চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের আয়োজনে সদর মডেল থানার বিদায়ী ও নবাগত অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম এবং মোঃ আসলাম হোসেনের বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠান গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খাঁন বিটুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সভাপতি মোঃ আরজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাদেকেুর রহমান, সিনিয়র সদস্য কবি জয়দুল হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খাঁন সাদাত, মোঃ মফিজুর রহমান লিমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, আইসিটি সম্পাদক মোঃ মোজাম্মেল চৌধুরী, কার্যকরি কমিটির সদস্য মীর মোঃ শাহীন, সাংবাদিক উজ্জ্বল চক্রবর্তী, মোঃ শাহাদাৎ হোসেন ও হাবিবুর রহমান পারভেজ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বিদায়ী অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমরানুল ইসলাম একজন সজ্জন ব্যক্তি। তিনি একজন সাংবাদিকবান্ধব পুলিশ অফিসার। তিনি তার দায়িত্বকালে সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে সহযোগীতা করেছেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা রেখেছেন। বক্তারা নবাগত অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন বিদায়ী অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলামের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা পালন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকরা পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করে। তারা নবাগত অফিসার ইনচার্জকে সব ধরনের সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে নবাগত অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন তার দায়িত্বকালে তাকে সহায়তা করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, সকলের সহযোগীতায় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি ভালো রাখতে কাজ করবেন।
অনুষ্ঠানে বিদায়ী অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, তিনি দায়িত্বকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকদের আকুন্ঠ সহযোগীতা পেয়েছেন। তিনি তাকে বিদায় সংবর্ধনা দেয়ার জন্য প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। আলোচনা সভা শেষে বিদায়ী অতিথির হাতে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেয়া হয়।
এর আগে নবাগত অফিসার ইনচার্জকে ফুল দিয়ে বরণ ও বিদায়ী অফিসার ইনচার্জকে বিদায় জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
এ যেন জীবন্ত পুতুল। যেন পুতুলে প্রাণের ছোঁয়া। গানের তালে তালে নাচছে পুতুল। দর্শকদের মুহুর্মুহু করতালি। মুখে হাসির ঝিলিক।
২৬ মার্চ মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের আয়োজনে পুতুল সেজে গানের সঙ্গে নেচেছে সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেনের শিশু শিক্ষার্থীরা।
সংখ্যায় ওরা ৪৮জন। সবাই সেজেছে পুতুলের সাজে। ওরা সবাই শিশু। মঙ্গলবার সকাল পৌণে দশটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে পুতুলের এই নাচ প্রদর্শিত হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেনের শিশু শিক্ষার্থীরা পুতুল নাচের ডিসপ্লে করে।
ডিসপ্লের শুরুতেই হাজারো উপস্থিতি জীবন্ত পুতুলদের করতালি দিয়ে স্বাগত জানায়। ডিসপ্লে চলাকালেও ছিলো বেশ উচ্ছ¡াস। পুতুল নাচের এ ডিসপ্লে জেলার বেশ আলোচনার জন্ম দেয়।
পুতুল নাচ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য। তবে সেটা যেন বিলিনের পথে। তবে এই প্রথমবারের মতো জেলার কোনো বড় আয়োজনে শিশুদের পুতুল সাজিয়ে নাচানো হলো। এর আগে সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেন নিজেদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনে শিশুদেরকে পুতুল সাজিয়ে নাচায়।
পুতুল নাচের অংশ নেওয়া মুনতাহা জানায়, সে আগে কখনো পুতুল নাচ দেখেনি। ডিসপ্লের জন্য বেশ কয়েকবার দেখেছে। এরপর প্রশিক্ষক তাদেরকে তৈরি করেছেন। এ নাচে অংশ নিতে পেরে সে বেশ খুশি।
কথা হয় অভিভাবক শ্যামল মোদক ও প্রিয়াংকা সাহার সঙ্গে। তারা বলেন, ‘আমাদের সন্তানরা এ আয়োজনের গর্বিত অংশীদার হতে পেরেছে। আমাদের খুব লাগছে। এ নাচের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য ফুটে উঠেছে।
নাচের পরিকল্পনাকারি ও প্রশিক্ষক জিয়া আমিন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুতুল নাচের ঐতিহ্য ফেরাতে এই প্রচেষ্টা। এতে তিনি অনেকটা সফল হয়েছেন বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা বলেন, ‘পুতুল নাচ আমাদের ঐতিহ্য। আমরা চাই শিশুরা ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে থাকুক। এ ধরণের আয়োজনকে সমৃদ্ধ করতে আমাদের সহযোগিতা থাকবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘শিশুরা পুতুল নাচের ডিসপ্লে বেশ চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছে। জেলা প্রশাসন তাদের পাশে থাকবে।’
স্টাফ রিপোর্টার :
কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চক্ষু সুরক্ষা তথা দৃষ্টিশক্তি প্রখরতায় জেলার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী চক্ষুশিবির শুরু হয়েছে। এসোসিয়েশন অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা এক্স স্টুডেন্টস (আবেশ) এর আয়োজনে এবং অরবিক ইন্টারন্যাশনাল ও মৌলভীবাজার বিএনএসবি আই হসপিটাল’র সার্বিক সহযোগিতায় এই চক্ষুশিবির পরিচালিত হচ্ছে।
আজ ১৮ জানুয়ারি বুধবার সকালে জেলার প্রাচীনতম এবং সুনামখ্যাত অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে দুই দিনব্যাপী এই চক্ষুশিবির উদ্বোধন করেন এসোসিয়েশন অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা এক্স স্টুডেন্টস (ABAES) এর সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আমিন শামীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল হক ও অধ্যাপক ড. তৌফিকুল ইসলাম মিথিল।
অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ছাত্রদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন এনায়েত খন্দকার রনি, সাবেক পৌরমেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এণ্ড ইণ্ডাস্ট্রি’র পরিচালক আল মামুন ও সুব্রত পাল , প্রাক্তন ছাত্র জিয়াউল হাসান শিপন, ড. মাতিন আতমেদ, মারুফ, মো: ইব্রাহিম খান সাদাত, নিয়ামুল হক প্রমুখ। অরবিক ইন্টারন্যাশনাল’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার এ.কে.এম নুরুল কবীর, দেওয়ান রুহুল আমিন চৌধুরীসহ নয়জন চিকিৎসক চক্ষুশিবির কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত রয়েছেন। দুই দিনব্যাপী এই চক্ষুশিবির কার্যক্রমে আড়াই হাজার শিক্ষার্থীর চক্ষু সুরক্ষায় চিকিৎসা প্রদান করা হবে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করতে গিয়ে এসোসিয়েশন অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা এক্স স্টুডেন্টস (ABAES) এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তৌফিকুল ইসলাম মিথিল বলেন, অন্নদা স্কুল আমাদের অনন্য ঠিকানা। আমাদের মন এখানে বাঁধা পড়ে আছে। আমরা এখানে ছিলাম, এখানে আছি; এখানেই থাকবো। মানুষ যদি মানুষের সেবায় এগিয়ে আসে, এটা যদি রাজনীতি হয়, তাহলে এটাই বড় রাজনীতি। এগিয়ে যাওয়া মানুষেরা যদি পেছনের দিকে ফিরে তাকিয়ে পেছনে থাকা মানুষদের দিকে তাকায় তাহলে কেউই আর পেছনে পড়ে থাকবে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিখোঁজের ৪ দিন পর দুই মাদ্রাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে সাদেকপুর উত্তর পাড়ায় একটি মসজিদের পাশের জমি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হচ্ছেন, কালিসীমা গ্রামের বিল্লাল মিয়ার মেয়ে নাইমা (১৪) ও সাদেকপুর গ্রামের আব্দুল বারেকের মেয়ে মাইমুনা (১৫)।
তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পয়াগ গ্রামের ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। নিহতের স্বজনরা জানান, শুক্রবার বিকালে তারা মাদ্রাসায় যায়। শনিবার সকালে মাদ্রাসা থেকে ফোনে জানানো হয় তারা মাদ্রাসায় নেই। মাদ্রাসার শিক্ষকরা জানান রাতে, একটু দুষ্টামি করায় তাদের শাসানো হয়, এরপর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চাইলে শিক্ষকরা তা দেখাতে গড়িমসি করেন। ঘটনার ৪ দিন পর মঙ্গলবার সকালে সাদেকপুর উত্তর পাড়ায় একটি মসজিদের পাশে জমির পানি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, দুই মাদরাসা শিক্ষার্থী শনিবার (২৪ আগস্ট) রাত থেকে নিখোঁজ হয়। পরে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়। এরপর পরিবারের সদস্যসহ মাদরাসা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
আজ ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সাদেকপুর রাস্তার পাশে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করে। তবে তাদের মৃত্যুর কারণ এখনই বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বলা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সড়ক প্রশস্ত হচ্ছে। তবে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় প্রশস্ততা কোনো কাজে লাগছে না। সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পানি নিষ্কাশন। অথচ বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করায় কৃষি সেচ কাজে ব্যাঘাত ঘটছে, সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়হীনতার কারণে এভাবেই উন্নয়নকাজের ব্যাঘাত ঘটছে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা তাদের আলোচনায় তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি এসব থেকে উত্তরণে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন তারা।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ‘ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশনে’ এসব বিষয় তুলে ধরা হয়। ‘স্ট্রেনথেনিং ইন্টার ডিপার্টমেন্ট ইমপ্লেমেন্টিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট : এ ডিস্ট্রিক্ট লেভেল অ্যানালাইসিস’ শীর্ষক গবেষণার এ আয়োজনটির ব্যবস্থাপনায় ছিলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন। সভায় জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি থেকে সকাল সোয়া ১০টার দিকে এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শামসুন্নাহার।
স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম। গ্রুপ পর্যায়ে আলোচনা করে উন্নয়নকাজ বাস্তবায়নে বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয় বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহর আলী, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিশল চক্রবর্তী, আশুগঞ্জ-কুমিল্লা ছয় লেন মহাসড়ক প্রকল্পের ডেপুটি ম্যানেজার শামীম আহমেদ।
এ সময় জানানো হয়, একটি উন্নয়ন কাজ করতে গেলে একাধিক দপ্তরের সংশ্লিষ্টতা থাকে। কিন্তু সাধারণত যে দপ্তর কাজটি করে এর বাইরে কাউকে এতে সম্পৃক্ত করতে দেখা যায় না। এক দপ্তরের কর্মকর্তা আরেক দপ্তরের কাছে যেতে কুণ্ঠাবোধ করেন।
সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই গোঁজামিল দেওয়া হয়। সময়ের কাজ সময়ে করা হয় না। ঠিকমতো অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায় না। আগের কাজ পরে পরের কাজ আগে করা হয়। এমন সব সমন্বয়হীনতার কারণে উন্নয়ন কাজে ব্যাঘাত ঘটে। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে আরো গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কোনো একটি কাজের জন্য পরামর্শক নিয়োগ করা যারা সবগুলো দপ্তরের সমন্বয় করে কাজটি এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অধ্যাপক ড. শামসুন্নাহার বলেন, ‘দপ্তরগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে উন্নয়নকাজে ব্যাঘাত ঘটার অনেক উদাহরণ আছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে কাজ করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে যে মতামতগুলো উঠে আসবে সেগুলো গবেষণায় কাজে লাগানো হবে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ওয়ান বাই ওয়ান কথা বলেও কাজের সমন্বয় করা যায়। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করবে। আমরা তো ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখেও ব্যবস্থা নিই। আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এমন একটা গবেষণা চাই যেটা সারা দেশে কাজে লাগবে।’
স্টাফ রিপোর্টার :
শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগীতার উদ্বোধনকালে মোকতাদির চৌধুরী এমপি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা পর্যায়ে শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগীতা ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ১০টায় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে খেলা উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীর, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জুলফিকার হোসেন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, খেলাধূলার প্রতি শেখ কামালের অবদান ছিলো অবিস্মরণীয়। আমরা আশা করি শেখ কামালের আর্দশকে ধারণ করে তরুণ সমাজ মাদক থেকে সরে আসবে। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে একদিন ক্রীড়ার ক্ষেত্রে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে নতুন প্রজন্মের তরুনেরা। তিনি বলেন, আশাকরি একদিন অলিম্পিক খেলাতেও দেশের হয়ে এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছেলে-মেয়েরা অংশ নেবে।
দিনব্যাপী প্রতিযোগীতায় জেলার ৯টি উপজেলার ৪শতাধিক শিক্ষার্থী ৩২টি ইভেন্টে এ্যাথলেটিকস্ প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করে।