চলারপথে রিপোর্ট :
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়ন বিষয়ক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এনজিও সংস্থা ওয়াফথর আয়োজনে ও বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়নে ও শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানে ভীতি দূর করে বিজ্ঞান মনস্ক করে গড়ে তোলার লক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ারের সভাপতিত্বে ও ওয়াফথর সমন্বয়কারী মো. আতিকুর রহমানের উপস্থাপনায় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া প্রেসক্লাব সভাপতি এম শাকিল রশীদ চৌধুরী ও তথ্য সেবা কর্মকর্তা তাছফিয়া রহমান। সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ওয়াফের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল মালিক। সেমিনারে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও গণমাধ্যম কর্মীরা অংশ নেন।
সেমিনারে একটি স্কুলকে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে বিজ্ঞান শিক্ষার বিশেষ পরিবর্তন আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্রদর্শনের, বিজ্ঞান ক্লাসগুলো নিয়মিত করতে রুটিন তৈরি করে ক্লাস করা, বিজ্ঞান ল্যাব এবং বিজ্ঞান যন্ত্রপাতির নিয়মিত ব্যবহার নিশ্চিত করা, ব্যবহারিক ক্লাস পরিচালনায় দক্ষতার জন্য বিজ্ঞান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং বিজ্ঞান মেলাসহ অন্যান্য বিজ্ঞান কার্যক্রমে সকল প্রতিষ্ঠানকে নিয়মিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি’র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার টোকিওতে জাইকা সদর দপ্তরে জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কাওয়ামুরা কেনিচির সাথে সাক্ষাত করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম এবং দূতাবাসের ইকনমিক মিনিস্টার সৈয়দ নাসির এরশাদ উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাতকালে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের মধ্য দিয়ে দুই বন্ধু প্রতীম দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় ভিত্তি পায়। তিনি দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন সময়ে জাপান সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০২৩ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ জাপান সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত হয়েছে।
গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে জাইকার সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি ভূমিকম্প সহনশীল নগর অবকাঠামো উন্নয়নে জাপানি মডেলের কথা উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশের আবাসন খাত ও নগর উন্নয়নে জাপানের এ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগাতে জাইকার সহায়তা কামনা করেন।
জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কাওয়ামুরা কেনিচি জাইকার সদর দপ্তরে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পিকে স্বাগত জানান। তিনি নাগাসাকিতে শান্তি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ উদ্যোগ পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় দু’দেশের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি বাংলাদেশে জাইকার চলমান প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ দূতাবাস ও জাইকার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইজতেমা ময়দানে নিরীহ মুসল্লিদের ওপর সাদ পন্থীদের হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে এবং দেশব্যাপী সাদ পন্থীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উলামা মাশায়েখ ও তৌহিদি জনতা।
আজ ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসার তৌহিদী জনতা শহরের টেংকের পাড় মাঠে এসে সমাবেত হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে কুমারশীল মোড়, হাসপাতাল রোড, কোর্টরোড ও মাদরাসা মোড়সহ বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদিক্ষিন করে কাউতলী মোড় এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, হেফাজত ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি মুফতি মুবারকুল্লাহ্, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজম, দফতর সম্পাদক মাওলানা বেলাল হোসাইন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ইজতেমা ময়দানে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাদপন্থীদের দ্রুত বিচার ও ফাঁসির দাবি জানান। পাশাপাশি দেশ ব্যাপী সাদ পন্থীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধেরও দাবি তুলেন।
চলারপথে ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতের এজলাসে বিচারকের বিরুদ্ধে শ্লোগান, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের ঘটনা দেশের বিচার বিভাগে ‘কালো দাগ’ সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। ব্রাহ্মণবাড়িয়া বারের তিন আইনজীবীর উপস্থিতিতে এ মন্তব্য করে আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করে আদেশ দেন।
আদালত বলেন, অবস্থা এমন চলতে থাকলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের নিষিদ্ধসহ কঠোর পন্থা অবলম্বন করতে বাধ্য হবো।
এদিন শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির হাইকোর্টকে বলেন, মাই লর্ড, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিষয়টির পিসফুল ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে। আজ থেকে সব কোর্ট চলছে। আমাদের আরও কিছু কাজ আছে। সবকিছুর সমাধান হবে, আমাদের একমাস সময় দিন।
জবাবে হাইকোর্ট বলেন, কিছুই (ডেভেলপমেন্ট) হয়নি। হাইকোর্টে এটার তারিখের (শুনানির) আগে ওখানে একটু নাড়াচাড়া করেন। আমরা বুঝি। দিন যাচ্ছে আর টাইম নষ্ট করছেন। এটার পরিণতি ভোগ করতে হবে। আপনারা (রুলের) জবাব দিলে দেন, না দিলে না দেন। আমরা আমাদের মতো এগোবো। একটা কোর্টকে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অচল করে রেখেছেন। সবকিছু আমরা দেখছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বার (আইনজীবী সমিতি) বাংলাদেশের লিগ্যাল ইতিহাসে কালো দাগ সৃষ্টি করেছে, সব আইনজীবীকে কলঙ্কিত করেছে।
এসময় তিন আইনজীবীর পক্ষে ফের সময় চাওয়া হলে আদালত বলেন, আইনজীবী সমিতির প্রেসিডেন্ট হোক আর সদস্য হোক, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বার কাউন্সিল আছে। তবে বার কাউন্সিল কিছু না করলে আমরা এখান থেকেই করবো। প্রতিদিন আমরা খবরের কাগজে চোখ রাখি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বারে কী হচ্ছে। আপনারা কোর্ট বর্জন করছেন করেন, কিন্তু বিচার প্রার্থীরা কোর্টে গেলে তাদের ডিস্টার্ব করা হচ্ছে, থ্রেট দেওয়া হচ্ছে। আপনারা একতরফা (এক্সপার্টি) গেলে আমরাও (এক্সট্রিম) যাবো। কে বারের সভাপতি, কে বিজ্ঞ আইনজীবী তা আমরা দেখবো না। এরা বাংলাদেশে প্রাকটিস (আইন পেশা পরিচালনা) করার যোগ্য কি না, সেটাও আমরা দেখবো।
এদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের ঘটনার ৮টি ফেসবুক ও ৫টি ইউটিউব ভিডিও সরানো হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে বিটিআরসি।
গত ১৭ জানুয়ারি বিচারক মোহাম্মদ ফারুককে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিটিআরসিকে দ্রুত এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
ওইদিন আদালতে ভিডিও অপসারণের নির্দেশনা প্রার্থনা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ওইদিন আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে আদালত ও আইনজীবীদের মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমরা এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা প্রার্থনা করছি।
ওইদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও জেলা জজের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া সংক্রান্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অবিলম্বে অপসারণে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিটিআরসিকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।
আদালতে ওইদিন আইনজীবীদের পক্ষে ছিলেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম. সাঈদ আহমেদ রাজা, শাহ মঞ্জুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন।
অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন তার কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে ঘটনা ঘটেছে তা কাম্য নয়। হাইকোর্টের আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন আইনজীবী আদালতে এসেছিলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আইনজীবী সমিতির সভাপতিকে নিয়ে বিষয়টি প্রশমনের উদ্যোগ নেবেন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন।
তিনি বলেন, আদালত আছে বলেই আমরা আইনজীবী। আদালতের প্রতি আমাদের সম্মান থাকতে হবে। উভয়পক্ষকে আরো সংবেদনশীল ও যতœশীল হতে হবে। আদালতকেও আইনজীবীদের বুঝিয়ে কাজ করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে ঘটনা ঘটেছে, এ ধরনের ঘটনা ভুল বার্তা দেয়। বিচারপ্রার্থী জনগণ যেন ভোগান্তিতে না পড়েন তা সবাইকে নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে এ ঘটনায় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর আহমেদ ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) আইনজীবী মো. আক্কাস আলী, আইনজীবী জুবায়ের ইসলামকে আজকে সশরীরে হাজির হয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। গত ৫ জানুয়ারি আদালত অবমাননার রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
গত ২ জানুয়ারির ঘটনায় ‘এজলাসে আদালতের বিচারক ও কর্মচারীদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের জন্য আদালত অবমাননার ব্যবস্থা গ্রহণের প্রার্থনা’ শীর্ষক একটি চিঠি সুপ্রিম কোর্টে পাঠান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুক।
এ চিঠি প্রধান বিচারপতি বরাবর উপস্থাপন করেন রেজিস্ট্রার জেনারেল। পরে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি বিষয়টি উপস্থাপনের জন্য গত ৪ জানুয়ারি বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে নথি উপস্থাপন করা হয়। এরপর হাইকোর্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন আইনজীবীকে তলবের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন।
এরপর গত ১০ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বারের ২১ আইনজীবীকে তলব করেন হাইকোর্ট। ২৩ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ বেগম শারমিন নিগারের বিরুদ্ধে আদালত প্রাঙ্গণে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় হাইকোর্ট রুলসহ এ আদেশ দেন। রুলে ওই ২১ আইনজীবীর বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
যে ২১ আইনজীবীকে তলব করা হয়েছে তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান বাবুল, আইনজীবী মিনহাজুল ইসলাম, এমদাদুল হক হাদি, নিজামুদ্দিন খান রানা, আনিছুর রহমান মঞ্জু, মো. জুম্মন চৌধুরী, রাশেদ মিয়া হাজারী, জাহের আলী, মো. আ. আজিজ খান, দেওয়ান ইফতেখার রেজা রাসেল, মো. ছদর উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান রনি, মো. মাহবুবুর রহমান, মো. আরিফুল হক মাসুদ, মীর মোহাম্মদ রাইসুল আহম্মেদ, মহিবুর রহমান, মো. জাকারিয়া আহমেদ, মো. মোবারক উল্লা, মো. ফারুক আহমেদ, সফিক আহমেদ, ইকবাল।
ওই ঘটনায় গত ৯ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ বেগম শারমিন নিগার প্রধান বিচারপতির কাছে একটি আবেদন করেন।
আবেদনে জেলা জজ আদালতে এজলাস চলাকালে বিচারকের নামে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ শ্লোগান দিয়ে বিচারকাজ বিঘ্নিত ও বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ মানহানির ঘটনায় প্রতিকার চাওয়া হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
২১ মে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। এ বছর দেশে দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ভালো মানুষ ভালো দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ। মেডিটেশন দিবস উপলক্ষে এবারও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সারাদেশে ভোর ৬টায় একযোগে বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে প্রাণায়াম বা দমচর্চা, প্রত্যয়ন পাঠ ও মেডিটেশন চর্চার আয়োজন করেছে। আর এর মধ্য দিয়ে ধ্যানীরা সুস্থতা ও প্রশান্তির বাণী ছড়িয়ে দেবেন।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, দেশে দিন দিন মেডিটেশনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য বিদ্যমান চিকিৎসার পাশাপাশি মেডিটেশন যে প্রয়োজন, সেই পরামর্শ এখন চিকিৎসকরা দিচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সম্প্রতি যোগ-মেডিটেশনকে স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
সাত বছর আগে উইল উইলিয়ামস নামে এক ব্রিটিশ মেডিটেশন প্রশিক্ষক প্রথম দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেন। তিনি ছিলেন অনিদ্রার রোগী। মেডিটেশনের মাধ্যমে নিরাময় লাভের পর এ সম্পর্কে আরও উৎসাহী হয়ে ওঠেন উইলিয়ামস। বাংলাদেশে মেডিটেশন চর্চার ইতিহাসে টানা ৩১ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। এই চর্চার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন লাখো মানুষ।
অনলাইন ডেস্ক :
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপের পর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এজন্য দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আজ ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৪) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
‘গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।’
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চল ছাড়াও মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে।