চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় বেশি দামে মাছ ও ফল বিক্রি করার অপরাধে ৪ দোকানিকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ২১মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান কসবা পুরাতন বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে কসবা পুরাতন বাজারে অভিযান চালিয়ে বেশী দামে ফল ও মাংস বিক্রির দায়ে এক তরমুজের আড়তদারকে ৩ হাজার, দোকানে সঠিক মূল্য তালিকা না থাকায় দুই ফল ব্যবসায়ীকে ৩ হাজার টাকা করে ৬ হাজার টাকা এবং এক মাংস ব্যবসায়ীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার পাশাপাশি তাদের সর্তকও করা হয়।
তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ছিনতাই করতে রিফাত (১৫) নামে এক অটোচালককে খুন করা হয়েছে।
আজ ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মনকাসাই এলাকায় মহাসড়কের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত রিফাত উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুড়িয়া গ্রামের মোঃ আবেদ মিয়ার ছেলে। নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রিফাত লেখাপড়ার পাশাপাশি তার বাবার অটোরিক্সা চালাতো। বুধবার সন্ধ্যায় সে অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর আর বাড়ি ফিরে আসেনি।
বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শাহপুর এলাকার একটি গ্যারেজে অটোরিকশাটি পাওয়া যায়। এ সময় ছিনতাইকারী আপন মিয়া অটোরিকশাটি গ্যারেজ থেকে নিতে এলে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে পুলিশ ঘাতক আপন মিয়ার দেয়া তথ্য মতে নিহত রিফাতের লাশ উদ্ধার করে। ঘাতক আপন মিয়া উপজেলার চন্ডীদ্বার গ্রামের আলমগীর মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল হক কবির বলেন, অটোরিকশাটি ছিনতাই করতেই চালককে খুন করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় অস্বচ্ছল এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিশেষ শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
খাড়েরা সবুজ সংঘের এ কার্যক্রমের আওতায় ২৬জন অস্বচ্ছল এসএসসি পরীক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি এবং ২৬ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের মাঝে মানবিক ভাতা কার্ড প্রদান করা হয়।
আজ ৩ নভেম্বর শুক্রবার সকালে খাড়েরা মোহাম্মদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন।
সবুজ সংঘের সভাপতি বিশিষ্ট লেখক লোকমান হোসেন পলার সভাপতিত্বে এ কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন খাড়েরা ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির।
বিশেষ অতিথি ছিলেন খাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমেদ খান, বাদৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিপন আহমেদ ভূইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের পাঠাগার সম্পাদক এইচ. এম. সিরাজ, কসবা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের স্বপন, খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মীর হেলাল উদ্দিন, খাড়েরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আবু হামজা ও খাড়েরা মোহাম্মদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য দুলাল মিয়া।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সংস্কৃতি ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মজিবুর রহমান খান, জোবায়ের মাহমুদ তপন, নুরুল আমিন, শিক্ষক নেতা নরুল ইসাম চৌধুরী ও আবদুল রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে সুবিধাভোগী শিক্ষার্থী, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন নারী-পুরুষ, সাংবাদিক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাবেদ রহিম বিজন বলেন, সবুজ সংঘের মানবিক কার্যক্রম অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এ কাজটি সমাজের সকলের দ্বারা হয়ে ওঠে না। লোকমান হোসেন পলা সবুজ সংঘের মাধ্যমে এ মানবিক কাজটি করছেন। তিনি সমাজের বিত্তবানদের এ ধরনের কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সবুজ সংঘের সভাপতি লোকমান হোসেন পলা জানান, সবুজ সংঘের এ মানবিক কার্যক্রম ৩য় বৎসরে পদার্পন করেছে। অস্বচ্ছল এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফর্ম ফিলাপের জন্য উপজেলার খাড়েরা ও বাদৈর ইউনিয়নের ৭টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ১টি মাদ্রাসার ২৬জন শিক্ষার্থীকে ২ হাজার টাকা করে বিশেষ শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া খাড়েরা ইউনিয়নের ২৬জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের মাঝে মানবিক ভাতা কার্ড প্রদান করা হয়। এই কার্ডধারীরা প্রত্যেক মাসের প্রথম শুক্রবার ৫ শত টাকা করে মানবিক ভাতা পাবেন। এদিকে সবুজ সংঘের উদ্যোগে রমজান মাসে ইফতার এবং ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহায় ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। তিনি জানান, এ কার্যক্রমে আমাদের এলাকার সমমনা বন্ধুরা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে থাকেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় যাত্রী বেশে গাঁজা পাচারের সময় মো. জসিম (৪৭) নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল ১৫ জুলাই সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কসবা উপজেলার কুটি চৌমুহনী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গাঁজাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজু আহাম্মেদ।
গ্রেফতার মো. জসিম কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের কালতা (দিঘিরপাড়) গ্রামের শিরু মিয়ার ছেলে।
ওসি রাজু আহাম্মেদ বলেন, সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পাই উপজেলার কুঠি চৌমুহনী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কিছু লোক যাত্রী বেশে গাঁজা বহন করছে। পরে বাসস্ট্যান্ডের কাজি পরিবহন বাস কাউন্টারের সামনে থেকে মো. জসিমকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও বস্তা তল্লাশি করে ১৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সোহাগ সরকার, সোহেল মিয়া ও নজু মিয়া নামে তিন জন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরী গত বৃহস্পতিবার জুয়েল মিয়া (২৫) ও তার স্ত্রী রুমি আক্তারকে আসামি করে থানায় মামলা করে। পরে রাতেই জুয়েল মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জুয়েল উপজেলার চারুয়া গ্রামের নুর জামালের ছেলে।
জানা যায়, ওই কিশোরী উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের একটি গ্রামে পড়াশোনা করত। জুয়েল তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে ওই গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বাস করেন। দুই মাস আগে এক দিন কিশোরী জুয়েলের ঘরে ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে তাকে ধর্ষণ করে জুয়েল। এ ঘটনা কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় তাকে। এর পর থেকে প্রতিদিনই ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করত জুয়েল। বিষয়টি একসময় জুয়েলের স্ত্রীকেও জানায় কিশোরী। পরে মাকে জানায় সে।
কসবা থানা পরিদর্শক (তদন্ত) জানান, জুয়েলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।