চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অফিসের উদ্যোগে নিষিদ্ধ চায়না জালের বিরুদ্ধে সপ্তাহব্যাপী অভিযান শুরু হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে আজ ২৬ জুলাই বুধবার পর্যন্ত এক সপ্তাহের অভিযানে প্রায় ২০ হাজার মিটার নিষিদ্ধ চায়না জাল আগুনে পুড়ানো হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় অর্ধ কোটি টাকা।
নাসিরনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৫ দিন হলো বর্ষার পানি নাসিরনগরের বিভিন্ন হাওর ও বিলে ঢুকতে শুরু করেছে। ফলে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মা মাছ নুতন পানি পেয়ে প্রজনন শুরু করেছে। এতে ডিম থেকে শুরু করে সব ধরণের মা মাছ সহজেই চায়না জালে ধরা পড়ছে। আর হুমকিতে পড়েছে হাওরের দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন।
মৎস্য কর্মকর্তা শুভ্র সরকার বলেন, হাওরের দেশীয় মাছের প্রজনন ধরে রাখতে মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে গত সাত দিন উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালানো হয় বিভিন্ন হাওর-বিল ও স্থানীয় অসাধু ব্যবসায়ীর গোডাউনে। সবশেষ আজ চাতলপাড় ইউনিয়নের বড় বাজারে অভিযান চালিয়ে পাঁচটি গোডাউন থেকে ১০ হাজার মিটার চায়না জাল ও দুই হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে আগুনে পোড়ানো হয়। এরপর গুডোউনগুলো সিলগালা করে দুই ব্যক্তিকে পাঁচ হাজার করে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নাসিরনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোনাব্বর হোসেন বলেন, হাওরের মাছকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। যারা নিষিদ্ধ চায়না জাল ব্যবহার করে মাছের প্রজননে বাধা প্রদান করবে তাদেরই মৎস্য আইনের আওতায় আনা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বজ্রাঘাতে ৮ বছরের শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১১ মে রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় পৃথক তিন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা নাসরিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলো: চাতলপাড় ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের জাকিয়া আক্তার (৮), গোকর্ণ ইউনিয়নের গোকর্ণ গ্রামের শামসুল হুদা (৭০) এবং ধান কাটতে আসা মৌসুমি শ্রমিক রাজ্জাক মিয়া (৪০)।
নাসিরনগর ইউএনও শাহিনা নাসরিন বলেন, বজ্রপাতে একদিনে তিনজনের মৃত্যুর খবর খুবই মর্মান্তিক। এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় জনগণকে আরো সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম জানান, নিহতদের পরিবারের অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ৯০টি অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের মানবিক সহায়তা হিসেবে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ২ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি এসব ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন।
নাসিরনগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. সোহাগ রানা, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অসিম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক মো. লতিফ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপুর, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি নির্মল চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ৯০টি পরিবারের মধ্যে নগদ ৬ লাখ টাকা ও ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন বিতরণ করা হয়। এসময় সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের দলীয় নেতৃবৃন্দসহ এলাকার গণ্যমান ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন করা হয়েছে।
১৪ এপ্রিল রবিবার সকালে বৈশাখী শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বাঙালির নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা শুর হয়। নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং জনপ্রতিনিধি গণ অংশ নেন।
শোভাযাত্রা শেষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীদের পরিবেশনায় পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১ (নাসিরনগর) সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান সুখন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা বর্ষবরণ উপলক্ষে ঐকতান সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র আয়োজিত ভর্তা উৎসবে অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সঠিক তদারকির অভাবে এবং অযত্ন ও অবহেলায় অস্তিত্ব হারাতে বসেছিল কালের সাক্ষী হয়ে থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর জমিদার বাড়ি। ৭৫ বছর ধরে বেদখলে ছিল বিশালাকার বাড়িটি।
সম্প্রতি হরিপুর বড় বাড়ি সংরক্ষণে উদ্যোগ নিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। অবৈধ দখল উচ্ছেদের পর এবার শীঘ্রই সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
১৮শ শতাব্দীতে জেলার নাসিরনগর উপজেলায় তিতাস নদীর পাড়ে প্রায় ৪৮০ শতাংশ জমিতে জমিদার কৃষ্ণপ্রদাস রায় চৌধুরী ও গৌরীপ্রসাদ রায় চৌধুরী দৃষ্টিনন্দন এ বাড়িটি নির্মাণ করেন।
জানা যায়, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর জমিদার পরিবারের লোকজন বাড়িটিতে কয়েকজন পুরোহিতদের রেখে কলকাতায় চলে যান। এরপর পুরোহিতদের বংশধরদের পাশাপাশি স্থানীয় কিছু মুসলিম পরিবার দখল নিয়ে বসবাস শুরু করেন সেখানে। সেই থেকে প্রায় ৭৫ বছর ধরে বাড়িটি ছিল বেদখলে। এতে বাড়িটি দিনের পর দিন বিলুপ্তির পথে যেতে থাকে। তবে সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাড়িটির দখলে থাকা পরিবারগুলোকে অন্যত্র পুনর্বাসিত করা হয়। এরপরই নেওয়া হয় বাড়িটি সংস্কারের উদ্যোগ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, তিতাসের পূর্বপ্রান্তে এত বড় বাড়ি আর কোথাও নেই। কারুকাজ খচিত ৬০টি কক্ষ বিশিষ্ট বাড়িটিতে রং মহল, দরবার হল, নাচ ঘর, পুকুর, খেলার মাঠ, মন্দির ও সীমানা প্রাচীর রয়েছে। তবে এর অনেক অংশ ভেঙে ফাটলও ধরেছে। লাল ইট সুরকির গাঁথুনি দিয়ে তৈরি ভবনের দু’পাশে কৃষ্ণ প্রসাদ রায় চৌধুরী ও গৌরী প্রসাদ রায় চৌধুরীর দুটি সমাধি সুউচ্চ মঠ রয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা এখানে এসে ঘুরে ঘুরে পুরো রাজবাড়ির সৌন্দর্য দেখছেন। অনেকে আবার মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. গোলাপ মিয়া বলেন, হরিপুর রাজবাড়ি এটি আমার জন্মের আগে নির্মিত। এই বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত ছিল। বাড়িটিতে বহিরাগত লোকেরা থাকতেন। তবে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দখলে থাকা বহিরাগতদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে জায়গা দিয়ে তাদের উচ্ছেদ করা হয়। আমাদের দাবি, এই বাড়ি যেন পুনঃসংস্কার করে দেয়। তাহলে আমাদের তিতাসের পূর্ব পাড়ে অতীতের একটি স্মৃতি থাকবে।
স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দা আব্দুল জব্বার বলেন, দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে বাড়িটি পরিত্যক্ত। এই বাড়িটি চুনকাঠ ও বীমের উপর দাঁড়িয়ে আছে। যেকোনো সময় একটি বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি চাই, সরকার যেন দ্রুত এই বাড়িটি সংস্কার করে দেয়। বাড়িটি সংস্কার করে দিলে দর্শনার্থীর সংখ্যা আরো বাড়বে। আমাদের এলাকার উন্নয়ন হবে।
ঘুরতে আসা কয়েকজন পর্যটক বলেন, আমরা হরিপুর জমিদার বাড়ি দেখতে এসেছি। দেখলাম এখানে অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। রাজমহল, রঙমহল, দরমহলসহ প্রতিটি দেওয়ালে বিভিন্ন প্রকার কারুকাজ করানো রয়েছে। বাড়িটি অনেক পুরোনো হওয়ায় জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। তবে বাড়িটির ফটকের সামনে যদি এর ইতিহাস লিখে রাখা হয় তাহলে পর্যটকরা এসে এর সঠিক তথ্য জানতে পারবে। বাড়িটি যদি দ্রুত সংস্কার করা যায় তাহলে ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দেখতে পারবে।
জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, হরিপুর জমিদার একটি দর্শনীয় স্থান। এটা প্রত্নতত্ত্বের একটা গুরুত্ব আছে। জমিদার বাড়িতে যেসব বহিরাগত পরিবার ছিল তাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে জায়গা দিয়ে ওখানে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে হিন্দু ব্রাহ্মণ পরিবার ছিল তারা নিজেরাই চলে গেছেন।
বাড়িটি সংস্কারের বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মহাপরিচালক চন্দন কুমার দে বলেন, আমাদের যে সরকারি রাজস্ব ফান্ড আছে তা থেকে এই বছরই আমরা বাড়িটির সংস্কার কাজ শুরু করব। আমরা প্রকল্প তৈরির চেষ্টা করছি। খুব দ্রুত প্রকল্পটা আমাদের মন্ত্রণালয়ে আমরা পাঠিয়ে দেব। আসা করছি প্রকল্পটা অনুমোদন হলে একটা বড় আকারের কাজ করতে পারব। বাড়িটি যেভাবে আছে আমরা ঠিক সেই ভাবে রেখেই সংস্কার কাজ করব।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ বলেন, প্রত্নতাত্ত্বিক সংরক্ষার একটি আইন বা ব্যবস্থা আছে যা সারা বিশ্বে একই নিয়ম। সেভাবেই আমরা এটি সংস্কার করব।
চলারপথে রিপোর্ট :
চারপাশে সবুজ। ঠিক মাঝখানে লাল। ওপর থেকে দেখলে মনে হবে এ যেন বাংলাদেশের পতাকা। নাসিরনগর উপজেলায় ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের চিত্র এটি। উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রামে এটি করা হয়েছে।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম জানান, উত্তর লক্ষ্মীপুরে এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১৪০টি পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এসব ঘরসহ ভূমি পেয়েছেন বিধবা নারী, স্বামী পরিত্যক্তা, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী ও গৃহহীনরা। ঘরগুলো দৃষ্টিনন্দন করতে চাল লাগানো হয়েছে জাতীয় পতাকার আদলে লাল-সবুজে। ২২ মার্চ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এগুলো হস্তান্তর করা হবে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৬৬২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে নতুন ঘর। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বুধবার এসব ঘর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশ্রয়ণ প্রকল্পের চতুর্থ ধাপে প্রধানমন্ত্রী ঘর হস্তান্তরের পর জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ছয়টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানান, মুজিববর্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন (যাদের জমি নেই, ঘরও নেই) তাদের পুনর্বাসনের জন্য চতুর্থ পর্যায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চতুর্থ ধাপে ৬৬২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঘর পাবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর এসব পরিবারকে ঘরের চাবি ও দলিল বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
এরমধ্যে সদর উপজেলায় ১০৫টি, বাঞ্ছারামপুরে ১২৬টি, নবীনগরে ১০০টি, আখাউড়ায় আটটি, সরাইলে ৪৯টি, আশুগঞ্জে ২০টি ও নাসিরনগর উপজেলায় ২৫৪টি পরিবার রয়েছে। এরই মধ্যে সুবিধাভোগী ভূমি ও গৃহহীনদের নামে ভূমির দলিল নিবন্ধন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, দুই কক্ষবিশিষ্ট আধাপাকা ঘরগুলো একই নকশায় তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরে ব্যয় হয়েছে দুই লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা।