অনলাইন ডেস্ক :
বেসরকারি রেসিডেন্ট ও নন-রেসিডেন্ট পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিকেল শিক্ষার্থীদের (ট্রেইনি চিকিৎসক) ভাতা ২৫ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ আজ ১৬ জুলাই রবিবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কিছুক্ষণ আগে এ সিদ্ধান্ত এসেছে। আমরা সবাইকে এমনটি নিশ্চিত করছি।’
তবে এ সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন বেসরকারি রেসিডেন্ট ও নন-রেসিডেন্ট পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিকেল শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট চিকিৎসক ডা. তানভির বলেন, ভাতা বাড়ানো হয়েছে কিনা আমাদের এখনও জানানো হয়নি। যদি হয়ে থাকে, আগে আমাদের বলার কথা। খবরে জানতে পারলাম ৫ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। এটা হয়ে থাকলে আমরা মানি না।
এর আগে, ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আজ রোববার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। বিকেল ৫টার দিকে প্রায় ৭ ঘণ্টা পর শাহবাগ-সায়েন্স-ল্যাবমুখী রাস্তা ছাড়েন আন্দোলনকারীরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। এর আগে বিকেল ৪টার দিকে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন চিকিৎসকদের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেখান থেকে ফিরে এসে পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন বলেন, উপাচার্য আমাদের লিখিত আশ্বাস দিয়েছেন, সাত দিনের মধ্যে সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন এবং সুখবর জানাবেন।
গত ৮ জুলাই থেকে ভাতা বাড়ানোর দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি (বিএসএমএমইউ) ও বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) অধিভুক্ত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। এরপর দাবি আদায়ে শাহবাগ ও বিএসএমএমইউতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপিও দেন।
চিকিৎসকরা ভাতা ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করার দাবিতে এ কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন। তাদের দাবি—তাদের ভাতা ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত ও নিয়মিত ভাতা প্রদান করতে হবে।
প্রসঙ্গত, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকরা দুই বছর থেকে পাঁচ বছর উচ্চশিক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন এবং এই সময়টা তারা হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা দেন।
একই সঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী, তারা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন না। এজন্য তারা সরকারের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা ভাতা পেয়ে থাকেন। তবে এ টাকা একটা বড় শহরে থেকে সংসার পরিচালনার জন্য সামান্য বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
তারা বলছেন, বাড়ি ভাড়া ও স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে উচ্চ বাজার মূল্যের এই কঠিন সময়ে সংসার চালানো কষ্টের। তাই তারা ভাতা বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করে আসছেন।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে জানানো হয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি এবং তপশিলের সম্ভাব্য দিনক্ষণ জানাতে বঙ্গভবনে যান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী নির্বাচন নিয়ে তাঁরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেন।
বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে সিইসি বলেন, শীঘ্রই নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে। আমরা রাষ্ট্রপতিকে আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানিয়েছি। উনি শুনেছেন, সন্তুষ্ট হয়েছেন। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেছেন, আসন্ন নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এ ব্যাপারে উনার সহযোগিতার প্রয়োজন হলে সে ব্যাপারে উনি আশ্বাস দিয়েছেন। আমরাও বলেছি, প্রয়োজনে আপনার সহযোগিতা আমরা কামনা করি। রাষ্ট্রপতি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে যেকোনো রকমের সহযোগিতা দিতে তিনি প্রস্তুত থাকবেন। গণতান্ত্রিক যে ধারাবাহিকতা, সাংবিধানিক যে ধারাবাহিকতা সেটা যেকোনো মূল্যে অব্যাহত রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন।
সিইসি বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি, সাংবিধানিকভাবে দায়িত্ব অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে আমরা নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে বদ্ধপরিকর। আমরা সকল রাজনৈতিক দল, সরকার ও জনগণের সহযোগিতা কামনা করে যাচ্ছি। আমরা আশ্বস্ত করেছি, সকলের সহযোগিতায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবিধানিক যে বাধ্যবাধকতা আছে তার আলোকে যথাসময়ে নিষ্কণ্টকভাবে সম্পন্ন করব।
তিনি বলেন, তফসিল ও নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি আমরা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি। যেকোনো মূল্যে ২৯ জানুয়ারির আগেই নির্বাচন করতে হবে। আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আজকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গেলাম। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সম্ভাব্য সময়সূচি নির্ধারণ করব। আমরা যেটা বলেছি, প্রথম সপ্তাহে বা দ্বিতীয় সপ্তাহে; এখনও সেই অবস্থানে আছি।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্রমবর্ধমান রোগীর স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। এ হাসপাতালকে সুন্দর, আধুনিক ও বড় হাসপাতালে পরিণত করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছি। যাতে একই সময় ৪০০০ রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে পারেন। আশা করি, শিগগিরই এর কাজ শুরু করতে পারব।
প্রধানমন্ত্রী আজ ১০ জুলাই সোমবার তার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৭৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। অ্যালামনাই ট্রাস্ট কলেজের শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিজ্ঞান সামনের দিনগুলোতে বিকাশ লাভ করবে। তাই বাংলাদেশকেও একই গতি বজায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণার সংখ্যা আমাদের দেশে কম। মুষ্টিমেয় সংখ্যক ব্যক্তি এ বিষয়ে গবেষণায় নিয়োজিত আছেন। কাজেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণার প্রতি আমাদের আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। কারণ বর্তমান যুগে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ওপর পর্যাপ্ত গবেষণা খুবই প্রয়োজনীয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চালাতে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি উদ্ভট উদ্ভট কথা বলে। যে আইন আমাদের সর্বোচ্চ আদালত বাতিল করে দিয়েছে। যে আইন সংসদে পাশ করে উল্টাইয়া গেছে ওই টেক ব্যাক থিউরি থেকে এখন বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে।
গতকাল সোমবার বিকেলে আখাউড়ায় উপজেলা শ্রমিক লীগ আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি নিজেরা কিছু করতে পারে না। তারা নকল করায় ওস্তাদ। তারা আমেরিকা থেকে টেক ব্যাক থিউরি এনেছে। তারা বলছে টেক ব্যাক বাংলাদেশ। তার মানে হচ্ছে বিএনপি আমাদেরকে যে আস্তাকুড়ে রেখেছিল, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হয়েছে সব মুছে দিয়ে আমাদের সেই গর্তে ভরতে হবে। আমি স্পষ্ট বলতে চাই, বাংলাদেশের সংবিধানে যেভাবে নির্বাচন হওয়ার কথা সেভাবে আগামী নির্বাচন হবে। তার এক ইঞ্চি তারতম্য হবে না।
বিএনপির টেক ব্যাক বাংলাদেশের সমালোচনা করে মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা বাংলাদেশের মেহনতী মানুষের টাকায় পদ্মা সেতু করেছি। এখন টেক ব্যাক বাংলাদেশ হলে তাহলে তো পদ্মা সেতুন ভাঙতে হবে। ওই নদীতে সেতু থাকতে পারবে না। শেখ হাসিনার আমলে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। এগুলো অন্ধকার করে দিতে হিবে। যে রাস্তাঘাট হয়েছে, সবগুলো সড়কে ড্রেন কাটতে হবে। কারণ টেক ব্যাক বাংলাদেশ।
রেলওয়ে স্টেশন সড়কে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ইবনে মাসুদ খলিফা লাকসু।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. তাকজিল খলিফা কাজল, শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক বশির খান, ধরখার ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি হাবিবুল্লা বাহার সাচ্ছু, সাধারণ সম্পাদক শেখ ইকবাল, উপজেলা ভ্যান শ্রমিকলীগ সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন প্রমুখ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এমজি হাক্কানি, এম এ আজিজ, মনির হোসেন বাবুল, মো. সেলিম ভূইয়া, সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৫ দিন পাঠদান চলবে।
আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রমজান মাসের প্রথম ১৫ দিন সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১১ মার্চ ২০২৪ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি বা বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ওই সময় পবিত্র রমজান মাস থাকবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১১ বা ১২ মার্চ পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে।