চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রায় ১ হাজার কেজি আনারস পাঠিয়েছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ১০০টি কার্টুনে ৭০০ পিস কিউ জাতের আনারস উপহার হিসেবে পাঠানো হয়। ত্রিপুরার একটি বাগান থেকে এসব সুস্বাদু আনারস সংগ্রহ করা হয়েছে।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের হর্টিকালচার সেন্টারের পরিচালক ডাঃ ফনি ভূষন জমাইতিয়া এবং সহকারী পরিচালক দীপক বৈদ্য আখাউড়া-আগরতলা সীমান্তের শূন্যরেখায় আনারসগুলো নিয়ে আসেন। পরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধি নবুল সানোয়ালের হাতে এগুলো তুলে দেন। ভারতীয় হাইকমিশন উপহারস্বরূপ আনারসগুলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেবেন।
এর আগে গত ১৫ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ৫০০ কেজি সুস্বাদু হিমসাগর জাতের আম পাঠিয়েছিলেন।
এসময় ত্রিপুরার হর্টি কালচারের সহকারী পরিচালক দীপক বৈদ্য বলেন, আমাদের ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য উপহারস্বরূপ আনারস পাঠিয়েছেন। কিউ জাতের এ আনারস খুবই সুস্বাদু ও রসালু।
আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য আনারস পাঠিয়েছেন আমরা এজন্য খুবই আনন্দিত। তিনি আরও বলেন, আমদানী রপ্তানীসহ অন্যান্যে ক্ষেত্রে ত্রিপুরার জন্য বাংলাদেশের অনেক অবদান আছে। ত্রিপুরা রাজ্যের হর্টিকালচার সেন্টারের পরিচালক ডাঃ ফনি ভূষন জমাইতিয়া বলেন, এর আগে বাংলাদেশের মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আম পাঠিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে খেয়েছেন এবং অন্যদেরকেও খাইয়েছেন। আমগুলো খুবই সুস্বাদু ছিল। ভালো একটা উপহার আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর জান্য পাঠানো হয়েছে। এজন্য আমরা গবির্ত।
আনারসগুলো হস্তান্তরের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক দেবাশীষ নন্দী, আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ উদ্দিন, আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশের এএসআই দেওয়ান মোর্শেদুল হক প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
পাঁচ মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে।
আজ ১৩ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ছয়টায় একটি ট্রাকে করে বন্দর দিয়ে ৭ মেট্রিক টন জিরা এসেছে ভারত থেকে। এর মাধ্যমে আবারও সচল হলো বন্দরের আমদানি বাণিজ্য।
হাইড্রোল্যান্ড সলিউশন নামে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান এই জিরা আমদানি করেছে। তবে আজ থেকে সরকারি ছুটি শুরু হওয়ার ঈদের আগে বন্দর থেকে জিরা খালাস না করতে পারার শঙ্কা প্রকাশ করেন প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স শফিকুল ইসলাম আমদানিকৃত জিরার কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের কাজ করবে।
আমদানিকারক সূত্রে জানা গেছে, প্রতি টন জিরার দাম পড়েছে দুই হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার, যা স্থানীয় মুদ্রায় দুই লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকার মতো (প্রতি ডলার ১১৭ টাকা ধরে)।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. ছাগিরুল ইসলাম বলেন, হাইড্রোল্যান্ড সলিউশন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৭ মেট্রিক টন জিরা আমদানির জন্য এলসি খুলেছে। আজকে সন্ধ্যায় জিরা নিয়ে একটি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে। প্রথমবারের মত এই স্থলবন্দর দিয়ে দেশে জিরা আমদানি হয়েছে। আমদানি পণ্য থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত হারে শুল্ক এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন মাশুল পাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আখাউড়া সীমান্ত থেকে দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি।
আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৭টায় বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের ফকিরমোড়া বিওপির একটি টহলদল আব্দুল্লাপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করে।
আটক ভারতীয়রা হলেন, পান্না রানী দেব (৫৪) ও তার ছেলে অভি দাশ (১৮)। বিজিবি জানায়, তারা ভারতের ধলায় জেলার কমলপুর থানার মানিক ভান্ডার এলাকার জহর লাল দাসের স্ত্রী ও সন্তান।
বিজিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা ৭ দিন আগে ভারতের ত্রিপুরা জেলার রামনগর থানার সরমালংগা গ্রামের বাসিন্দা ও মানবপাচারকারী দালাল মানিক দাশের সহযোগিতায় অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর থেকে পান্না রানী দেব কিশোরগঞ্জ জেলায় তার শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার হিরাপুর গ্রামের বাছির মিয়ার ছেলে ও মানবপাচারকারী দালাল মো. তোফাজ্জল হোসেন এবং নূরুল মিয়ার ছেলে মো. তৌহিদ মিয়ার সহযোগিতায় সীমান্ত পিলার ২০২২/৭-এস এর কাছ দিয়ে তারা ভারতে ফেরত যাচ্ছিলেন বলে জানায় বিজিবি। আটক ভারতীয় ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে শাহার মোল্লা (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।
আজ ৮ মার্চ শুক্রবার ভোরে পৌর এলাকার শান্তিনগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাহার মোল্লার বাড়ি শান্তিনগরে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম জানান, ফজরের নামাজ আদায় করে সকাল সোয়া ৬টার দিকে বড় বাজার-ধরখার সড়ক হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন শাহার।
এসময় আখাউড়াগামী একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন তিনি। এ অবস্থায় শাহার মোল্লাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর অটোরিকশাচালক পালিয়ে গেছেন। এলাকাবাসী ধাওয়া করেও গাড়িটি কিংবা এর চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ভেকু দিয়ে কৃষি জমি থেকে অবৈধ ভাবে মাটি কাটার দায়ে দুই ব্যক্তিকে এক লক্ষ জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ২৪ এপ্রিল বুধবার দুপুরে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের বনগজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়।
পুলিশের সহায়তায় আদালত পরিচালনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম। জরিমানা দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন বনগজ গ্রামের রৌশন আলী বেপারী ও ভাটামাথা গ্রামের মোঃ সালাহ উদ্দিন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা বিক্রির উদ্দেশ্য ভেকু দিয়ে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটছিল। খবর পেয়ে বেলা ২ টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম ঘটনাস্থল বনগজে গিয়ে মাটি কাটার সময় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে মাটি কাটার সত্যতা পাওয়ায় প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় অগ্নিবীণা রেলওয়ে মুক্ত স্কাউট গ্রুপের ৩০ বছর পূর্তি ও ৩১ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আলোচনা সভা, লগো উন্মোচন ও কেক কেটে আনন্দ উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় আখাউড়া রেলওয়ে কুমার পাড়া কলোনীস্থ গ্রুপ কার্যালয় বর্ণিল সাজে সাজানো হয়।
কার্যালয় চত্বরে শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও স্কাউটদের অংশগ্রহণে আনন্দঘন পরিবেশে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীয় পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জমান খান। প্রধান অতিথি ছিলেন রেলওয়ে জেলা স্কাউটস এর সহ-সভাপতি ও রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ রাকিব উদ্দিন খান খাদেম, বিশেষ অথিথি ছিলেন আখাউড়া পৌরসভার কাউন্সিলর মোঃ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ইমরান, রেলওয়ে জেলা স্কাউট সম্পাদক এস. কে. খাদেম সেলিম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে গ্রুপের প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৩০ বছরের কার্যক্রম তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রুপের সম্পাদক মোহাম্মদ হালিম। তিনি জানান, ১৯৯৪ সালে মোস্তাক আহমেদ খাদেম টিটু অগ্নিবীণা রেলওয়ে মুক্ত স্কাউট গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। গ্রুপটি রেলওয়ে অঞ্চলে সুনামের সাথে স্কাউটিং কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এ গ্রুপের সদস্যরা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পুরস্কার অর্জন করেছে। তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গ্রুপের সহ সভাপতি সাংবাদিক হান্নান খাদেম, শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের প্রভাষক সামসুল আরেফিন, রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ সেলিম, সাংবাদিক জুটন বনিক, সুর্য সৈনিক স্কাউটের সহ সভাপতি সমীর চক্রবর্তী, রেলওয়ে জেলা স্কাউট সাবেক সম্পাদক আহসান কবির লিটন, সাংবাদিক নাজমুল আহমেদ রনি, যুবলীগ নেতা তারেক আহমেদ সজল, অভিভাবক জামাল আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আব্দুল করিম চৌধুরী রাসেল।
বক্তারা বলেন, যে কোন একটি সংগঠনের জন্য ৩০ বছর পূর্ণ করা অত্যন্ত দূরুহ কাজ। অগ্নিবীণা রেলওয়ে মুক্ত স্কাউট গ্রুপ সুনাম ও দক্ষতার সাথে তাদের সাফল্য অর্জন করেছে। বক্তারা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা লন্ডন প্রবাসী উডব্যাজার মোস্তাক আহমেদ খাদেম টিটুসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রশংসা করেন। আগামী দিনে স্কাউটিং কার্যক্রম আরও বেগবান করে ছাত্রছাত্রীকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলে সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
আলোচনা শেষে গ্রুপের নতুন লগো উন্মোচন করা হয় এবং কেক কাটা হয়।