অনলাইন ডেস্ক :
প্রখ্যাত মার্কিন অর্থনীতিবিদ জেফারই ডেভিড সাকাহাসের নেতৃত্বে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্কের (এসডিএসএন) একটি স্বাধীন মূল্যায়ন প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করা হয়েছে।
সম্প্রতি করা এই স্বাধীন মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই প্রধানমন্ত্রী জনগণের রায় নিয়ে সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে উন্নয়ন এজেন্ডাকে যথাযথ এসডিজির সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছেন।
বাংলাদেশের এসডিজি অর্জনের তথ্য তুলে ধরে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ধারাবাহিক অগ্রগতি অর্জন করেছে। ২০১৭ সালে ১৫৭টি দেশের মধ্যে অবস্থান ছিল ১২০তম। ২০২০ সালে বৈশ্বিক র্যাংকিং ছিল ১৬৬টি দেশের মধ্যে ১০৯তম।
মূল্যায়ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দুটি অভিষ্ট (গুণগত শিক্ষা এবং পরিমিত ভোগ ও টেকসই উৎপাদন) সঠিক পথে আছে দেশ। এ ছাড়া ছয়টিতে (দারিদ্র্য বিলোপ, ক্ষুধা মুক্তি, সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন, সাশ্রয়ী ও দূষণমুক্ত জ্বালানি এবং শিল্প উদ্ভাবন ও অবকাঠামো) পরিমিত রূপে উন্নতি করেছে। পাঁচটি অভিষ্ট অর্জনে (জেন্ডার সমতা, শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, টেকসই নগর ও জনপদ, জলবায়ু কার্যক্রম এবং অভীষ্ট অর্জনে অংশীদারিত্ব) অপরিবর্তিত অবস্থায় আছে। অর্থাৎ এগুলোতে উন্নয়ন ঘটানোর সুযোগ রয়েছে। তবে তিনটি অভিষ্ট অর্জনে (জলজ জীবন, স্থলজ জীবন এবং শান্তি-ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান) ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া অভীষ্ট-১০ (অসমতার হ্রাস) অর্জনের মূল্যায়নে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্তের ঘাটতি আছে। ফলে মূল্যায়ন করা যায়নি।
এসডিএনএস’র স্বাধীন মূল্যায়ন প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, কোভিড-১৯ এর অভিঘাতের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে ভালো করছে। দেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করা এবং সঠিক দিকনির্দেশনা ও সব অংশীজনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এমডিজির মতো এসডিজিতেও সাফল্য আসবে বলে আশা করা যায়।
চলারপথে ডেস্ক :
আঞ্চলিক মহাসড়কে টোল আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে অবকাঠামো নির্মাণ করছে। তাই আঞ্চলিক মহাসড়কে ন্যূনতম হারে হলেও টোল আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে মানুষের মধ্যে টোল দেওয়ার সংস্কৃতিও গড়ে উঠবে।
সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা আজ ২৩ আগস্ট বুধবার বিকেলে পাঁচ পকেটমারকে আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় বুধবার বিকালে রিক্তা নামের এক নারীর ব্যাগ কেটে টাকা নিয়ে পালানোর সময় এলাকাবাসী পকেটমারের ৫ সদস্যকে আটক করেন।
পরে পুলিশকে খবর দিলে খবর পেয়ে পকেটমারের ৫ সদস্যকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটককৃতরা হলো মো. শফিক (২০), হালিমা আক্তার (১৮), আলিয়া আক্তার (৪০), বর্ষা (২০), শিল্পী আক্তার (১৭)। তারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পকেটমারের কাজ করতো বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কালিয়াকৈর থানার এস আই মো. রিপন আলী খান জানান, পাঁচজন পকেটমারকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত পকেটমারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ॥ সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে এই ডাস্ট বা ধুলাগুলো পড়ে আছে। কাস্টমসের গঠিত তদন্ত কমিটিও ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন, এতে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণপাথর আমদানি হয় গত ১৩ নভেম্বর। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। আমদানিকৃত চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
অভিযোগ উঠেছে- আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয় ডাস্ট হিসেবে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফ এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টার প্রাইজের প্রতিদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরণের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’
অনলাইন ডেস্ক :
মোবাইল ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আবারও চালু হয়েছে। আজ ২ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার পর ফেসবুক ও মেসেঞ্জার সচল হতে শুরু করেছে। তবে তা সবার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক হতে সময় লাগছে। এর আগে দুপুর থেকে মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পাচ্ছিলেন না গ্রাহকরা।
তবে বিষয়টি নিয়ে কিছুই জানায়নি সংশ্লিষ্টরা।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ-সংঘাতে নিহত ব্যক্তিদের বিচার দাবিতে আজ শুক্রবার গণমিছিল কর্মসূচি দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ কর্মসূচি সামনে রেখে গুজব এড়াতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে আজ বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ঠেকাতে ব্যর্থ এবং ইন্টারনেট সেবা ব্যাহতের বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘অপপ্রচার বন্ধে ব্যর্থতা এবং ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার সব দায়ভার আমার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার দায় আমি নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে বন্ধ হয়ে যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। দীর্ঘদিন পর ২৮ জুলাই রবিবার বিকেল ৩টার দিকে ফোরজি সেবা চালু হয়।
এর আগে পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৩ জুলাই মঙ্গলবার রাতে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়।
৩১ জুলাই ফেসবুকের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী। ই-মেইলে ব্যাখ্যা দেয় ইউটিউব। ব্যাখ্যা দিয়েছিল টিকটকও। এরপর খুলে দেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো।
ডেস্ক :
আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইতিমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রবিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সাক্ষাতের জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। ইসি সচিব সন্ধ্যায় স্পিকার দপ্তরকে ফোন দিয়ে সময় চেয়েছেন। দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সন্ধ্যায় জানান, সিইসির সাক্ষাতের জন্য ইসি সচিবালয়ের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান স্পিকার।
জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সংসদের অধিবেশন বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারিই শেষ হবে এই অধিবেশন। এ প্রসঙ্গে আইনের উদ্ধৃতি দিয়ে স্পিকার বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য কোনো অধিবেশনের প্রয়োজন পড়বে না। সংসদের একটি বৈঠকের প্রয়োজন পড়েবে।
তিনি বলেন, তার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিলের বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা হবে। যেদিন ভোটের তারিখ হবে ওই দিন একটি বৈঠকের সময় ঠিক করা হবে। ওই বৈঠকে নির্বাচনী কর্তা (সিইসি) সভাপতিত্ব করবেন। যদি রাষ্ট্রপতি পদে একাধিক প্রার্থী থাকেন তাহলেই কেবল ওই বৈঠকটি বসার প্রয়োজন পড়বে। আর একক প্রার্থী হলে সেটার দরকার হবে না। নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী একক প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করবে।
এর আগে রবিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাকিদের বলেন, আইনের বাধ্যবাধকতার কারণে ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন তার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আইনটি হচ্ছে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। অবশ্যেই ৬০ দিনের আগে। ৯০ দিনের হিসেব শুরু হবে ২৪ এপ্রিল থেকে (পূর্ববর্তী) ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। সে হিসেবে ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করতে হবে।
২০১৮ সালে সর্বশেষ এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল ওই বছর ২৫ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৫ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই ছিল ৭ ফেব্রুয়ারি। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় ছিল ১০ ফেব্রুয়ারি এবং ভোট গ্রহণের সময় রাখা হয়েছি ১৮ ফেব্রুয়ারি। সে সময় ২২ দিনের মধ্যে পুরো কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে সে সময় বর্তমান রাষ্ট্রপতি পদে একক প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
‘প্রাক্তন’ রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকাকালে ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ থেকে মো. আবদুল হামিদ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ওই বছর ২০ মার্চ রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান মৃত্যুবরণ করলে মো. আবদুল হামিদ সেদিন থেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২২ এপ্রিল তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এরপর মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় মেয়াদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ওই বছর ২৪ এপ্রিল ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। সংবিধান অনুযায়ী, দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ায় তিনি আর এ পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।