অনলাইন ডেস্ক :
গভীর সমুদ্র থেকে ১৮ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুর রহমান এ তথ্য জানান।
কোস্ট গার্ডের এই কর্মকর্তা জানান, গত ১৪ জুলাই শুক্রবার এফভি “সাইফুর” নামের একটি ফিশিং ট্রলার নোয়াখালী জেলার হাতিয়া এলাকা থেকে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সমুদ্রে যাত্রা করে। ১৫ জুলাই শনিবার ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়লে ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে সমুদ্রে ভাসতে থাকে।
গতকাল ১৮ জুলাই সোমবার মাছ ধরার ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসলে জেলেরা উদ্ধার সহায়তা চেয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনে যোগাযোগ করে। পরবর্তীতে কোস্ট গার্ডের নিয়মিত টহল জাহাজ সবুজ বাংলা’র অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ-আল-মামুনের নেতৃত্বে সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে উদ্ধার অভিযান চালায়। প্রথম দিকে জেলেরা সমুদ্রে তাদের সঠিক অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি। উত্তাল সমুদ্রে টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বিপদজনকভাবে ভাসতে থাকা ট্রলারটিকে মঙ্গলবার ভোরে ১৮ জন জেলেসহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, উদ্ধারের পর মালিকপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে উদ্ধারকৃত বোটসহ জেলেদের তাদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের কাজ আগামী জুন মাসেই শেষ হবে। এরপর ট্রায়াল রান শেষে আগামী সেপ্টেম্বরেই রেলপথটি খুলে দেয়া হবে। ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রেলপথটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। দু’দেশের মানুষ এই রেলপথের সুবিধা পাবেন।
আজ ১৭ মে বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তবর্তী শিবনগর এলাকায় আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
রেলপথটির বাণিজ্যিক গুরুত্ব তুলে ধরে রেলমন্ত্রী বলেন, রেলপথটি চালু হলে ভারতের সাথে বাণিজ্যের আরেকটি দ্বার খুলবে। সড়কপথে পণ্য পরিবহনে খরচ বেশি। কিন্তু ট্রেনে পণ্য পরিবহনে খরচ কম হবে। এর সুবিধা দুইদেশের জনগণই পাবে।
তিনি আরো বলেন, এটি চালু হলে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে ভারতের এ অঞ্চলের ৭টি রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হবে। আপাতত মিটার গেজ ট্রেন দিয়ে এই পথে যোগাযোগ স্থাপিত হবে। রেলের পরিকল্পনা আছে সমস্ত রেল ব্যবস্থাকে ব্রড গেজে রূপান্ত করা হবে। ধীরে ধীরে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ব্রড গেজ করা হবে। এই পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ করছি। শিঘ্রই টঙ্গী থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
রেলের উন্নয়নের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, রেলের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আরও ৪/৫টি নতুন ট্রেন দেওয়া হবে। এতে যাত্রী চলাচলে আরও সুবিধা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিয়া ও প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি হেড শরৎ শর্মা, প্রকল্প পরিচালক জাফর উল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ রুহুল আমিন, আখাউড়া ইউএনও অংগ্যজাই মারমা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সাড়ে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পটির কাজ ২০১৮ সালের জুলাইয় মাসে শুরু হয়। বাংলাদেশ অংশে ৭ কি: মি:। ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এর কাজ পায়। দেড় বছর মেয়াদী প্রকল্পটির মেয়াদ চারদফায় বাড়িয়ে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক
দেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে।
আজ ৭ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায়। সেই হিসেবে আগামী ১৭ জুন সোমবার পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন হবে।
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এর আগে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে চাঁদ দেখা যায়। সেই হিসেবে সৌদিতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে আগামী ১৬ জুন। আর ১৫ জুন পবিত্র আরাফাত দিবস।
চলারপথে ডেস্ক :
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ ২৯ এপ্রিল শনিবার বিকেলে হাসপাতালে যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে বিকেল তিনটায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে যাবেন।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতা বাড়লে মাঝেমধ্যে তাকে হাপাতালে নিতে হচ্ছে।
দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরো পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।
একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়। এরপর পরিবারের আবেদনে দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ ছয়বার বাড়ানো হয়। সর্বশেষ দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ গত ২৪ মার্চ শেষ হয়। এর আগেই খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছিল।
তার পরিপ্রেক্ষিতে আবারও তার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর গত ১৯ মার্চ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকারের অধীনে জনগণের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র সমুন্নত রেখে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। কাতারের দোহায় র্যাফেলস হোটেলে কাতার ইকনোমিক ফোরাম (কিউইএফ) আয়োজিত ‘ইন কনভারসেশন উইথ প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
কিউইএফ’র এডিটর অ্যাট-লার্জ হাসলিন্ডা আমিনের উপস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘অতএব, আমাদের সরকারের অধীনে নির্বাচন অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সুতরাং আমি এখানে এসেছি আমাদের জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে? জনগণই ঠিক করবে কে দেশ চালাবে। এটা জনগণের ক্ষমতা। তাই আমি জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাই।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আমি এখানে ক্ষমতা দখল না করার জন্য এসেছি, বরং আমি জনগণকে তাদের অধিকার দিতে চাই যাতে তারা তাদের সরকার বেছে নিতে পারে।’
কিছু দলের নির্বাচনে অংশ নিতে অনিচ্ছুক হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা কীভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে কারণ তাদের সময় দেশ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আমাদের জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং সে সময় (বিএনপির শাসনামলে) সন্ত্রাস, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও শোষণ ছিল সর্বত্র। তারা কখনই মানুষকে গোনায় ধরত না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের জনগণের জন্য একদিনে একবেলা খাবার পাওয়া খুবই কঠিন ছিল। এটাই ছিল তাদের অবস্থা।’
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার দল যখন আবার ক্ষমতায় আসে, তারা জনগণের জন্য সবকিছু নিশ্চিত করেছে। তাই, এখন নির্বাচন, এটা জনগণের অধিকার। এখন, মানুষ বুঝতে পারে। তারা যদি আমাদের ভোট দেয়, আমি এখানে থাকব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা চিন্তা করুন, জনাব ট্রাম্প এখনও ফলাফল মেনে নেননি। তারা এখন কী বলতে পারেন?’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যারাই (পর্যবেক্ষক) পাঠাতে চায়, তিনি এরই মধ্যে সবাইকে বলেছেন, – ‘যদি তারা পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় তবে তারা পাঠাতে পারে। সুতরাং, আমি আপনাকে বলতে পারি যে আমি এখানে আমার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে এসেছি এবং এটি আমাদের সংগ্রাম।’
প্রধানমন্ত্রী বিএনপির নাম উল্লেখ না করে হাসলিন্দা আমিনকে তাঁর প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘দলটি একজন সামরিক শাসক দ্বারা গঠিত হয়েছে। ওই দল বা যুদ্ধাপরাধী দল বা আমাদের বাবা-মায়ের খুনিরা হয়তো স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে না। কিন্তু, অন্যরা, আরও অনেক দল আছে এবং তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। সুতরাং, আমি বুঝতে পারছি না কেন বারবার এই প্রশ্ন করা হচ্ছে?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭৫ সালে যখন তাঁর বাবাকে হত্যা করা হয়-তখন সামরিক স্বৈরশাসক সমস্ত ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। তখন তারা সমস্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ করে ফেলে। ১৯৮১ সালে তার দল-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাঁকে তাঁর অনুপস্থিতিতে দলের সভাপতি নির্বাচিত করে এবং এরপর থেকে আমরা গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম শুরু করি-যার অর্থ তাদের প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার থাকা উচিত।’
আইএমএফ ঋণ সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি সুন্দরভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। এটা এমন নয় যে-আমাদের অর্থনীতি সংকটে আছে। এই ঋণ কেবল আমাদের অর্থনীতিকে সুরক্ষিত করবে। আইএমএফ শুধু সেই দেশকে ঋণ দেয়, যারা তাদের ঋণ পরিশোধ করতে পারে। তারা (আইএমএফ) প্রথমে মনে করেছিল যে তারা যাদের ঋণ দিচ্ছে, তারা তা ফেরত দিতে পারবে কি না। বাংলাদেশ এমন একটি অবস্থানে রয়েছে যে ঋণ পরিশোধ করতে পারবে।’
জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব শুধু বাংলাদেশ নয়, সব দেশেই পড়ছে। আমরা আমাদের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে নবায়নযোগ্য শক্তি, সৌর বিদ্যুৎ ও অন্যান্য বিকল্প খুঁজছি।’
হাসলিন্দা আমিন বলেন, ‘ভারতের মতো দেশ রাশিয়ার কাছে অনেক কম দামে তেল চাইছে।’ তিনি প্রশ্ন করেন, রাশিয়া সম্ভাব্য সরবরাহকারী কিনা?
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাশিয়া থেকে আমরা কখনোই তেল কিনিনি। যেখানেই তেল পাওয়া যাবে, নিশ্চিতভাবেই আমরা তা নেব, কেন নয়?’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি খুবই পরিষ্কার। আমি শুধু দর্শকদের বলতে চাই, বাংলাদেশ অনুসরণ করে-সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আরেকটি বিষয় আমার উল্লেখ করা উচিত যে-দেশে দেশে বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু আমরা কখনই এতে হস্তক্ষেপ করিনি। আমরা কখনই পক্ষপাতমূলক ভূমিকা পালন করব না। আমাদের দেশের উন্নয়ন করতে হবে। আমাদের জনগণের চাহিদা পূরণ করতে হবে। আমাদের দেশের উন্নয়ন করতে হবে- যাতে আমাদের দেশের মানুষ উন্নত জীবন পায়।’
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি ‘কলাবতী শাড়ি’ ও হস্তশিল্পজাত পণ্য উপহার দিয়েছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভিন তিবরীজি।
আজ ১৭ জুলাই সোমবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুপুরে তার কার্যালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি কলাবতী শাড়ি ও হস্তশিল্পজাত পণ্য গ্রহণ করেন।
এ সময় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভিন তিবরীজি কলাগাছের তন্তু থেকে প্রস্তুত ৩টি শাড়ি এবং দুটি জুয়েলারি বক্স প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কলাগাছের তন্তু থেকে মনিপুরী ডিজাইনের এই শাড়ি প্রস্তুত করেছেন মৌলভীবাজারের তাঁতশিল্পী রাধাবতী দেবী। প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়া শাড়ি ৩টি তৈরি করেছেন অঞ্জলী দেবী ও দত্ত সিংহ।
এ ছাড়া পার্বত্য এলাকায় বাসোপযোগী আশ্রয়ণের একটি বিশেষ মাচাং ঘরের মডেল, জেলা ব্র্যান্ডের ক্যালেন্ডার এবং ব্র্যান্ড বুকও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক।