চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন ৫ নভেম্বর রবিবার। নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আজ ৪ নভেম্বর শনিবার দুপুর ১টা থেকে শুরু হয়েছে নির্বাচনী সরাঞ্জাম বিতরণ।
এসময় সরাইল উপজেলার ৮৪টি কেন্দ্র ও আশুগঞ্জ উপজেলার ৪৮টি কেন্দ্র মিলিয়ে মোট ১৩২টি ভোটকেন্দ্রের জন্য ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স, সিলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। দুই উপজেলার উপজেলা পরিষদ থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছে এসব সরাঞ্জাম বুঝিয়ে দেন দুই উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে তারা কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এসব সরাঞ্জাম ভোটকেন্দ্রের উদ্দেশ্যে নিয়ে যান।
জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, সুষ্ঠু ও স্বতস্ফূর্তভাবে উপ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তায় র্যাব, পুলিশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভুইয়া মৃত্যুবরণ করায় উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১০ হাজার ৭২ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জের বিভিন্ন ড্রায়ার মিলের কালো ধোঁয়া, ছাই ও রাইস ব্রানে (চালের উপরের স্বচ্চ পাতলা আবরণ) মারাত্মকভাবে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। অযোগ্য হয়ে পড়ছে ঘরবাড়িতে বসবাস, ব্যহত হচ্ছে মানুষের দৈনদিন চলাফেরা।
প্রতিনিয়ত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে জ্বর-সর্দি-কাশিসহ শ্বাসকষ্টসহ নানাবিধ চোখের রোগে। বার বার এসব বিষয়ে মিল মালিকদের অবগত করা হলেও কোনো তোয়াক্কা করছেন না তারা। পরিবেশ নষ্ট হলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে অধিকাংশ মিলের। এসব বিষয়ে বার বার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না এলাকার সাধারণ লোকজন। তাই আশুগঞ্জের কয়েকটি এলাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, এভাবে প্রতিনিয়ত চলতে থাকলে পরিবেশের পাশাপাশি জনজীবন হুমকিতে পড়বে। চোখ হারাবে এই পথে চলাচলকারীরা। দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বার বার বলা হলেও কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না মিল মালিকরা। তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন বলছেন এই বিষয়ে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও হবিগঞ্জ জেলার হাওরাঞ্চলের উৎপাদিত ধান বেচাকেনা হয় আশুগঞ্জের মেঘনা নদীর তীরে বিওসি ঘাটে অবস্থিত ধানের হাটে। এই হাট থেকে ধান সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাত করে চাল রুপান্তর করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়ে ওঠে অসংখ্য চাতালকল। এখানে উৎপাদিত চাল ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন অন্তত লক্ষাধিক মণ চাল সরবরাহ করে থাকে। এতে এলাকার অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে থাকলেও গত ৪-৫ বছরে উপজেলা বেশ কয়েকটি এলাকায় গড়ে উঠেছে ৪৫টি ড্রায়ার মিল। এদের মধ্যে আশুগঞ্জের সোনারামপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠে খান অটো-১ ও ২, আওলাদ এগ্রোফুড, শাহজালাল অটো, একতা অটো, কামরুল অটো, উন্দা মিয়া অটো, আলমনগর এলাকায় মেসার্স হাইটেক এগ্রো ফুড ইন্ড্রাস্টিজ,ভাই ভাই অটো রাইস মিল, ফারহান অটো রাইস মিল, সরকার অটো রাইস মিলসহ অধিকাংশ ড্রায়ার মিল থেকেই কালো ধোঁয়া, ধুলা ও ছাইয়ে এলাকাবাসীর জীবন-যাপন অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এলাকাবাসীর জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ড্রায়ার মিলগুলো। ঘরবাড়ির দরজা-জানালা বন্ধ রেখেও মুক্তি মিলছে না। ছাই ও কালো ধোঁয়ায় নষ্ট হচ্ছে ঘরবাড়ি। রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিন চোখে-মুখে পড়ছে এসব ছাই ধুলা। লোকজন বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে জ্বর-সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও এলার্জিজনিত নানা রোগে।
ডায়ারগুলিতে বর্জ্য শোধনাগার না থাকা, কম উচ্চতায় চিমনি ব্যবহার, চিমনিতে ধুলা নিরোধক নিরাপত্তা জাল ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার না করা, তুষের বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার এবং পরিবেশ সুরক্ষা আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় এমনটি হচ্ছে জানান তারা। ড্রায়ার মালিকদের বার বার মৌখিকভাবে এসব অভিযোগ জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। প্রতিটি বাড়িঘরের ছাদ-চালা-উঠান ছাই আর ধুলার স্তূপ পড়ে গেছে। একটু দাঁড়ালে গায়ে উড়ে পড়ছে ছাই ও ধুলার কনা। রাস্তা দিয়ে চলাচল করাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। চোখ খোলা রেখে চললেই চোখে পড়ছে রাইস ব্রান। যা খালি চোখে দেখা যায় না। কিন্তু চোখে পড়লেই বিপদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার আলমনগর যাত্রাপুর মোড়ের একজন বাসিন্দা বলেন, ভাই ভাই অটো রাইস মিল, ফারহান অটো রাইস মিল ও সরকার অটো রাইস মিলের কারণে এখানে বসবাস করার কোনো পরিবেশ আর নাই। তাদের বললেও কোনো কাজ হয় না। পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা পরিবেশের ওপর এই অত্যাচার চালাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার আলমনগর এলাকায় আরো বেশ কয়েকটি ড্রায়ার মিল স্থাপনের কাজ চলমান। এর মধ্যে মেসার্স হাইটেক এগ্রো ফুড ইন্ড্রাস্টিজ এর চিমনি দিয়ে দেদারসে বের হচ্ছে কাল ধোঁয়া।
এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জানা যায়, এই প্রতিষ্ঠানের ৫ মালিকের মধ্যে একজন সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.শফিকুল ইসলাম। কথা হয় আরেকজন মালিক মো.আবু বকর সিদ্দিক এর সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের সকল আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। মাঝে মাঝে কালো ধোঁয়া বের হলেও সেটা যেনো না বের হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আল মদিনা অটো রাইস মিলের ম্যানেজার বজলু মিয়া বলেন, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের কারণে আমাদের মিল থেকে কোনো ধুলা, কালো ধোঁয়া ও রাইসব্রান বের হয় না। আমাদের ময়লাগুলো নিজস্ব পুকুরেই যাচ্ছে। যার কারণে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নাই।
জেলা চালকল ও ড্রায়ার মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি জিয়াউল করিম খান সাজু বলেন, আমরা ধুলা ও ছাই প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিয়েছি। আধুনিক প্রযুক্তি ইতোমধ্যেই গ্রহণ করে অনেকগুলো ড্রায়ারে স্থাপন করা হয়েছে।
আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নূপুর সাহা বলেন, বিভিন্ন সময়ে চোখে রাইস ব্রান নিয়ে অনেকেই আমাদের কাছে আসে। তাদের আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকি। বিভিন্ন চোখের ড্রপ ব্যবহারের পরামর্শ দেই। তবে এই সমস্যা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে এবং চোখে এই রাইসব্রান পড়তে থাকলে একসময়ে চোখ হারাতে হতে পারে। এছাড়াও ডায়রিয়া ও এলার্জিজনিত সমস্যা নিয়েও আমাদের এখানে লোকজন আসেন। এসবের মূল কারন হল ড্রায়ারের কাল ধোয়া ও রাইস ব্রান। দ্রুত এসব বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিমল চক্রবর্তী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সচল ১৫৫টি মিলের বিপরীতে মাত্র ৮৫টি মিলের পরিবেশের ছাড়পত্র আছে। বাকিগুলোও নজরদারির মধ্যে আছে। রাইস ব্রানসহ ধোঁয়া ছাইয়ের বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে ড্রায়ার মিলগুলির বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আশুগঞ্জ প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ বাসায় ফিরেছেন। ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ৫টার দিকে তিনি বাসায় ফেরেন।
২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সাংবাদিকরা তার বাসায় যান। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রথম থেকে আমার কাছে নির্বাচন অগোছালো মনে হয়েছিল। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি বেশি চাপ নিতে পারছিলাম না। বেশি চাপ অনুভব করাতে আমি নির্বাচন থেকে সরে গেছি। চাপ নিয়ে আমি থাকতে পারব না। এ জন্য আমি নির্বাচন ছাইড়া সইরা গেছি।’
আবু আসিফ বলেন, ‘চাপ নিতে পারছিলাম না। আমি মানসিকভাবে ভেঙে গিয়েছিলাম। নির্বাচন শেষ হয়েছে, আমি চলে এসেছি।’ কোথায় ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ছিলাম আমার একটি জায়গায়।’ সরে দাঁড়ানোর জন্য কেউ কোনো চাপ বা ভয়ভীতি দেখিয়েছে কিনা, জানতে চাইলে স্ত্রী মেহেরুননিসা মেহেরীন তাকে থামিয়ে দেন।
সন্ধ্যায় আবু আসিফ নিজ কক্ষে বিছানায় কম্বল জড়িয়ে শুয়েছিলেন। কিছুটা অসুস্থ দেখাচ্ছিল তাকে। সেই সময় স্ত্রী মেহেরুননিসা, শ্যালক সায়ায়েত সুমন, দারোয়ান ইছু মিয়াসহ অনেকেই তার কক্ষে ছিলেন।
আসিফের স্ত্রী মেহেরুননিসা মেহেরীন বলেন, ‘আমি আশুগঞ্জের বাসায় ছিলাম। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টার দিকে জানতে পারি, স্বামী ঢাকার বসুন্ধরার বাসায় ফিরেছেন। আমাকে ফোন দেওয়ার পর ঢাকায় চলে যাই। স্বামীকে নিয়ে বিকাল ৫টায় আশুগঞ্জে চলে আসি। তিনি অসুস্থ বোধ করছেন।’
মেহেরুননিসা বলেন, নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন আগে থেকে তিনি চাপ অনুভব করা শুরু করেন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই চাপমুক্ত থাকতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এক কাপড়ে গেছেন, এক কাপড়েই ফিরেছেন। এতটাই হতাশায় ভুগছিলেন তিনি, নিজের মুঠোফোনটিও বাসায় রেখে চলে যান।
নিরাপত্তাহীনতার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি ভয় পাচ্ছিলেন। নিজে নিজে ভয় পাচ্ছিলেন। অন্য কোনো কারণ নেই। কোনো সংস্থা বা কেউ ভয় দেখিয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানসিক চাপ থেকে ভয় পাচ্ছিলেন। নিখোঁজের দু’দিন আগেও তিনি কাজে বের হননি। মানসিক চাপে থাকলে মানুষ যেমন অসুস্থ থাকে, তেমনই এখন তার অবস্থা।
এর আগে দুপুরে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন মেহেরুননিসার বরাত দিয়ে আসিফের সন্ধান পাওয়ার কথা জানান। তিনি বলেছিলেন, আসিফের স্ত্রী জানিয়েছেন – তিনি রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় তাদের বাসায় আছেন। সন্ধ্যার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌঁছাবেন।
আবু আসিফ আহমেদ আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে জয়ী বিএনপির দলছুট নেতা আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তিনি।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে আবু আসিফের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। মুঠোফোন বাসায় চার্জারে রেখে বের হন তিনি। এর পর থেকে তার সঙ্গে পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। নিখোঁজের ৯২ ঘণ্টা পর তার সন্ধানে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলমের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন তার স্ত্রী মেহেরুননিসা।
চলারপথে রিপোর্ট :
মহাসড়কের যানবাহনে তল্লাসী করে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিল, গাঁজা ও বিদেশী মদসহ ৪ পাচারকারীকে আটক করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার রাত ৮টা থেকে আজ ১১ আগস্ট রবিবার ভোর রাত পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন।
আটককৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৫৫৬ বোতল ফেনসিডিল, ২০ কেজি গাঁজা ও ৪ বোতল বিদেশী মদ।
আটককৃতরা হলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোঃ হাসনাত, হবিগঞ্জের চুনারঘাটের জীবন, হবিগঞ্জের মাধবপুরের মাহমুদুর রহমান, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের জাবেদ হোসেন। পরে আটককৃতদের মাদক দ্রব্যসহ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত তিনটি মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার আটক করা হয়। কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক জয়ন্তি বিশ্বাস জানান, মহাকসড়কের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম না থাকায় সেই সুযোগে মাদক কারবারীরা সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমান মাদক বিভিন্ন পরিবহনে করে মাদক পাচার করছে। তাই শিক্ষার্থীরা পালাক্রমে মহাসড়কের উপর চেক পোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাসী করে এসব মাদক উদ্ধার করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগপর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে জানান।
আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীরা জানান, সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা এ সব মাদক ক্রয় করে ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় পৌছে দিতে তারা মাদক বহন করে পাচার করছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার মৈশাইরে মাহফিলের মাইক বাঁধতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সালমান আল অন্তর (২৩) নামে এক যুবক মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৯ নভেম্বর রবিবার দুপুরে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
১৮ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর (পঃ) ইউনিয়নের মৈশাইর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত অন্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের পুথাই গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার আবু বক্করের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, আজ রবিবার মৈশাইর বাজারের মাদ্রাসার উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপী মাহফিল হওয়ার কথা রয়েছে। মাহফিল উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় জালাল মিয়ার বাড়ির ছাদে উঠে মাইক বাঁধতে ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে লাইন টানতে গিয়ে অন্তর অসাবধানতাবসত বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে গুরুত্ব আহত হয়। পরে অন্তরকে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ওইখানের রাতে তাকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক যুবকের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে। নিহতের লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছি।