চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকারের রোগমুক্তি কামনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার বিকালে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াছেল সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আবু হোরায়রাহ, ফসিউর রহমান হাছান, আওলাদ হোসেন খান, রোস্তম আলী ভূঁইয়া, জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট (অবঃ) মোঃ তাজুল ইসলাম, আফছারুন নবী মোবারক, জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ প্রমুখ।
দোয়া পরিচালনা করেন মাওঃ মোঃ আব্দুল্লাহ্।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্যালক ও দুলাভাইয়ের পক্ষের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫জন আহত হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। হাসপাতালে এসেও তারা পুনরায় সংঘর্ষে জড়ান। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আজ ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেল নাগাদ এ বিষয়ে থানায় কোনো মামলা হয়নি।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে আনোয়ার মিয়া (৫০), রাহিম মিয়া (১৮), দ্বীন ইসলাম (২৪), শাকিল মিয়া (২২), ময়না বেগম (৪০), ইসমাইল মিয়া (১৫), মনির মিয়া (৪৪), ইয়াসিন মিয়া (২১) ও মনসুর মিয়া (৩৫) ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা নেন। তবে তারা শঙ্কামুক্ত।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার গজারিয়া গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছেলে দ্বীন ইসলামের স্ত্রী পারিবারিক কলহের জেরে ছয় জনের নাম উল্লেখ করে আখাউড়া আমলী আদালতে একটি যৌতুকের মামলা দায়ের করেন। মামলায় শহীদ ভূইয়ার ছেলে মনির ও মনসুরকে আসামী করা হয়। মনির হলেন আনোয়ারের বোন জামাই। মামলার বিষয়টি মনিরের কাছে কেন গোপন রাখা হলো এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দু’পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। এতে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে ওইখানে দু’পক্ষের লোকজন আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে সদর মডেল থানার পুলিশ এসে হাসপাতালের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, চিকিৎসা নিতে আসা দু’পক্ষের লোকজন জরুরি বিভাগের ভেতরে উভয়পক্ষের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে হাসপাতালের রোগী ও স্টাফরা আতংকিত হয়ে পড়েন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শ্যালক ও দুলাভাইয়ের পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ দেননি।
স্টাফ রিপোর্টার:
ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ-২০২২ উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাতিক্রমী র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাতারে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়া মহল্লার যুবকদের উদ্যোগে ৪৩ ইঞ্চি টেলিভিশন কিনে বিশ্বকাপের খেলা দেখানো হয়। বিশ্বকাপের জমজমাট ফাইনালকে সামনে রেখে রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্বকাপের খেলা দেখানো টেলিভিশনটি যে কোনো একজন ভাগ্যবান সমর্থককে দেয়ার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যতিক্রমী র্যাফেল ড্র। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারনষ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এড. লোকমান হোসেন, সাবেক ভিপি হাসান সারোয়ার, স্থানীয় কাউন্সিলর মীর মোহাম্মদ শাহিন, ঢাকা মেইল ২৪.কম এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি মোঃ আশিকুর রহমান মিঠু। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কাজীপাড়া দরগাহ পুকুর পাড়ে খেলা দেখানোর আয়োজনের উদ্যোক্তা ও দৈনিক দেশকালের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি আরিফুর রহমান আরিফ। অনুষ্ঠানে কাজীপাড়াসহ শহরের ফুটবল প্রেমীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু র্যাফেল ড্র দেন। এতে ব্রাজিলের সমর্থক মোঃ শাফায়েত ভাগ্যবান সমর্থক হিসেবে বিশেষ টেলিভিশনটি জিতে নেন। পরে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ শাফায়েতের হাতে টেলিভিশন তুলে দেন। এ সময় স্থানীয় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা সমর্থকসহ ফুটবল প্রেমিদের উল্লাসে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে কাজীপাড়া। এ যেন ফাইনালের আগেই উৎসবের আমেজে নিজেদের মিলিয়ে নেয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুটি মোটর সাইকেলের মুখোমুখী সংঘর্ষে মোঃ আলাউদ্দিন (২৫) নামে এক যুবক নিহত এবং মোহন মিয়া (৩২) নামে অপর মোটর সাইকেল যাত্রী আহত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাধিকা-শিবপুর সড়কের সদর উপজেলার বিরামপুর নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আলাউদ্দিন জেলার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। আহত মোহন মিয়াকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর থেকে নবীনগরে যাওয়ার পথে রাধিকা-শিবপুর সড়কের বিরামপুরে দুটি মোটর সাইকেলের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়।
এ সময় মোটর সাইকেল আরোহীরা সড়কে এবং সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়।
স্থানীয়রা আহতবস্থায় আলাউদ্দিন ও মোহন মিয়াকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলাউদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মোহন মিয়াকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় “বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’’ (এপিএ)’র আওতায় আজ ২৫ মার্চ মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ঐতিহাসিক মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে গণহত্যা দিবস ও ঐতিহাসিক মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) এহসান মুরাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: আবদুল মতিন, সিভিল সার্জন ডা: মো: নোমান মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) এহসান মুরাদ বলেন, ১৭ মার্চ টিক্কা খান ও রাও ফরমান আলী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামক কর্মসূচির মাধ্যমে বাঙালির ওপর নৃশংস হত্যাকান্ড পরিচালনার নীলনকশা তৈরি করে। ২৫ মার্চ রাতে পৃথিবীর ইতিহাসে বর্বরতম গণহত্যা, ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু হয়। ইয়াহিয়া খাঁন ও জুলফিকার আলী ভুট্টো ২৫ মার্চ গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। হত্যা করে বহু মানুষ। পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পিলখানা ইপিআর সদর দপ্তর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আক্রমণ চালায় ও নৃশংসভাবে গণহত্যা ঘটায়। বাংলাদেশের ইতিহাসে ২৫ শে মার্চের রাত ‘কালরাত্রি’ নামে পরিচিত। এ দিবসটি এখন ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হয় পাকিস্তানি সশস্ত্র সেনাদের সঙ্গে বাঙালি, আনসার ও নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের এক অসম লড়াই, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে মহান মুক্তিযুদ্ধ নামে পরিচিত। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবু হোরায়রাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারুল হক; বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী মো: রতন মিয়া; বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম।
জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সমাপনী বক্তৃতার মাধ্যমে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ঐতিহাসিক মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রায় চার শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।