অনলাইন ডেস্ক :
কোভিড-১৯ সংক্রমিত বছর বাদ দিয়ে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত আছে। বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল পণ্যের বাজার হিসেবেও এ দেশ সারা বিশ্বে স্বীকৃত।
ব্যবসায়ীক ও সামগ্রিক উন্নয়নও হচ্ছে দ্রুতগতিতে।
আজ ১৫ জুলাই শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক সম্মেলনে মূল বক্তা হিসেবে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আরো বলেন, দেশে প্রায় ৫ কোটি তরুণ, যারা বেশীরভাগ শিক্ষিত এবং নিজ ক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে উঠছেন। জনশক্তি রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রধান দেশ। আবার, অনলাইন আউটসোর্সিং-এ বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়। স্বাভাবিকভাবেই এ অঞ্চলে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে। আর, তাতে ব্যবসায়ীক ও সামগ্রিক উন্নয়ন হচ্ছে দ্রুতগতিতে।
দারিদ্র দূরীকরণ ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে এক রোল মডেল বাংলাদেশ। উন্নয়নের অগ্রযাত্রা পেরিয়ে আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে। কৃষি, শিল্প, সেবা প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। কৃষিতে স্মার্ট প্রযুক্তি কাজ করছে জাদুর মতো। প্রযুক্তি প্রয়োগের সাথে বড়ো ব্যবসায়ীরা এ খাতে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছেন। শিক্ষিত যুবক ও যুবতীরাও কৃষিকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। কর্মসংস্থানের এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। চাল, ডাল এবং চাসহ ২২টি কৃষিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। এসব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষিবান্ধব নীতির কারণে।
এ সময় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, এসব প্রকল্পের জন্য বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সক্ষমতা প্রকাশ পেয়েছে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু নির্মাণে বাংলাদেশের মানুষের জনজীবনে ও অর্থনৈতিক গতিশীলতাকে কয়েক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের সব বাধাকে অতিক্রম করে আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে চলেছে।
এ সময় আগামীদিনেও সরকারের তরফ থেকে ব্যবসায়ীদের জন্য সহযোগিতা কামনা করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
ব্যবসায়ী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে দেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন চেম্বার, অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার উপস্থিত আছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় রড বোঝাই ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩ জন। আহতদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার বানিয়ারছড়া আমতলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- পেকুয়া উপজেলার মগনামা ঘাট এলাকার আবদুস সালামের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪০) ও তার মেয়ে জেসমিন আকতার (১৮)।
চকরিয়ার মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদ আহমেদ জানান, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী একটি রড বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে চকরিয়াগামী সিএনজিচালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিক্সার ২ যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চালকসহ ৩ জন। তাদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। ট্রাক ও অটোরিক্সা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে দিন দিন পালটে যাচ্ছে বায়ু পরিমণ্ডল। নিচে নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভের পানির স্তর। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট। বিভিন্ন জেলার নলকূপেও উঠছে না পানি। এতে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই অন্তত ৩৩ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ফলে সুপেয় ও গৃহস্থালির কাজে পানির সংকটে এসব এলাকার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি বেশির ভাগ পুকুর ও জলাশয় ভরাট হওয়ায় এই সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িযা জেলার পৌরশহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। এসব এলাকার অধিকাংশ সাধারণ পাম্প ও নলকূপে পানি উঠছে না। ফলে সুপেয় ও গৃহস্থালির কাজে পানির সংকটে এসব এলাকার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি বেশির ভাগ পুকুর ও জলাশয় ভরাট হওয়ায় এই সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পানির স্তর ৪০ থেকে ৬০ ফুটের নিচে নেমে যাওয়ায় পৌর শহরের বাসা বাড়িতে নলকূপ ও মোটর দিয়ে পানি তোলা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সদরসহ অন্যান্য উপজেলায় পানির স্তর ৩০ থেকে ৬০ ফুটের নিচে নেমে গেছে। এতে জেলার অন্তত ৩৩ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় সরকারি হিসেবে ৫৪ হাজার ৬৫১টি হস্তচালিত নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে গত দুই যুগে ১২ হাজার ২০৮টি নলকূপ বন্ধ হয়ে গেছে। অগভীর নলকূপ রয়েছে ১৯ হাজার ৬০০টি। এর মধ্যে বন্ধ রয়েছে ৯ হাজার ৯১০টি। অগভীর নলকূপের গভীরতা ৬০ থেকে ৭৫ মিটার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় এলাকাভেদে পানির স্থিতিতল সর্বনিম্ন ৩৫ দশমিক ৩৬ ফুট (১০ দশমিক ৭৮ মিটার) থেকে সর্বোচ্চ ৪৪ দশমিক ৯৮ ফুট (১৩ দশমিক ৭১ মিটার)। তবে সদর উপজেলায় সরকারিভাবে ১৫০ মিটার বা ৪৯২ ফুট গভীরতায় নিচে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। আর ব্যক্তি উদ্যোগে অগভীর নলকূপ স্থাপনে ১৮০ থেকে ২৫০ ফুট গভীরে যেতে হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে সরকারি ২ হাজার ৪৭৩টি গভীর নলকূপ চালু রয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৪৮৬টি নলকূপ বন্ধ রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৪৪৮টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে এবং এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একইসাথে এই কার্যক্রম বেগবান করতে রাজনৈতিক দলগুলো থেকেও হয়রানিমূলক মামলার তালিকা প্রদানের সুযোগ রয়েছে। আজ ২৮ মে বুধবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাবলিক রিলেশন্স অফিসার ড. রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিলম্বের অভিযোগ করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই অভিযোগ বস্তুনিষ্ঠ নয়। এধরনের মামলা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি হওয়ার পর থেকে নিয়মিত সভায় মিলিত হচ্ছেন।
সভায় মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত জেলা পর্যায়ের কমিটি এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় হতে প্রেরিত তালিকা ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হচ্ছে। কমিটি এ পর্যন্ত ১৬ টি সভায় ১১ হাজার ৪৪৮টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে এবং এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রমকে আরো বেগবান করার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির কাছে রাজনৈতিক দলগুলো থেকেও হয়রানিমূলক মামলার তালিকা প্রদানের সুযোগ রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২০২৫ সালের ১০ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার মামলার এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল তারিখে ১ হাজার ২০০টি মামলার তালিকা প্রদান করে। এসব মামলার মধ্যে প্রায় অর্ধেক ইতিমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির স্বীয় উদ্যোগে প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।
রাজনৈতিক দলদুটো কর্তৃক প্রেরিত তালিকার সাথে মামলা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রাদি (এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিট) প্রেরণ না করায় অন্যান্য মামলা প্রত্যাহারে বিলম্ব হচ্ছে।
অন্যদিকে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মাত্র কয়েকদিন আগে (২০ মে, ২০২৫ তারিখে) ৪৪টি মামলা প্রত্যাহারের তালিকা প্রদান করেছে। এসব মামলার কাগজপত্র পরীক্ষা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
দ্রুত প্রত্যাহারের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের প্রেরিত সকল মামলার এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিট আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির কাছে অবিলম্বে দাখিলের অনুরোধ করা হচ্ছে।
চলারপথে ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারকের সঙ্গে অশালীন আচরণের ঘটনার একটি ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভিডিওটি সরিয়ে নেওয়া হয়।আজ ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিটিআরসির আইনজীবী ব্যারিস্টার রেজা ই রাকিব এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা দুটি ভিডিও ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেওয়ার আবেদন করেছিলাম। এর মধ্যে একটি ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
গত ১৭ জানুয়ারি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিটিআরসিকে দ্রুত এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। আদালতে ভিডিও অপসারণের নির্দেশনা প্রার্থনা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিমকোর্ট বার সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
অনুমতি ছাড়া দাড়ি রাখার ‘অপরাধে’ হবিগঞ্জ জেলার তিন পুলিশ সদস্যকে লঘু শাস্তি দেওয়া হয়েছে। গত ২১ আগস্ট জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এক আদেশে তাদের লঘুদণ্ড হিসেবে দুই দিন দুই ঘণ্টা করে ‘পিডি’ প্রদান করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার এ এন এম সাজেদুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়, হবিগঞ্জ জেলায় কর্মরত নিম্নবর্ণিত পুলিশ সদস্যগণ ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক দাড়ি রাখতে ইচ্ছুক মর্মে আবেদন দাখিল করেছেন। তাদের দাখিলকৃত আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপারের নিকট উপস্থাপনে ২১ আগস্ট ধার্য পূর্বক অবহিত করা হয়।
ধার্যকৃত দিনে তারা মুখে দাড়ি নিয়ে হাজির হন। কনস্টেবলগণ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে দাড়ি রাখায় প্রত্যেককে লঘুদণ্ড হিসেবে প্রত্যেহ ২ ঘণ্টা করে ২ দিনের ‘পিডি’ প্রদান করা হলো। অনুমতি ছাড়া দাড়ি রাখায় শাস্তি দেওয়ার ওই আদেশ কপিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অবশ্য পরদিন ২২ আগস্ট হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত একটি আদেশে ওই তিন পুলিশ সদস্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে দাড়ি রাখার অনুমতি প্রদান করা হয়।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, হবিগঞ্জ জেলায় কর্মরত নিম্নবর্ণিত পুলিশ সদস্যরা ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক দাড়ি রাখার জন্য আবেদন দাখিল করেছেন। তাদের দাখিলকৃত আবেদনের প্রেক্ষিতে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক দাড়ি রাখার অনুমতি প্রদান করা হলো।
তারা হলেন- সদর কোর্টে কর্মরত কনস্টেবল দুলাল মিয়া, অপরাধ শাখার কনস্টেবল হৃদয় আহমেদ ও মোটরযান শাখার কনস্টেবল ইফতেখার হোসেন সুমন।