অনলাইন ডেস্ক :
তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটের জয় পেল বাংলাদেশ। দাপুটে এই জয়ে সিরিজে ২-১ হোয়াইটওয়াশ এড়াল টাইগাররা।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ১৭ রানে জয় পায় আফগানিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩৩১ রান করে আফগানরা।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ১৪২ রানের বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। টাইগারদের হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করে আফগানরা।
প্রথম দুই ম্যাচে হেরে মঙ্গলার তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায় ছিল টাইগাররা। মানরক্ষার ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিংয়ে আফগানদের ১২৬ রানে অলআউট করেন শরিফুল-তাসকিন-তাইজুলরা।
৩০০ বলে ১২৭ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
দলের জয়ে ৬০ বলে তিন চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে অনবদ্য ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক লিটন দাস। ৩৯ বলে পাঁচ বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৯ রান করে ফেরেন সাকিব আল হাসান। ১৯ বলে ২২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তাওহিদ হৃদয়। ১১ রানে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শূন্য রানে আউট হন নাইম শেখ।
আজ ১১ জুলাই মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৪৫.২ ওভারে ১২৬ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
বাংলাদেশ দলের হয়ে পেসার শরিফুল ইসলাম নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম। একটি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ।
স্পোটর্স ডেস্ক :
নিউজিল্যান্ড সফরে আরো একটি হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি ৭ উইকেটে হারল সফরকারীরা। এতে সিরিজ হার বাঁচাতে পারলেন না নাজমুল হোসেন শান্তরা। একই সঙ্গে আরো দীর্ঘ হলো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কিউইদের বিপক্ষে সাদা বলের সংস্করণে জয়।
নেলসনে সৌম্য সরকারের ক্যারিয়ার-সেরা ১৬৯ রানের ইনিংসের পরেও তিন শর আগেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ, থামে ২৯১ রানে। রান তাড়ায় হেনরি নিকোলসের ৯৫ ও উইল ইয়াংয়ের ৮৯ রানের সুবাদে ২২ বল হাতে রেখে অনায়াস জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
২৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করা নিউজিল্যান্ড। অবশেষে জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। ১১তম ওভারের শেষ বলে রিশাদ হোসেনের দারুণ ক্যাচে আউট হয়েছেন রাচীন রবীন্দ্র। এই ব্যাটার ৩৩ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৫ রান করেন। উদ্বোধনীতে উইল ইয়ংয়ের সঙ্গে তিনি ৭৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েছেন।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে উইল ইয়ং ও হেনরি নিকোলস ১৩১ বলে ১২৮ রান তোলেন। অবশেষে এই জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। ৯৪ বলে ৮৯ রান করা এই ব্যাটারকে হাসান নিজের ক্যাচেই ফেরান। ইয়ং ৮টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান।
কিউইদের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন শরিফুল। ৯৯ বলে ৯৫ রান করা হেনরি নিকোলসকে সেঞ্চুরি করতে দেননি এই বাঁহাতি। নিকোলস ৮টি চার ও একটি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান। টম ল্যাথাম ৩৪ ও টম বøান্ডেল ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে ২টি উইকেট পান হাসান মাহমুদ। একটি উইকেট পান শরিফুল।
টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। দলীয় ১১ রানে অ্যাডাম মিলনের বলে ব্যক্তিগত ২ রানে আউট হন এনামুল হক। এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাস ৬ রানকরে দ্রæতই ফিরে যান। এ দুজনকেই পর পর দুই ওভারে তুলে নেন জ্যাকব ডাফি। আর দলীয় ৮০ রানে তাওহীদ হৃদয় ১২ রান করে রান আউট হলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ধীরে সুস্থে ব্যাটিং করেন সৌম্য সরকার। এই বাঁহাতি ৫৮ বলে ফিফটি ও ১১৬ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান। পঞ্চম উইকেট জুটিতে তিনি মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ১০৮ বলে ৯১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকেও উদ্ধার করেন। ডাফির তৃতীয় শিকার হওয়া মুশফিক ৫৭ বলে ৫টি চারে ৪৫ রানে মাঠ ছাড়েন।
এরপর অন্য ব্যাটাররা সেভাবে জ্বলে উঠতে না পারলেও সৌম্য টাইগারদের একাই পথ দেখান। সেঞ্চুরির পরই মূলত ব্যাটে ঝড় তোলেন। ইনিংসের শেষ ওভারে উইলিয়াম ও’রোরকের প্রথম বলে সৌম্য আউট হন। ১৫১ বলে ২২টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৬৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ ওভারে আরও দুটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
কিউই বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট পান ডাফি ও রোরকে।
অনলাইন ডেস্ক :
সাত পাকে বাঁধা পড়তে যাচ্ছেন ভারতীয় অভিনেত্রী দর্শনা বণিক। যিনি শাকিব খানের বিপরীতে ‘অন্তরাত্মা’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
গেল বছরের শুরুর দিকে টলিউডে জোর গুঞ্জন চাউর হয় সহশিল্পী সৌরভ দাসের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন দর্শনা। তবে টলিপাড়ায় এসব কথা রটলেও সৌরভ আর দর্শনা সেসময় বলেছিলেন, উই আর জাস্ট ফ্রেন্ডস!
অবশেষে সব জল্পনার ইতি টেনে এবার সৌরভ-দর্শনার প্রেমের গুঞ্জন বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর সাতপাকে বাঁধা পড়বেন এই জুটি। কলকাতার একটি বিলাসবহুল হোটেলে বসবে তাদের বিয়ের আসর।
জানা যায়, বন্ধুত্ব থেকে তাদের প্রেমের শুরু। ‘অল্প হলেও সত্যি’সহ একাধিক সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন সৌরভ-দর্শনা। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব। পরে সময়ের সঙ্গে তা গাঢ় হয়। প্রায় দুই বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন তারা। কাজ করতে গিয়ে চেনা জানা হলেও কাজের বাহিরেও একটা সময় তারা অবাধ দেখা যেত। তবে সম্পর্ক নিয়ে বরাবরই এড়িয়ে গিয়েছেন তারা।
দুই পরিবারের উপস্থিতিতে সৌরভ-দর্শনার বিয়ে হচ্ছে। সমস্ত নিয়ম মেনেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। পুরো ঘটনায় ভীষণ উচ্ছ্বসিত নায়িকা। এরই মধ্যে বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র অতিথিদের কাছে পাঠানো শুরু করেছেন বলেও জানা গেছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যার লগ্নে দর্শনা সৌরভের চার হাত এক হবে বলেই খবর।
দর্শনা এই মুহূর্তে ব্যস্ত শুভ্রজিৎ মিত্রর ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমার কাজ নিয়ে। ইতোমধ্যেই হাজির হয়েছে তার চরিত্রের লুক। বর্তমানে ঢালিউড, টলিউড, তেলেগু ও হিন্দি মিলিয়ে একগুচ্ছ কাজ দর্শনার হাতে।
অনলাইন ডেস্ক :
দিনের শুরুটা ভালো না হলেও পরবর্তীতে বোলার ও ব্যাটারদের দুর্দান্ত নৈপুন্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৭০ রানের বড় ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চালকের আসনে বসে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
আজ ১৫ জুন বৃহস্পিতবার সকালে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এরপর আফগানিস্তানকে প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা। এতে প্রথম ইনিংস থেকে টাইগাররা ২৩৬ রানের লিড পেলে ফলো-অনে পড়ে আফগানিস্তান। কিন্তু আফগানিস্তানকে ফলো-অন না করিয়ে ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে দ্বিতীয়বারের মত ব্যাট হাতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ১৩৪ রান করে বড় লিড দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দিন শেষে ৭৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৬২ রান করেছিলো বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ১৪৬, মাহমুদুল হাসান জয় ৭৬ রানে আউট হন। দিন শেষে মুশফিকুর রহিম ৪১ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আজ, দ্বিতীয় দিন ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের পরের দিকের ব্যাটাররা। বাকী ৫ উইকেটে মাত্র ২০ রান যোগ করতে পারে বাংলাদেশ। ৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় টাইগাররা। এরমধ্যে ৩টিই নেন আফগানিস্তানের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা নিজাত মাসুদ।
মুশফিক ৭৬ বলে ৪টি চারে ৪৭ ও মিরাজ ৮টি চারে ৮০ বলে ৪৮ রানে আউট হন। লোয়ার অর্ডারে তাসকিন আহমেদ ২, তাইজুল শূন্য, শরিফুল ইসলাম ৬ রানে আউট হন। বল হাতে আফগানদের পক্ষে সেরা বোলার ছিলেন প্রথম দিন ২ উইকেট নেয়া মাসুদ। ১৬ ওভারে ৭৯ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও আব্দুল মালিক। ৫ ওভারে ১৭ রান তুলে ফেলেন তারা। অবশ্য দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে বিচ্ছিন্ন হতে পারতেন জাদরান ও মালিক। শরিফুলের বলে লিটনের হাতে জীবন পান জাদরান।
জীবন পেয়ে সুবিধা করতে পারেননি জাদরান। ষষ্ঠ ওভারে শরিফুলের শিকার হন তিনি। ৬ রান করেন জাদরান। এরপর আফগানিস্তানের উপর চাপ বাড়ান আরেক পেসার এবাদত। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে আফগানদের ২ উইকেট তুলে নেন এবাদত। মালিককে ১৭ ও রহমত শাহকে ৯ রানে শিকার করেন এবাদত। এতে ৩ উইকেটে ৩৫ রান নিয়ে বিরতিতে যায় আফগানিস্তান।
বিরতি থেকে ফিরে আফগানিস্তান শিবিরে দ্বিতীয়বারের মত আঘাত হানেন শরিফুল। অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহিদিকে ৯ রানে থামান তিনি। এতে ৫১ রানে ৪ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এ অবস্থায় দলের হাল ধরে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আফসার জাজাই ও নাসির জামাল। জুটিতে ৭৩ বলে ৬৫ রান তুলে উইকেটে সেট হয়ে যান তারা। এ অবস্থায় জুটি ভাঙ্গতে মরিয়া ছিলো বাংলাদেশ।
অবশেষে দলীয় ১১৬ রানে জামালকে লেগ বিফোর আউট করে বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন মিরাজ। ৬টি চারে ৩৫ রান করেন জামাল।
মিরাজের ব্রেক-থ্রুর পর আফগানিস্তানকে চেপে ধরেন এবাদত ও তাইজুল। এতে ৩৯ ওভারে ১৪৬ রানে শেষ হয় আফগানদের প্রথম ইনিংস। আফগানদের পক্ষে জাজাই সর্বোচ্চ ৩৬ ও জানাত ২৩ রান করেন।
এবাদত ৪৭ রানে ৪টি, শরিফুল ২৮ রানে, তাইজুল ৭ রানে এবং মিরাজ ১৫ রানে ২টি করে উইকেট নেন। ইনিংসে ২ উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৫০ ও মিরপুরের ভেন্যুতে ৫০ শিকার পূর্ণ করেন মিরাজ।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩৮২ রানের জবাবে ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে ফলো-অনে পড়ে আফগানিস্তান। কিন্তু আফগানদের ফলো-অন না করিয়ে ম্যাচের ২৩৬ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ।
জাকির হাসানকে নিয়ে ইনিংস শুরু করে প্রথম ওভারের শেষ বলে ক্যাচ দিয়ে জীবন পান মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে আফগানিস্তানের বাঁ-হাতি স্পিনার আমির হামজার বলে আউট হন ৪টি চারে ১৩ বলে ১৭ রান করা জয়।
দলীয় ১৮ রানে জয়ের বিদায়ের পর জাকিরকে নিয়ে ওয়ানডে স্টাইলে খেলেছেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যক্তিগত ৯ রানে জীবন পেয়ে আহমাদজাইর করা ১৮তম ওভারে শেষ চার বলে চারটি বাউন্ডারি মারেন শান্ত।
ইনিংসের ২১তম ওভারে বাউন্ডারি মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান জাকির। পরের ওভারের প্রথম বলে চারের সহায়তায় টেস্টে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি করেন শান্ত। হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে অবিচ্ছিন্ন থেকে দিন শেষ করেন জাকির ও শান্ত। দু’জনই ৬৪ বল করে খেলে সমান ৫৪ রানেই অপরাজিত আছেন। জাকির ৬টি ও শান্ত ৮টি চার মারেন।
স্কোর কার্ড (টস-আফগানিস্তান)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস (প্রথম দিন শেষে ৩৬২/৫, ৭৯ ওভার, মুশফিক ৪১*, মিরাজ ৪৩*) :
মাহমুদুল হাসান ক ইব্রাহিম ব রহমত ৭৬
জাকির হাসান ক আফসার ব নিজাত ১
নাজমুল হোসেন শান্ত ক নাসির ব হামজা ১৪৬
মোমিনুল হক ক আফসার ব নিজাত ১৫
মুশফিকুর রহিম ক জামাল ব মাসুদ ৪৭
লিটন দাস ক ইব্রাহিম ব জহির ৯
মিরাজ ক হামজা ব আমাদজাই ৪৮
তাসকিন এলবিডব্লু ব আজাদজাই ২
তাইজুল ক মালিক ব নিজাত ০
করিফুল বোল্ড মাসুদ ৬
এবাদত অপরাজিত ০
অতিরিক্ত (বা-৮, লে বা-১, নো-১৬, ও-৭) ৩২
মোট (অলআউট, ৮৬ ওভার) ৩৮২
উইকেট পতন : ১/৬ (জাকির), ২/২১৮ (মাহমুদুল), ৩/২৫৬ (মোমিনুল), ৪/২৭১ (শান্ত), ৫/২৯০ (লিটন), ৬/৩৭৩ (মিরাজ), ৭/৩৭৫ (মুশফিক), ৮/৩৭৫ (তাইজুল), ৯/৩৭৭ (তাসকিন), ১০/৩৮২ (শরিফুল)।
আফগানিস্তান বোলিং :
আহমদজাই : ১০-১-৩৯-২ (নো-১),
মাসুদ : ১৬-২-৭৯-৫ (ও-১, নো-৪),
জানাত : ১১-৩-৩৩-০ (ও-১),
জহির : ১৬-০-৯৮-১ (ও-১, নো-৮),
হামজা : ২৪-১-৮৫-১ (নো-৩),
শাহিদি : ৩-০-৯-০
রহমত : ৬-১-৩০-১।
আফগানিস্তান প্রথম ইনিংস :
জাদরান ক লিটন ব শরিফুল ৬
মালিক ক জাকির ব এবাদত ১৭
রহমত ক তাসকিন ব এবাদত ৯
শাহিদি ক মিরাজ ব শরিফুল ৯
জামাল এলবিডব্লু ব মিরাজ ৩৫
জাজাই ক শরিফুল ব এবাদত ৩৬
জানাত স্টাম্প লিটন ব মিরাজ ২৩
হামজা ক মোমিনুল ব এবাদত ৬
আহমাদজাই ক লিটন ব তাইজুল ০
মাসুদ ক জাকির ব তাইজুল ০
জহির অপরাজিত ০
অতিরিক্ত (লে বা-১, নো-৪) ৫
মোট (অলআউট, ৩৯ ওভার) ১৪৬
উইকেট পতন : ১/১৮ (জাদরান), ২/২৪ (মালিক), ৩/৩৫ (রহমত), ৪/৫১ (শাহিদি), ৫/১১৬ (জামাল), ৬/১১৬ (জাজাই), ৭/১২৮ (হামজা), ৮/১৪০ (আহমাদজাই), ৯/১৪৬ (মাসুদ), ১০/১৪৬ (জানাত)।
বাংলাদেশ বোলিং :
তাসকিন : ৭-০-৪৮-০ (নো-৪),
শরিফুল : ৮-২-২৮-২,
এবাদত : ১০-১-৪৭-৪,
তাইজুল : ৫-০-৭-২,
মিরাজ : ৯-১-১৫-২।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস :
মাহমুদুল হাসান ক জাদরান ব হামজা ১৭
জাকির হাসান অপরাজিত ৫৪
নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাজিত ৫৪
অতিরিক্ত (নো-৩, ও-৬) ৯
মোট (১ উইকেট, ২৩ ওভার) ১৩৪
উইকেট পতন : ১/১৮ (জয়)।
আফগানিস্তান বোলিং :
আহমদজাই : ৫-০-৩৪-০,
মাসুদ : ৩.৫-০-৩০-০ (নো-৩),
হামজা : ৬.১-০-২৭-১,
জানাত : ৪-০-২৪-০ (ও-২),
জহির : ৪-০-১৯-০।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের বিরুদ্ধে এবার ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন অপারেশন অগ্নিপথ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ। আজ ৩০ এপ্রিল রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
প্রযোজক রহমত উল্লাহ ও তার আইনজীবী ড. মো. তবারক হোসেন ভূঁঞা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১৩ এপ্রিল এই প্রযোজক শাকিব খানের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৯৯/৫০০/৫০১ ধারায় ঢাকার সিএমএম কোর্টে মো. রশিদুল আলমের আদালতে আরও একটি মানহানি মামলা করেছিলেন। মামলা নম্বর- সিআর-২৪৯/২৩ (রমনা)। মামলাটি তদন্ত করার জন্য পুলিশের বিশেষ শাখা পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গণমাধ্যমের কাছে রহমত উল্লাহকে বাটপার-প্রতারক ও আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে রহমত উল্লাহর পক্ষে তার আইনজীবী ড. মো. তবারক হোসেন ভূঁঞা শাকিব খানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
অপরদিকে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করতে গত ১৮ মার্চ রাতে গুলশান থানায় যান শাকিব খান। কিন্তু সেখানে মামলা নেওয়া হয়নি। পরের দিন ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন শাকিব খান। পরবর্তীতে গত ২৩ মার্চ চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে মামলা করেন শাকিব খান। গত ২৬ এপ্রিল বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত। ওই মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন পান রহমত উল্লাহ। শাকিব খান পরবর্তীতে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকা ট্রাইব্যুনালে আরেকটি মামলা করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ বিকালে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাঙালি এই প্রযোজক সশরীরে এফডিসিতে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর শাকিব খানের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস ও সহ-নারী প্রযোজককে ধর্ষণের মতো গুরুতর বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগপত্রে রহমত উল্লাহ উল্লেখ করেন, নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ (২০১৭) সিনেমায় অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস, ধর্ষণ (মামলা নং: ৬২৪৯৪৯৫৯) এবং পেশাগত অবহেলার মাধ্যমে চলচ্চিত্রটির ক্ষতি সাধন, চলচ্চিত্রের শুটিং সম্পন্ন করতে অথবা লগ্নিকৃত অর্থ ফিরিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে অভিযোগ করেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা। কাজের সুবাদে এই তরুণী সঙ্গে সিঙ্গাপুরে পরিচয় হয় বাংলাদেশি যুবক শামীম মাদবরের।
সেখানে থাকা অবস্থায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এভাবেই কেটে যায় দুই বছর। অবশেষে প্রেমের সম্পর্ক গড়িয়েছে বিয়েতে।
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কেশবপুর গ্রামে জাঁকজমকে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রেমযুগলের।
জানা গেছে, সিঙ্গাপুর থেকে গত ৩০ জানুয়ারি দেশে ফেরেন শামীম মাদবর। বাড়িতে এসে ইন্দোনেশীয় তরুণীকে বিয়ে করার ইচ্ছার কথা পরিবারকে জানান তিনি। ভীনদেশি তরুণীকে বিয়ের বিষয়টি প্রথমে শামীমের পরিবার মেনে নেয়নি। পরে অনলাইনে ওই তরুণীরর সঙ্গে কথা বলে বিয়েতে মত দেন তারা। অবশেষে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসেন ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা। শামীমের পরিবার তাকে সানন্দে গ্রহণ করেন। শুক্রবার বিয়ের হয় শামীম-ইহফার।
শামীম মাদবরের আত্মীয় সালমা আক্তার বলেন, ‘ইফহা ইন্দোনেশীয় হলেও কাজের সুবাদে সিঙ্গাপুরে থাকেন। তবে ওর পরিবার ইন্দোনেশিয়া থাকে। আমরা ফোনে ওই মেয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছি। মেয়েটা খুবই ভালো। বাড়িতে ছেলের পরিবার প্রথমত বিয়েতে মত না দিলেও পরে সবাই রাজি হয়। মেয়ের পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারাও রাজি। পরে গত ১৭ তারিখে ইফহা বাংলাদেশে আসেন। ’
এদিকে ইন্দোনেশীয় তরুণীর বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমায় এলাকাবাসী। প্রায় ৮ শতাধিক মানুষের খাবার আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় বিয়ের অনুষ্ঠান।
প্রতিবেশীরা বলেন, বিদেশি মেয়ের সঙ্গে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়ায়। মেয়েকে দেখতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন এসে ভিড় করে।
শামীমের বাবা লাল মিয়া মাদবর বলেন, বিদেশি মেয়েকে আমার ছেলে পছন্দ করেছে। মেয়েও ছেলেকে পছন্দ করে। আমরা ওই মেয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও বিয়েতে রাজি হয়েছেন। শামীম আসার কয়েকদিন পর বিদেশি মেয়েও বাড়িতে আসে। শুক্রবার শামীম ও আমার ছোট ছেলে সুমনের একত্রে বিয়ে দিয়েছি। একসঙ্গে অনুষ্ঠান করেছি। সবাই আনন্দিত। এখন ওরা ভালো থাকুক এই দোয়া করি।
শামীম বলেন, ‘ইফহা ইন্দোনেশীয়ান তরুণী। তবে সিঙ্গাপুর থাকে। ওখানে থাকা অবস্থাতে প্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে দেখা হয়। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। প্রেমে গড়ায় সম্পর্ক। আমাদের কারো পরিবারই রাজি ছিল না। আমরা পরস্পরের পরিবারকে বুঝিয়েছি। পরে তারা বিয়েতে রাজি হয়।
ইফহা বলেন, আমি খুবই খুশি শামীমকে পেয়ে। ও খুবই ভালো মনের মানুষ। আমরা সিঙ্গাপুর যাব। ওখান থেকে ইন্দোনেশিয়া বেড়াতে যাব বাবা-মায়ের কাছে।