চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে শিশু হত্যা মামলার বাদী ও সাক্ষীদের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওরসে যাওয়ার কথা বলে প্রতিবেশী রিফাত মিয়া (১৩) ও লিটনের (১৭) সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় কুলিকুন্ডা গ্রামের মোঃ রনি মিয়া (৭)। ঘটনার তিনদিন পর একটি পুকুর থেকে শিশু রনির মরদেহের খোঁজ মেলে। পরিবারের লোকজন এর সাথে রিফাত ও লিটনের সম্পৃক্ততার কথা তুললে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন তারা। এ ঘটনায় আটককৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনজনকে আসামী করে গত ২ মার্চ নাসিরনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত রনির মা ছুলেমা বেগম।
পরবর্তীতে আসামীদের বাচাঁতে বাদী, স্বাক্ষীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গত ২৬ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে লুটপাটের একটি মামলা দায়ের করেন আসামী রিফাতের বড় ভাই আলমগীর মিয়া।
মামলারবাদী ও নিহত রনির মা ছুলেমা বেগম জানান, তারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। হত্যার পর ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দীও দিয়েছে তারা। এখন আমার ছেলেকে হত্যা করে আবার উল্টো আমার মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধেই করা হয়েছে মিথ্যা মামলা। হত্যাকারী রিফাতের মামা সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়ার বাসিন্দা আলাল মিয়া হুমকি দিচ্ছে আদালতে গেলে মেরে লাশ গুম করে ফেলা হবে।
রনি হত্যা মামলার সাক্ষী রাসেল মিয়া বলেন, আসামীরা আমাকে হুমকি দিচ্ছে স্বাক্ষী না দেওয়ার জন্য। আদালতে যেতে চাইলে সরাইল বিশ্বরোড পার হবার আগেই গুম করার হুমকি দিচ্ছে আসামীর মামা আলাল মিয়া। এখন আমি ভয়ে আছি।
আসামীদের করা মামলার বাদী আলমগীর মিয়া জানান, আমরা কাউকে হুমকি দেইনি। আমাদের বিরুদ্ধে করা এসব অভিযোগ মিথ্যা।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ওরসে গিয়ে নিখোঁজ রনির মরদেহটি একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্তেই বের হবে সত্য ঘটনাটা কি, কোন ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানি করার সুযোগ নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
গ্রাম্য দাঙ্গা রোধে আশুগঞ্জ ও নাসিরনগর উপজেলার ২৫টি গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন হাজার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৫ মে শুক্রবার থেকে আজ ৭ মে রবিবার সকাল পর্যন্ত চলা অভিযানে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তবে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
এদিকে, এখন থেকে কেউ দেশীয় অস্ত্র বানাতে গেলে তার নাম-ঠিকানা রেখে থানায় পাঠানোর জন্য কামারদের নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ। শনিবার কামারদের নিয়ে সভা করে এ নির্দেশনা দেয় নাসিরনগর থানা পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে নাসিরনগরে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় কয়েক শ মানুষ আহত হন। এরমধ্যে একজন মারা গেছেন। গ্রাম্য এসব সংঘর্ষ এড়াতে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে কাতরা, সড়কি, রামদা, বল্লম, টেঁটা ও ফলা রয়েছে।
নাসিরনগর থানা পুলিশেরর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, অস্ত্র উদ্ধারের পর নতুন করে আর যেন কেউ অস্ত্র বানাতে না পারে সেজন্য কামারদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। কেউ যদি অস্ত্র বানাতে দোকানে যায়, তাহলে তার নাম-ঠিকানা থানায় পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, সংঘর্ষ এড়াতে প্রতিটি উপজেলায় এ ধরনের অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি মাদক উদ্ধারেও জেলার সীমান্তবর্তী তিন উপজেলায় অভিযান চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ৬ জন মাদকসেবীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাসিরনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিব ম্যাজিষ্ট্রেট মো: মোনাব্বর হোসেন তাঁদের এই কারাদণ্ড দেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও নাসিরনগর থানা পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কুন্ডা পূর্বপাড়া তাজু ফকিরের বাড়ি থেকে মাদকসেবনের সময় তাঁদেরকে আটক করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আটককৃত কুন্ডা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম,আক্তার হোসেন,তৌহিদ মিয়া, নজরুল ইসলামকে ৩ মাস করে বিনাশ্রমে কারাদণ্ড এবং তাজু ফকির ও সোহরাব মিয়াকে ৬ মাস করে বিনাশ্রমে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। কারাদণ্ড প্রাপ্তদেরকে রাতেই জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্মকর্তাসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নাসিরনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিব ম্যাজিষ্ট্রেট মো: মোনাব্বর হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের মাদক বিরোধী মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আইন-শৃংখলা বিষয়ক মতবিনিময় করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
আজ ৩০ অক্টোবর বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী জনসচেতনতা, বাল্যবিবাহ বন্ধকরণ বিষয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়। একে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরানুল হক ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রবিউস সারোয়ার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শাহ আলম মিয়া, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুল কাদের, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাখেশ পাল, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম.এ হান্নান, সাধারণ সম্পাদক বসির উদ্দিন তুহিন, ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল চৌধুরী, সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, জামায়াতে ইসলামির প্রতিনিধি অধ্যাপক মোঃ সিরাজুল ইসলাম, খেলাফত মজলিশের সভাপতি মাওলানা মোঃ আবদুস সাত্তার, উপজেলা কমপ্লেক্স মসজিদের খতিব মুফতি মোঃ মুখলেছুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়া, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অনাথবন্ধু দাস প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ দিদারুল আলম, প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষাসহ আইনশৃংখলা উন্নয়ন ও নাসিরনগরের প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজে নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে সরকারি নিদের্শ বাস্তবায়নের পাশাপাশি সকলকে সেবা দেয়ার মন মানুষিকতা নিয়ে কাজ করার আহবান জানান। প্রশাসনের সকল বিভাগে দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্সের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
মতবিনিময় শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা ভূমি অফিস, নাসিরনগর থানা, সরকারি বালিকা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার হাওর অঞ্চলের মানুষের জন্য দ্রুত চিকিৎসা সেবার জন্য প্রায় ২১ লাখ টাকা ক্রয়ে ওয়াটার এ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি ডাকবাংলো চত্বরে কয়েকটি গাছের চারা রোপন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন পেতে দলীয় ফরম কিনে জমা দিয়েছেন এক দম্পতি। তাঁরা হলেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. নাজির মিয়া এবং তাঁর স্ত্রী নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রোমা আক্তার। গতকাল রবিবার দুপুরে তাঁরা নৌকার মনোনয়ন ফরম কিনে শেষ বিকেলে জমা দেন। বিষয়টি আজ ২০ নভেম্বর সোমবার বিকেলে দুজনেই মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন।
দলীয় এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মো. নাজির মিয়া ২০০১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য চেষ্টা করে আসছেন। তিনি এলাকায় গণসংযোগ থেকে শুরু করে নানা সামাজিক কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। তাঁর স্ত্রী রোমা আক্তারও দলীয় রাজনীতিতে যুক্ত আছেন ছাত্রজীবন থেকেই। রোমা আক্তার নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম নূরের মেয়ে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এ বি এম ফরহাদ হোসেনসহ দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন মোট ৯ জন। তাঁদের মধ্যে নারী প্রার্থী শুধু একজন।
ছাত্রজীবন থেকে থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত জানিয়ে নাজির মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দলের মনোনয়ন চেয়ে আসছি। আশা করি এবার পাব। আমি এবং আমার স্ত্রী গতকাল দুপুরে মনোনয়ন ফরম কিনে তা পূরণ করে বিকেলেই জমা দিয়েছি।’ স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই এলাকার মানুষের সেবা করতে। দলীয় সভানেত্রী একজন নারী। তিনি নারীদের অগ্রাধিকার দেন। আমাকে কোনো কারণে না দিলেও আশা করি, নারীনেত্রী হিসেবে তাকে (স্ত্রী) দেবেন। এ ছাড়া মনোনয়ন চাওয়া তো তারও অধিকার। সে তার বাবার উত্তরসূরি হিসেবে এলাকার মানুষের সেবা করতে চায়।’
বাবার পথ ধরে মানুষের সেবা করতে চান মন্তব্য করে রোমা আক্তার বলেন, ‘আমাদের দলীয় প্রধান চান নারীরা নেতৃত্বে এগিয়ে আসুক। এ জন্য আমিও প্রার্থী হয়েছি। বাবার উত্তরসূরি হিসেবে এলাকায় আমাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে। আমি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছি আমার স্বামীও চেয়েছেন। আমাদের কাউকেই যদি না দেন দল যাকেই দেবেন, আমরা মেনে নেব। দলের স্বার্থে কাজ করে যাব।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনটি নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এখানকার মোট ভোটার ২ লাখ ৫২ হাজার ৫৪৭ট জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৩ হাজার ১০৯ জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৩৬ এবং হিজড়া ভোটার ২ জন। এখানে মোট ভোটকেন্দ্র আছে ৭৯টি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরের বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে এক পরিবারের সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আজ ২৮ আগস্ট সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মো. ছোট্ট মিয়ার বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ছোট্ট মিয়া একজন কৃষক। তিনি অন্যের জমিতে কাজ করে যা উপার্জন করেন তা দিয়ে পরিবার চালান। সোমবার ১১টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করছেন পরিবার। বেলা ১২টার দিকে নাসিরনগর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে ৩০ মিনিট চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় তিন কক্ষবিশিষ্ট দুই চালা আধপাকা ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ঘরের মালিক ছোট্ট মিয়া বলেন, ‘আগুনে আমার ঘরের সব কাইরা নিছে। আমি মাইনসের খেতে কাম কইরা ৫০ হাজার টেহা (টাকা) জমাইছিলাম। ভাবছিলাম বন্যার পানি কমলে টেহা দিয়া একটা গরু কিনুম, কিন্তু সেই আশা একবারে শেষ।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ছোট্ট মিয়া একজন দরিদ্র কৃষক। জানতে পেরেছি প্রায় চার লাখ টাকা মূল্যের ক্ষতির শিকার হয়েছেন তিনি। আমরা ওই পরিবারকে সরকারিভাবে সহায়তা করার কথা ভাবছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে একজন কৃষকের বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়েছি। জেলাপ্রশাসক স্যারের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে সহায়তা করা হবে।