর্ট :
২৫ ডিসেম্বর থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার জেলায় জেলায় পৌঁছাবে । এখন ব্যালট পেপার মুদ্রণের কাজ চলছে।
আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ কথা জানান।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইসি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যালট পেপার মুদ্রণের কাজ শেষ হবে। এর আগেই ২৫ ডিসেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় জেলায় জেলায় পৌঁছানো শুরু হবে পেপার।
১৮ তারিখ প্রতীক বরাদ্দ শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৩০০ আসনে প্রার্থীদের তালিকা পেয়ে গেছি, সে অনুযায়ী ব্যালট পেপার প্রিন্টিংয়ের কাজ চলমান। বিজি প্রেসের তিনটি প্রেসে ব্যালট পেপার প্রিন্ট হচ্ছে। যে সব নির্বাচনী আসনে প্রার্থিতা নিয়ে মামলা রয়েছে, ওই সব আসনে পরে ছাপানোর কাজ শুরু হবে।
৪০টির বেশি আসনে মামলা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ব্যালট মুদ্রণ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে চাই। যে সব নির্বাচনী এলাকায় কোনো মামলা নেই, সেখানের পেপার আগে মুদ্রণ হবে। যে সব নির্বাচনী এলাকায় মামলা রয়ে গেছে, হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পেতে পারে, কারও প্রার্থিতা চলে যেতে পারে, সেসব এলাকায় আগে মুদ্রণ করলে পুনরায় মুদ্রণ করতে হবে। আগেরগুলো বাতিল হয়ে যাবে, এক্ষেত্রে যেসব আসনে প্রার্থিতা নিয়ে মামলা রয়েছে সেসব আসনে মুদ্রণ পরে হবে।
ব্যালট পেপার মুদ্রণে সুনির্দিষ্ট বাজেট নেই জানিয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, বিজি প্রেসের চাহিদার ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে তাদের ৩৩ কোটি টাকা দিয়েছি। যে ভোটার আছে, তত সংখ্যক ব্যালট ছাপানো হবে। ২৫ তারিখের পর জেলা পর্যায়ে ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু হবে। যেগুলো শেষ হবে সেগুলো আগে চলে আসবে। ব্যালট পেপার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে চলে যাবে। তারপর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সংরক্ষিত হবে। কেননা ভোটের দিন জেলা থেকে উপজেলায় এগুলো পাঠানো সম্ভব হবে না। ভোটের দিনের জন্য মালামাল ও ব্যালট বাছাই করতে হয়। সেগুলো আগেই করতে হবে।
ব্যালট ও নির্বাচনী সামগ্রীর নিরাপত্তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যালট পেপার নিরাপত্তা কীভাবে দেবে সেটা নিরাপত্তা বাহিনী ঠিক করবে। নিরাপত্তার মাধ্যমে ব্যালট পেপার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাবে। ইসি তো কোনো স্পেসিফিক বাহিনীকে বলে দেবে না, যে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। নিরাপত্তা বাহিনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। সব নিরাপত্তা সামগ্রী পেয়ে গেছি। স্ট্যাম্পটা নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছায়নি। অন্যান্য সামগ্রী আগেই পৌঁছে গেছে। ২-৩ দিনের মধ্যে স্ট্যাম্প পৌঁছে যাবে।