অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি দফার বিভ্রান্তিতে ঘুরপাক খাচ্ছে। কখনো ১০ দফা, কখনো ২৭ দফা, কখনো ১ দফা, আবার কখনো ৩১ দফা! বিএনপি কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে ঘোষিত এসব দফা জনগণ কর্তৃক ইতোমধ্যেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
আজ ১৩ জুলাই বৃহষ্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কর্তৃক উত্থাপিত রূপরেখাকে অন্তঃসারশূন্য ও অকার্যকর বলে প্রত্যাখ্যান করে এই বিবৃতি প্রদান করা হয়।
ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, বিএনপি কিছু দিন পর পর নতুন নতুন দফা নিয়ে রাজনীতিতে টিকে থাকার ব্যর্থ চেষ্টা করছে। বিএনপির এই দফা জনগণের চাহিদা বিবেচনা করে নয় বরং ঐতিহ্যগতভাবে তাদের দুর্নীতি, লুটপাটতন্ত্র এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের স্বৈরতান্ত্রিক অপরাজনীতি ফিরিয়ে আনার কূটকৌশল।
তিনি বলেন, তাদের এসব দফা ও রূপরেখায় জনকল্যাণের সুনির্দিষ্ট কোনো কর্মপন্থা নেই। জনগণ তাদেরকে আস্থায় না নিলেও জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তারা মরিয়া হয়ে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আজ যেসব রূপরেখা ও দফা তুলে ধরছে, প্রকৃতপক্ষে তারা তা বিশ্বাস ও ধারণ করে না। কারণ তারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এসব নীতির বিরুদ্ধে সব ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকা- চালিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র’-কে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে তারা দুর্নীতির বরপুত্র, একুশে আগস্টের নারকীয় গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিএনপি জনগণকে সেই ‘হাওয়া ভবন’-এর দুঃশাসনের যুগে ফিরিয়ে নিতে চায়। আজ তারা দুর্নীতির শে^তপত্র প্রকাশের কথা বলছে! অথচ বিএনপির শাসনামলে টানা পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নের কলঙ্কের কথা জনগণ ভুলে যায়নি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তাদের তথাকথিত রূপরেখায় ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলেছে! শ্রমিকের ন্যায্য মজুরির কথা বলেছে! কৃষকের অধিকারের কথা বলেছে! -এ যেন ভূতের মুখে রাম নাম।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানই এদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর প্রথম আঘাত হেনেছিল এবং বিএনপির এমপি, মন্ত্রী ও ক্যাডারবাহিনী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারীদের উপর পাশবিক ও বর্বর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছিল। তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর বার বার আঘাত হেনেছে বিএনপি। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তাদের শাসনামলে শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে কিছুই করেনি, বরং তাদের হাত শ্রমিকের রক্তে রঞ্জিত। এমনকী পবিত্র রমজান মাসে বেতন-বোনাসের দাবীতে আন্দোলন করায় ১৭ জন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, কানসাটে বিদ্যুতের দাবীতে আন্দোলনরত মানুষকে গুলি করে হত্যা এবং সার ও তেলের দাবীতে আন্দোলন করায় কৃষকের বুকে বুলেট বিদ্ধ করেছিল বিএনপি। তাদের অতীত অপকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হয়ে, জাতির সামনে ক্ষমা প্রার্থনা না করে আজ তারা বিভ্রান্তির রূপরেখা উপস্থাপন করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মুখে গণতন্ত্রের কথা বলছে! আসলে গণতন্ত্রের মোড়কে তারা তাদের সেই হিং¯্র রাজনীতির পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চায়। গণতান্ত্রিক পন্থায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নত-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণকর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রধানতম অন্তরায় বিএনপি এবং তার দোসররা।
তিনি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী সকলের অংশগ্রহণে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে।
আজকের বাংলাদেশে কৃষক, শ্রমিক, জনতার ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, প্রান্তিক মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেছে। যে কয়বার শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে, তা আওয়ামী লীগের আমলেই হয়েছে। কৃষি খাতে ব্যাপক প্রণোদনা ও কৃষি গবেষণার মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, ক্ষুধা ও চরম দারিদ্র্যের অভিঘাত থেকে মুক্তি পেয়েছে জাতি। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনমানের উন্নতি ঘটেছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীন-গৃহহীন অসহায় মানুষের মাথা গোঁজার ঠাই এবং অর্থনীতির মূলধারায় সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামীর উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশে জনকল্যাণের এই ধারা অব্যাহত থাকবে। বিএনপির এই ধরনের তথাকথিত রূপরেখা ও আন্দোলনের হুমকি বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। বাংলাদেশের জনগণ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপশক্তির ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। বাসস
চলারপথে ডেস্ক :
গাজীপুুর মহানগরের পুবাইল থানার তেলের লড়ির চাপায় বাবা ও ছেলে নিহত। এ ঘটনায় চালকসহ তেলের লড়ি আটক করেছে পুলিশ।
আজ ২৬ মে শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টায় মিরের বাজার-উলুখোলা সড়কের টিয়া পূর্বপাড়া এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহত বাবা মো. জলিল হোসেন (৬৪) শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানার জালকাটা গ্রামের উজির আলী ফকিরের ছেলে ও জলিলের ছেলে মো. শহীদ (১৪)। তারা দুজনে গাজীপুরের পুবাইল এলাকার আইয়ুব আলী পাঠানের বাড়িতে ভাড়া থেকে ভিক্ষাবৃত্তি করতো। এ ঘটনায় আটক লড়ির চালক শ্রী সুজন মাল্লা (৩৫) জামালপুর ঝেলার মাদারগঞ্জ থানার বীর ভাটিয়ানী থানার চাম্পা মাল্লার ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানা নাওজোর এলাকার নজরুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
প্রত্যক্ষদর্র্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছেন, প্রতিবন্ধী ছেলে শহীদকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে ভিক্ষা করতো বাবা মো. জলিল হোসেন। শুক্রবার (২৬ মে) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে পুবাইলের মিরের বাজার-উলুখোলা সড়কের টিয়া পূর্বপাড়া এলাকা ভিক্ষা করছিল তারা। এসময় নারায়নগঞ্জ থেকে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে আসা একটি তেলের লড়ি (যশোর-ট-১১-২৯০২) হুইল চেয়ারে করে ভিক্ষা করার সময় প্রতিবন্ধী শহীদ ও জলিলকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
এবিষয়ে পুবাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিল্টন কুমার কুন্ড বলেন, এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভায় ‘ফুল টাইম’ বা সার্বক্ষণিক প্রশাসক বসানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। আজ ৩০ অক্টোবর বুধবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে প্রশাসক দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে হাসান আরিফ বলেন, ‘এখানে স্বাভাবিকভাবে কিছুটা বিলম্ব (সেবার ক্ষেত্রে) হয় লোকবলের অভাবে। আমরা সেখানেও চিন্তা-ভাবনা করেছি। অতি শিগগির আপনারা দেখতে পারবেন, এখানে আমরা ফুল টাইম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করতে যাচ্ছি। এটা নিয়ে এখন চিন্তা ভাবনা হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি, সাময?িক একজন প্রশাসক দিয়ে এত বড় সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ বা পৌরসভার সেবাগুলো দেওয়া সম্ভব নয়। এখানে সার্বক্ষণিক দায?িত্বে আছে, সার্বক্ষণিক কর্তব্য আছে। সেগুলো পালন করার জন্য সার্বক্ষণিক একজন প্রশাসকের প্রয়োজন। সে ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। অতি শিগগির আপনারা জানতে পারবেন।’
অনলাইন ডেস্ক :
প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে ‘সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট’ বলে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় গণমাধ্যমে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট। এটা হলো মূল কথা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য এখন কমছে।’
সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম ভাঙতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। দ্রব্যমূল্য এখন বেশ কিছু ক্ষেত্রে কমতে শুরু করেছে। বাজেটটা এমনভাবে করা হয়েছে যে, মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।’
প্রস্তাবিত বাজেটকে জনবান্ধব বলার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে এই বাজেট প্রণীত হয়েছে।’
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেছেন। জাতীয় সংসদে ‘দেড় দশকের উন্নয়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শীর্ষক বাজেট বক্তৃতা দেন তিনি।
এটি দেশের ৫২তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৪তম ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পঞ্চম বাজেট।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের সংবিধান মেনে চলি। তার কারণ হচ্ছে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে এই সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। সেই সংবিধান মেনেই নির্বাচন করব। যারা সংবিধান মানে না তারা নিজেদেরকে বাংলাদেশের নাগরিক বলাটা সঠিক হবে না।
আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতারা অনেক কথাই বলতে পারে।
এর আগে তিনি আখাউড়া ষ্টেশনে উপস্থিত নেতাকমীর্দের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন এক উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিচিত হয়েছে। আমরা শেখ হাসিনার পলিকল্পনা অনুয়ায়ী তাঁর নেতৃত্বে কাজ করব এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। এর আগে তিনি ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে সকাল সাড়ে ১০টায় আখাউড়া এসে পৌঁছেন।
এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল’সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ সহ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি সড়ক পথে নিজ উপজেলা কসবার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তিনি বিকালে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের টানমান্দাইল গ্রামে ফুটবল খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ। মানবজাতির শিরোমণি মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিন। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল ইসলামের শেষ নবী (সা.) আরবের মরু প্রান্তরে মা আমিনার কোল আলো করে জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের এ দিনে মাত্র ৬৩ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী বা সিরাতুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করে আসছে বিশ্বের মুসলমান সম্প্রদায়।
একটা সময় আরবজাহান ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। মানুষ হয়ে পড়েছিল বেদিন। তারা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ে। সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা।
মারামারি আর হানাহানিতে লিপ্ত ছিল মানুষ। মূর্তিপূজা করত। এ যুগকে বলা হয় ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত’। এ থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে, তাদের আলোর পথ দেখাতে আল্লাহতায়ালা মুহাম্মদ (সা.)-কে এ পৃথিবীতে পাঠান।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আছে, ‘মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবী সৃষ্টি করতেন না।’ এ কারণে এবং তৎকালীন আরবজাহানের বাস্তবতায় এ দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি।
পবিত্র কুরআনে তাঁর জীবনকে বলা হয়েছে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ্’ অর্থাৎ সুন্দরতম আদর্শ।
এ দিনটি উপলক্ষে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সব স্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।