চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে শিক্ষার্থীদের মাঝে দুর্নীতি বিরোধী চেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে সরাইল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১০ জুলাই সোমবার স্থানীয় অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বির্তক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহম্মদ সরওয়ার উদ্দিন।
সরাইল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোঃ আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহিদ খালিদ জামিল খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু মিয়া, সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তার, সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক মমিন হোসেন, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ইসমত আলী ও সাংবাদিক সফিকুর রহমান।
প্রতিযোগীতায় উপজেলার সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, কালীকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়, শাহবাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়, শাহজাদাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও পাকশিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, প্রধান শিক্ষক শেখ সাদী।
প্রতিযোগিতায় অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন ও সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় রানারআপ হয়। অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দলের প্রধান নাদিরা আক্তার শ্রেষ্ঠ বক্তার গৌরব অর্জন করে। প্রতিযোগিতা শেষে প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথমধাপে জাল ভোট দেয়া ও ভোটারদের প্ররোচিত করার দায়ে চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ ৮ মে বুধবার দুপুরে উপজেলার কাটানিসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র এবং উপজেলা সদরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র থেকে তাদেরকে আটক করে কারাদন্ড দেয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ এবং নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম পৃথক ভ্রাম্যমান অভিযান চালিয়ে তাদেরকে কারাদন্ড প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিসার গ্রামের মোড়াহাটির রজব আলীর ছেলে শাকির মিয়া (৩৯) একই গ্রামের সাচ্চু মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২৮), ইয়াকুব আলীর ছেলে মোঃ রাকিব হোসেন (২৪) এবং উপজেলা সদরের রুসমত আলীর ছেলে তামিম মিয়া (২৬)।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, বুধবার দুপুরে কাটানিসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অবৈধ ভাবে গোপন কক্ষে গিয়ে অন্যের ব্যালট পেপারে সিল মারার সময় শাকির মিয়াকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
শাকির ভোট কেন্দ্রে পুলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিলেন। একই কেন্দ্রে অপর পুলিং এজেন্ট মোঃ হৃদয় মিয়াকে ভোটারদের ভোট প্রদানের জন্য প্ররোচিত করার সময় আটক করা হয় এবং একই কেন্দ্রের ৪০০ গজের মধ্যে ভোটারদের ভোট দেয়ার জন্য অন্যায়ভাবে প্ররোচিত করার সময় মোঃ রাকিব হোসেনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে শাকির মিয়াকে ১৫ দিন, হৃদয় মিয়াকে ১০ দিন ও রাকিব হোসেনকে ৭ দিন বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
অপর দিকে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, বুধবার দুপুরে সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার সময় তামিম মিয়া (২৬) নামে এক যুবককে আটক করা হয়।
তামিম মিয়া আবদুল মান্নান নামের এক ব্যক্তির জাল ভোট দিতে গিয়ে কেন্দ্র আটক হয়। বিষয়টি জানতে পেরে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে কৃষি জমি থেকে অহিদ মিয়া (৫৭) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ৭ জুন বুধবার বেলা ১০টায় উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের বড়বল্লা শ্মশান ঘাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত অহিদ মিয়া ওই এলাকার মৃত লোফা মিয়ার ছেলে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন জানান, অহিদ মিয়া পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি বিভিন্ন পুকুরে মাছ চাষ করতেন। গতকাল ৬ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর ফেরেননি। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় তার খোঁজ করেও সন্ধ্যান পান না। পরে বুধবার সকালে কৃষি জমির ভেতরে স্থানীয়রা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
তিনি আরো জানান, তার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্যে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সার ৫ যাত্রী নিহত হয়েছে। আজ ২১ আগস্ট সোমবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জে কাভার্ড ভ্যান চাপায় ও সরাইল উপজেলায় বাস চাপায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৩ জন।
জানা যায়, সোমবার দুপুরে আশুগঞ্জে থেকে যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড় আসার পথে মহাসড়কের সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকামুখী একটি কাভার্ড ভ্যান (ঢাকা মেট্রো ম-২৭-৮২৩৭) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ওই সিএনজি চালিত অটোরিক্সাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন পুরুষসহ এক শিশু মারা যায়। এর মধ্যে আহত একজনকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মারা যায়। নিহতরা হলো জেলার সরাইল উপজেলার বড়ইবাড়ি গ্রামের ফরিদা মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক মোঃ সোহেল মিয়া (২৭), একই গ্রামের নাজমুল মিয়ার ছেলে মোঃ জিলানী (৮), পানিশ্বর ইউনিয়নের শাখাইতি গ্রামের আছকর মিয়া (৬০) ও কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার মির্জাপুর গ্রামের মোঃ রশিদ মিয়ার ছেলে উজ্জল (৩৫)। এ ঘটনায় আরো ৩ যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, নিহত জিলানীর ছোট বোন দেড় বছর বয়সী তাইরিন, বাবা নাজমুল মিয়া ও মা শাহানা বেগম। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, সোমবার দুপুরে একই মহাসড়কে জেলার সরাইল উপজেলার ইসলামাবাদ এলাকায় বাস চাপায় সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রী আবু হানিফ (৬০) নিহত হয়েছে। তিনি আখাউড়া উপজেলার আব্দুল হাসেমের ছেলে। এ ঘটনায় আরো দুই যাত্রী আহত হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঢাকাগামী বাসটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সাটিকে চাপা দিলে অটোরিক্সার ৩ যাত্রী গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু হানিফকে মৃত ঘোষণা করেন।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, দুপুরে আশুগঞ্জে থেকে যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্স বিশ্বরোড আসার পথে মহাসড়কের সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকামুখী একটি কাভার্ড ভ্যান (ঢাকা মেট্রো ম-২৭-৮২৩৭) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ওই সিএনজি চালিত অটোরিক্সাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন পুরুষসহ এক শিশু মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে। এর মধ্যে আহত একজনকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মারা যায়। এছাড়া সরাইলেও সড়ক দুর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সব ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নে আগুনে পুড়ে একটি বসতঘর ও একটি রান্না ঘর ছাই হয়ে গেছে। এতে আনুমানিক প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা কর হচ্ছে।
১১ অক্টোবর বুধবার বিকালে রাজাবাড়িয়া কান্দি গ্রামের মোঃ মজিবুর রহমানের বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সরাইল ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে আগুনে বসতঘর ও রান্না ঘরে থাকা মালামাল ভস্মিভূত হয়ে যায়।
সরাইল ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার রিয়াজ বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেড় লাখ টাকার মত হবে বলে অনুমান করা যাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলের বিখ্যাত বংশীবাদক মো. রুবেল (৩২) চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান। উদীয়মান এই নক্ষত্রের আকস্মিক মৃত্যুতে সরাইলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তির মৃত্যুতে এতিম ৩ সন্তান নিয়ে দিশেহারা এখন স্ত্রী রুপা বেগম (৩২)।
পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার শাহবাজপুর প্রথম গেইট এলাকার প্রয়াত হাসনাত মিয়ার ছেলে রুবেল। রুবেল ২ ছেলে সন্তানের জনক। ছাত্র জীবন থেকেই সাংস্কৃতিক চর্চার প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল তার। সেই থেকেই বাঁশি বাজানো অনুশীলন করতে থাকেন। এক সময় রুবেল ভাল বংশীবাদক হয়ে ওঠেন। বড় বড় অনুষ্ঠানে রুবেলের ডাক আসতে থাকে। ইউনিয়ন ছাড়িয়ে উপজেলা, জেলায় ও সমগ্র দেশে রুবেলের পরিচিতি বিস্তৃতি লাভ করে। আর এভাবেই রুবেলের বংশীবাদকের ক্যারিশমা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার ভক্তের কাছে রুবেল হয়ে ওঠেন প্রিয় বংশীবাদক। তাঁর আচার আচরণ ও সদালাপের সুনাম খ্যাতিও মানুষের মন কাড়ে। অগণিত দর্শক শ্রোতার প্রিয় রুবেল প্রথমে ডায়বেটিস ও পরে লিভারের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে হঠাৎ করে রুবেলের শাররীক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত নিয়ে যান জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন রুবেল।