চলারপথে রিপোর্ট :
এক সময় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে অর্ধশতাধিক পণ্য ভারতে রপ্তানি হলেও এখন রপ্তানি হচ্ছে হাতে গোনা কয়েকটি পণ্য। মূলত এখন হিমায়িত মাছের ওপরই অনেকাংশে নির্ভর করে বন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য। তবে মাছ রপ্তানি কমার কারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি কমেছে ৩৭৬ কোটি ২৩ লাখ টাকার পণ্য। যা এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ৩০৪ কোটি টাকা কম। এছাড়া তলানিতে ঠেকে আছে বন্দরের আমদানি বাণিজ্যও। ফলে আশানুরূপ রাজস্ব পাচ্ছে না বন্দর এবং শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য চললেও ২০০৮ সালে পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় আখাউড়া স্থলবন্দর। মূলত এ বন্দর দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে পণ্য রপ্তানি হয়।
পাঁচ বছর আগেও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া পণ্যের তালিকায় ছিল- হিমায়িত মাছ, পাথর, রড, সিমেন্ট, তুলা, ভোজ্য তেল, এলপি গ্যাস, প্লাস্টিক, শুঁটকি ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীসহ অর্ধশতাধিক পণ্য। তবে সময়ের পরিক্রমায় ছোট হয়ে এসেছে সেই তালিকা। বর্তমানে হিমায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট ও প্লাস্টিকসহ হাতে গোনা কয়েকটি পণ্য যাচ্ছে ভারতে।
রপ্তানিকৃত পণ্যের অর্ধেকই হিমায়িত মাছ। আর মাছের মধ্যে রয়েছে রুই, পুঁটি, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া ও পাবদাসহ সব ধরনের চাষের মাছ। প্রতি কেজি মাছের রপ্তানি মূল্য আড়াই মার্কিন ডলার। প্রতিদিন (ছুটির দিন ব্যতিত) গড়ে এক থেকে দেড় লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয় ভারতে।
তবে, গেল কয়েক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। আগে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ টন মাছ রপ্তানি হলেও এখন তা কমে অর্ধেকে নেমেছে। ফলে সামগ্রিকভাবে বন্দরের রপ্তানি আয় কমেছে। মূলত সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে তাজা মাছ পাচারের কারণে রপ্তানি ক্রমেই কমছে বলে অভিযোগ মাছ রপ্তানিকারকদের।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, আখাউড়া উপজেলার সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত তাজা মাছ পাচার হচ্ছে। এর ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা হিমায়িত মাছের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। বিষয়টি বিজিবি, বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এটি বন্ধ না করতে পারলে যে কোনো মুহূর্তে হিমায়িত মাছের রপ্তানি বন্ধ হয়ে পড়বে।
এদিকে, ভারত থেকে পণ্য আমদানিও এখন অনিয়মিত। সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে গম, ভুট্টা পাথর ও পেঁয়াজ। নিজেদের চাহিদা মতো পণ্য আমদানির সুযোগ পাওয়ায় আমদানি বাণিজ্যে খুব একটা আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের। এতে করে বন্দরের রাজস্ব আদায়ও তলানিতে ঠেকেছে।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৩৭৬ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার ৯১১ টাকার পণ্য। আর ভারত থেকে আমদানি হয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি ৯৩ লাখ ৬১ হাজার ৫২৮ টাকার পণ্য। আমদানি পণ্য থেকে শুল্ক কর্তৃপক্ষ রাজস্ব পেয়েছে ৫৫ লাখ ৭৮ হাজার ৬৯৮ টাকা। তবে বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি হয়েছিল ৬৮০ কোটি ১১ লাখ ৯৯ হাজার ১৭৪ টাকার পণ্য। ওই অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ২৮৮ কোটি ৪১ লাখ ১৩ হাজার ৪৬৮ টাকার পণ্য।
স্থলবন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে সড়ক ও রেল যোগযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় অনেক পণ্য এখন নিজ দেশ থেকেই সংগ্রহ করেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। ফলে রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে আমদানি বাণিজ্যের মাধ্যমে এখনও বন্দরটির ঘুড়ে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে। সেজন্য যখন যে পণ্যের চাহিদা, সেটি আমদানির সুযোগ দিতে হবে ব্যবসায়ীদের।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আহমেদ খলিফা বলেন, কখন কোন পণ্যের চাহিদা তৈরি হবে- সেটি আগে থেকে বলা যায় না। সেজন্যই আমরা সব পণ্য আমদানির জন্য বন্দর খুলে দেওয়ার দাবি করে আসছি। কিন্তু আমাদের সেই দাবি পূরণ হচ্ছে না। সম্প্রতি এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে কিছু পণ্যের তালিকা দিয়ে আমদানির অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটির এখনও সুরাহা হয়নি।
একমাত্র আমদানি বাণিজ্যের মাধ্যমেই বন্দরে আবার কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে আসতে পারে। যার মাধ্যমে সরকারও বিপুল অংকের রাজস্ব পাবে’- উল্লেখ করেন ফোরকান আহমেদ খলিফা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, বন্দরগুলো থেকে সরকারের রাজস্ব আহরণের বিষয়টি অনেকাংশেই আমদানি বাণিজ্যের ওপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি অনিয়মিত হওয়ায় রাজস্ব আদায় হচ্ছে কম। আমদানি বাড়াতে ব্যবসায়ীরা যেসব পণ্য আমদানির জন্য তালিকা দিয়েছেন- সেটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও চিঠি চালাচালি হচ্ছে। অচিরেই এ বিষয়টি সমাধান হবে বলে আশা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৪ জুন রবিবার দুপুরে ধুনট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধুনট থানা পুলিশের আয়োজনে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) সজিব সাহরিন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ধুনট থানার ওসি রবিউল ইসলাম, ধুনট পৌরসভার মেয়র এজিএম বাদশাহ, বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম সোবহান, কাউন্সিলর সেলিম রেজা রিমান, ইউপি সদস্য সুলতান মাহমুদ, প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র, সহকারি প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলামসহ শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।
অনলাইন ডেস্ক :
‘আমাদের কাছে পাবেন অরিজিনাল (এ জে এস কাগজের) গ্লেজিং প্রিন্টের সুতা জলছাপসহ নিখুঁত কাজের মাল। আমাদের কাছে ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার জাল নোট আছে, যা ব্যাংকের মেশিন ছাড়া খালি চোখে বোঝা অসম্ভব।’ ফেসবুকের একটি গ্রুপে এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে চলছিল জাল টাকার কারবার। এই চক্রটি জাল টাকা তৈরির টিকটক ভিডিও বানিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে প্রচারণা চালাত। তবে মূলত জাল টাকা সরবরাহের নামে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে আসছিল তারা।
সম্প্রতি এই চক্রের অন্যতম সদস্য সিফাত শেখকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে জাল টাকার কারবার ও এই চক্রের বিস্তারিত।
ডিবির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, সিফাত ও তার সহযোগীরা নিখুঁত জাল টাকা সরবরাহের বিজ্ঞাপন দিয়ে আগ্রহীদের আকৃষ্ট করত। এরপর অগ্রিম টাকা নিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দিত। ক্রেতাদের দেখানোর জন্য কিছু জাল নোট তারা নিজেদের কাছে রাখত। তবে সেগুলো কাউকে সরবরাহ করত না। এই চক্রে ১০ জনের বেশি সদস্য রয়েছে। তারা কেউ জাল নোট বানায়, কেউ ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেয়, কেউ ক্রেতার কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে।
উপকমিশনার জানান, চক্রের সদস্যরা সবাই সাধারণ পরিবার থেকে আসা তরুণ। তবে তারা ফ্যাশনেবল ও বিলাসী জীবনযাপনের চেষ্টা চালায়। মাঝেমধ্যেই তারা কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যায়। জাল নোট বিক্রির নামে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ তারা মূলত ‘ফূর্তি’র জন্য ব্যয় করে। সিফাতকে গত ২৯ এপ্রিল কক্সবাজার থেকে ফেরার পথেই গ্রেফতার করা হয়।
ডিবি সূত্র জানায়, কেরানীগঞ্জ উপজেলা চত্বরে ফুটপাতে ছয় হাজার টাকা বেতনে পোশাক বিক্রেতা হিসেবে কাজ করে সিফাত। সে ইউটিউবসহ অনলাইনে বিভিন্ন সাইট ঘেঁটে জাল টাকা তৈরি করা শিখেছে। পরে নিজেরা জাল টাকা বানানোর সময় তা ভিডিও করে অনলাইনে ছড়িয়ে দিয়েছে। মূলত সহজে অধিক অর্থ উপার্জন করতে চাওয়া লোভী ব্যক্তিরা তাদের টার্গেট। তারা এক হাজার টাকার ১০০টি জাল নোটের জন্য ১০ হাজার টাকা, ৫০০ টাকার ১০০টি নোটের জন্য ১২ হাজার টাকা, ১০০ ও ২০০ টাকার এক লাখ জাল নোটের জন্য ২০ হাজার টাকা দাম নিত। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার পর তারা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
এই চক্রের একটি ফেসবুক গ্রুপে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন সময়ে জাল টাকার বান্ডিলের ছবি-ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখানো হচ্ছে, জাল টাকায় আসল টাকার সব নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ফলে হঠাৎ করে কারও পক্ষে সেটাকে জাল হিসেবে ধরা সম্ভব নয়। গত মাসের একটি পোস্টে বলা হয়েছে, ঈদ উপলক্ষে এ-গ্রেডের নিখুঁত জাল নোট তৈরি করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের যে কোনো এলাকায় হোম ডেলিভারি দেওয়া হবে। সেজন্য ৫০ ভাগ টাকা অগ্রিম দিতে হবে। কুরিয়ার সার্ভিস বা নিজস্ব প্রতিনিধির মাধ্যমে পাঠানো জাল টাকার চালান হাতে পাওয়ার পর বাকি টাকা দিতে হবে। যোগাযোগের জন্য একটি ফোন নম্বরও দেওয়া আছে।
একটি ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, ‘মালের (জাল টাকা) স্যাম্পল নিজ হাতে চেক করে তারপর অর্ডার করবেন।’
চারদিন আগে লেখক আফসান চৌধুরী ফেসবুকে জাল টাকা বিক্রির বিজ্ঞাপনের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন– ‘পুলিশ এত কিছু জানে, এটা জানে না? রেট এত ভালো। এক টাকার বদলে নকল আট টাকা।’ তাঁর শেয়ার করা স্ক্রিনশটে লেখা রয়েছে– ‘এক লাখ মালের দাম ১২ হাজার টাকা। সব রকমের নোট। সর্বনিম্ন অর্ডার ৫০ হাজার টাকা।’
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল রাজধানীর দক্ষিণ গোড়ান থেকে ফেসবুকে প্রচার চালিয়ে জাল নোটের কারবারে জড়িত চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল পালিয়ে গেছেন। কোথায় গেছেন তা জানা নেই কারও।
আওয়ামী লীগ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। গত সোমবার দুপুরে তার বাড়িতে হামলার পর পাশের পুকুরে লাফিয়ে পড়ে সাঁতরে পালিয়ে যান তিনি। পুকুরে সাঁতরে তার পালানোর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকে বলছেন, পুকুর থেকে উঠে বোরকা পরে তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মিশে পালিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বাড়িতে হামলার সময় তার বাড়ির ছাদ থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে একাধিক বিক্ষোভকারী আহত হলে উত্তেজনা ছড়ায়। এরপরই বিক্ষুব্ধ লোকজন মেয়রের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে বাড়ির সব কিছু লুট হয়। মেয়রের অনুপস্থিতিতে প্যানেল মেয়র মিলি আক্তার দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মঙ্গলবার সকাল থেকে মেয়রের কক্ষে বসে কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
স্থানীয় লোকজন গণমাধ্যমকে জানায়, গত মঙ্গলবার সকালেও মেয়রের বাড়িতে লুটপাট চলতে থাকে। বাড়ির দালান ভবনের রড, ইটও খুলে নিতে থাকে লোকজন। বিষয়টি দেখতে পেয়ে বিএনপি নেতারা লুটপাটকারীদেরকে সরিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে তারা বাড়ির সামনে রশি টানিয়ে দেন। বিএনপি নেতারা চলে গেলে আবার লুটপাট শুরু হয়। আবার ছুটে এসে লুটপাটকারীদেরকে শাসিয়ে সরিয়ে দেন। এ সময় উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মো. জয়নাল আবেদীন আব্দু, সদস্য সচিব মো. খোরশেদ আলমসহ মো. বাহার মিয়া, মো. সেলিম ভূঁইয়া, জিয়াউল হাসান সানি, মো. ইমরান মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে ডেস্ক :
নয়জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৩ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শেখ হাসিনা আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে এ পুরস্কার তুলে দেন।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য এবার চারজন স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন। তারা হলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল (অব.) সামসুল আলম, মরহুম লে. এ জি মোহাম্মদ খুরশীদ, শহিদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম।
এ ছাড়া সাহিত্যে মরহুম ড. মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আহমেদ (সেলিম আল দীন), সংস্কৃতিতে পবিত্র মোহন দে, ক্রীড়ায় এ এস এম রকিবুল হাসান, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বেগম নাদিরা জাহান (সুরমা জাহিদ) ও ড. ফেরদৌসী কাদরী পুরস্কার পেয়েছেন। আর পুরস্কারের জন্য মনোনীত প্রতিষ্ঠানটি হলো ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।
সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এ পুরস্কার প্রদান করে আসছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রামের স্বর্ণপদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বন্যাদুর্গত ৩শ জন মানুষকে বিনা মূল্যে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের মাঝে বিনা মূল্যে বিভিন্ন রোগের ওষুধও বিতরণ করা হয়। বানভাসীদের পুনর্বাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৫ জন চিকিৎসকের মাধ্যমে বন্যার্তদের চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
আজ ৩১ আগস্ট শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার দক্ষিণ ইউনিয়নের রহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা এই আয়োজন করেন। ফ্রি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ক্যাম্পেইন-২০২৪ এর সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন আখাউড়া প্রেসক্লাব।
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, সকাল ১০ থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত আখাউড়ার প্রায় ৮/১০ টি বন্যা কবলিত গ্রামের মানুষদের ফ্রি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দিয়েছি। একই সঙ্গে তাদের মাঝে বিনা মূল্যে বিভিন্ন রোগের ওষুধও বিতরণ করা হয়েছে। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা বেশির ভাগই পানিবাহিক রোগে আক্রান্ত। দুপুরে আখাউড়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার গাজালা পারভিন রুহী ফ্রি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ক্যাম্পেইন পরির্দশন করেন। এসময় তিনি বিভিন্ন রোগীর সঙ্গে কথা বলেন ও ক্যাম্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষজন পানিবাহিত রোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এই সময়ে তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা খুবই দরকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ আব্দুল কাদির, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বি।