চলারপথে রিপোর্ট :
বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগরে স্বর্ণ চুরির অভিযোগে অসহায় নারী ও তার শিশুসন্তানকে পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান ও আজিজনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জসিম উদ্দীন।
চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে পুলিশ এসে তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই আজিজনগরে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা। আহত মা ও শিশুকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- আজিজনগর ইউনিয়নের সোলাইমান বাজার ৬নং ওয়ার্ডের আশরাফপাড়ার বাসিন্দার মো. মোরশেদের স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৩০) ও তার শিশুসন্তান মো. সেলিম ওরফে সোয়াদ (৯)। শিশুটি চাম্বি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। নির্যাতনকারী ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় সেলিনা আক্তারের স্বামী ও সোহাগের পিতা মো. মুরশেদ হাওলাদার লামা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অপরদিকে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনও লামা থানায় চুরির অভিযোগে করেছেন।
মো. মুরশেদ হাওলাদার বলেন, জসিম চেয়ারম্যানের স্ত্রী আমাকে ফোন করে গত শনিবার রাতে দেখা করতে বলেন। আমি আর আমার স্ত্রী দেখা করলে আমাদের ছেলে স্বর্ণ চুরি করার অভিযোগ করে আমাদের তিনজনকে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর করেন এবং আমার আহত ছেলেকে আটকে রাখেন। আমার সম্পত্তি লিখে দিয়ে ছেলেকে নিয়ে যেতে বলেন। স্থানীয়দের সহায়তায় আমরা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে ছেলেকে উদ্ধার করি। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আহত মা ও ছেলেকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত দুবছর ধরে আমার ছেলেকে পড়ালেখার কথা বলে নিয়ে গিয়ে ঘরের কাজ করতে দেন চেয়ারম্যান। ঘরের কাজ করালেও দুই বছরে আমাদের কোনো টাকা দেয়নি।
আজিজনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক এনামুল হক ভূঁইয়া জানান, গত দুই বছর যাবত ছেলেটাকে লেখাপড়া করানোর কথা বলে চেয়ারম্যানের বাসায় রাখছে। ছেলেটা বাড়ির কাজকর্মও করত। কয়েক দিন আগে চেয়ারম্যানের বউয়ের স্বর্ণ চুরি হয়েছে। সে স্বর্ণ চুরির অপবাদে চেয়ারম্যান ছেলেটাকে পিটাইছে। তারপরে মাকে বাবাকে ডেকেও কিল ঘুসি থাপ্পড় দিছে। পরে ছেলেটাকে আটকিয়ে রাখে চেয়ারম্যান। এ সময় ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে তার বাবা-মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আজিজনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, শিশু সোয়াদ আমার বাসা থেকে স্বর্ণ চুরি করেছে। ছেলেটা আমার কাছে দুই বছর ধরে ছিল। আমি তো শিশুটিকে ধরে এনে বেঁধে রাখিনি যে ৯৯৯ নাম্বারে পুলিশ এসে উদ্ধার করবে- এটি সত্য নয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানার ওসি মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ৯৯৯ নাম্বারে কল পেয়ে আমরা শিশুটিকে উদ্ধার করে পিতা ও মায়ের জিম্মায় দিয়েছি। উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েছে, আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ ঘটনায় থানায় মামলা হবে।
প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় সোমবার রাতে অসহায় নারী ও শিশুকে চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে আহত করার প্রতিবাদে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
চলারপথে ডেস্ক :
নয়জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৩ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শেখ হাসিনা আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে এ পুরস্কার তুলে দেন।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য এবার চারজন স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন। তারা হলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল (অব.) সামসুল আলম, মরহুম লে. এ জি মোহাম্মদ খুরশীদ, শহিদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম।
এ ছাড়া সাহিত্যে মরহুম ড. মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আহমেদ (সেলিম আল দীন), সংস্কৃতিতে পবিত্র মোহন দে, ক্রীড়ায় এ এস এম রকিবুল হাসান, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বেগম নাদিরা জাহান (সুরমা জাহিদ) ও ড. ফেরদৌসী কাদরী পুরস্কার পেয়েছেন। আর পুরস্কারের জন্য মনোনীত প্রতিষ্ঠানটি হলো ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।
সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এ পুরস্কার প্রদান করে আসছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রামের স্বর্ণপদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
লক্ষ্মীপুরে ৬ মাস বয়সী শিশু জুনায়েদ হোসেনকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগে তার মাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ ১০ জুলাই সোমবার সকালে সদর উপজেলার হামছাদী ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মাঝি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতের নাম নার্গিস বেগম। সে ওই এলাকার শাহাদাত হোসেনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে স্বামী-স্ত্রী দুইজনে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া করে। এরপর স্বামী শাহাদাত বাড়ী থেকে কাজে চলে যায়। এ সুযোগে নিজের ৬ মাসের শিশু জুনায়েদকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে ফেলে দিয়ে চিৎকার দেয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সন্ধ্যায় সদর থানার (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শিশুকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগে তার মা নার্গিসকে আটক করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য শিশুর মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও লাইফ স্টাইল হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশনের উদ্যোগে আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
সিভিল সার্জন ডা. মোঃ একরাম উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা নাজবাহুল ইসলামের পরিচালনায় বিষয় ভিত্তিক আলোচনা অংশ নেন লাইফ স্টাইল এডুকেশন এন্ড প্রমোশনের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ মহিউদ্দিন মিয়া ও ডাঃ মাহমুদুল হাসান।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযুষ কান্তি আচার্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, পৌর কাউন্সিলর নিলুফার ইয়াসমিন, শেখ মাহফুজ, জেলা নাগরিক কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, মোঃ ইস্কান্দার মিয়া, নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম।
সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. মোঃ একরামউল্লাহ বলেন, নিরাপদ স্বাস্থ্য ও জীবনের জন্য নিরাপদ খাদ্য খুবই জরুরী। এ ব্যাপারে প্রত্যেক মানুষকেই নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। তিনি সমাজের বিশিষ্টজনদের নিরাপদ খাদ্য নিয়ে জনগণকে সচেতন করার আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রফেসর মুখলেছুর রহমান খান স্মৃতি ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্ট-২০২৩ (সিজন-২) এর ফাইনাল ২ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, মাউশি’র সাবেক মহাপরিচালক (গ্রেড-১) প্রফেসর ফাহিমা খাতুন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ শাহ আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, স্পাইডার গ্র“পের ডিরেক্টর কাজী রহমতউল্লাহ শৈবাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রবিউল হোসেন রুবেল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ হামজা মাহমুদ, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এস আর এম ওসমান গণি সজিব, প্রয়াত প্রফেসর মুখলেছুর রহমান খানের বড় ছেলে আবুল কালাম আজাদ, মেয়ে রাহেলা বেগম, ছোট ছেলে রোটারী ক্লাব অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাসের প্রেসিডেন্ট ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান খান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শেখর চন্দ্র।
সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন সাব্বির হোসেন সৌরভ, স্বদেশ, আকিল ও সবুর। খেলা পরিচালনা করেন সালাউদ্দিন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ফাহিমা খাতুন বলেন, খেলাধুলা ছাত্র-যুব সমাজকে অপরাধমূল কর্মকান্ড থেকে দূরে রাখে, আর ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করে। তাই আমাদের সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মানের জন্য বেশি বেশি করে খেলাধুলার আয়োজন করে দিতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করতেই প্রফেসর মুখলেছুর রহমান খান স্মৃতি ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্ট এর আয়োজন করা হয়েছে। আমি এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। তিনি বলেন, প্রফেসর মুখলেছুর রহমান খান একজন বড় মনের মানুষ ছিলেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যখন জয়বাংলা শ্লোগান দিতে দ্বিধা করতো, তখনও তিনি জয়বাংলা শ্লোগান দিতেন।