চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে দুই মণ গাঁজাসহ মো. হুমায়ুন কবির (৪৫) ও মো. হানিফ (১৯) নামে দুইজন মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ ২৫ জুলাই মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চরচারতলা নতুন ফেরিঘাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গাঁজাসহ তাদের আটক করা হয়।
আটক হুমায়ুন জেলার সদর উপজেলার পূর্ব মেড্ডা শান্তিবাগ এলাকার মো. জজ মিয়ার ছেলে ও হানিফ আশুগঞ্জ উপজেলার চর চারতলা (মহরম পাড়া) এলাকার মস্তু মিয়ার ছেলে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহাম্মেদ বলেন, সকালে চরচারতলা নতুন ফেরিঘাট আসিফ এন্টারপ্রাইজের পাশে রাস্তার ওপর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে রাস্তার ওপর থেকে ট্রাকসহ তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের ট্রাকে তল্লাশি করে ৮৪ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মাদকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গ্রাম্য দাঙ্গা রোধে আশুগঞ্জ ও নাসিরনগর উপজেলার ২৫টি গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন হাজার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৫ মে শুক্রবার থেকে আজ ৭ মে রবিবার সকাল পর্যন্ত চলা অভিযানে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তবে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
এদিকে, এখন থেকে কেউ দেশীয় অস্ত্র বানাতে গেলে তার নাম-ঠিকানা রেখে থানায় পাঠানোর জন্য কামারদের নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ। শনিবার কামারদের নিয়ে সভা করে এ নির্দেশনা দেয় নাসিরনগর থানা পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে নাসিরনগরে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় কয়েক শ মানুষ আহত হন। এরমধ্যে একজন মারা গেছেন। গ্রাম্য এসব সংঘর্ষ এড়াতে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে কাতরা, সড়কি, রামদা, বল্লম, টেঁটা ও ফলা রয়েছে।
নাসিরনগর থানা পুলিশেরর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, অস্ত্র উদ্ধারের পর নতুন করে আর যেন কেউ অস্ত্র বানাতে না পারে সেজন্য কামারদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। কেউ যদি অস্ত্র বানাতে দোকানে যায়, তাহলে তার নাম-ঠিকানা থানায় পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, সংঘর্ষ এড়াতে প্রতিটি উপজেলায় এ ধরনের অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি মাদক উদ্ধারেও জেলার সীমান্তবর্তী তিন উপজেলায় অভিযান চলছে।
আশুগঞ্জ প্রতিনিধি :
তিনদিন পর ফের আশুগঞ্জে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, দোকানপাট-বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ ১৮ জানুয়ারি বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার দুর্গাপুরে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে প্রথমে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ও পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাপক লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১৫ জনকে আটক করে। এখনো পুলিশের অভিযান চলছে। এদিকে ফায়ার সর্ভিসের দুটি দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিভানোর কাজ করে। দুর্গাপুর গ্রামের জারুর গোষ্ঠি (রাসেল চেয়ারম্যানের গোষ্ঠি গং) এবং বারঘরিয়া (মিজান মেম্বারের গোষ্ঠি গং) গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার ও শনিবারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০- ৪০০ জনের নামে মামলা দায়ের করে। গ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এরই মধ্যে বুধবার সাড়ে ৭টার দিকে একদল দাঙ্গাবাজ অর্তকিতে দুর্গাপুর বাজারে হামলা চালিয়ে অন্তত ৩০টি দোকান, ৩-৪টি বাড়িঘর ও ২০টির বেশি খড়ের ডিবিতে অগ্নিসংযোগ করে। বেশ কয়েকটি দোকানও ভাংচুর করে। মূহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়লে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করলে সংঘর্ষকারীরা সেখানেও বাধা দেয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে গোটা গ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষকারীরা বিভিন্ন স্থানে খড়ের ডিবিতে আগুন লাগিয়ে এক ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে। পুলিশ একদিকে গেলে অন্য দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে অতিরিক্তি পুলিশ এলে বিভিন্ন দিক থেকে টিয়ারশেল, শর্টগানের গুলি ছুড়া শুরু ও ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে। এরপর সংঘর্ষকারীরা পিছু হটে এবং বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ আরো জানায়, সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশসহ কমপক্ষে অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বাহার নামে একজনসহ কয়েকজনের বল্লমের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গায়ে সিএনজির ধাক্কা লাগা নিয়ে উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের জারুর গোষ্ঠি (রাসেল চেয়ারম্যানের গোষ্ঠি গং) এবং বারঘরিয়া (মিজান মেম্বারের গোষ্ঠি গং) গোষ্ঠির লোকজনের মধ্যে গত শুক্রবার ও শনিবার দুদফা সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৩৬ বোতল ফেন্সিডিল, ১০৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ২ কেজি গাঁজাসহবিপুল পরিমান মাদকসহ ৭ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃংখলা বাহিনী। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়। আজ ৬ অক্টোবর রোববার সকালে ও শনিবার বিকেলে পৃথক অভিযানে জেলার নাসিরনগর, আশুগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৯-এর সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ মিডিয়া উইংস থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের সেলিনা আক্তার (৪০), একই এলাকার লাকী আক্তার (৩২), উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মোঃ ফরিদ মিয়া (৩৪) ও একই এলাকার রুমা আক্তার (৩০), হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার নাজমুল (২৯), আশুগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের আবদুল জলিল (৪৫) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের মোঃ ইমন মিয়া (২৩)।
পুলিশ মিডিয়া উইংস থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, রোববার সকালে আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে থেকে ১৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ নাজমুল ও আবদুল জলিলকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
অপর অভিযানে রোববার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রাম থেকে ১০৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোঃ ইমন মিয়াকে গ্রেফতার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ।
পৃথক অভিযানে শনিবার রাতে র্যাব সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা থেকে ৯৬ বোতল ফেনসিডিল এবং ২ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী সেলিনা আক্তার, লাকী আক্তার, মোঃ ফরিদ মিয়া ও রুমা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে অটোরিকশা চালকের পানির জগের আঘাতে মোশারফ হোসেন (৫৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
২৫ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খোলাপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
মোশারফ হোসেন খোলাপাড়া দুল্লা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাহিদ আহমেদ জানান, সন্ধ্যায় খোলাপাড়া বাজারে খোলাপাড়া মোল্লা বাড়ির সাইদুর রহমানের ছেলে অটোরিকশা চালক ইমরান (৪০) তার গাড়ি তুলে দেন মোশারফ হোসেনের পায়ে। এ ঘটনায় দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ইমরান পাশের চায়ের দোকানের পানির জগ দিয়ে মোশারফের মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মোশারফ মারা যান।
ওসি আরো জানান, মোশারফের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর ঘাতক ইমরানকে আটক করা হয়েছে।