চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় মাদক বিরোধী অফিযানে রেলওয়ে থানা সংলগ্ন রেলওয়ে ক্লাবের জুয়ার আসর থেকে এক পৌর কাউন্সিলরসহ ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
৬ জুলাই বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় জুয়ার খেলার নগদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ১০৪টি তাস উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলো আখাউড়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর রাধানগরের সুজন মিয়া (৩০), উপজেলার নুরপুর গ্রামের বাবুল মিয়া (৬০) ও সোহাগ খান (৩০) কুড়িপাইকা গ্রামের সবুজ খন্দকার (৩৫) ও মোঃ রবিউল (৩০), শান্তিনগরের আমজাদ হোসেন (৩০), ধরখারের আব্দুর রউফ (৪৪), হীরাপুরের এমদাদ ভূইয়া (৫০), ছয়গড়িরার মুজিবুর (৫৫), এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার বরিশল গ্রামের ফরিদ মিয়া (৬০), সুহিল পুরের ফুল মিয়া (৬৮), চানপুরের ফখরুল মিয়া (৪৫) ও বাগেরহাট জেলার মোঃ ইমরান (৪৮)। শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর আবু ছালেক এবং সাব ইন্সপেক্টর মাহমুদ মঈনের নেতৃত্বে আখাউড়া থানার একটি টিম রাত সাড়ে ১১টার দিকে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনের পশ্চিমে রেলওয়ে ক্লাবে অভিযান চালায়। এসময় ক্লাবের পশ্চিম পাশের একটি রুমে জুয়া খেলা অবস্থায় ১৩ জুয়ারিকে আটক করে। এসময় জুয়ার খেলার সরঞ্জামন এবং নগদ প্রায় দেড় লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৫ দিন ব্যাপী সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা আগামী ২০ অক্টোবর শুরু হবে। পুজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপন উপলক্ষে আজ ২ অক্টোবর সোমবার দুপুরে আখাউড়া থানা পুলিশের আয়োজনে মত বিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা-আখাউড়া) সার্কেল মোঃ দেলোয়ার হোসেন। থানার হল রুমে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জনপ্রতিনিধি, পুজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দসহ ২৩টি পুজা মন্দিরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ বছর আখাউড়ায় ২৩টি মন্ডপে দূর্গাপুজা উদযাপিত হবে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ. মতিন, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী দীপক, রাধামাধব আখড়া কেন্দ্রীয় মন্দিরের নির্বাহী সভাপতি চন্দন কুমার ঘোষ, উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক দীপক কুমার ঘোষ প্রমুখ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিদু ভুষন বর্মন, সুভাষ দাস, ভজন দেব।
হিন্দু নেতারা শান্তিপূর্ণভাবে পুজা মন্দিরে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে দূর্গাপুজায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ ও সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়। নির্বিঘ্নে সুন্দর ভাবে পুজা উদযাপন করার আহবান জানানো হয়। প্রতিটি পুজা মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা আখাউড়া। এ উপজেলার বেশীভাগ লোকজন কৃষি কাজে উতপ্রোত ভাবে জড়িত। বর্তমানে চলছে ইরি-বোরো ধান আবাদের ভরা মৌসুম। স্থানীয় কৃষকরা কনকনে শীতকে অপেক্ষা করে চলতি মৌসুমের ইরি-বোরো ধান আবাদ শুরু করেছে। কৃষকরা জমিতে পানি সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ, বীজ উঠানো, প্রস্তুতকৃত জমিতে চারা রোপনে এক প্রকার ব্যস্ত সময় পার করছে। ধান আবাদ নিয়ে এখন সর্বত্র চলছে এক প্রকার উৎসবের আমেজ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো আবাদে তেমন সমস্যা হবে না বলে মনে করেন স্থানীয় কৃষকরা।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। রোপনকৃত জমির মধ্যে উন্নতফলনশীল জাতের ব্রি-২৯, ২৮, ৫০, ৮৫, ৮৭, ৮৮-৯৩, ৯৪, ৯৫ বঙ্গবন্ধু ১০০সহ নানা প্রজাতির ধান রয়েছে। এ মৌসুমে বোরো ধান রোপণের জন্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে ৫হাজার দুইশত কৃষককে সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হয়। এরমধ্যে ২৫০০ কৃষককে বীজ ধান, ১০ কেজি এমওপি এবং ১০ কেজি ডিওপি সার এবং ২৭০০ কৃষককে শুধুমাত্র বীজ দেওয়া হয়।
পৌর এলাকায় তারাগন, দেবগ্রাম, নারায়নপুর, উপজেলার নুরপুর, হীরাপুর, উমেদপুর, ধাতুর পহেলাসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায় স্থানীয় কৃষকরা বোরো ধান আবাদে জমি প্রস্তুত, চারা উত্তোলন ও রোপনের কাজে তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এরমধ্যে ফসলি জমিতে কেউ কেউ ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ করছেন। কেউ কেউ শ্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছেন, আবার কেউ বা ধানের চারা বীজতলা থেকে উঠাচ্ছেন। মাঠ জুড়ে বোরো আবাদের ধুম পড়ায় সূর্যের মুখ দেখা না গেলেও কোমর বেঁধে মাঠে নেমে কাজ করছেন কৃষকরা। কুয়াশায় ঢাকা শীতের সকালে বীজতলায় ধানের চারা পরিচর্যার পাশাপাশি জমি আবাদে কাজ চলছে যেন পুরোদমে। এদিকে তীব্র শীতে বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকরা রাতে বীজতলা ঢেকে রাখছেন। সব মিলিয়ে স্থানীয় কৃষকরা বোরো ধান আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষক মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, এ মৌসুমে বোরো ধান আবাদ করতে সহায়তা হিসাবে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ ও সার পেয়েছেন। গত আমনে ধান ৭ বিঘা জমি আবাদ করে ফলন ও বিক্রিতে ভালো দাম পেয়ে লাভবান হয়েছি। তাই এবার ১০ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হবে।
কৃষক মো: জামশেদ মিয়া বলেন, এক সময় বোরো ধান আবাদ করতে পানির খুবই সমস্যা হতো। অতিরিক্ত টাকায় সেচ দিতে হতো। গত কয়েক বছর ধরে সোলারের মাধ্যমে সেচ দিতে পারায় খরচ অনেক কমে এসেছে। তাছাড়া উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদে ফলন ও বিক্রিতে দর ভালো পাওয়ায় ধান চাষে লাভবান হচ্ছি। এ মৌসুমে ৮ বিঘা জমির মধ্যে ৫ বিঘা জমিতে চারা লাগানো শেষ হয়েছে। আগামী সপ্তাহে বাকী জমিতে লাগানোর কাজ শেষ হবে।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম বলেন, উপজেলার সর্বত্র কৃষকরা জমি প্রস্তুত করে পুরাদমে বোরো ধান আবাদ শুরু করেছেন। মাঠজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছেন। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে এবং সেচ ব্যবস্থা ঠিকমতো থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র মাস মাহে রমজানের প্রথমদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বাজার তদারকিমূলক অভিযান চালিয়ে মূল্য তালিকা না থাকায় নয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
আজ ২৪ মার্চ শুক্রবার দুপুরের দিকে আখাউড়া পৌর শহরের সড়ক বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যজাই মারমা।
জানা গেছে, মূল্য তালিকা না থাকায় সাতটি সবজি দোকান ও দুইটি মুদি দোকানকে ওই জরিমানা করা হয়। অভিযানকালে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যজাই মারমা বলেন, রমজানকে সামনে রেখে কেউ যাতে বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে, সেজন্য আমাদের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন মুদি ও সবজির দোকানে অভিযান চালিয়ে ওই জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বহুল কাঙ্ক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথে প্রথমবারের মত পরীক্ষা মূলক ট্রেন গেল ভারতের আগরতলায়। আজ ৩০ অক্টোবর সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বাংলাদেশের রেলের ৬ জন স্টাফ নিয়ে বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর নব নির্মিত রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৫টি মালবাহী বগি নিয়ে একটি ট্রায়াল ট্রেন আগরতলা নিশ্চিন্তপুর রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়।
পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল সফল হওয়ায় আগামী ১ নভেম্বর বুধবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী রেলপথটির উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছে প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া। উদ্বোধনের পর প্রথম দিকে পণ্যবাহী ট্রেন এবং পরবর্তীতে যাত্রীবাহী ট্রেনও চালানো হবে এই রুটে।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশর ট্রেন নিয়ে ভারতের আগরতলায় যাওয়ায় ট্রেন চালক মো. মাফুজুর রহমান বলেন, একজন চালক হিসেবে প্রথম বারের মতো আমাদের ৬ জন স্টাফ নিয়ে আগরতলায় যাচ্ছি। খুব ভালো লাগছে।
আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের বাংলাদেশ অংশের প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর মিয়া জানান, এখন উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত আছে রেলপথটি। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে এই মেঘা প্রকল্পটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণকাজ শুরু করে। ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেলপথের বাংলাদেশ অংশ ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। করোনা মহামারিসহ নানা সংকটে বিলম্ব হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদেরকে মিষ্টি উপহার দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)।
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে স্থলবন্দরের শূন্য রেখায় এ উপহার দেওয়া হয়। বিএসএফের পক্ষ থেকে ফ্রন্টিয়ার কমান্ডার নিঝুম পুরুষোত্তম পাটেল মোট পাঁচ প্যাকেট মিষ্টি বিজিবির আখাউড়া (আইসিপি) ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার আব্দুল মোমেনের হাতে তুলে দেন।
দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও ধর্মীয় বিভিন্ন আয়োজনে বিজিবি-বিএসএফ একে অপরকে মিষ্টিসহ বিভিন্ন উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করে।