স্টাফ রিপোর্টার:
কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাজধানীর আকাশ ছেয়ে যায় নানা রঙের ফানুসে। আর এসব ফানুসের কারণে রাজধানীতে চারটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। ফায়ার সার্ভিস জানায়, এসব আগুনে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ চারটি আগুনের মধ্যে শুধু এক জায়গায়ই ফায়ার সার্ভিসকে কাজ করতে হয়েছে। বাকি তিন জায়গায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাওয়ার আগেই আগুন নিভে যায়। সোমবার (১ জানুয়ারি) সকালে এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার।
তিনি বলেন, রাত ১২টার পর আমরা রাজধানীর চার জায়গায় ফানুসের কারণে আগুন লেগেছে বলে জানতে পেরেছি। সেই স্থানগুলো হলো- সদরঘাট হকার্স মার্কেটের টিনের ছাদ, লালবাগ মৌলভীবাজার মসজিদের সামনে বিদ্যুতের তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের ছাদ ও মানিকদি বাজারের একটি বাসার ছাদ। এর মধ্যে মানিকদি বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের দুটি ইউনিট ১০-১৫ মিনিট কাজ করেছিল। বাকি তিন জায়গার আমাদের গাড়ি পৌঁছানোর আগেই আগুন নিভে যায়। রোজিনা আক্তার বলেন, এই চার জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটলেও তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে আগুনের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।
এর আগে ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, থার্টি ফার্স্ট নাইটে যাতে ফানুস ওড়ানো না হয় এবং আতশবাজি না ফোটানো হয়ে সে বিষয়ে প্রতিটি থানায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, থার্টি ফার্স্টে উন্মুক্ত স্থানে কোনো আয়োজন করা যাবে না। কোথাও কোনো ডিজে পার্টি হবে না। কোথাও আতশবাজি-পটকা ফুটানো যাবে না, ফানুস ওড়ানো যাবে না। আপনারা জানেন, ঢাকা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। তাই স্ট্রিক্টলি অনুরোধ করছি যাতে কেউ ফানুস না ওড়ায়। ফানুস ওড়ালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
জাপানের নাগানো প্রিফেকচারে গুলি ও ছুরিকাঘাতের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। আজ ২৫ মে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর আলজাজিরার।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নাগানোর প্রত্যন্ত এক অঞ্চলে গুলি ও ছুরি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন নিহত হয়েছেন। হামলাকারী ব্যক্তি একটি ভবনের ভেতরে লুকিয়েছেন।
হামলাকারী একটি ক্যাপ, সানগ্লাস এবং একটি মাস্ক পরা অবস্থায় ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
নাকানো সিটি পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিএনএনকে জানায়, ঘটনার দিন বিকালে তাদের কাছে খবর আসে নাগানোর একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই দুর্বৃত্ত পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন এবং একজন গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় পুলিশ ওই এলাকার লোকজনকে আপাতত বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন অত্যন্ত কঠিন হওয়ায় জাপানে বন্দুক হামলার মতো ঘটনা বিরল। দেশটিতে কেউ অস্ত্র কিনতে চাইলে কঠোর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে লাইসেন্স পেতে হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতে মেলা দেখতে গিয়ে আটকে পড়া ১০ জনসহ ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে তারা দেশে ফিরেছেন।
ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন-চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কদলপুর গ্রমের দুলাল নাথের ছেলে রুবেল কুমার নাথ, উত্তর গুজরা গ্রামের মিলন বিশ্বাসের ছেলে রাজিব বিশ্বাস, সুলতানপুর গ্রামের মিলন দের ছেলে শঙ্কর দে, একই গ্রামের বিষু দাসের ছেলে জয় দাস, কাজল দাসের ছেলে সঞ্জয় দাস, অনিল দাসের ছেলে উল্লাস দাস, সুকুমার চৌধুরী দাসের ছেলে দীপক দাস গুপ্তা, মন্টু রাম ঘোষের ছেলে রুমন ঘোষ, যোগেস ঘোষের ছেলে রুবেল ঘোষ, রনধীর দাসের ছেলে প্রান্ত দাস, একই জেলার হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম দেওয়ান নগরের মো. হোসেনের মেয়ে নাহিদা শেখ এবং তার দুই শিশু সন্তান ফয়েজ ইসলাম শেখ ও ফাইজা শেখ।
শূন্যরেখায় দেশে ফেরত আসা দীপক দাস গুপ্তা বলেন, আমরা ১০ জন খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। মেলা থেকে আগরতলার একটি মন্দির দেখে ফেরার পথে আমাদের বহনকারী ভারতীয় গাড়িটির চালক আমাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যের পরিবর্তে স্থানীয় একটি থানায় নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ আমাদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত আমাদের অনুপ্রবেশের দায়ে এক মাস করে সাজা দেন। কারাভোগ শেষে আমরা একটি সেইফ হোমে ছিলাম। সেখান থেকে চার মাস পর বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে আমরা আজ দেশে ফিরলাম।
ফিরে আসা নাহিদা শেখ বলেন, আমি, আমার স্বামী ও এক সন্তানসহ গত তিন বছর আগে স্বামীর চিকিৎসার জন্য অবৈধ পথে ভারতের মুম্বাই শহরে গিয়েছিলাম। চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পথে ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়ে এক বছর কারাভোগ করি। এরপর একটি হোমে ছিলাম। তখন আমার আরেকটি সন্তানের জন্ম হয়। গত ছয় মাস আগে ওখানে আমার স্বামীর মৃত্যু হলে সেখানেই দাফন করা হয়। দীর্ঘ তিন বছর পর আমি আমার দুই সন্তান নিয়ে দেশে ফিরেছি।
আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কর্মকর্তা ওমর শরীফ বলেন, ১৩ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছি। তাদের মধ্যে এক নারী ও দুটি শিশু ছাড়া বাকি ১০ জন এসেছিলেন মেলা দেখতে। তারা দেশে ফেরার পথে ভারতীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যমে সাজাভোগ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে কাগজপত্র যাচাই-বাচাই শেষে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হলো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম, বিএসএফের ১২০ মোম্পানি কমান্ডার বিবেক ধীমান, আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ইনচার্জ মো. খাইরুল আলম, ৬০ বিজিবির আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার শাহ আলমসহ অনেকে।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্রী।
টিউলিপ সিদ্দিক লেবার পার্টির প্রার্থী ছিলেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থীর চেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক প্রায় দ্বিগুণ ভোটে জিতেছেন। আজ ৫ জুলাই শুক্রবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়েছে। হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসনে ভোটে লড়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪৩২ ভোট। এই জয়ের মাধ্যমে টানা চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন মাত্র ৮ হাজার ৪৬২ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে আছেন গ্রিন পার্টি থেকে লরনা জেন রাসেল। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৩০ ভোট।
টিউলিপ সিদ্দিকের মা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ রেহানা।
টিউলিপ সিদ্দিক প্রথমবার হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন ২০১৫ সালে। এদিকে আরেক বাংলাদেশি পপলার অ্যান্ড লাইম হাউস আসন থেকে আপসানা বেগম ১৮ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। আপসানার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রিন পার্টির নাথালি বেইনফিট পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৭৫, কনজারভেটিভ পার্টির ফ্রেডি ডউনিং ৪ হাজার ৭৩৮, স্বতন্ত্র প্রার্থী আপসানার সাবেক স্বামী এহতেশামুল হক ৪ হাজার ৫৫৪ ভোট পেয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে।
স্থানীয় সময় আজ ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার তুরস্ক ও সিরিয়ায় অন্তত ৫ হাজার ২১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।
টেলিভিশনে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় বলেছেন, তুরস্কের মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৪১৯ এ পৌঁছেছে।
কমপক্ষে ২০ হাজার ৫৩৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
তুরস্কে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি জানান। এই কর্মকর্তা যোগ করেন, ২৫ হাজার কর্মী উদ্ধারকাজ করছেন।
উদ্ধারকারীরা আহতদের পরিবহন ও অনুসন্ধান অভিযানে সহায়তার জন্য কমপক্ষে ১৮টি জাহাজ ও ৫৪টি বিমান ব্যবহার করছে।
এদিকে সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬০২-এ।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবারের ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩ হাজার ৬৪৮ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবারের শক্তিশালী ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় কয়েক হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে। অনেক ভবন ভেঙে পড়েছে। অনেকে ভবনের নিচে চাপা পড়েছেন। উদ্ধারকাজ চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউ হ্যাম্পশায়ার প্রাইমারিতে বিপুলভাবে জয়ী হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার প্রতিদ্বন্দ্বী নিক্কি হ্যালেকে পরাজিত করে এই জয়ের ফলে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন লাভের দৌড়ে আরো এগিয়ে গেলেন। আগামী নভেম্বরে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথেই তার দ্বিতীয় লড়াই হবে বলে মনে হচ্ছে।
জয়ের জন্য ট্রাম্পকে অভিনন্দিত করে সাউথ ক্যারোলিনার সাবেক গভর্নর ৫২ বছর বয়স্কা হ্যালে বলেন যে তিনি এখনি সরে দাঁড়াচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘আজ রাতে জয়ের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তিনি এটি অর্জন করেছেন, আমি তা স্বীকার করছি।’
তিনি বলেন, তবে লড়াই এখনো শেষ হয়নি। আরো কয়েকটি রাজ্যের ভোট বাকি আছে। তিনি আশা করছেন, সাউথ ক্যারোলিনায় তিনি ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।
নিউ হ্যাম্পশায়ারে ট্রাম্প ৫৪.৬ ভাগ ভোট পান। আর হ্যালে পেয়েছেন ৪৩.৯ ভাগ ভোট।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প আট দিন আগে আইওয়া রাজ্যেও জয়ী হয়েছিলেন।
ট্রাম্প ২০২২ সালে ঘোষণা করেন যে তিনি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার জন্য আবারো রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন চাইবেন। তিনি এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন চাচ্ছেন। উল্লেখ্য, তিনি যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন, তবে তিনি রেকর্ড গড়বেন। এর আগে কেউ বিরতি দিয়ে দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। সূত্র : সিএনএন, আল জাজিরা এবং অন্যান্য।