চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়ন কৃষকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব পারভেজ মোশারফের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ অলি মিয়া। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এস. এম নূরে আলম ।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আহাদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন, জেলা কৃষকলীগ নেতা আলী আশরাফ প্রমুখ।
সম্মেলন শেষে মোঃ ইয়ার খান মোল্লাকে সভাপতি ও মোঃ আবদুর রশিদ মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক, আকিবুর রহমানকে সাংগঠনিক সম্পাদক, তাসলিমা বেগমকে মহিলা সম্পাদক করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কুন্ডা ইউনিয়ন কৃষকলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ভারতে বাংলাদেশের পতাকার অবমাননা, দেশদ্রোহী উগ্র জঙ্গিবাদী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধকরণ ও আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত, নাসিরনগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে দরবার শরীফের পীর মাশায়েখসহ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন নেন।
নাসিরনগর উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সহ-সভাপতি পীরজাদা মাওলানা সিরাজুল ইসলাম কনা মিয়ার সভাপতিত্বে ও উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মাওলানা গোলাম মোহাম্মদ খানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন দাতঁমন্ডল এরফানিয়ার আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বুড়িশ্বর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মাওলানা নজরুল ইসলাম আজিজি, মাওলানা সৈয়দ ওয়ালী হায়দার, মাওলানা মাসুদ হোসাইন ভূইয়া, উপজেলা গাউছিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর মোঃ জাকির হোসাইন, উপজেলা যুবসেনার নেতা মাওলানা মাহমুদ উল্লাহ আশরাফী, মোঃ মাজহারুল হক রাব্বি পাঠান, জুবায়ের আহমেদ, মোখলেছুর রহমান, মোঃ শাহজাহান আমীর, শেখ ছায়েদুল হক, মাওলানা আবু জামাল, রায়হানুল আজিজিসহ আলেম ওলামা ও পীর মাশায়েখগন। সমাবেশে বক্তারা ইসকন একটি আন্তর্জাতিক উগ্র জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন।
বিশ্বের নানা দেশে উগ্রবাদী ও উস্কানিমূলক কর্মকান্ডের কারণে ইসকন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে ইসকনকে নিষিদ্ধ এবং হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানান। এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে অসহায়, গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে পাঁচ টাকায় ইফতার দিয়েছে অবহেলিত পথশিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজ মাঠে পাঁচ টাকার বিনিময়ে এই ইফতার দেওয়া হয়। এ ইফতার সামগ্রীর মধ্যে ছিল ছোলা বুট, মুড়ি, পিঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, বুরিন্দা, লেবু ও শসা।
অবহেলিত পথশিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা উম্মে খাদিজা তালুকদার জানান, প্রতি বছরই আমি আমার এলাকায় রোজার মাসে গরীব ও দুঃস্থ মানুষের জন্য কিছু করতাম। এই পরিধিটা একটু বড় পরিসরে ইউনিয়নে করার জন্য আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে এই সংগঠনটা গঠন করি। আজ মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে ৭০ জন গরীব মানুষের মাঝে ইফতার দেওয়া হয়। পাশাপাশি যাদের পাঁচ টাকা দেওয়ার মতো ক্ষমতা নেই, তাদেরকে বিনামূল্যে খাদ্যপণ্য দেওয়া হয়। গরীব ও অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যই আমাদের এই প্রচেষ্টা।
তিনি আরো জানান, আমি পড়াশোনার পাশাপাশি প্রাইভেট পড়াই। এছাড়া বন্ধু ও স্বজনদের কাছ থেকে নেওয়া টাকার পাশাপাশি ফেসবুকে পোস্ট করে অর্থ সংগ্রহ করি।
তিনি বলেন, তার এই সংগঠন বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজ করে থাকে। গতকাল ২২ মার্চ শুক্রবার সংগঠনের মাধ্যমে একটি এতিমখানায় ১০০ জনের ইফতার (বিরিয়ানি) দেওয়া হবে। সমাজের বিত্তবানরা যদি যার যার অবস্থান থেকে গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় তাহলে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে উঠবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ১৯ অক্টোবর মাসে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী উম্মে খাদিজা তালুকদারসহ চারজন বন্ধু মিলে ফাউন্ডেশনটির কাজ শুরু করেন। বর্তমানে এ ফাউন্ডেশনে প্রায় তিনশ’র অধিক সদস্য রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোর্কণ ইউনিয়নে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩ আগস্ট শনিবার সকালে লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের লায়নস ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল জেলা-৩১৫ এ-৩ বাংলাদেশের উদ্যোগে ও লায়ন্স চক্ষু ইনিস্টিটিউট এন্ড হাসপাতালের সহযোগিতায় এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে এই চক্ষু চিকিৎসা শিবিরের উদ্বোধন করেন লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ শরীফ। এ সময় লায়নস ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল জেলা-৩১৫ এ-৩ এর গেট এরিয়া লিডার পিডিজি কাজী সাইফুল ইসলাম, মাল্টিপোল জেলা-৩১৫ এ-৩ এর বাংলাদেশের কাউন্সিল চেয়ারপার্সন লায়ন ফারহানা বক্স, জেলা গর্ভনর লায়ন সামসুল ইসলাম, লায়ন এস.কে কামরুল, লায়ন মোঃ জাকির হোসেন, লায়ন রিয়াজ বশির, আহমেদ কাজল, গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, গোকর্ণ সৈয়দ ওয়াল্লী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) সনজিৎ কুমার দেব, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ সালাউদ্দিন মুকুল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিজ মিয়া, প্রাছাসের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন চৌধুরী শরীফ, বিশিষ্ট সমাজসেবক হুমায়ুন রেজা চৌধুরীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
লায়ন্স চক্ষু ইনিস্টিটিউট এন্ড হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার মোঃ আহসানুল কবিরের নেতৃত্বে দিনব্যাপী ৪ জন দক্ষ চক্ষু চিকিৎসক বিনামূল্যে চক্ষু শিবিরে প্রায় দুইশতাধিক নারী-পুরুষকে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। এর মধ্যে ৪৪ জন রোগীকে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এক ডিলারের বিরুদ্ধে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কথা। তবে দেওয়া হচ্ছে ২৭-২৮ কেজি। বিতরণের সময় সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে ট্যাগ অফিসার থাকার কথা থাকলেও সে নিয়ম মানা হচ্ছে না। এতে ঠকছেন হতদরিদ্ররা। বিষয়টি ডিলার স্বীকার করলেও একে অন্যকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন সঠিক ওজনে চাল দিচ্ছেন না ডিলার। উপজেলার ফান্দাউক গ্রামে এ অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত ডিলারের নাম মো. বদর আলম। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিন গিয়ে সুবিধাভোগীদের চাল মেপে পাওয়া গেছে ২৮ কেজি।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৩টি ইউনিয়নে ২৬ ডিলার ও ৮ হাজার ৭০৫ উপকারভোগীর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফান্দাউক ইউনিয়নের ডিলার বদর আলমের মাধ্যমে ৩০৪ জন চাল পাচ্ছেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে চাল বিতরণের কাজ। শেষ হওয়ার কথা ৭ মার্চ।
গত সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে সরেজমিন দেখা গেছে, ডিলার বদরের দোকানের সামনে কয়েকশ লোক জড়ো হয়েছেন। তাঁরা কার্ড দেখিয়ে সারিবদ্ধভাবে চাল নিচ্ছেন। কয়েকজন ওজনে কম দেওয়ায় চাল না নিয়ে বাড়িতে চলে যান। প্রতিবাদ করলে নাম কেটে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
সেখানে কথা হয় শিউলি বেগম ও মুর্শিদা বেগমের সঙ্গে। তাঁরা জানান, অশিক্ষিত হওয়ায় মিটারের মাপ বোঝেন না। বাড়িতে চাল নিয়ে দেখেন তিন কেজি কম। বেশি কথা বললে নাম কেটে দেবে। এ জন্য কিছু বলার সাহস পান না।
আলাল মিয়া, নজরুল মিয়া ও পৈলন খাঁ অভিযোগ করেন, চাল নিতে এলে ডিলার বলেছে, দুই কেজি কম নিতে হবে। এ জন্য তাঁরা চাল নেবেন না। দুই বছর ধরেই কম দেওয়া হচ্ছে। চাল দেওয়ার সময় সরকারি লোক থাকার কথা। কিন্তু তারা ৫-১০ মিনিট থেকে চলে যায়। এ দিন সরকারি লোক আসেনি বলে জানান তাঁরা।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ডিলার মো. বদর আলম বলেন, ‘আমার কী করার আছে। সরকারি গুদাম থেকে বস্তায় দু-তিন কেজি চাল কম থাকে। এরপরও আমি বলেছি ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার জন্য। হয়তো শ্রমিকরা ভুল করেছে।’ ট্যাগ অফিসার ছাড়া চাল দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে ট্যাগ অফিসার আসেনি।’
সরকারি ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী মো. মোজাম্মেল হকের। তিনি সেখানে ছিলেন না। তিনি বলেন, ‘আমি সরকারি চাকরি করি। আমার দায়িত্ব হাসপাতালে। চাল বিতরণে অনিয়ম হলে সেটা আমার দেখার কথা না। সেটি দেখবেন খাদ্য কর্মকর্তা।’
ডিলার ও ট্যাগ অফিসারের এমন দাবির বিরোধিতা করে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার আচার্য বলেন, ‘চাল বিতরণের সময় ট্যাগ অফিসার উপস্থিত থাকবেন। গুদাম থেকে চাল কম দেওয়ার সুযোগ নেই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফকরুল ইসলাম বলেন, হতদরিদ্রদের চাল বিতরণে ওজনে কম দেওয়ার সুযোগ নেই। অভিযোগ সত্য হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।