চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী সংরক্ষণ করার দায়ে এএফসি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট নামক একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান শহরের কুমারশীল মোড় এলাকায় অবস্থিত এই রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের এএফসি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে অভিযানকালে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটি অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বিক্রির জন্য খাবার সংরক্ষণ করে রেখেছে। পাশাপাশি রান্না করা খাবার ও কাঁচা খাবার একই ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখে। রেস্টুরেন্টের কর্মচারীদের কোন স্বাস্থ্য সনদ নেই। পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে রেস্টুরেন্টটিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি তাদের সর্তকও করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী ব্রাদার্স ইউনিয়নের উদ্যোগে সামাজিক অসংগতি দূরীকরণ সহ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে।
১৪ আগস্ট বুধবার সকালে মধ্যপাড়াস্থ ক্লাব প্রাঙ্গন থেকে এ অভিযানে ক্লাব নেতৃবৃন্দ সহ সদস্যরা এলাকার সম্প্রীতি রক্ষায় বিভিন্ন মন্দির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্র্শন করেন এবং এলাকায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়। এছাড়া সম্প্রীতি রক্ষা সহ সামাজিক অসংগতি দূরীকরণে একটি তথ্য কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের আহবায়ক আশরাফুল হক ফারুক জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনটি সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ কর্মসূচি হয়েছে। উল্লেখ, গত ১২ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব কার্যালয়ে এক সভায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আশরাফুল হক ফারুককে আহবায়ক ও তাপস পাল প্রণবকে যুগ্ম-আহবায়ক করে ১১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছেন রফিকুল ইসলাম (রফিক), শরীফুল হক বাকের, ইমতিয়াজ হোসেন সভ্য, মো. মানিক মিয়া, নকুল কৃষ্ণ পাল, মো. আবুল খায়ের, নান্নু মিয়া, আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. মনির হোসেন।
বাংলাদেশে সকল ধর্মের সম অধিকার এবং সহাবস্থান নিশ্চিত করেছে আওয়ামীলীগ সরকার
স্টাফ রিপোর্টার :
ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বুয়েটে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত সাবেকুন নাহার সনির বাবা হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া।
আজ ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
হাবিবুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিজেশ্বর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ভুইয়ার ছেলে। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
নিহত সনির ফুপাতো ভাই জাহিদুল ইসলাম ইমন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মামা তিনমাস ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। একমাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছিলেন ছয়টি কেমোথেরাপি দিতে। একটি থেরাপি দেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। সকালে ঘুমের মধ্যে তিনি মারা যান।’
তিনি আরো বলেন, মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বাদ এশা স্থানীয় বাজারের বড় মসজিদে জানাযা শেষে দাফন করা হবে।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মামা মেয়েকে হারানোর পর ‘সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গনের’ দাবি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলেন। সনি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন থেকে ৮ জুন ‘সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন’ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সেই কর্মসূচিতে তিনি প্রতিবছর উপস্থিত হয়ে তার মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করে আসছিলেন। মামা মারা গেছেন কিন্তু আফসোস, দীর্ঘ ২১ বছরেও উনি তার সন্তান সনি হত্যার বিচার কার্যকর হতে দেখে যেতে পারেননি।’
২০০২ সালের ৮ জুন টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বুয়েট ছাত্রদল সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের টগর গ্রুপ। দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে বুয়েটের আহসান উল্লাহ হলের সামনে সাবেকুন নাহার সনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
সাবেকুন নাহার সনি কেমিকৌশল বিভাগের (৯৯ ব্যাচ) লেভেল ২, টার্ম ২ এর ছাত্রী ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশজুড়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। নিম্ন আদালতে মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদন্ডের রায় হয়।
২০০৬ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদন্ডাদেশ বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত এসএম মাসুম বিল্লাহ ও মাসুমকে খালাস দেন হাইকোর্ট। পরবর্তী সময়ে মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত পালিয়ে যান অস্ট্রেলিয়ায়। পলাতক রয়েছেন নুরুল ইসলাম সাগর ওরফে শুটার নুরু। শুধু জেলে রয়েছেন টগর।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১০০ জন প্রতিবন্ধীর মাঝে চাল বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১৭ মার্চ রবিবার সকালে প্রতিবন্ধীদের সংগঠন ড্রিম ফর ডিসঅ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ে এ আয়োজনে প্রত্যেককে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মাঝে এ চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। এ সময় তিনি প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমীন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু প্রমুখ।
ড্রিম ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মো. হেদায়েতুল আজিজ মুন্না বলেন, ‘এমন একটি দিনে জেলা প্রশাসন আমাদেরকে স্মরণ করায় আমরা খুবই খুশি। কৃতজ্ঞতা জানাই মন্ত্রী মহোদয়কেও। আশা করি সকলের সহযোগিতায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্নরা আরও এগিয়ে যাবে।’
এরপর মন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।