চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট মো. মেহেদী হাসান রনি (৩২) নামে এক যুবলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মেহেদী হাসান রনি নূরপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। সে এক সন্তানের জনক ছিল।
জানা যায়, মেহেদী হাসান রনি এবছর একটি মৎস্য প্রকল্প করেছে। ওই প্রকল্পে বৈদুতিক বাল্ব লাগনোর কাজ করছিলেন সাথে একজন ইলেকট্রেসিয়ান নিয়ে। বাল্বে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পানিতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আখাউড়া উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: লুৎফুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট রনিকে তার স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসে। এর আগেই তার মৃত্যু হয়।
মেহেদী হাসান রনির মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় খরমপুর কেল্লা শাহ মাজার এলাকায় ইয়াসিন মিয়া (১৬) নামে এক কিশোরের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
২৯ আগস্ট মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ওই কিশোরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত ইয়াসিন মিয়া ময়মনসিংহ জেলার ফেন্সু মিয়ার ছেলে।
মাজারের পাশে ঝালমুড়ি দোকানি জরিনা বেগম জানান, ইয়াসিন দীর্ঘদিন মাজারের আশেপাশের বিভিন্ন দোকানে দৈনিক হাজিরায় কাজ করতো-এই মাজারেই থাকতো। মঙ্গলবার বিকেলে ইয়াসিন হঠাৎ বমি করলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর রাতে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন জানান, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পায়ে হেঁটে রেল সেতু পার হতে গিয়ে মো. শাহজাহান নামে ৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন।
গতকাল সোমবার আখাউড়া উপজেলায় তিতাস নদীর রেলসেতুতে এ ঘটনা ঘটে।
মো. শাহজাহান সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চাপুইর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলীম হোসেন শিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আখাউড়ায় মেয়ের বাড়ি থেকে সদর উপজেলার চাপুইর এলাকায় নিজ বাড়িতে রেললাইন দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন মো. শাহজাহান। পথিমধ্যে আখাউড়া তিতাস রেলসেতু পারাপার হচ্ছিলেন তিনি। এসময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কর্ণফুলী মেইল ট্রেনটি সেতুর ওপর উঠলে কাটা পড়ে মারা যান ওই বৃদ্ধ। পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে এসে মরদেহ শনাক্ত করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মাদক ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দের জের ধরে মো. মোরসালিন ভূঁইয়াকে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামীদের তিনটি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশি পাহারার মধ্যেই আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল পৌণে নয়টার দিকে আসামী আব্দুল্লাহ, সেলিম ও শাহদুল এর তিনটি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে পরিবারসহ হত্যা মামলার আসামীরা পলাতক থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভায়। পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই এলাকাতে এখনো পুলিশ মোতায়েন করা আছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গত রবিবার আখাউড়ায় দেনাদারের বাড়িতে মো. মোরসালিন ভূঁইয়া (২৬) নামে এক পাওনাদারের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর থেকে মো. আব্দুল্লাহ নামে অভিযুক্ত দেনাদার পরিবারসহ পালিয়ে গেছে। মোরসালিনের পরিবারের পক্ষ থেকে আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতানামা কয়েকজনকে আসামী করে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, আব্দুল্লাহর কাছে মোরসালিন দুই লাখ ৪০হাজার টাকা পেতেন। পরিকল্পিতভাবে তাকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তাকে তালাবদ্ধ ঘরে ফেলে রাখা হয়। পাশাপাশি অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ পরিবার নিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত ও অভিযুক্ত দু’জনই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি। এসব নিয়ে দেওনা-পাওনা নিয়ে বিরোধেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। অভিযুক্ত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অন্তত ১৬টি মামলা আছে। মোরসালিনের বিরুদ্ধে আছে চারটি মামলা। তবে তারা একসঙ্গেই চলাফেরা করতো বলে স্থানীয় সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
নিহত মোরসালিন উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মিনারকুটগ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে। রবিবার বিকালে একই ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের মঙ্গল মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহর তালাবদ্ধ বসত ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়।
সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে তার লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে দাফন করা হয়।
মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল আলম চৌধুরী দীপক বলেন, আগুন লাগানোর বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমি সেখানে যাবো। তবে কে বা কারা লাগিয়েছে সেটি বুঝতে পারছি না।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ একটু সরে অন্যদিকে যাওয়ার সুযোগে আগুন জ্বালিয়ে তিনটি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে জানার চেষ্টা চলছে। তবে হত্যাকান্ড ঘটনো পরিবারটির উপর এলাকাবাসীরও ক্ষোভ ছিলো। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে। আগুন লাগার ঘটনায় অভিযোগ দিলে সে অনুযায়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম গত মে মাসের ৬ তারিখ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থল শুল্ক ষ্টেশনে স্থাপিত ব্যাগেজ স্ক্যানার উদ্বোধন করেন। আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে আগত এবং বহিঃগমণকারী যাত্রীদের ব্যাগেজ চেকিং করার জন্য এই যন্ত্রটি স্থাপন করা হয়। ব্যাগেজ চেকিংয়ের পাশাপাশি কেউ মাদক কিংবা অবৈধ পণ্য বহন করছে কিনা সেটিও চিহ্নিত করা এর উদ্দেশ্য। কিন্তু উদ্বোধনের পর এক মাস পেরিয়ে গেলেও স্ক্যানার মেশিনে ব্যাগেজ চেকিং করা হয় না। স্ক্যানার বসানো কক্ষটি বেশির সময়ই থাকে তালাবদ্ধ। এতে এ চেকপোষ্ট দিয়ে পারাপার হওয়া যাত্রীদের ব্যাগেজ স্ক্যানিং কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। শুল্ক কর্মকর্তাদের ইচ্ছার উপরও নির্ভর করছে চেকিংয়ের কার্যক্রম। ফলে কেউ মাদক বা অবৈধ কোন পণ্য নিয়ে আসা যাওয়া করছে কিনা তা চিহ্নিত হয় না।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার পর্যটক আসা যাওয়া করে। এতদিন স্থল শুল্ক স্টেশনে ব্যাগেজ চেকিংয়ের কোন যন্ত্র না থাকায় শুল্ক কর্মকর্তারা যাত্রীদের ব্যাগেজ চেকিং করে আসছেন। সঠিকভাবে চেকিং কার্যক্রম করার লক্ষ্যে এক মাস আগে ব্যাগেজ স্ক্যানার মেশিন স্থাপন করা হয়। কিন্তু স্ক্যানার মেশিন উদ্বোধনের পরও এক মাস ধরে অজ্ঞাত কারণে ব্যাগেজ চেকিং কার্যক্রম করা হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্ক্যানার মেশিনের কক্ষটি তালাবদ্ধ। এক ঘন্টা অবস্থানকালে কোন যাত্রীর ব্যাগেজ স্ক্যান করতে দেখা যায় নি।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে আখাউড়া স্থল শুল্ক ষ্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ খান বলেন, স্ক্যানার কক্ষের রংয়ের কাজসহ কিছু কাজ এখনও শেষ হয়নি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিল্ডিংটি আমাদেরকে বুঝিয়ে দেয়নি। তবে স্ক্যানার মেশিন ঠিক আছে। আমরা মাঝে মধ্যে স্ক্যান করি। বিল্ডিংটি বুঝিয়ে দিলে আশা করি আগামী মাস থেকে পুরোপুরি স্ক্যানিং করতে পারব।