চলারপথে রিপোর্ট :
শাশুড়ির ওড়না চুরির অপবাদ দিয়ে স্ত্রীকে মারধরের পর মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল শালগ্রামে গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রামবাসী ও নির্যাতিত নারীর স্বজনরা জানান, সাত বছর আগে জয়পুরহাট সদর উপজেলার শালগ্রামের মুমিন হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের হাতেম আলীর মেয়ে হানিফার বিয়ে হয়। গেলো কোরবানি ঈদের দিন শাশুড়ি জাহেদার ওড়না চুরি হয়। তারপর থেকে স্বামী জাহাঙ্গীর আলম স্ত্রী হানিফাকে সন্দেহ করতে থাকেন।
একপর্যায়ে শুক্রবার রাতে চুরির অপবাদ দিয়ে হানিফাকে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদ মিলে হাত পা বেঁধে মারধরের পর মাথার চুল কেটে দেন। হানিফা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখানো হয়। এ ঘটনার পর হানিফা কান্নাকাটি শুরু করলে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পরে আজ ২২ জুলাই শনিবার দুপুরে পুলিশ গিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কাপড় চুরির অপবাদ দিয়ে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদ মিলে হানিফার চুল কেটে নিয়ে সম্মানহানি করেছে। থানায় মামলা হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের তাদের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে দ্বারে দ্বারে গিয়ে জনগণকে নৌকায় ভোট চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
কারণ, একমাত্র আওয়ামী লীগই দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমরা গতকাল বুধবার আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছি। ইশতেহারটি পড়ুন এবং ইশতেহার নিয়ে জনগণের কাছে যান এবং নৌকায় ভোট চান।”
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ অপরাহ্নে দলের তেজগাঁও কার্যালয় থেকে জামালপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, চাঁদপুর ও বান্দরবানে আওয়ামী লীগের ছয়টি নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি দেওয়া ভাষণে একথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছে এবং একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এর যাত্রা ২০২৬ সালে শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গত ১৫ বছরে দেশের যে উন্নয়ন করেছি সেই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে এবং একমাত্র আওয়ামী লীগই পারবে ক্ষমতায় আসলে সেই অগ্রযাত্রাটা ধরে রাখতে। সেকারণে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য আপনারা জনগণের দ্বারে দ্বারে যাবেন। আপনারা ভোট চাইবেন। জনগণ ভোট দিয়ে যেন আমাদের সেবা করার সুযোগ দেন। আর একটি কথা এবার যেহেতু নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নানারকম চক্রান্ত হচ্ছে তাই নির্বাচনের পরিবেশটা যাতে সুন্দর হয়, উৎসবমুখর হয়, প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
তিনি এ সময় বিএনপিকে রাজনৈতিক দল নয়, বরং সন্ত্রাসি সংগঠন বলে আখ্যায়িত করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি হচ্ছে একটি সন্ত্রাসি দল আর একটি দল (জামায়াত) হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের দল। আর এরা নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন অংগ্রহণমূলক হবে না, এটা আমরা বিশ^াস করি না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের অংশগ্রহণ হবে জনগণের সমাবেশ হলে। ভোটারদের আগমনে তাদের অংশগ্রহণে এখানে নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আমরা সেটাই চাই। আর সন্ত্রাসি দল তারা নির্বাচনে বিশ^াসও করে না মানুষ খুন ছাড়া আর দুনীতি করা ছাড়া ওদের দিয়ে দেশের কোন কল্যাণও আসবে না। ওরা মানুষকে কিছুই দিতে পারবে না।
তিনি বলেন, সেই করণেই আমরা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। হ্যাঁ, নৌকা মার্কা দিয়েছি পাশাপাশি আরও যারা দাঁড়াতে চায় তারাও দাঁড়াবে। এখানে একটি অনুরোধ থাকবে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আপনারা বজায় রাখবেন। যার যার ভোট সে সে চাইবেন। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। এটাতো আমাদেরই শ্লোগান। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’-এই শ্লোগান দিয়েই তো আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি। এই শ্লোগান দিয়েই তো আমরা সংগ্রাম করেছি। সে কথাটা মনে রেখে যার যার ভোট সে সে চাইবেন। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেটাই মেনে নেবেন। সেভাবেই এই নির্বাচন পরিচালিত হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ভোট চাওয়ার অধিকার যেমন প্রার্থীর আছে তেমনি ভোট দেওয়ার অধিকার জনগণের। এখানে কেউ কারো ওপর কোন বল প্রয়োগ করার চেষ্টা করবেন না। কোন সংঘাত সৃষ্টি করবেন না।
তিনি বলেন, এখন ডিজিটাল যুগ। সকলের হাতেই মোবাইল ফোন রয়েছে, সিসি ক্যামেরা রয়েছে, কাজেই যারাই গোলমাল করবেন, ছবি কিন্তু উঠে আসবে। আর নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হলে কেউ কিন্তু রেহাই পাবে না। এটা মাথায় রাখতে হবে। আর জনগণ ভোট দেবে তাদের সেই ভোট দেওয়ার সুন্দর পরিবেশ তেরি করে দিতে হবে। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে দিতে হবে এবং যাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় সেই ব্যবস্থাটা সবাইকে নিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, “ইনশাআল্লাহ আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আবার জনগণের সেবা করার সুযোগ পাবে, জনগণের কাছে সেটাই আমাদের দাবি। সেটাই আমাদের আকাঙ্খা। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তথা জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ ইনশাআল্লাহ আমরা গড়ে তুলবো।”
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে। বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে বিএনপির-জামায়াতের ২০ দলীয় জোট মিলে মাত্র ৩০টি সিট পেয়েছিল। এরপর থেকেই বিএনপি নির্বাচন বিরোধী কার্যকলাপ শুরু করে। ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করার জন্য ২০১৩ সাল থেকে আগুন সন্ত্রাস শুরু করে। তাদের দেওয়া আগুনে কত মানুষ অগ্নিদগন্ধ হয়েছে তার হিসেব নেই।
‘জিয়াউর রহমান যেমন ক্ষমতায় এসে হত্যা, গুম, খুন শুরু করে খালেদা জিয়াও একইভাবে ক্ষমতায় এসে একই কর্মকা- করেছে’ বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে বিএনপির ক্ষমতায় আসার পর আরও এক ধাপ অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। দুর্নীতি, হত্যা, গুম, খুন ধর্ষণ, হামলা, নির্যাতন-এমন কোনো বিষয় নেই যে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন করেনি। এই কারণেই বিএনপিকে ২০০৮ সালে দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করে। আবারো ২০১৩-১৪ সালের মতো বিএনপি অগ্নি সন্ত্রাস শুরু করেছে নির্বাচন বানচালের নামে। তিনি বলেন, একটি দেশে ক্ষমতার পরিবর্তন হয় নির্বাচনের মাধ্যমে। এদেশের অতীত ইতিহাস বলে আওয়ামী লীগের হাতে এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়, এছাড়া অন্য কোনো দলের হাতে হয় না। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ যে ইশতেহার দিয়েছিল তা বাস্তবায়ন করেছে। সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা দিন বদলের সনদ ঘোষণা করেছিলাম। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার কাজ করেছে। আজ বাংলাদেশের দৃশ্যপট উন্নয়ন অগ্রগতিতে পরিবর্তন হয়েছে, ২০২১ সালেই উন্নয়নশীল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা আমরা পেয়েছি। সেটাকে ধরে রেখে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। আমরা পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। প্রতিটা মানুষ যেন উন্নত জীবন পায় সেটিই আমাদের লক্ষ্য, সেই লক্ষ্যেই আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
গত ২০ ডিসেম্বর সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহ পরান (রহ.) মাজার জিয়ারত এবং সমাবেশের মাধ্যমে দলের নির্বাচনী প্রচারণার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। আগামীকাল তিনি বরিশাল যাবেন এবং ওইদিন বিকেল ৩টায় জেলা শহরে এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এরপর ৩০ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ সফর করবেন এবং গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) আসনের জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। একই দিন মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া তেজগাঁও দলীয় কার্যালয় প্রান্তে এবং শেরপুর প্রান্তে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।বাসস
চলারপথে ডেস্ক :
রাতেই হবে চন্দ্রগ্রহণ। গ্রহণটি শুরু হবে রাত ৯টা ১২ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে।
আর শেষ হবে রাত ১টা ৩৩ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে। এরমধ্যে মধ্যবর্তী গ্রহণ হবে রাতে ১১টা ২৩ মিনিটে।
আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের আকাশে গ্রহণটি দেখা যাবে না।
অস্ট্রেলিয়ার কিম্বলটন শহর হতে দক্ষিণ পশ্চিম দিকে উপচ্ছায়ায় চাঁদের প্রবেশ হবে আজ ৫ মে শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ২৭ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে। অস্ট্রেলিয়ার কোকাস আইল্যান্ড হতে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ভারত মহাসাগরে রাত ১১টা ৫৬ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে হবে মধ্যবর্তী গ্রহণ।
উপচ্ছায়া হতে চাঁদের নির্গমন হবে মরিশাসের মাথুরিন বন্দর হতে উত্তর-পশ্চিম দিকে ভারত মহাসাগরে স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৪২ সেকেন্ড।
অনলাইন ডেস্ক :
কোনো দেশ স্যাংশন দিলে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ কিছু কিনবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১৩ মে শনিবার রাজধানীর রমনায় ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৬০তম কনভেনশন’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আরেকটা সিদ্ধান্ত আমি নিতে বলেছি, এখন আবার ওই স্যাংশন দেওয়ার একটা প্রবণতা, যাদের দিয়ে সন্ত্রাস দমন করি তাদের ওপর স্যাংশন, আমি বলে দিয়েছি যে দেশ স্যাংশন দেবে তাদের কাছ থেকে আমি কিচ্ছু কিনবো না। ’
চলারপথে রিপোর্ট:
কুমিল্লায় বাথরুমের বালতিতে পড়ে আয়ান নামে ১১ মাসের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
নিহত আয়ান জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের ছোটখিল গ্রামের সৌদি প্রবাসী ইলিয়াছ মজুমদারের ছেলে।
আজ ২৮ মে রবিবার দুপুরে কুমিল্লা পদুয়ার বাজার এলাকায় আয়ানের খালার বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আয়ান জ্বর, সর্দি এবং কাশিতে আক্রান্ত হওয়ায় রবিবার সকালে তার মা চৌদ্দগ্রাম থেকে কুমিল্লার শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. এম.এ মান্নানের চেম্বারে নিয়ে যায়।
ডাক্তার দেখানো শেষ করে আয়ানের খালার বাসা কুমিল্লা শহরের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় যায় তারা। বাসায় গিয়ে পরিবারের সবাই দুপুরের খাবার গ্রহণের সময় শিশু আয়ান পার্শ্ববর্তী রুমে গিয়ে বাথরুমে ডুকে পড়ে।
এসময় বাথরুমে থাকা পানির বালতিতে পড়ে যায় সে। কিছুক্ষণ পর তার মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আয়ানকে খুঁজতে থাকে।
একপর্যায়ে বাথরুমের বালতিতে আয়ানের নিথর দেহ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সবাই। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। রবিবার বাদ আছর গ্রামের বাড়ী ছোটখিলে জানাযার নামাজ শেষে তার লাশ দাফন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাঁওতালসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠির সরকারি সেবা প্রাপ্তিতে করণীয় শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগ গাইবান্ধা জেলা কমিটির উদ্যোগে সাঁওতাল যুব নারী-পুরুষদের সাথে অনুষ্ঠিত হয়। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের ভুতগাড়ী মিশনে দিনব্যাপী এ মতবিনিময় সভায় জনউদ্যোগ যুব ফোরামের ৫০ জন তরুণ-তরুণী অংশগ্রহণ করে।
মতবিনিময় সভায় সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবহার, অ্যাপস ডাউনলোড ও ব্যবহার, অনলাইনে সরকারি সেবাপ্রাপ্তি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষতা, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, আইনকানুন, নীতিমালা সম্পর্কে এবং ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি দফতরের সেবা গ্রহণে যুবদের অভ্যস্থ হয়ে উঠার আলোচনা করা হয়।
এ সময় সমাজকর্মী রেবেকা কিস্কুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সত্য রনজন সাহা, অবলম্বনের প্রকল্প সমন্বয়কারী মাহাবুব মুকুল, রেবেকা মুর্মু, মিখাইল, মারিয়া মুর্মুসহ সাঁওতাল যুব নারী-পুরুষরা আলোচনায় অংশ নেন।