শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে, মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন : মোকতাদির চৌধুরী এমপি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 14 July 2023, 742 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোক প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ১২৩ জন রোগীর মধ্যে এককালীন অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে।

আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার বেলা ১১টায় সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ১২৩ জন রোগীর প্রত্যেকের হাতে ৫০ হাজার টাকার অনুদানের চেক তুলে দেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ নূরুল মাহমুদ ভূইয়ার সঞ্চালনায় চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়া। বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রশীদ ভূঁইয়া ও আল আমিনুল হক পাভেল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মা। তিনি দেশের প্রতিটি সেক্টরে অভাবনীয় উন্নয়ন করেছেন। তিনি সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে অসহায় মানুষকে জায়গাসহ ঘর নির্মান করে দিচ্ছেন। করোনাকালে অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন। বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দেয়া সহ, বিধবা ভাতা, মাতৃদুগ্ধভাতা, স্বামী পরিত্যক্তাদের ভাতাসহ প্রতিবন্ধীদেরকে ভাতার আওতায় এনেছেন। শুধু তাই নয় তিনি ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোক প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য অনুদান দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, আগের কোন সরকারের আমলে মানুষ এতো ভাতা পেয়েছেন কিনা জানিনা, তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন মমতাময়ী মা, তাই তিনি সকলের খবর রাখেন। তিনি কঠিন রোগে আক্রান্তদের পাশে দাড়িয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে প্রত্যেক রোগীকে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে।

মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আগের সরকারের আমলে নেতারা নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন করেছেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে, মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন।

আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ১২৩ জন রোগীর প্রত্যেকের হাতে ৫০ হাজার টাকার অনুদানের চেক তুলে দেন।

Leave a Reply

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ৮৩…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও সঠিক প্রক্রিয়ায় ৮৩জন Read more

জননিরাপত্তার নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত…

চলারপথে রিপোর্ট : জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত একান্ত Read more

বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : বিজয়নগর উপজেলা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ১ Read more

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বাঞ্ছারামপুরে ১৪৪ ধারা…

চলারপথে রিপোর্ট : বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ও Read more

বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও Read more
ফাইল ছবি

আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞাতনামা Read more

আখাউড়ায় বিনামূল্যে ধান বীজ বিতরণ চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া উপজেলায় Read more

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আবু বাক্কার নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : কুয়েতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় শেখ আবু বাক্কার (৩৪) Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাস উল্টে যাত্রী নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইল উপজেলায় বাস উল্টে গোপী কান্ত ঘোষ Read more

ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ একজন নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু নাট্যমের বিতর্ক প্রতিযোগিতা

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু নাট্যমের ৩৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে Read more

ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই পাচারকারী গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জে ১হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গোপাল রায় Read more

কবি জয়দুল হোসেন তাঁর আলোয় সমাজ ও শিল্প সাহিত্যকে আরো আলোকিত করেছেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 10 March 2024, 381 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
সাংগঠনিক আবৃত্তি চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ প্রবর্তিত ‘গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি পদক’ অর্জন করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, বিশিষ্ট কবি, সংগঠক ও গবেষক জয়দুল হোসেনকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কবি জয়দুল হোসেন সংবর্ধনা পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী ও প্রশিক্ষক গোলাম সারোয়ার।

কবি জয়দুল হোসেন সংবর্ধনা পরিষদের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো মনির হোসেন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ জেলা শাখার সভাপতি, বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার আবদুল মান্নান সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, নারীনেত্রী বেগম ফজিলাতুন্নাহার, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম লিমন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য সচিব এটিএম ফয়েজুল কবির, সাহিত্য একাডেমির সহ-সভাপতি মানিক রতন শর্মা, বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি কবি আমির হোসেন, নতুনমাত্রা পাবলিকেশনের স্বত্বাধিকারী, কবি ও সাংবাদিক আল আমীন শাহীন, ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্রের সহ-সভাপতি মমিনুল আলম বাবু, নদী প্রাণ ও প্রকৃতি সুরক্ষা বিষয়ক সংগঠন তরী বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক শামীম আহমেদ, আবরনীর নির্বাহী পরিচালক, আবৃত্তিশিল্পী হাবিবুর রহমান পারভেজ, সমাজকর্মী কমরেড নজরুল ইসলাম, তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারী পরিচালক সুজন সরকার, কবির কলমের সভাপতি কবি হুমায়ুন কবির, সোনালি সকালের সভাপতি ফাহিম মুনতাসির।

কিচিরমিচির সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ ও আবৃত্তিশিল্পী ফারদিয়া আশরাফী নাওমীর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার। ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল আমিন। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় কবি জয়দুল হোসেনকে নিবেদিত কবিতা পাঠ করেন তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের উপদেষ্ট, কবি মোঃ আব্দুর রহিম ও সাহিত্য একাডেমির সদস্য রিপন দেবনাথ। অনুষ্ঠানে কবি জয়দুল হোসেন রচিত বিভিন্ন কবিতার দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে সাহিত্য একাডেমি, তিতাস আবৃত্তি সংগঠন, ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র, আবরনি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র এবং সোনালি সকাল সংগঠনের আবৃত্তিশিল্পীবৃন্দ। এছাড়াও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের নৃত্য শিল্পীর দল। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সংবর্ধিত অতিথি কবি জয়দুল হোসেনকে ফুলের শুভেচ্ছা ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।

সংবর্ধনা শেষে কবি জয়দুল হোসেন তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন- বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ যা মূলত কবিতা। পৃথিবীর অনেক ভাষার আদি নিদর্শনী কবিতা। ফলে বলা যায় মানুষের সাহিত্য সাধনার প্রথম থেকেই কবিতা রচনা তথা কাব্যচর্চা হয়ে আসছে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংগঠনিক আবৃত্তি চর্চা শুরু হয় আশির দশকে। সমসাময়িক সময়ে আমি জেলার সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা শুরু করি। সেই সঙ্গে আবৃত্তি চর্চাও। আমি নিজে কখনো আবৃত্তি না করলেও অন্যদেরকে দিয়ে আবৃত্তি করিয়েছি। কেননা আমি তখন থেকেই বুজতে পেরেছিলাম যে কবিতার লেখার মাধ্যমে, আবৃত্তি চর্চার মাধ্যমে মানুষের মাঝে দেশপ্রেম, সমাজ সচেতনতা ও চেতনা ছড়িয়ে দেয়া যায়। আবৃত্তি দিয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা যায়। সাংগঠনিকভাবে আবৃত্তি চর্চা করলে যে পুরস্কার পাওয়া যায়, এই বিষয়টি আমার আগে থেকে জানা ছিল না। তাই পুরস্কারে আমার নাম ঘোষণা করা হলে তখন থেকেই বিষয়টি নিয়ে আমি সন্দিহান ছিলাম। যা নিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি।

বক্তব্যে তিনি আরো বলেন- আমি কখনো পদক বা পুরস্কারের জন্য কোন কাজ করিনি, কোনো লেখা লেখিনি, আবৃত্তি চর্চা করিনি, সাংগঠনিক কাজও করিনি। আমি জীবনে যা করেছি তা নিজের মনের তাগিদে করেছি। দায়িত্ব ও চেতনা বোধ থেকে কাজ করেছি। সংগঠন করেছি নিজের আদর্শের জায়গা থেকে। তিনি অন্যদেরকেও নিজের নাম ছড়ানোর জন্য কাজ না করে, দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করার কথা বলেন। বক্তব্যে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার উর্বর ভূমি উল্লেখ করে সকলকে এই ভূমিতে সোনার ফসল ফলানোর জন্য আহ্বান জানান। তিনি তাকে সংবর্ধনা প্রদান করার জন্য আয়োজকদের এবং উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন- টেলিভিশনে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে যেভাবে পারস্পরিক যুদ্ধের জনপদ, সংঘর্ষের জনপদ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে, আমি মনে করি এটা উচিত নয়। কেননা এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আছে সুদীর্ঘ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। সে ঐতিহ্যের টানেই বারবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুটে আসতে মন চায়। তিনি বলেন জয়দুল হোসেন আবৃত্তি পদকে ভূষিত হলেও আমরা তাঁকে এই ছোট্ট গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। কেননা তাঁর দীর্ঘ জীবনে যা যা অবদান, সেই তুলনায় একটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে পুরস্কার খুবই ছোট্ট একটি অর্জন। তবে, যে কোনও পুরস্কার মানুষকে আলোকিত করে, দায়িত্বশীল করে। জয়দুল হোসেন তাঁর আলোয় সমাজ ও শিল্প সাহিত্যকে আরো আলোকিত করেছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন বলে আমার বিশ্বাস।

পাবলিত প্রসিকিউটর এড. মাহবুবুল আলম খোকনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সভা অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 3 May 2023, 1155 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের সভাপতি বিশিস্ট আইনজীবী সংগঠক আলহাজ্ব এড. মাহবুবুল আলম খোকন আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর মনোনীত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে এবং সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এক সভা আজ ৩ মে বুধবার সন্ধ্যায় ক্লাবের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের অন্যতম উপদেষ্টা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর সভাপতিত্বে এবং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল বাছেদ এর পরিচালনায় সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. শফিউল আলম লিটন, ৬ নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর আবদুল মালেক চৌধুরী, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র পাল সহ ক্লাবের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সর্বসম্মতভাবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পালিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 22 February 2024, 427 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, জেলা পুলিশের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। এর পরে জেলা পুলিশের একটি চৌকষ দল শহিদদের স্মরনে গার্ড অব অর্নার প্রদান করেন।

পরে শহীদ মিনার জন সাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে দিলে পৌরসভার পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস, পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলার পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিট, সিভিল সার্জন কার্যালয়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, এলজিইডি, গণপূর্ত বিভাগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এদিকে পুষ্পস্তবক অর্পনকে কেন্দ্র করে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 26 September 2024, 138 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি।
গত মঙ্গলবার পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টিকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। একই দিনে এর সঙ্গে আরো দুটি পণ্য জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অন্য দুটি পণ্য হলো মধুপুরের আনারস ও ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টিকে গত ৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ ও ৩০ নম্বর শ্রেণিতে পণ্যটি জিআই-৭৫ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি জিআই সনদপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে পণ্যটির স্বীকৃতি মিলেছে।

এই স্বীকৃতির ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি আন্তর্জাতিকভাবে ভাবমূর্তি বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এতে গুণগত পরিবর্তন ও বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রও তৈরি হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।

ভোলার দুই শ বছরের ঐতিহ্যবাহী মহিষের দুধের কাঁচা দইকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ভোলার জেলা প্রশাসক পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ নম্বর শ্রেণিতে পণ্যটি জিআই-৫৫ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। মহিষের দুধের কাঁচা দই জিআই সনদপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে পণ্যটির স্বীকৃতি মিলেছে।
সাগর আর নদীবেষ্টিত দ্বীপ জেলা ভোলার মানুষের জীবনমানে রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। খাবারেও রয়েছে নিজস্বতা। এরই অংশ হিসেবে এ জেলা দীর্ঘকাল ধরে পরিচিতি পেয়েছে মহিষের দুধের কাঁচা টক দই, যা স্থানীয়ভাবে ‘মইষা দই’ নামে পরিচিত। ভোলা জেলা সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী জানান, বিষয়টি ভোলাবাসীর জন্য আনন্দের।
এ স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে ভোলায় মহিষ পালনকারী ও দই উৎপাদনকারীদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেন, ‘ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দইয়ের যে স্বীকৃতি সেটি অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই ভোলার ঐতিহ্য। এটি অন্য জেলার হতে পারে না। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা অনেক চেষ্টা করে এটি ফিরে পেয়েছে।

জিআই-৫৫ নম্বরে এটি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। ভোলাবাসী এটি নিয়ে গর্বিত। এর মাধ্যমে এটির বৈশ্বিক স্বীকৃতি মিলেছে। জিআই হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় প্রথমত এই পণ্যটি ভোলার বলে চিহ্নিত হলো। দ্বিতীয়ত, এই স্বীকৃতির মাধ্যমে পণ্যটির বাণিজ্যিকীকরণের সুবিধা বাড়ল। এই দধি এখন দেশের বাইরেও রপ্তানি করা যাবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে দধি উৎপাদনে মানের উন্নতি হবে। কেননা জিআই স্বীকৃতি পণ্যের মান নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে।’

পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দধিসহ তিনটি পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর অধিদপ্তর থেকে এসংক্রান্ত তিনটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। একটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি, বাকি দুটি পণ্য হলো মধুপুরের আনারস ও ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই। আরো বেশ কয়েকটি পণ্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও তারা এখনো সার্টিফিকের ফি জমা না দেওয়ায় তাদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়নি। সেগুলো খুব দ্রুত হয়ে যাবে।’

চায়ের কাপ দিয়ে পুলিশের মাথায় আঘাত করে পালাল আসামি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 6 April 2023, 1181 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
চায়ের কাপ দিয়ে পুলিশের মাথায় ও মুখে আঘাত করে তাকে আহত করে পালিয়ে গেছেন এক আসামি। আহত পুলিশ সদস্যকে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন বৌ-বাজারে।

আহত পুলিশ সদস্যের নাম মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এসআই পদে কর্মরত।

সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, জেলা শহরের উত্তর মৌড়াইল এলাকায় ডাকাতি প্রস্তুতি মামলার আসামি ইয়ামিন মিয়ার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। বুধবার সন্ধ্যার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পাই ইয়াছিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন বৌ বাজারে জসিম মিয়ার চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছে। এমন সংবাদে ইয়াছিনকে আটক করতে সদর মডেল থানার এসআই সাইফুল ইসলাম সেখানে যায়। সেখানে ইয়াছিনকে আটক করতে গেলে ইয়াছিনের হাতে থাকা চায়ের কাপ দিয়ে এসআই সাইফুলকে মাথায় ও মুখে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যায়।

তাকে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ইয়াছিনকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে বলেও জানান ওসি।