চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় সংক্ষিপ্ত পদযাত্রা করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় বিএনপির ঘোষিত শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে দেশব্যাপী পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে পৌরশহরের সড়ক বাজারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এর আগে বিএনপির নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নেয়। দুপুরে জেলা শহর থেকে ফিরে আখাউড়া ষ্টেশন থেকে পদযাত্রা করে বিএনপির দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জি. মোঃ মুসলিম উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম. এ. রউফ চৌধুরী, মোঃ শাহজাহান চৌধুরী, যুবদল নেতা জাহের চৌধুরী প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূইয়া সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন।
আজ ৫ মে রবিবার সকালে পৌরসভার হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার আখাউড়া উপজেলার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ বোরহান উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মনির হোসেন বাবুল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমি দুইবার আখাউড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলাম। অতীতের ভুলত্রুটির জন্য আমি ক্ষমা চাই। উপজেলা আওয়ামী লীগ আমাকে সমর্থন দিয়েছে। ডিজিটাল আখাউড়া থেকে স্মার্ট আখাউড়া গড়ার লক্ষ্যে কসবা-আখাউড়ার অভিভাবক আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হকের উন্নয়নের সহযোগি হিসেবে আমি কাজ করতে চাই। আমি দলীয় নেতাকর্মীসহ আখাউড়াবাসীর কাছে দোয়া ও আমার প্রতীক আনারস প্রতীকে ভোট চাই। এসময় তিনি সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চান।
এসময় সভায় উপস্থিত আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দিন আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূইয়াকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, কসবা-আখাউড়ার অভিভাবক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলাম।
উল্লেখ্য, আগামী ২১ মে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বৈধ চেয়ারম্যান প্রার্থী তিনজন। শেখ বোরহান উদ্দিন সরে দাঁড়ানোয় এখন দুজন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া ছাড়া অপর প্রার্থী হলেন মোঃ মনির হোসেন।
প্রার্থীতা প্রত্যাহার সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় ব্যালটে শেখ বোরহান উদ্দিনের প্রতীক থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বাজার করতে এসে স্ট্রোক করে বোরহান ভূঁইয়া (৫২) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
আজ ৯ মার্চ শনিবার বেলা ১১টার দিকে আখাউড়া রেলওয়ে জিআরপি থানা সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মৃত বোরহান ভূঁইয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বাসুদেব পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত গফুর ভূঁইয়ার ছেলে।
জানা গেছে, বোরহান ভূঁইয়া সকালে বাজার করতে আখাউড়ায় আসেন। বাজার করা শেষে তিনি ব্যাগ হাতে নিয়ে রেললাইন দিয়ে হেঁটে বাড়ির দিকে রওনা হন। একপর্যায়ে রেলওয়ে জিআরপি থানার কাছে পৌঁছালে তিনি ব্যাগ ফেলে হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা পরে দেখতে পান তিনি আর বেঁচে নেই।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- তিনি স্ট্রোক করেছেন। মৃতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় ২ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ২৮ জুলাই শুক্রবার রাতে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই দ্রুত বিচার আইনে মামলা নেয়।
আটককৃতরা হলেন, মাহাফুজ মিয়া (৭০) ও সুমন (২৯)। তারা সম্পর্কে বাবা-ছেলে।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় দি কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক নারী কর্মচারী ডাক্তারের ভিজিট চাইলে আটককৃত সুমন তাকে লাঞ্ছিত করে। পরে সুমনের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন যুবক সংঘবদ্ধ হয়ে ওই নারী কর্মচারীকে তুলে নিতে আসে।
এসময় খবর পেয়ে কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল ছুটে এসে বাধা দিলে তাদয়ের ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এলে তারা দ্রুত সটকে পড়ে। পরে পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে ঘটনার দুই মূলহোতাকে আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, আটককৃতদের মামলাসহ আদালতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় চলতি মৌসুমে আগাম জাতের আমন ধান কাটতে শুরু করেছে কৃষকরা। মাঠে মাঠে ধানের সোনালি শীষে ভরে উঠেছে কৃষকের ক্ষেত। বাতাসে ঢেউ তুলছে সোনালি ধানের শীষ। এদিকে আগাম ধান কাটা-মাড়াই কাজে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতিমধ্যে আগাম আমন ধান কাটা শুরু হলেও আগামী ৮-১০ দিন পর পুরো দমে শুরু হবে ধান কাটা। একাধিক কৃষক জানান, এ মৌসুমের শুরুতে টানা বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হলেও তারা হাল ছড়েনি। পুনরায় জমি আবাদ করে ধানের আশানুরূপ ফলন হওয়ায় কৃষক-কৃষাণির চোখে-মুখে দেখা দিয়েছে আনন্দের ঝিলিক। বর্তমানে বাজারে ধানের দাম নিয়েও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমন আবাদে প্রায় ৪ হাজার ১শ ১০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আমন ধান রোপণের জন্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি বীজ ধান, ১০ কেজি এমওপি এবং ১০ কেজি ডিওপি সার প্রণোদনা দেওয়া হয়। রোপনকৃত জমিতে ব্রি-৭৫, ৮৫, ৮৭, ৯৩, ৯৫, ৯৬, ৯৭, ১০৩ জিআর ২২সহ নানা জাতের উন্নতফলনশীল ধান আবাদ করেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পৌর শহরের তারাগন, দেবগ্রাম, উপজেলার মোগড়া, মনিয়ন্দ, ধরখার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে আমন ক্ষেতে সবুজে সমারোহ হয়ে আছে। ইতিমধ্যে জমিতে ধানের শীষ বের হয়ে পাকতে শুরু করেছে। আবার কোন কোন জমিতে আগাম ধান শুরু হয়েছে। ধানকে ঘিরে স্থানীয় কৃষকরা নানা রকমের স্বপ্ন বুনছেন। সকাল বিকাল তারা যেন ব্যস্ত সময় পার করছেন। এদিকে জমিতে ফলন ভালো করতে নিয়মিত কৃষি কর্মকর্তারা তদারকি করেন। সেইসাথে তারা রোগ বালাইয়ের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে কৃষকদেরকে ধান জমিতে কঞ্চি ও গাছের ডাল পুতে পাখি দিয়ে পোকা মাকড় দমনে উৎসাহিত করেন। এ মৌসুমে আমনের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।
কৃষি বিভাগ আরও জানায়, আগাম জাতের আমন ধান কেটে ওই জমিতে বাড়তি ফসল হিসাবে আলু, বেগুনসহ শীতকালীন সবজি ও সরিষা চাষ করতে পারবে কৃষকরা। বাড়তি ফসল করলে এতে তারা লাভবান হবেন। কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে এ মৌসুমে তিনি ৫ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ দিয়ে আমন ধান রোপন করা হয়। সব জমিতে ধানের শীষ এসেছে এবং পাকতে শুরু করেছে। এরমধ্যে আগাম জাতের ১ বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে। এতে বিঘায় ২০ মন ধানের ফলন পেয়েছি। আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে বাকি জমির ধান কাটা হবে। বাজারে যদি ধানের দর ভালো থাকে তাহলে বিক্রিতে লাভবান হবো। আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম গণমাধ্যমকে বলেন, আমন ধান আবাদে সরকারিভাবে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ উপজেলায় কৃষষদেরকে পাঁচ কেজি করে উফসী ধানের বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়। আমন ফলন বৃদ্ধিতে মাঠ পর্যায়ে থেকে কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হয়। উপজেলার সর্বত্রই আমনের ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের কাজ আগামী জুন মাসেই শেষ হবে। এরপর ট্রায়াল রান শেষে আগামী সেপ্টেম্বরেই রেলপথটি খুলে দেয়া হবে। ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রেলপথটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। দু’দেশের মানুষ এই রেলপথের সুবিধা পাবেন।
আজ ১৭ মে বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তবর্তী শিবনগর এলাকায় আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
রেলপথটির বাণিজ্যিক গুরুত্ব তুলে ধরে রেলমন্ত্রী বলেন, রেলপথটি চালু হলে ভারতের সাথে বাণিজ্যের আরেকটি দ্বার খুলবে। সড়কপথে পণ্য পরিবহনে খরচ বেশি। কিন্তু ট্রেনে পণ্য পরিবহনে খরচ কম হবে। এর সুবিধা দুইদেশের জনগণই পাবে।
তিনি আরো বলেন, এটি চালু হলে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে ভারতের এ অঞ্চলের ৭টি রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হবে। আপাতত মিটার গেজ ট্রেন দিয়ে এই পথে যোগাযোগ স্থাপিত হবে। রেলের পরিকল্পনা আছে সমস্ত রেল ব্যবস্থাকে ব্রড গেজে রূপান্ত করা হবে। ধীরে ধীরে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ব্রড গেজ করা হবে। এই পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ করছি। শিঘ্রই টঙ্গী থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
রেলের উন্নয়নের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, রেলের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আরও ৪/৫টি নতুন ট্রেন দেওয়া হবে। এতে যাত্রী চলাচলে আরও সুবিধা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিয়া ও প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি হেড শরৎ শর্মা, প্রকল্প পরিচালক জাফর উল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ রুহুল আমিন, আখাউড়া ইউএনও অংগ্যজাই মারমা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সাড়ে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পটির কাজ ২০১৮ সালের জুলাইয় মাসে শুরু হয়। বাংলাদেশ অংশে ৭ কি: মি:। ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এর কাজ পায়। দেড় বছর মেয়াদী প্রকল্পটির মেয়াদ চারদফায় বাড়িয়ে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত করা হয়।