অনলাইন ডেস্ক :
গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে মোটরসাইকেল ভাড়া এনে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে মোটর সাইকেল ছিনতাই ও চালককে ছুরিকাঘাতে আহত করা ছিনতাইকারী সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার করেছে গৌরীপুর থানার পুলিশ। তবে তার সহযোগী উজ্জ্বল মিয়া পলাতক রয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত সাদ্দাম হোসেন শেরপুর জেলার সদর উপজেলার মির্জাপুর কান্দিপাড়া গ্রামের মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে। পলাতক উজ্জ্বলের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়।
গৌরীপুর থানা ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০ জুলাই সন্ধ্যায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক সুজয় সাহাকে দুই হাজার টাকা চুক্তিতে গৌরীপুর নিয়ে আসেন সাদ্দাম ও উজ্জ্বল। রাত সাড়ে ১০টায় তাঁরা উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের বৃ-বড়বাগ গ্রামের মঞ্জু মিয়ার বাড়ির সামনে আসে। এসময় তাঁরা চালক সুজয় সাহাকে ছুরিকাঘাত করে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন।
তাঁর চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। আহত সুজয়কে এলাকাবাসী উদ্ধার করে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজেন্দ্র দেবনাথ তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সুজয় সাহা (২৬) গাজীপুর জেলার বাসন উপজেলার কড্ডা বাজার এলাকার উজ্জ্বল সাহার ছেলে।
এ বিষয়ে সুজয় সাহা বাদী হয়ে শুক্রবার সাদ্দাম ও উজ্জ্বলকে আসামী করে গৌরীপুর থানার একটি মামলা দায়ের করেন।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)) মাহমুদুল হাসান হাসান বলেন- পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা থেকে সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোটর সাইকেল ও রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক জনকণ্ঠ ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রিয়াজ উদ্দিন জামি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
৬ মার্চ সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১১টায় ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ভাগ্নে সাংবাদিক আশেক মান্নান হিমেল।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য মুম্বাইয়ে যান রিয়াজ উদ্দিন জামি। সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার সময়ই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৯ আগস্ট জামি রাজধানী ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। বিভাগীয় প্রধান ও ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউসুফ আলী ও মেজর নাসিফের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা কার্যক্রম চলে। এ সময় সিএমএইচ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার সব শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা রিপোর্ট পর্যালোচনা করে এবং জামিকে ১০টি রেডিওথেরাপি দেওয়ার পরামর্শ দেয়। চিকিৎসার প্রথম পর্যায়ে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ৫টি এমআরআই, ব্রেইন টেস্টসহ সিটি স্ক্যান, পিঠ, বুক, কোমর ও মাথায় বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এছাড়াও তার কোমর ও ফুসফুস থেকে লালা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।
পরে একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের টাটা হাসপাতালে যান রিয়াজ উদ্দিন জামি। সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেন তিনি। পরে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য তিনি আবারও ভারতে যান চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় সংসদে উত্থাপিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করে সাজার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মিথ্যা মামলার শিকার হওয়া ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দিলে আদালত তা আমলে নেবেন।
এই বিধান যুক্ত করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এই আইনটির রিপোর্ট সংসদে উত্থাপন করেছে।
আজ ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার সাইবার নিরাপত্তা বিল–২০২৩ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণায় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব সুপারিশ চূড়ান্ত করে কমিটি। এছাড়া বিলের ৩২ নম্বর ধারা বাদ দেওয়াসহ কয়েকটি ধারায় শব্দগত পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
বিলে নতুন একটি ধারা যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই ধারায় বলা হয়, যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অন্য কোনো ধারার অধীন মামলা বা অভিযোগ দায়ের করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ না জেনেও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান, তাহলে তা হবে একটি অপরাধ। এই অপরাধে মামলা বা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যক্তি মূল অপরাধটির জন্য যে দণ্ড নির্ধারিত রয়েছে সে দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। যদি এই আইনের একাধিক ধারায় কোনো মামলা বা অভিযোগ করেন, তাহলে ওই ধারায় বর্ণিত অপরাধগুলোর মধ্যে মূল অপরাধের জন্য যার দণ্ডের পরিমাণ বেশি হয় সেটাই দণ্ডের পরিমাণ হিসাবে নির্ধারণ করা যাবে।
এ বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল এই অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও মামলার বিচার করতে পারবেন।
বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে এই সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে। ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সাইবার নিরাপত্তা বিল সংসদে উপস্থাপন করা হয়। এরপর বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এছাড়া বিলের ২১ ধারায় শব্দগত পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রপাগান্ডা ও প্রচারণা সংক্রান্ত অপরাধের কথা বলা আছে। এখানে ‘পতাকার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রপাগান্ডা বা’ এর স্থলে ‘পতাকা সম্পর্কে বিদ্বেষ, বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক’ শব্দ প্রতিস্থাপন করা হবে। বিলের ৩২ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ধারায় অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট যুক্ত করা হয়েছিল। ডিজিটাল মাধ্যমে কেউ অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যক্টভুক্ত অপরাধ করলে তার সাজার বিধান করতে এটি যুক্ত করা হয়েছিল। বিলের ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া আছে পুলিশকে। এখানে সংশোধনী এনে বলা হচ্ছে, এই ধারায় সাবইন্সপেক্টর পর্যায়ের কর্মকর্তার জায়গায় পুলিশ পরিদর্শক পর্যায়ের কর্মকর্তা বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতার করতে পারবেন।
উপস্থাপিত বিলের ৮ ধারায়ও সংশোধনী আনা হচ্ছে। ডিজিটাল মাধ্যম থেকে তথ্য–উপাত্ত অপসারণ ও ব্লক করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এই ধারায়। এখানে আগে বলা ছিল যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘প্রতীয়মান’ হয় ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের বা উহার কোনো অংশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন করে বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণার সঞ্চার করে, তা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা ব্লক করার জন্য, মহাপরিচালকের মাধ্যমে, বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে। এখানে প্রতীয়মান শব্দের জায়গায় ‘তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ সাপেক্ষে, বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে’ প্রতিস্থাপন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
র্যাবের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত আইজিপি এম. খুরশীদ হোসেন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনাক্রমে যে কোনো চ্যালেঞ্জ নিতে র্যাব প্রস্তুত।
তিনি আজ ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়ার সরকারপাড়ায় র্যাব-৯-এর অধীনে ক্রাইম প্রিভেশন কোম্পানী-১ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এ সময় র্যাব মহাপরিচালক এম. খুরশীদ হোসেন আরো বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে ভালোবাসতেন। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিশ্বাস করি, আমরা দেশকে ভালোবাসি, দেশের মানুষকে ভালোবাসি আমরা তারই অনুসারী। আমরা দেশের এবং মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করি।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনকালীন সময়ে আইন-শৃংখলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। তারা যেভাবে পরিচালনা করেন ঠিক সেভাবে পরিচালিত হবে।
তবে আমাদের দায়িত্ব হবে সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তারা যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এই বিষয়টি নিশ্চিত করা। আমরা এটা দৃঢ়ভাবে করবো। এ ধরনের যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় র্যাব মানসিকভাবে প্রস্তুত।
পরে তিনি র্যাবের ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-১ এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সূধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্ণেল মাহাবুব আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সূধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক খান রফিকুল ইসলাম এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন র্যাব-৯-এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মোঃ মুমিনুল হক।
অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ.এস.এম শফিকুল্লাহসহ র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূধী সমাবেশে র্যাবের মহাপরিচালক এম.খুরশীদ হোসেন বলেন, দেশের আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করার জন্য আর্ন্তজাতিকভাবে সুপরিকল্পিতভাবে দেশে মাদক ঢুকছে। মাদকের সাথে আপোষ করলে পরবর্তী প্রজন্মের কি হবে? দেশে এখন মেয়েরাও মাদক সেবন করে। উচ্চ ও মধ্যবিত্তের ছেলে মেয়েরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা চলমান থাকলে আগামী ১০বছর পর কাউকে পাব না যারা আইনশৃংখলা বাহিনীতে যোগ দিতে পারবে।
তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায় সংক্ষিপ্ত সময়ে অনেক টাকার মালিক হওয়া যায়। জনপ্রতিনিধিরাও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। মাদকের গড ফাদারদের গ্রেফতার করতে হবে। তাই মাদক পাচার প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সূধী সমাবেশের পর র্যাব-৯-এর অধীনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-১-এর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন র্যাব মহাপরিচালক। এর আগে র্যাব মহাপরিচালক র্যাবের নিজস্ব হেলিকপ্টারে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাজীপাড়ায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে অবতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহাটের ফকিরহাটে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি ও বিক্রির অপরাধে চাইনিজ রেস্তোরাঁসহ তিনটি খাবারের হোটেলকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ২ আগস্ট বুধবার সকালে কাটাখালী বাসস্ট্যান্ডে রাজধানী খাবার হোটেল, লখপুরে চাইনিজ রেস্তোরাঁ ও এএসপি বাংলা নামে অপর একটি খাবারের হোটেলে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি, বিক্রি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মারুফা বেগম নেলী জানান, উপজেলার কাটাখালী বাসস্ট্যান্ড ও লখপুরে খাবারের হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি ও বিক্রি হয় এমন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এসময়ে কাটাখালী বাসস্ট্যান্ডে রাজধানী খাবার হোটেল, লখপুরে চাইনিজ রেস্তোরাঁ ও এএসপি বাংলা নামে অপর একটি খাবারের হোটেলে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ খাবার তৈরি, বিক্রি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ৩টি প্রতিষ্ঠানটিকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার তৈরি, বিক্রিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হালনাগাদ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
আগের দুই শর্তেই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়েছে সরকার। এ নিয়ে ষষ্ঠ দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হলো।
আজ ২৬ মার্চ রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রজ্ঞাপনে অনুযায়ী, এবারো শর্ত রয়েছে খালেদা জিয়াকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দুটি শর্তে ছয় মাসের মুক্তি দেন। ২৫ মার্চ কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।
শর্তের প্রথমটি হলো— খালেদা জিয়াকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয়ত তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। এর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক দফায় ছয় মাস করে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ায় সরকার।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর ওই দিনই খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়া হয়। এর পর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। সরকারের নির্বাহী আদেশে তার এ সাজা স্থগিত করা হয়।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা, লিভার সিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। কারাগার থেকে বেরোনোর পর চিকিৎসার জন্য কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। সর্বশেষ চলতি বছরের গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে।