চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে না গিয়েই ঘরে বসে গাজীপুর জেলার নাগরিকগণ মাইগভ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অনলাইনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ছয়টি সেবার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সরকারের এটুআই প্রকল্পের পরিচালক অতিরিক্ত সচিব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবির আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মামুনুল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ) ওয়াহিদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোসাম্মৎ হাসিনা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মোরাদ আলী প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারা জানান, মাইগভ প্ল্যাটফর্মে ইতোমধ্যে ৩২টি মন্ত্রণালয় এবং ১৭৮ টি দপ্তর সংস্থার মোট ১৭৫৫টি সেবা নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত আছে। প্রথম পর্যায়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ছয়টি সেবা বৃহস্পতিবার নাগরিকগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। পর্যায়ক্রমে অপর সেবাসমূহ মাইগভ প্ল্যাটফর্মে নাগরিকগণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে আলোচনা সভায় এটুআই পরিচালক নিশ্চিত করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ এর প্রধান চারটি স্তম্ভ স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সরকার। এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রামের মাইগভ টিমের সহযোগিতায় স্মার্ট সরকারের আওতায় স্মার্ট অফিস বিনির্মাণের লক্ষ্যে পাইলট ভিত্তিতে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাগরিক সেবাসমূহের মধ্য হতে ১৬৮টি সেবাকে ইতোমধ্যে ডিজিটাইজড করার জন্য এ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটুআই এর মাইগভ টিম এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয় যৌথভাবে বিগত ৫ মাস নিরবিচ্ছিন্নভাবে ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম পরিচালনা করে। মাইগভ এক ঠিকানায় সরকারি সেবার প্ল্যাটফর্ম এ নাগরিকদের জন্য ডিজিটাইজড সেবাসমূহ পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করা হবে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ডিজিটাইজড সেবাসমূহ উন্মুক্তকরণের ফলে নাগরিকগণকে আবেদন করার জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসার প্রয়োজন হবে না। ঘরে বসেই আবেদন করে নাগরিকগণ ঘরে বসেই সেবা পাবে। ফলে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট সরকার এর সেবা গ্রহণে নাগরিকদের সময়, ব্যয় এবং যাতায়াত উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পাবে এবং সেবামানের উন্নতি সাধিত হবে।
জনগণ যে ছয়টি সেবা পাবে সে গুলো হচ্ছে – ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সনদ প্রাপ্তির আবেদন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সন্তান/নাতি/নাতনীদের প্রত্যয়ন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের বিবিধ আবেদন, প্যারোলে মুক্তির আবেদন, ছাপাখানার নাম ও ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদন এবং ওয়াজ বা জিকির মাহফিল/মহাযজ্ঞ ও লীলা কীর্তন/ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মাইক ব্যবহারের জন্য অনুমতি প্রাপ্তির আবেদন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটর সাইকেলে থাকা মোহাম্মদ মুজাহিদ চৌধুরী নামের এক ট্রাফিক সার্জেন্ট নিহত হয়েছেন। ১৩ মার্চ সোমবার রাত ১১টার দিকে বন্দরের আউটার রিং রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোহাম্মদ মুজাহিদ চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর গ্রামে।
তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বন্দর ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন।স্ত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সন্তানের মুখ দেখার আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলেন এ ট্রাফিক সার্জেন্ট। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিএমপির বন্দর ট্রাফিক জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, পতেঙ্গা এলাকায় ডিউটি ছিল মুজাহিদের। আরেক সার্জেন্ট ও কনস্টেবলের সঙ্গে আলাদা আলাদা মোটর সাইকেলে তারা ফৌজদারহাটের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে ওয়াই জংশন এলাকায় পৌঁছালে দ্রুতগামী একটি প্রাইভেটকার তাকে পেছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সড়কে ছিটকে পড়েন মুজাহিদ। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পাহাড়তলি থানার পুলিশ প্রাইভেটকার চালককে আটক করেছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, মুজাহিদের স্ত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আগামী মাসেই তিনি সন্তান প্রসব করবেন বলে চিকিৎসক সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন। প্রিয় সন্তানের মুখ দেখার জন্য অধীর আগ্রহে ছিলেন মুজাহিদ। সন্তানের মুখ দেখার আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল তার।
চলারপথে রিপোর্ট :
৭ এপ্রিল থেকে ঈদযাত্রার ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে। কাউন্টারে লাখো যাত্রীর ভিড়ে ভোগান্তি হয়- এ কারণ দেখিয়ে ঈদযাত্রার আন্তঃনগর ট্রেনের সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে। জনগোষ্ঠির বড় অংশ ইন্টারনেট সুবিধা বাইরে থাকলেও, কাউন্টারে টিকিট বিক্রি করবে না রেলওয়ে।
আজ ২১ মার্চ মঙ্গলবার রেলভবনে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে সভায় শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার মন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন। তাই রেলের কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ করে আগাম মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে, সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সব টিকিট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আগামী ২২ এপ্রিল ঈদ হবে ধরে টিকিট বিক্রির সূচি তৈরি হয়েছে। ৭ এপ্রিল দেওয়া হবে আগামী ১৭ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট। ৮ এপ্রিল ১৮ এপ্রিলের, ৯ এপ্রিল ১৯ এপ্রিলের, ১০ এপ্রিল ২০ এপ্রিলের এবং ১১ এপ্রিল ২১ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে। ১৭ এপ্রিল ফিরতি যাত্রার ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
রেল সূত্র জানিয়েছে, ২৩ এপ্রিল ঈদ হলে ২২ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট একদিন আগে ছাড়া হবে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও ১০ জোড়া বাড়তি ট্রেন থাকবে ঈদযাত্রায়। চাঁদপুর-সিলেট এবং ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে দুটি বিশেষ আন্তঃনগর ট্রেন চলবে। বাকি সাত বিশেষ ট্রেন অন্যান্য বছরের মতো চলবে।
কালোবাজারি ঠেকাতে ১ মার্চ থেকে নতুন পদ্ধতিতে টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে নিবন্ধন করে টিকিট কিনতে হচ্ছে। প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শীদের এতে ব্যাপক সুবিধা হলেও, ভুগছেন অজ্ঞরা। স্টেশনের কাউন্টার থেকে হাজারো যাত্রী খালি হাতে ফিরছেন, নিবন্ধন না থাকায়। পারদর্শীদের জন্য নিবন্ধন খুব সহজ হলেও, বয়স্ক, অশিক্ষিত এবং শ্রমজীবী যাত্রীরা তা করতে পারছেন না। স্টেশনে হেল্প ডেস্ক থাকলেও তারা ভুগছেন।
প্রশ্ন আসছে, যারা নিবন্ধনই করতে পারছেন না প্রযুক্তি জ্ঞানের অভাবে, তারা ইংরেজি ভাষার ওয়েসাইট থেকে কীভাবে টিকিট কিনবেন? কীভাবেই মোবাইল বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ে দাম পরিশোধ করবেন? প্রতি বছর ঈদে দেখা যায়, বিক্রির শুরুর মিনিটের মধ্যেই অনলাইনের সব টিকিটি শেষ। দ্রুতগতির ডিভাইস ও ইন্টারনেট না থাকলে, টিকিট মেলে না। তাই ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে থাকা কোটি মানুষ কী করে টিকিট পাবেন- এ প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই।
নিবন্ধিত যাত্রীদের জন্য কাউন্টারে টিকিট রাখলে কি অসুবিধা- এ প্রশ্নে মঙ্গলবার বৈঠকে যোগ দেওয়া এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, ঈদযাত্রার টিকিটের জন্য লাখো মানুষ ভিড় করেন। এতে ওই দিনের এবং পরবর্তী পাঁচ দিনের ট্রেনের টিকিট প্রত্যাশীদের মারাত্মক ভোগান্তি হয়। তা ঠেকাতে অনলাইনে সব টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত দিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ নীতিতে ট্রেনে চড়তে যাত্রীকে সঙ্গে পরিচয়পত্র রাখতে হবে। টিকিটে থাকা নামের সঙ্গে পরিচয়পত্রের মিল না থাকলে বিনা টিকিটের যাত্রী বলে গণ্য হবেন। এ নীতি কার্যকরে ৬ মার্চ থেকে অভিযান চালাচ্ছে রেলওয়ে। অভিযোগ আছে, রেলের কর্মীরাই টাকা নিয়ে বিনা টিকিটের যাত্রী তুলছেন। অনলাইন থেকে টিকিট কিনে কালোবাজারিরা চড়া দামে বিক্রি করছে। নামের মিল না থাকলেও, তা দিয়ে ভ্রমণ করছেন যাত্রীরা। কিন্তু রেলের ‘বিশেষ অভিযানে’ ধরা পড়ছে না।
মঙ্গলবারের সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ঈদযাত্রায় কড়াকড়ি থাকবে। তবে ঈদের ভিড়ে এ সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হবে- তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এবারও রেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ছাদে কোনো যাত্রী উঠবে না। গত বছরও এ সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু ছাদে চড়া যাত্রীর চাপে বগির স্প্রিং বসে গিয়ে কয়েকটি চলন্ত ট্রেন বিকল হয়েছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। পরীক্ষায় পাসের হার ৮০.৩৯ শতাংশ। শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন।
এর আগে ফলের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। সকাল ৯টায় গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলের অনুলিপি তুলে দেন। এরপর বাটন চেপে আনুষ্ঠানিকভাবে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মোবাইল ফোনের এসএমএস এবং শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল জানা যাবে।
বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংবাদ সম্মেলন করে ফলের বিস্তারিত গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরবেন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, অনলাইনে ফল প্রকাশিত হবে। পরীক্ষার্থীরা ঘরে বসেই ফল পাবেন।
যেভাবে ফল জানা যাবে: অনলাইন ও মোবাইল থেকে এসএমএস করে ফল জানা যাবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রেজাল্ট শিট ডাউনলোডের ক্ষেত্রে www.dhakaeducationboard.gov.bd থেকে রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন দিয়ে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে। আর www.educationboardresults.gov.bd-তে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
এ ছাড়া এসএসসি ও বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর টাইপ করে রোল ও পাসের বছর দিয়ে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করেও ফল পাওয়া যাবে। উদাহরণ: SSC DHA ১২৩৪৫৬ ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। দাখিলের ক্ষেত্রে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষরের জায়গায় MAD এবং কারিগরির ক্ষেত্রে TEC লিখতে হবে।
২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ এপ্রিল। শেষ হয় ২৮ মে। দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এ বছর ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
অনলাইন ডেস্ক :
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। আমরা একবার উদারভাবে সীমান্ত খুলে দিয়েছিলাম। এখন সেই উদারতা দেখানোর আরো কোনো সুযোগ নেই।
আজ ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের জন্য আন্তর্জাতিক যে সাহায্য ছিল, সেটা অনেক কমে গেছে। এমন অবস্থায় এই বোঝা আমরা আর কতদিন বইব?
তিনি বলেন, এটা মিয়ানমারের নিজস্ব সমস্যা। আরাকান আর্মি তাদের দেশের সমস্যা। তাদের ইন্টারনাল বিষয় নিয়ে তারা কী করবে সেটা তাদের ব্যাপার। তাদের সমস্যার জন্য আমাদের এখানে যেন কোনো শঙ্কা বা উদ্বেগ না হয়, সে বিষয়ে যারা যারা সংশ্লিষ্ট তাদের সঙ্গে কথা বলব। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে গিয়েছেন। চীনের সঙ্গেও আমরা আলাপ আলোচনা করছি।
বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির মন্তব্য নিয়ে কথা বলার সময় আমার নেই। তাদের নিয়ে আমাদের চিন্তা করার কিছু নেই। তাদের মধ্যে ব্যর্থ আন্দোলন, নির্বাচনে অংশ না নেওয়া- এসব কারণে একটা হতাশা আছে। এ কারণে তারা বিরোধিতা করছে, করবে। তারা তো বিরোধী দল, তাদের কিছু তো বলতেই হবে। বললে সরকারের খারাপটাই বলতে হবে। কারণ তারা এখন কোনোকিছু ভালো চোখে দেখছে না। তারা হতাশার মধ্যে আছে। হতাশা থেকে তারা আবোল-তাবোল বলছে। এগুলোর কোনো বাস্তবতা নেই, এগুলো নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
চুনারুঘাট উপজেলার লক্ষীপুর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৮টি দোকান ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আর এতে করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দোকান মালিকদের। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে লক্ষীপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ততক্ষণে দোকানে থাকা বেশিরভাগ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, লক্ষীপুর বাজারে একটি দোকান ঘরে হঠাৎ করেই আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান তারা। পরে তা আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয়রা জগ, মগ ও বালতির পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও আগুনের লেলিহান শিখা বাড়তেই থাকে। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ততক্ষণে আগুনে পুড়ে যায় অন্তত ৮টি দোকানের মালামাল। দোকান মালিকদের দাবি আগুনে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের। যদিও আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা বৈদ্যুতিক সর্টশার্কিট থেকে সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।
চুনারুঘাট থানার (ওসি) মোঃ রাশেদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।