চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিজয়নগর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সেলিম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা হয়। এ সময় আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে আইয়ুব নূর (৫০) নামে এক মাদক কারবারি নিহত হন। আরো দুজন গুলিবিদ্ধ হন।
ওসি আরো বলেন, অপরদিকে মাদক কারবারিদের হামলায় ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় রাতেই থানার এএসআই সেলিম উদ্দিন বাদী হয়ে ১৮ মাদক কারবারি নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫২ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সম্প্রতি মুরাদ হোসেন মুন্না নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সেজামুড়া গ্রামের এক বাসিন্দাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে স্থানীয়রা।
গতকাল ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে আউলিয়া বাজারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ এপ্রিল সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় বিএসএফ সদস্যরা মুরাদ হোসেন মুন্নাকে আটকে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- জেলা হেফাজত নেতা মাওলানা জুনায়েদ কাসেমী, বিজয়নগর উপজেলা হেফাজতের সভাপতি মাওলানা শফিকুল ইসলাম, বিজয়নগর উপজেলা হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আফজাল হোসাইন, হেফাজত নেতা মুফতি রহমতুল্লাহ কাসেমী, পাহাড়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম শিশু মিয়া, বিএনপি নেতা ইয়াহিয়া খান, এনসিপি নেতা জোহান আহমদ ও খাইরুল ইসলাম, ইয়াহিয়া খান, উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক শাহ আলম, উপজেলা সাবেক ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আহলুস-সুন্নাহ্ ফাউন্ডেশন সুমন হাজারী, রানা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সামাজিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাচ্ছে। সেইসঙ্গে আমরা দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবি করছি। বাংলাদেশ সরকারের কাছেও কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানাচ্ছি।
তারা বলেন, বারবার বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় বিএসএফের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ ও ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
তারা এ ধরনের হামলা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ৮২৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, মাদক বিক্রির নগদ ১১ হাজার ৫৬০ টাকা সহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আল-আমিন ইসলাম প্রকাশ শাবলু মিয়া (৩০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ৩টি মোবাইল সেট ও মাদকদ্রব্য মাপার ২টি ডিজিটাল মেশিন উদ্ধার করা হয়।
আজ ১০ মার্চ শুক্রবার ভোর রাতে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের শাবলু মিয়ার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শাবলু মিয়া ইসলামপুর গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাজু আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী শাবলু মিয়াকে গ্রেফতার ও বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত শাবলু মিয়া একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে ২০১৪ সালে শশুর হত্যা মামলার প্রধান আসামী দীর্ঘ ৮ বছর পরে বিজয়নগর থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন এর স্ত্রী মোছাঃ শিপু বেগম (৪৫)। তাঁকে আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার ভোর সকালে তার বাবার বাড়ি উপজেলার খাদুরাইল গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত দায়রা জজ এর প্রথম আদালতে শশুর হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং দায়রা ১৩০/১৫। উক্ত মামলার ২০/১১/২০১৯ তারিখে আদালতে মোছাঃ শিপু বেগম এর যাবত জীবন সাজার রায় ঘোষণা করা হয়।
পারিবারিক কলহের জেরে পাইকপাড়া গ্রামের মোঃ জসিম উদ্দিন এর পিতা ও যাবত জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোছাঃ শিপু বেগম এর শশুর কাঁছা মালাকে গত ২৫/৯/২০১৪ সালে শ্বাসরুদ্ধ করে শশুরকে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা হলে সে গোপনে বিদেশে চলে যায়। দীর্ঘ ৮ বছর বিদেশে কাটিয়ে গোপনে গত সপ্তাহে দেশে আসলে বিজয়নগর থানা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেন।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পলাতক আসামী প্রবাস থেকে দেশে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিলে বিজয়নগর থানার একটি চৌকস ঠিম তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের শাহজাহান মাষ্টার ও সাইফুল ইসলামের মধ্যে বিরোধ থাকায় গ্রামের পুরুষদের আতঙ্কিত অবস্থায় নিরাপত্তার অভাবে পাঁকা ধান কাটা হচ্ছিল না।
এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদের নেতৃত্বে বিজয়নগর থানার পুলিশ সদস্যদের আশ্বাস ও উপস্থিতিতে পাঁকা ধান কাটা হয়েছে।
আজ ২৯ এপ্রিল শনিবার দিনব্যাপী এই ধান কাটা ও এলাকায় যেন নতুন করে দাঙ্গা সংঘটিত না হয় সেই জন্য বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদের উপস্থিতিতে বিজয়নগর থানার পুলিশ সদস্যরা ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
এসময় সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত হোসেনপুর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মনির হোসেন, ফরিদ মিয়া, জাহাঙ্গীর হোসেনদের জমির ধান কেটে ঘরে তোলার ব্যবস্থা করা হয়।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ জানান, ঝগড়াঝাটির জন্য পাঁকা ধান কাটা বন্ধ ছিল। খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও নতুন করে যেন কোন দাঙ্গা সংঘটিত না হয় সে জন্য সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে ধান কাটার সহায়তা ও নিরাপত্তা প্রদান করেন বিজয়নগর থানা পুলিশ। পাশাপাশি বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘সঠিক তথ্যে ভোটার হবো, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো’-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে ২ মার্চ শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে শনিবার সকাল ১০ টায় একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে উপজেলা পরিষদে এসে শেষ হয়। এর পর উপজেলা পরিষদ হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো: রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান শাওন, বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল, স্কাউটস সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইমরান খান সহ দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন: ভোটার হওয়া এবং ভোট দেওয়া প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার।
নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমেই একজন নাগরিক দেশের শাসন ব্যবস্থায় অংশ গ্রহণ করে থাকে এবং যোগ্য নেতৃত্ব দেওয়া দরকার। তাই সঠিক তথ্যে ভোটার হবো, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।