অনলাইন ডেস্ক :
২১ জুলাই শুক্রবার একাদশ দিনের মতো আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায় করতে যেয়ে জীবন দিতে প্রস্তুত রয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে আমি আপনাদের পাশে রয়েছি। প্রয়োজনে দাবি আদায় করতে গিয়ে রক্ত দেব, জীবন দেব।
আন্দোলন করতে যেয়ে মারা গেলে আপনারা আমার লাশটা বাড়ির স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেবেন। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) এর সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া এসব কথা বলেন।
সাড়ে পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর দাবি আদায়ে টানা ১১ দিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকা ‘শিক্ষা জাতীয়করণ চাই’ মিছিলে স্লোগানে মুখরিত। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে তাদের এই আন্দোলন।
সারা দেশ থেকে আসা হাজার হাজার শিক্ষক-কর্মচারী অনেকটা মানবেতরভাবে এখানে রাতদিন অবস্থান করছেন। রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে খেয়ে না খেয়ে জাতির ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগররা দাবি আদায়ের জন্য রাজপথকে বেছে নিয়েছেন।
আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, গত ১১ জুলাই থেকে তাদের এই কর্মসূচি চলছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝোলানোর কর্মসূচি চলছে ১৬ জুলাই থেকে।
আন্দোলনের সপ্তম ও নবম দিনে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আলোচনার ডাক পেয়েছেন। এর মধ্যে ১৭ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং ১৯ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু এসব বৈঠক থেকে তারা দাবি পূরণে কার্যকর কোনো আশ্বাস পাননি। তাই তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান। তারা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পাঁচ মিনিট কথা বললেই তাদের দাবি আদায় হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. বজলুর রহমান মিয়া বলেন, আমরা আন্দোলনে অব্যাহত রয়েছি। শেষ পর্যন্ত যদি আমাদের হতাশ করা হয় তাহলে আমরণ অনশনে যাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।’
শুক্রবার বিকেলে সমাবেশে বক্তৃতা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে বিটিএ’র সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ওপর শিক্ষক সমাজের কোনোদিনই আস্থা ছিল না। তিনি শিক্ষকদের মন্ত্রী নন। এ কারণেই এমন কথা বলতে পেরেছেন। শিক্ষকরা সাড়ে চার বছরে এই প্রথম শিক্ষামন্ত্রীর দেখা পেয়েছেন। তিনি শিক্ষকদের নিয়ে তাদের দাবির বিষয়ে বৈঠক করেছেন। কমিটি গঠনের কথাও বলেছেন। অথচ কমিটিতে শিক্ষক প্রতিনিধি রাখার আগ্রহ নেই। আসলে তিনি শিক্ষকদের কষ্ট বোঝেন না। তাই শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে শিক্ষকরাও সন্তুষ্ট হতে পারেনি। কোনো বাছবিচার ছাড়াই বলে দিলেন, নির্বাচনের আগে জাতীয়করণ সম্ভব নয়। এমনকি এও বলেছেন, কিসের ভিত্তিতে জাতীয়করণ করা হবে, সেটা পর্যালোচনা করতে হবে। আমাদের সাফ কথা, ৬ শ স্কুল-কলেজ এই সরকার যার ভিত্তিতে জাতীয়করণ করেছে, সেটিই হবে এমপিওভুক্ত সাড়ে ৯ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের মানদণ্ড।
সমাবেশস্থলে বক্তৃতা শেষে শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, চাকরিতে যোগদান থেকে শুরু করে অবসর জীবন পর্যন্ত পদে পদে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা। একজন এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষক চাকরির শুরুতে ১২ হাজার ৫০০ টাকা বেতন পান। কিন্তু সরকারি স্কুলে দেওয়া হয় ১৬ হাজার। তারা মূল বেতনের শতভাগ উৎসব-ভাতা (ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায়) বা বোনাস পেলেও বেসরকারিতে দেওয়া হয় মাত্র ২৫ শতাংশ। অথচ বর্তমানে বাংলাদেশে সব চাকরিজীবী এমনকি এনজিও কর্মীদেরও শতভাগ উৎসব-ভাতা দেওয়া হয়। চিকিৎসা ভাতা এক মাসে ৫০০ টাকা পান তারা। যেখানে একজন ডাক্তারের ভিজিট সর্বনিম্ন ৬০০, ৮০০ বা ১০০০ টাকা, সেখানে একটি পরিবারকে ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারি শিক্ষকদের দেওয়া হয় দেড় হাজার। আবার বাড়িভাড়া বাবদ এক মাসে এক হাজার টাকা পান। কিন্তু সরকারি শিক্ষকদের মূল বেতনের ৪৫-৫০ শতাংশ দেওয়া হয়।
সমাবেশে শিক্ষক নেতারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আরো অনেক ধরনের বৈষম্যের মধ্যে আছেন। তাদের কোনো বদলি নেই। অনেকে পরিবার এবং বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বহু দূরে চাকরি করছেন বছরের পর বছর। কিন্তু বদলি হয়ে নিজ এলাকায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এককালীন অবসর-ভাতা দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের কাছ থেকে চাকরি জীবনে অবসর খাতে ৬ শতাংশ ও কল্যাণ খাতে ৪ শতাংশ মিলিয়ে মোট ১০ শতাংশ বেতন থেকে কেটে রাখা হয়। অথচ অবসরে গেলে এককালীন কিছু টাকা পেতে ৪-৫ বছর লেগে যায়। এই টাকা দেওয়া ছাড়া আর কোনো বেতন-ভাতা দেওয়া হয় না। অনেক শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পর সময়মতো অবসরের টাকা না পেয়ে টাকার অভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে পারেন না।
অবসরে গিয়ে এসব শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করেন। অনেকে পেনশনের টাকা ভোগ না করেই মারা যান।
শিক্ষকরা আরো জানান, এসব সমস্যা সমাধানের জন্য ডিসিদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সময় আন্দোলন করা হয়েছে। কিন্তু সরকার বা ঊর্ধ্বতন কোনো কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের এসব কষ্ট বা দুর্দশার কথা আমলে নেয়নি। তাই এখন লাখ লাখ শিক্ষক বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে প্রেস ক্লাবে জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান করছে। এখন একটাই দাবি জাতীয়করণ। জাতীয়করণ করলে শিক্ষাব্যবস্থায় সরকারি-বেসরকারি কোনো বৈষম্য আর থাকবে না।
অনলাইন ডেস্ক :
দীর্ঘ চার মাস পর দেশে ফিরে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজ ৬ মে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে তিনি গুলশানের বাসভবনে পৌঁছান। সেখানে পৌঁছালে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে অভ্যর্থনা জানান। এর আগে, আজ সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেগম জিয়াকে বহনকারী কাতারের আমিরের বিশেষ ফ্লাইটটি অবতরণ করে। তাঁর সাথে এসেছেন বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি।
বেগম খালেদা জিয়া স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর এলাকায় ঢল নেমেছে নেতাকর্মীদের। বিমানবন্দর সড়ক থেকে বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’ পর্যন্ত সড়কের দু’ধারে অপেক্ষা করেন দলটির হাজারো নেতাকর্মী। তারা বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত পুরো পথে বেগম জিয়াকে অভ্যর্থনা জানান।
এসময় ‘বেগম খালেদা জিয়ার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ‘খালেদা জিয়া ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’সহ নানা শ্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। তাদের কেউ হাতে ফুল, কেউ ব্যানার-প্ল্যাকার্ড, কেউ-বা বেগম জিয়ার ছবিসংবলিত টি-শার্ট পরে ছিলেন।
এদিন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার খবরে সকাল থেকেই বিএনপির শত শত নেতাকর্মী গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাড়ি ‘ফিরোজা’র সামনে জড়ো হন। বেগম জিয়ার আগমনকে ঘিরে আজ অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এর আগে, ৫ মে সোমবার বাংলাদেশে সময় ৯টা ৩৫ মিনিটে বেগম খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। মাঝে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাদ ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে এক ঘণ্টার জন্য বিরতি ছিল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শরীয়তপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন জেলা শিক্ষক সমিতি। আজ ১৩ জুন মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। পরে শহীদ মিনারের সামনের সড়কে মানববন্ধন করেন তারা।
জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনোয়ার কামালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল আমীন রতনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, সদস্য জিএম নুরুল হক, জেলার সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম খান, কোহিনুর সুলতানা দোলা, কোষাধ্যক্ষ সম্ভুনাথ পোদ্দার প্রমুখ। এতে জেলায় কর্মরত বিপুল সংখ্যক মাধ্যমিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘গ্যাস, পানি, বিদ্যুতে ভর্তুকি পৃথিবীর কোনো দেশ দেয় না। আমরা দিচ্ছি এখনো। তবে নিম্ন ও উচ্চ আয়ের মানুষের জন্য বিদ্যুতের দামের দুটি স্লট (আলাদা আলাদা দাম নির্ধারণ) করে দেব।’
আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে আয়োজিত ১৫০ সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিশ্বে যুদ্ধ পরিস্থিতি ও মূল্যস্ফীতির ভয়াবহতার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিটি জিনিসের কী দাম চিন্তাও করতে পারবেন না। আমাদের দেশে তবু চলছে। তবে যারা নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ তাদের চলতে তো একটু কষ্ট হচ্ছেই।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে এ দেশের উন্নয়নে জাতির পিতার আদর্শে কাজ করেছে। দেশকে আরও উন্নত করাই সরকারের লক্ষ্য।’
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের শ্রীপুরে চারটি প্রাইভেট হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে শ্রীপুর পৌর এলাকার মাওনা চৌরাস্তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল মামুন।
এসময় শাপলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার, এসআর ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ইসলামিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫ হাজার করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল মামুন বলেন, কোনো হাসপাতালের লাইসেন্স হালনাগাদ নেই, কোনোটি আবেদন করা হয়েছে, আবার কোনোটিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। এসব কারণে বেসরকারি ক্লিনিক অধ্যাদেশ ১৯৮২ ধারায় চারটি ক্লিনিককে জরিমানা করে সতর্ক করে ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কাগজপত্র হালনাগাদ না করলে ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এসময় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সুদেব চক্রবর্তী, উপজেলা সেনিটারি পরিদর্শক ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম দুলাল, উপজেলা প্রশাসন ও শ্রীপুর থানা পুলিশ ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় সাপের কামড়ে তমা (৯) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ ১২ সেপ্টেম্বর সকালে দিগনগর ইউনিয়নে এঘটনা ঘটে। নিহত শিশু একই ইউনিয়নের দিগনগর গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী ও একই গ্রামের নেকবর মিয়ার মেয়ে।
জানা গেছে, রাতে মায়ের সাথে বিছানায় ঘুমিয়ে ছিল শিশু তমা। রাত ১০টার দিকে শিশুটি ঘুম ভেঙ্গে কান্না শুরু করে। সেসময় পরিবারের সদস্যরা ঘরের ভিতরে সাপ দেখতে পায়। এরপর শিশুটির নাভিতে সাপে কামড়ের দাগ দেখে। ওই শিশুটিকে শৈলকূপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অ্যান্টিভেনম না থাকায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে। এরপর সদর হাসপাতালেও অ্যান্টিভেনম না থাকায় ফরিদপুর রেফার্ড করে। ফরিদপুর হাসপাতালে নেওয়ার পথিমধ্যে শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দিগনগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিসান পারভেজ শিমুল ও শৈলকূপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম।