চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদস সদস্য ক্যাপ্টেন(অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনকল্যাণ ও উন্নয়নে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণের ভালোবাসা নিয়ে দেশ ও দশের কল্যাণ সাধন করা। আওয়ামী লীগ রাজপথে জন অধিকার আধায়ের সংগ্রামী একটি রাজনৈতিক দল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে অদ্যাবধি দেশ ও দলের অধিকার আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। তারই বাস্তব প্রমাণ আজকেই সুজলা-সুফলা এই সোনার বাংলা।
আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পাহাড়িয়াকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তৈরি করতে তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর কাতারে নিয়ে যেতে তার কোনো বিকল্প নেই। সামনের নির্বাচনে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে জনগণ আবার আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
পাহাড়িয়াকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, সহসভাপতি সায়েদুল ইসলাম বকুল ভূইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক চেয়ারম্যান একেএম শহিদুল হক বাবুল, পাহাড়িয়াকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গাজিউর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবিএম মাহবুবুর রহমান উজ্জল, দরিকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ শফিকুল ইসলাম স্বপন, সোনারামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহিন মিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মাহমূদুল হাসান ভূঁইয়া, উপজেলা শ্রমিকলীগ আহ্বায়ক সৈয়দ আ. আজিজ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এমএস রানা, সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হিমেল সরকার, সাধারণ সম্পাদক সামুয়েল আহমেদ, কলেজ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ।
এছাড়াও তেজখালী, দরিয়াদৌলত, সোনারামপুর ইউনিয়নে শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতি বার্তা পৌঁছে দিতে পৃথক পৃথক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের শীর্ষস্থানীয় মিডিয়া হাউজ ইস্ট ওয়েষ্ট মিডিয়া গ্রুপ কমপ্লেক্সে দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে সাংবাদিকবৃন্দ ও ছাত্র জনতা মানববন্ধন করেছে। আজ ১ সেপ্টেম্বর রবিবার বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজ মাঠে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ ঘটনায় হামলায় জড়িতদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করেছেন বক্তারা। সাংবাদিকরা সরকারের কাছে বাংলাদেশের সকল সাংবাদিক এবং মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার নিশ্চিতে জোর দাবি জানান।
এতে উপস্থিত ছিলেন এম এ আউয়াল, রিপন মিয়া, মো. জহিরুল হক, মোল্লা মোঃ নাছির, দিলীপ কুমার সূত্রধর, মীর মোশারফ হোসনে, মোঃ শামিম শিবলী, মোঃ শফিকুল ইসলাম, সুমন চক্রবর্তী, আশিকুর রহমান, মাহবুবুর রহমান বাবু, মোঃ নাছির উদ্দিন, মোঃ বাহারুল ইসলাম, মোঃ পলাশ সরকার এবং আতাউর রহমান সনেট প্রমুখ।
বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সম্পাদক ও হিসাব বিজ্ঞান বিভিাগরে বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার বলেন, হামলাকারীদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। তা না হলে মিডিয়া প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকরা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ঝুঁকি নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশন করতে উৎসাহ হারাবে সাংবাদিকরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে ফেনসিডিলসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কালিকাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ফেনসিডিলসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়
গ্রেফতার ছানাউল্লাহ (৪৫) জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মীরবাড়ী (কালিকাপুর) এলাকার বাসিন্দা।
আজ ২৮ জুন শুক্রবার দুপুরে র্যাব-৯, সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. মশিহুর রহমান সোহেলের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ হয়, বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কালিকাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কালিকাপুর এলাকার ছানাউল্লাহর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বসতঘর তল্লাশি করে ৬৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। সে এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আবদুল আহম্মদ ওরফে রুবেল নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শকসহ (তদন্ত) তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
গতকাল রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রুবেলের মা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার মামলাটি আদেশের জন্য রেখেছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে, এএসআই আল আমিন মানিক ও উপজেলার মধ্যপাড়ার রবি উল্লাহকে। ভুক্তভোগী রুবেল বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চরশিবপুর গ্রামের লিল মিয়ার ছেলে।
মামলার আর্জি সূত্রে জানা যায়, মামলার তিন নম্বর আসামি রবি উল্লাহর সঙ্গে রুবেলের পরিবারের লোকজনের আগে থেকে বিরোধ ছিল। রবি উল্লাহর বিরুদ্ধে তারা আদালতে মামলাও করেছেন, যা চলমান রয়েছে। ১৪ মার্চ বিকাল ৪টার দিকে তারই প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় কোনো কারণ ছাড়াই এক নম্বর আসামি এএসআই আল আমিন অপর ৪ পুলিশ সদস্যকে নিয়ে বাড়ি থেকে রুবেলকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুসি, লাথিসহ লাঠি দিয়ে মারধর করে তারা। থানায় নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে ও এএসআই আল আমিন আবারও তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। এতে রুবেলের পুরো শরীর মারাত্মক জখম হয়। থানায় নির্যাতনের বিষয়ে রুবেলের মা আমেনা বেগম সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিলে ১৬ মার্চ দুপুর ২টায় রুবেলকে একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
রুবেলের মা আমেনা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে ১৪ মার্চ বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয় অথচ ১৬ মার্চ আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার বেশি হেফাজতে রেখে আমার ছেলেকে নির্যাতন করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদুর রহমান বলেন, বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের ধারায় দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আদেশ দেওয়ার জন্য রেখেছেন। ২০ মার্চ সোমবার আদেশ দিতে পারেন। এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম বলেন, শুনেছি আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে আমাদের পুলিশের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা। এএসআই আল আমিন মানিক বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা ডালিম নামের এক যুবককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত রুবেল ও তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
আজ ৬ অক্টোবর রবিবার দুপুরে আইয়ুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও এলাকাবাসীর আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সাগর, বিএনপি নেতা মাহফুজ মিয়া, মোঃ নবী মিয়া, উপজেলা শ্রমিকদলের কার্যকরী সদস্য জহিরুল হক, আইয়ুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মোঃ জিলানি, মোঃ নাজিম উদ্দিনসহ অন্যান্যরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কড়িকান্দি গ্রামের ডালিমের উপর আক্রমণকারী চিহ্নিত সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ রুবেল এবং তার সহযোগীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ বিচার করা হোক। যেন সন্ত্রাসীরা এই ধরনের অন্যায়মূলক বেআইনি কাজ আর কারো সাথে না করতে পারে।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি সুজন চন্দ্র পাল বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর কড়িকান্দি ফেরিঘাটে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ মারামারি করে, মারামারিতে ডালিম নামের একজন আহত হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করি। মামলাটি তদন্তে আছে। তদন্ত শেষে আরো যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রেরণ করার হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে প্রেম করে বিয়ে করে পারিবারিক কলজের জেরে এক সাথে কেড়ির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে স্বামী সিয়াম (১৯) ও তার স্ত্রী শাহিনুর (১৯)।
আজ ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে। এরআগে, সোমবার রাতে উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত সিয়াম বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের মৃত রফিক মিয়ার ছেলে ও শাহিনুর একই এলাকার সফিকুল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শাহিনুরের আপন খালার স্বামীর নাম সুজন মিয়া। আর সুজন মিয়ার ছোট ভাইয়ের নাম সিয়াম। সিয়াম ও শাহীনুর সম্পর্কে মামা-ভাগ্নি। পরে সিয়ামের সাথে শাহিনুরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উছে। গত ৬/৭ মাস আগে তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর সিয়াম তার স্ত্রী শাহিনুর ও মাকে নিয়ে বাসা ভাড়ায় বসবাস করে আসছেন। কিন্তু তাদের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি পরিবার। এনিয়ে দুই পরিবারের মাঝে কলহ লেগে থাকতো। এরই জের ধরে সোমবার রাতে সিয়াম ও শাহিনুর চালে দেওয়ার কেড়ি পোকার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। অসুস্থ্য অবস্থায় স্থানীয়রা তাদেরকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেণ। পরে ঢাকায় নেয়ার পথে শাহিনুর মৃত্যুবরণ করেন এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ হাসপাতালে সিয়াম মৃত্যুবরণ করেন।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, সিয়ামের লাশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ময়নাতদন্তসহ যাবতীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রঞন করেছে এবং শাহিনুরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাঞ্ছারামপুর থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।