চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে ইমন মিয়া (১৩) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের ছাতিয়াইন গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মৃত ইমন মিয়া ছাতিয়াইন গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাতিয়াইন গ্রামের একটি নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের ছাদে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ইমন।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার দর স্বাভাবিক রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে আজ ১ এপ্রিল শনিবার দুপুরে জেলা শহরের কাউতলী বাজারে এ অভিযান চালানো হয়।
নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান।
অভিযানকালে তিনটি মুদি মাল ও একটি কাঁচাবাজারের দোকানিকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে মুদি দোকানের ফ্রিজে ওষুধ সংরক্ষণ করায় বিসমিল্লাহ সুপার শপকে ৪ হাজার, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় আকাশ ট্রেডার্সকে ১ হাজার, মেসার্স হীরাকে দেড় হাজার টাকা ও কাঁচা মালের আড়তে আবুল মালেক নামে একজনকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অধিদপ্তরটির সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান জানান, পুরো রমজান মাসজুড়ে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মাটি ও পানি জীবনের উৎস্য এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ বিল্লাল হোসেন।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন। আলোচনা করেন বিএডিসির উপ-পরিচালক (বীজ) ডঃ মোঃ সোলায়মান তালুকদার।
সভায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি ও অন্যান্য সেক্টরের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষক, এনজিও কর্মী ও কৃষি সংশ্লি¬ষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গত শনিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন পৌর এলাকার মেড্ডা বাসস্ট্যান্ড থেকে কোকিল টেক্সটাইল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালীরা সড়ক ও জনপথের জায়গাসহ সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মান করেছিলো। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা উচ্ছেদ করা হয়। কিছুদিন পরেই আবার প্রভাবশালীরা ওই জায়গায় অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মান করেন।
শনিবার পুনারায় ওই স্থাপনাগুলো পুনরায় উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানকালে পুলিশ, ভূমি অফিসের কর্মচারীগণ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সার্ভেযারসহ জেলা বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীত পড়ার সাথে সাথেই জমে উঠেছে পিঠা ব্যবসা। শহরের বিভিন্ন ফুটপাতে প্রায় শতাধিক দোকানে সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে হরেক রকমের পিঠা বিক্রির ধূম।
শহরের বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ ফুটপাত থেকে পিঠা কিনে খায়। আবার কেউ কেউ অর্ডার দিয়ে পিঠা তৈরী করে বাড়িতে নিয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের বিভিন্ন ফুটপাতের বেশ কয়েকটি দোকানে সারা বছরই পিঠা বিক্রি করা হয়। তবে শীতকালে বেড়ে যায় পিঠার দোকানের সংখ্যা।
সরজমিনে দেখা গেছে, শীত পড়ার সাথে সাথে পৌর শহরের মেড্ডা বাসস্ট্যান্ড, কুমারশীল মোড়, লোকনাথ উদ্যানের সামনে (ট্যাংকের পাড়) শহরের কেন্দ্রস্থল কোর্ট রোডের পৌর সুপার মার্কেট, সিটি সেন্টারের সামনে, আধুনিক পৌর সুপার মার্কেটের সামনে, মসজিদ রোড, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সামনে, মধ্যপাড়া বর্ডার বাজার, কাজীপাড়া সাবেরা সোবহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক, রেলওয়ে স্টেশনের সামনে, কান্দিপাড়া মাদরাসা রোড, কাজীপাড়া জেলা ঈদগাহ ময়দানের সামনে, ডাঃ ফরিদুল হুদা রোড, টি.এ. রোড আশিক প্লাজার সামনে, মৌড়াইল ডাক বাংলার মোড়, জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে, কাউতলী জেলা পরিষদের মার্কেটের সামনে, সড়ক বাজারসহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন রাস্তার ফুটপাত ও শহরের বিভিন্ন মহল্লার মোড়ের পিঠা বিক্রি করা হয়।
পিঠা ব্যবসায়ী সকাল ১০টার পর থেকেই মাটির চুলা, এলপি গ্যাস ও কোরোসিনের চুলা ও বাক্স নিয়ে বসে যান ফুটপাতে। এসব দোকানে চিতল পিঠা চিতই), চুয়া পিঠা (মেরা পিঠা), ভাঁপা পিঠা, পোয়া পিঠা (তেলের পিঠা) ও পাটিসাপটা পিঠা করা হয়। তবে ক্রেতাদের কাছে চিতল পিঠা ও ভাপা পিঠারই কদর বেশী।
ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী খেজুরের গুড়, ধনেপাতা-কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাঁপা পিঠা তৈরী করা হয়। এ ছাড়া চিতল পিঠার সাথে ক্রেতাদেরকে সরিষার ভর্তা ও সিদল শুটকির ভর্তা দেয়া হয়। ক্রেতারাও গরম গরম পিঠা পেয়ে খুশী।
প্রতিটি বড় সাইজের ভাঁপা পিঠা ১৫ টাকা ও ছোট সাইজের ভাঁপা পিঠা ১০ টাকা, চিতল পিঠা ১০ টাকা, ছোট সাইজের চিতই পিঠা ৫ টাকা করে বিক্রি করা হয়। এছাড়াও চুয়া পিঠা প্রতিটি ৫টাকা করে বিক্রি করা হয়।
শহরের শ্রমজীবী মানুষরাই মূলত এসব পিঠার ক্রেতা। এছাড়াও শহরে শপিং করতে আসা গৃহিনীরা চাহিদামতো পিঠা কিনে বাসায় নিয়ে যান। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকেই আসেন ফুটপাতে পিঠা কিনতে। সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে পিঠা-বেচা-বিক্রি।
শহরের আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনের পিঠা বিক্রেতা আকবর আলী জানান, প্রতিদিন তিনি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেন। এতে তার ৫০০/৬০০ টাকা লাভ হয়। তিনি বলেন, আগে তিনি প্রতিদিন ৫/৬ কেজির চালের গুঁড়ার পিঠা বিক্রি করলেও বর্তমানে ৭/৮ কেজি চালের গুড়ার পিঠা বিক্রি করতে পারেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন সকাল ১১টার পর তিনি দোকান নিয়ে বসেন। রাত ১০/১১টা পর্যন্ত চলে তার বেচা-কেনা। তিনি বলেন, তার দোকানে চিতই ও ভাঁপা পিঠাই বেশী বিক্রি হয়। ধনে পাতা ও কাঁচা মরিচ দিয়ে তৈরী ভাঁপা পিঠা এবং নারকেল-খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরী ভাঁপা পিঠার চাহিদাই বেশী। তিনি জানান, অনেকেই তার কাছ থেকে পিঠা কিনে বাসা-বাড়িতে নিয়ে যান।
শহরের কাজীপাড়ার জেলা ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন রাস্তার পাশের পিঠা বিক্রিতা আসমা বেগম বলেন, তিনি মূলত চিতই পিঠা বিক্রি করেন। তিনি বলেন, মহান আল্লাহতায়ালার কৃপায় বেচা-বিক্রি ভালো হচ্ছে। তিনি বলেন, চিতই পিঠার সাথে ক্রেতাদের চাহিদানুযায়ী সরিষার ভর্তা ও শুটকির ভর্তা দেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন তিনি ৬/৭ কেজি চালের গুড়ার পিঠা বিক্রি করতে পারেন।
আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনে পিঠা কিনতে আসা রফিক ও জুয়েল নামের দুই বন্ধু জানান, তাদের বাড়ি জেলার কসবা উপজেলার শাহপুর গ্রামে। তারা হোস্টেলে থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পড়াশুনা করেন। তারা বলেন, শীতের দিনে বাড়িতে মা-চাচীরা তাদেরকে হরেক রকমের পিঠা বানিয়ে খাওয়াতেন। হোস্টেলে থাকায় তারা এখন মা-চাচীর হাতে তৈরী পিঠা খাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তারা বলেন, সুযোগ পেলেই তারা ফুটপাত থেকে চিতই পিঠা ও ভাঁপা পিঠা কিনে নিয়ে যান হোষ্টেলে।
পৌর এলাকার মেড্ডার বাসিন্দা শিপন মিয়া বলেন, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে ইচ্ছে করলেই গ্রামের বাড়িতে যেতে পারেন না। তাই তিনি ফুটপাত থেকেই হরেক রকমের পিঠা কিনে বাসায় নিয়ে যান।
পুষ্প আক্তার নামে একজন মহিলা জানান, তিনি শপিং করতে মার্কেটে এসেছিলেন। শপিং শেষে বাসায় যাওয়ার সময় পরিবারের সদস্যদের জন্য পিঠা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বীমা ফোরামের মাসিক সমন্বয় সভা গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় পৌরসভার ভাদুঘরে গোল্ডেন লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানী লিঃ এর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফোরামের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন ফোরামের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আরজু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আমির ফারুক,আলফা ্ইসলামী লাইফ ্্্্্এর মোঃ শফিকুল ইসলাম, মেট লাইফের সুব্রত রায়, প্রগতি লাইফের মোঃ আরিফুল ইসলাম, আবদুল কুদ্দুছ গোল্ডেন লাইফের মোঃ শাহজালাল ও কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
সভায় সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয় এবং বার্ষিক বনভোজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।