চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের নতুন এ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটি।
গতকাল শুক্রবার ঢাকায় মন্ত্রীর বাসভবনে তাঁকে এই শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের নতুন এ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল মিয়া, এ্যাডহক কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বিশিষ্ট নারী নেত্রী এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, সেক্রেটারী মোহনা টেলিভিশন ও দৈনিক মুক্তখবর পত্রিকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি মোঃ শাহাজাদা, সদস্য প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও, এম. এ. এইচ মাহাবুব আলম, এম সাইদুজ্জামান আরিফ, রবিউল হোসেন রুবেল, এডভোকেট ইফতেখার বারী তানভীর, মোঃ নাজির হোসেন ভূঁইয়া ও খন্দকার রায়হান।
ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদানকালে নব নির্বাচিত বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের নতুন এ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাঁর সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে মন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অনলাইন ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন সময় মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে ব্যবহারের সময় আইন-শৃংখলা বাহিনীর হাতে জব্দকৃত বিভিন্ন ধরনের প্রায় হাজারো যানবাহন খোলা আকাশের নীচে থাকায় রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল, আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, নবীনগর, কসবা, আখাউড়া, বিজয়নগর, নাসিরনগর, বাঞ্ছারামপুর, হাইওয়ে থানা ও বিআরটিএ অফিস প্রাঙ্গণে এসব যানবাহন পড়ে রয়েছে।
এসব যানবাহনের মধ্যে মোটর সাইকেল, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, প্রাইভেটকার ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সা। জব্দকৃত গাড়ির মধ্যে বিজয়নগর থানায় বিভিন্ন ধরনের ৫০টি, সরাইল থানায় বিভিন্ন ধরনের ৪৭টি, আখাউড়া থানায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ১২৩টি যানবাহন, আশুগঞ্জ থানায় রয়েছে জব্দকৃত বিভিন্ন ধরনের ১৮৫টি যানবাহন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় রয়েছে ১২৫টি যানবাহন। বাকী যানবাহনগুলো রয়েছে জেলার অন্যান্য থানা প্রাঙ্গনে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলার বিভিন্ন থানার পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, হাইওয়ে থানার পুলিশসহ টাস্কফোর্সের অভিযানে এসব যানবাহনগুলো জব্দ করা হয়।
আইন-শৃংখলা বাহিনীর হাতে জব্দকৃত এসব যানবাহন বছরের পর বছর থানা প্রাঙ্গনে খোলা আকাশের নীচে থাকায় রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি চুরি হচ্ছে এসব যানবাহনের মূল্যবান যন্ত্রাংশ। এছাড়াও মাত্রাতিরিক্ত যানবাহন থাকায় থানাগুলোর সৌন্দর্য্য ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এমন অবস্থায় দ্রুত যানবাহনগুলোর মামলা নিষ্পত্তি করে এসব যানবাহন নিলামে বিক্রি করা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিছুর রহমান চৌধুরী বলেন, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে ব্যবহারের সময় আইন-শৃংখলা বাহিনীর হাতে জব্দ হয়ে বিভিন্ন যানবাহন জেলার বিভিন্ন থানায় পড়ে আছে। এসব গাড়ি রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে।
বিভিন্ন গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি হচ্ছে। এসব গাড়িগুলো বছরের পর বছর থানা প্রাঙ্গনে পড়ে থেকে মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা চাই এসব জব্দকৃত যানবাহনের মামলা গুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা হোক। তিনি বলেন, এসব জব্দকৃত যানবাহনগুলো যদি আদালতের মাধ্যমে নিলামে বিক্রি করা হয় তাহলে সরকার রাজস্ব পাবে।
এ ব্যাপারে জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান তানিম বলেন, আমি চাই দ্রুত জব্দকৃত যানবাহনের মামলাগুলো নিষ্পত্তি করা হোক। তিনি বলেন, এসব যানবাহন দীর্ঘদিন ধরে থানার সামনে খোলা আকাশের নীচে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। কিছু কিছু যানবাহনের যন্ত্রাংশ চুরিও হচ্ছে। তিনি বলেন, যদি এসব জব্দকৃত গাড়ি নিলামে বিক্রি করা হয় তাহলে সরকার রাজস্ব পাবে।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন জানান, তার থানায় জব্দকৃত বিভিন্ন ধরনের ৪৭টি যানবাহন রয়েছে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাজু আহমেদ জানান, তার থানায় জব্দকৃত বিভিন্ন ধরনের ৫০টি যানবাহন রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম জানান, তার থানায় জব্দকৃত বিভিন্ন ধরনের ১২৫টি যানবাহন রয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিভিন্ন সময় মামলার আলামত হিসেবে আমরা যে যানবাহনগুলো জব্দ করি সেই যানবাহনগুলো আমাদের বিভিন্ন থানায় রয়েছে। থানার সামনে খোলা আকাশের নীচে থাকায় অযত্নে অবহেলায় যানবাহনগুলো নষ্ট হয়ে যায়।
এতে করে থানাগুলোর পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে। যদি মামলা নিষ্পত্তির সময়ে আলামত গুলোও নিষ্পত্তি করা হয় অথবা জব্দকৃত যানবাহনগুলো নিলামে দেয়া হয় তাহলে আমাদের থানার পরিবেশও ভাল থাকবে। অন্যদিকে সরকারও রাজস্ব পাবে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আমরা যে গাড়ি গুলো জব্দ করি সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব সড়ক নিরাপত্তা যে আইন আছে সে আইনে নিস্পত্তি করে ফেলি। কিন্তু জেলার ৯টি থানাসহ বিআরটিএ প্রাঙ্গনে যে গাড়িগুলো আছে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মামলা নিস্পত্তির অপেক্ষায়। এ বিষয়টি মহামান্য আদালতের বিষয়। বিষয়টি আমি জেলা জজ এর দৃষ্টিতে আনার চেষ্টা করব।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন বলেন, যে গাড়ি গুলোর কোনো প্রমানপত্র নেই সেগুলো দ্রুত প্রত্যেক থানাতেই নিলাম দেয়া প্রয়োজন। এই নিলাম বৈধভাবে পরিচালনা করার ক্ষমতা চীফ জুডিশিসালের আছে। আমরা আহবান জানবো দ্রুত সময়ের মধ্যে গাড়িগুলো নিলাম দিয়ে নিলামের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
আজ ১১ মার্চ সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট মোঃ মোশারফ হোসাইনের নেতৃত্বে শহরের পুরাতন কোর্ট রোড, জেলা রোড, কুমারশীল মোড়, কে দাস মোড়, ডাঃ ফরিদুল হুদা রোড (নিউ সিনেমা হল রোড)সহ বিভিন্ন ফুটপাতের অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে ফুটপাতে থাকা চায়ের দোকান, ফলের দোকান, অস্থায়ী পিঠার দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
এ সময় ফুটপাতে মোটর সাইকেল পার্কিং করে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করার দায়ে বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেলকে জব্দ করা হয়। পরে পৌর সভার গাড়িতে করে এসব মোটর সাইকেল থানায় নেয়া হয়।
অভিযান সর্ম্পকে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন জানান, পবিত্র রমজান উপলক্ষে শহরবাসির ভোগান্তি লাঘবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়া ফুটপাত দখল করে অবৈধ মোটর সাইকেল পার্কিং করার দায়ে ৪টি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলার সুহিলপুর গরুর বাজারের সরকারি জমি ইজারা না নিয়ে নির্মাণ করা স্থাপনা সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।
স্থানীয় প্রভাবশালীরা নিজ উদ্যোগে স্থাপনা থেকে ইট সরানোর কাজ শুরু করেছেন।
জানা গেছে, সদর উপজেলার সুহিলপুর গরুর বাজারের সরকারি জমি ইজারা না নিয়ে দোকান নির্মাণ করে তা মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে বাজার সংকুচিত হয়ে পড়ে। স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, চার জনপ্রতিনিধির আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনেরা এর সঙ্গে জড়িত। প্রায় দেড় মাস ধরে দোকান নির্মাণের এ কাজ চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় গত ২২ জানুয়ারি সুহিলপুর গ্রামের আরিফুল হক চৌধুরী, আবদুল ছোবান, মো. কামাল ও শামিম জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার গিয়ে দেখা যায়, সুহিলপুর গরু বাজারের উত্তর ও পূর্বদিকে সরকারি খাস জায়গা ইজারা ছাড়াই নির্মাণ করা দোকানের চারপাশের দেয়াল ভেঙে ইট সরানোর কাজ চলছে। সুহিলপুর গ্রামের শাহিন মিয়া নামে এক রাজমিস্ত্রীর সর্দার দোকান ভাঙার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে ছয়টি দোকানের পশ্চিম দিকে দুটি শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। সুহিলপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তোফাজ্জাল হোসেন কাজটি তদারকি করছেন।
শাহিন মিয়া বলেন, সবগুলো দোকানের স্থাপনার (দেয়ালের ইট) ইট-সিমেন্ট ভাঙ্গা হবে। বাজারের উত্তর পশ্চিম দিকে নির্মাণ করা ছয়টি দোকান এবং উত্তর-পূর্ব দিকের একটি দোকানের স্থাপনা ভাঙ্গা হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, গত রবিবার সদর উপজেলার সুহিলপুর গরু বাজার পরিদর্শন করি। ইজারা না পেয়েও যারা দোকান নির্মাণ করেছেন, তারা নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞা করে একদিনের সময় চেয়েছে। তাই তাদের একদিনের সময় দেয়া হয়েছে। জায়গাটি কাউকে ইজারা দেয়া হয়নি। তাই এখানে দোকান ঘর করার কোনো সুযোগ নেই। যদি তারা নিজ উদ্যোগে স্থাপনা না সরান তাহলে আমরা অভিযান চালিয়ে স্থাপনা উচ্ছেদ করব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের আলাকপুর ও কোড্ডায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন শহরের কলেজপাড়ার শওকত ভূইয়ার ছেলে ওমর ফারুক (১৮) ও নবীনগর উপজেলার দুরাইন গ্রামের মোকাদ্দেস মিয়া (৭০)।
জানা যায়, সুলতানপুর-আখাউড়া সড়কের আলাকপুরে দিগন্ত বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে ওমর ফারুক ও ফজলে রাব্বি নামক দুইজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওমর ফারুককে মৃত ঘোষণা করে। নিহত ওমর ফারুক ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্যাস ফিল্ড স্কুল এন্ড কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র। চিনাইর এলাকায় মোটর সাইকেল মেরামত শেষে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে জেলার খড়মপুর মাজার জিয়ারত শেষে ফেরার পথে আখাউড়া-সুলতানপুর সড়কের কোড্ডা এলাকায় একটি ট্রাকের সাথে সিএনজি চালিত অটোরিক্সাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিতে থাকা সাবেক সেনা সদস্য মোকাদ্দেস মিয়া গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।