চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ১ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৬৩ কেজি গাঁজাসহ ৬ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় মাদকদ্রব্য বহনকারী একটি মিনি ট্রাক ও একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।
আজ ১৫ জুলাই শনিবার সকালে ও শুক্রবার গভীর রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম টোল প্লাজার সামনে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৪০), সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার মাটিকাটা গ্রামের মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩৪), নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের জাহিদুল হক (২৬), একই গ্রামের রকিব মোল্লা ২০), গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর গ্রামের সুশীল (৫৫) ও জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের খাইরুল ইসলাম (৪৩)।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে থেকে ২৩ কেজি গাঁজাসহ সুশীলকে গ্রেফতার করা হয়। সকাল পৌনে ৯টার দিকে একই স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২ কেজি গাঁজাসহ খায়রুলকে গ্রেফতার করা হয়। সকাল ৯টার দিকে একই স্থানে অভিযান চালিয়ে মোটর সাইকেল আরোহী মোহাম্মদ আলী ও সাইফুলকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে তল্লাশী করে তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে একই স্থানে একটি মিনি ট্রাক আটক করা হয়। পরে মিনি ট্রাকে তল্লাশী করে ৩৮ কেজি গাঁজাসহ জাহিদুল ও রকিবকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে পৃথক চারটি মামলা দায়ের করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জন্ম নিবন্ধনের কাগজে সই আনতে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে সংরক্ষিত নারী সদস্য ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী বিয়ের জন্য চাপ দিলে চেয়ারম্যান প্রথমে রাজি হলেও পরে অস্বীকার করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত চেয়াম্যানের নাম মো. সোলাইমান মিয়া। তিনি তালশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। অন্যদিকে ভুক্তভোগী একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য।
ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় সাত মাস আগে একটি জন্ম নিবন্ধনে স্বাক্ষর নিতে তিনি চেয়ারম্যান সোলাইমান মিয়ার বাড়িতে যান। সেখানে একা পেয়ে চেয়ারম্যান তাকে ধর্ষণ করেন। পরে ওই নারী ঘটনা প্রকাশ করে দিতে চাইলে, সোলাইমান মিয়া তাৎক্ষণিকভাবে তার কাছে মাফ চান এবং তাকে বিয়ে করবেন বলে কথা দেন। পরে ওই নারী সদস্যকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রায় ৭ মাস ধরে ঢাকার ঈশা খাঁ হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখেন।
দুই মাস আগেও তিনি দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানান। পরে চেয়ারম্যানের কথায় সেই বাচ্চাও নষ্ট করে ফেলেন ভুক্তভোগী।
এখন ইউপি চেয়ারম্যান সোলাইমান মিয়া তাকে বিয়ে না করলে ভুক্তভোগী ওই নারী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবেন বলে জানান। পাশাপাশি তাকে বিষের বোতল হাতে নিয়ে ঘুরতেও দেখা গেছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
এদিকে এসব ঘটনা ওই নারীর স্বামী জেনে ফেলেন এবং এর জেরে গত ২৫ মে তাকে তালাক দেন।
অন্যদিকে গত ২৯ মে রাতে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ৬ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে বিষয়টি জোরপূর্বক আপস মীমাংসা করে দিয়েছেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
এ বিষয়ে তালশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সোলমান মিয়া বলেন, এ ধরনের অভিযোগের কথা আমি শুনেছি। তবে এখনো মূল কারণ সম্পর্কে অবগত হইনি। আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর তীর থেকে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ ডাকাত গ্রেফতার করেছে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার ভোর রাতে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোরে আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর বাহাদুরপুর গ্রামের মেঘনা নদীতে তীরে ডাকাতি প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ৫ ডাকাততে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো কাউসার, পিতা-আবুল খায়ের, কমলপুর ভৈরব, রতন, পিতা-হেলু মিয়া, যাত্রাপুর, আশুগঞ্জ, রাবিজ, পিতা-দুলাল, কমলপুর, ভৈরব, সুমন, পিতা-নুরু মিয়া, গাছতলাঘাট, ভৈরব, দেলোয়ার হোসেন, মুন্সিপাড়া, হেমায়েতপুর, সাভার ঢাকা প্রমুখ। পুলিশ জানায় দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করা সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরো তিন/চার জন ডাকাত পালিয়ে যায়। পাচজনকে গ্রেফতার করে আশুগঞ্জ থানায় এনে প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে তারা মেঘনা নদীতে ডাকাতির কথা স্বীকার করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরবর্তীতে তাদের জিঞ্জাসাবাদের ভিত্তিতে ৪০০পিস ইয়াবা এবং বেশ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নাহিদ আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে পুলিশবাদী হয়ে থানায় মামলা হয়েছে এবং দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত করে তাদেও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ১ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ মোঃ ইমরান মিয়া (৩৬) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।
আজ ২২ সেপ্টেম্বর রোববার সকাল ৯টার সময় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার গোল চত্বর সংলগ্ন চিশতী পেট্রোল পাম্পের পাশ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ইমরান মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের বামুটিয়া গ্রামের আবদুস সোবহানের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের মিডিয়া উইংসের ইনচার্জ পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে আশুগঞ্জ উপজেলার গোল চত্বর সংলগ্ন চিশতী পেট্রোল পাম্পের পাশ থেকে ১ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী ইমরান মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার করা হয়। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
শ্বশুর বাড়িতে কুলসুম বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূ কেরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তারুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কুলসুম বেগম নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষীপুর গ্রামের হাজির হাটির গোলাম হোসেনের মেয়ে।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৫ বছর আগে কুলসুমকে আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তারুয়া গ্রামের লেবানন প্রবাসী কাজল মিয়ার সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই কুলসুমের স্বামী-শাশুড়ির সাথে মনোমানিল্য চলে আসছিল। একজন অন্যজনকে সন্দেহ করতো। কাজল প্রবাসে থেকেও অন্য নারীকে বিয়ে করতে চাইছিল। পরে এসব বিষয় নিয়ে কাজল ও শাশুড়ির সাথে অভিমান করে কুলসুম কেরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে আসলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুলসুম মারা যায়। কুলসুমের বাবা গোলাম হোসেনের অভিযোগ করেন, কুলসুমের মৃত্যুর কথা শুনে শাশুড়ি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন হাসপাতালে কুলসুমের লাশ রেখে পালিয়ে গেছে। কুলসুম কেরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়কের যানবাহনে তল্লাসী করে বিপুল পরিমান মাদক আটক করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় ৬জন মাদক পাচারকারী ও বিদেশী অস্ত্রসহ ১জনকে আটক করা হয়।
৯ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা চলে।
আটককৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে গাজাঁ ও ফেনসিডিল। এরমধ্যে সাড়ে ১০ কেজি গাঁজা ও ২২ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি বিদেশী পিস্তল আটক করে শিক্ষার্থীরা। আটককৃতরা হলেন রাজধানী ঢাকার শনি আখড়ার আকবর আলীর ছেলে মালেক, নারায়নগঞ্জের রফিক উদ্দিনের ছেলে পলাশ, নেত্রকোনার শামছু মিয়া ছেলে জুয়েল, গোপালগঞ্জের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে রাসেল মিয়া, নরসিংদীর শাহানাজ মিয়ার ছেলে খলিল মিয়া, সিলেটের মদিনা মার্কেটের মতিলাল তালুকদারের ছেলে সৈকত তালুকদার। পরে আটককৃতদের সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষার্থীরা।
কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক সুফিয়ান আজাদ জানান, মহাকসড়কের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না থাকায় সেই সুযোগে মাদক কারবারীরা বিপুল পরিমান মাদক বিভিন্ন পরিবহনে করে মাদক পাচার করছে। তাই মাদক পাচার রোধে শিক্ষার্থীদের এই কার্যক্রম চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীরা জানান, সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা এ সব মাদক ক্রয় করে ঢাকা, নেত্রকোনা, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দিতে তারা মাদক বহন করে পাচার করছিলেন।